শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা এবং পদক্ষেপ সমূহ কি কি

শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা এবং পদক্ষেপ সমূহ কি কি?

শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা কী কী

শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা  উদ্দেশ্য ঃ অটো  কম্পোজিট লিমিটেড  – এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অধিকার নিশ্চিত ও কারখানার শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে শাস্তিমূলক ব্যবস্থানীতি প্রণয়ন করেছেন। মানব সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা এবং যেকোন শ্রমিক,কর্মচারী এবং কর্মকর্তার প্রতি কোন ধরণের অন্যায়, অবিচার বা অমানবিক যেকোন বিষয় এড়ানোর লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ দেশে প্রচলিত শ্রম আইনের আলোকে অত্র নীতিমালা প্রণয়ন করছে। …

প্রযোজ্য ক্ষেত্র ঃ অত্র কারখানায় কর্মরত সকলের জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য। অন্য কোন নিয়মকে প্রভাবিত না করে, কোন শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তাগণ এই নিয়মনীতি ভঙ্গ করলে, অবহেলা বা বিমুখ করলে বা জেনে শুনে স্বজ্ঞানে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিরোধী কাজ করলে বা দাপ্তরিক কাজের নির্দেশ অমান্য করলে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে বা অসদাচরনের দোষে দুষ্ট হলে বা নৈতিকতা বিরোধী কাজের দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে নিম্নলিখিত এক বা একাধিক দোষের জন্য দায়ী হবেন।

নিম্নলিখিত কাজ ও ত্র“টিসমুহ অসদাচরন হিসেবে বিবেচিত হবে:

  • উপরস্থের কোন আইন সঙ্গত বা যুক্তি সঙ্গত আদেশ মানার ক্ষেত্রে একক ভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে ইচ্ছাকৃত অবাধ্যতা;
  • কোন শ্রমিককে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বিনা মজুরীতে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা যাবে, যদি তিনি- ক)       কোন ফৌজদারী অপরাধের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হন; অথবা খ)    অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।
  • মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, প্রতারনা বা অসাধূতা;
  • মালিকের অধীন নিজের বা অন্যকোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহন বা প্রদান;
  • বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়ে এক সঙ্গে ১০ (দশ) দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি;
  • বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়ে এক সঙ্গে দশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি; অভ্যাসগত বিলম্বে অনুপস্থিতি;
  • প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংগন;
  • প্রতিষ্ঠানে উচছৃংখল বা দাংগা হাংগামামূলক আচরণ, অথবা শৃংখলা হানীকর কোন কর্ম;
  • অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি;
  • প্রতিষ্ঠানের প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন;
  • প্রতিষ্ঠানে অশৃঙ্খল বা দাংগা হাংগামামূলক আচরণ অথবা শৃঙ্খলা হানিকর যেকোন কর্ম;
  • কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;
  • প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃংঙ্খলা বা আচরণসহ, যেকোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন।
  • মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, ক্ষতি বা হারিয়ে ফেলা;
  • জরিমানা করতে হবে

শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পদক্ষেপ সমূহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা কী কী এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পদক্ষেপ সমূহ  শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ব্যাপারে নিক্ত নীতিমালা গুলোর উল্লেখ করা যেতে পারেঃ

১। দ্রুততাঃ কোন ঘটনা ঘটার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে অযথা দেরী করা মোটেই ঠিক হবে না। এ প্রসঙ্গে ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে

২। সমতাঃ শাস্তির ব্যাপারে সমতা রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। একই অপরাধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শাস্তি হওয়া উচিত নয়-যদি কোন কর্মচারীকে কোন অপরাধের জন্য বরখাস্ত করা হয়ে থাকে তবে ওই  একই অপরাধের জন্য অন্যদের ও-তারা যত শক্তিশালী হোক না কেন-বরখাস্ত করা উচিত।

৩। স্পষ্টতাঃ কোন কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়া হলে তাকে পরিস্কার ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে যে তার অপরাধটা কা ছিল যাতে করে সে ভবিষ্যতে ওই একই অপরাধ না করে।

৪। দৃষ্টিভঙ্গিঃ একবার শাস্তি দেবার পর ওই কর্মচারীকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করতে হবে এবং তার সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পদক্ষেপ সমূহঃ

০১। প্রয়োজনে প্রাথমিক তদন্ত ০২। অভিযোগপত্র ০৩। অভিযোগ পত্র প্রদান ০৪। অভিযোগ  পত্রের জবাব বিবেচনা করা ০৫। তদন্ত অফিসার মনোনয়ন ০৬। তদন্তের নোটিশ প্রদান ০৭। সঠিক আভ্যন্তরীন তদন্ত  ০৮। তদন্ত অফিসারের রিপোর্ট ০৯। কর্তৃপক্ষের দ্বারা তদন্ত রিপোর্ট বিবেচনা করা ১০। শাস্তির আদেশ ১১। শাস্তির আদেশ জারি করাকারা কারা তদন্ত করতে পারবে না

ব্যাক্তিগন তদন্ত করতে পারবে নাঃ

ক) যিনি ঘটনার একজন সাক্ষী তিনি এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।খ) ওই ঘটনার সাথে যার কোন স্বার্থ রয়েছে (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে) তিনি  এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।গ) যিনি এ ঘটনার অভিযোগকারী তিনি তদন্ত করতে পারবেন না।ঘ) এই ঘটনার ব্যাপারে যার পূর্বজ্ঞান আছে বা ব্যক্তিগত জ্ঞান আছে তিনি  এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।ঙ) অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে যার দুর্বলতা বা শক্রতা আছে  তিনি  এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।চ) যিনি এ ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত করেছেন, যিনি অভিযোগ পত্র দিয়েছেন তারা কেউই  এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।

কী কী অবস্থায় তদন্ত দূষিত হয়বিভিন্ন কারনে তদন্ত দূষিত হয়।

তবে প্রধানত:নি¤েœাক্ত কারনেই তদন্ত দূষিত হতে দেখা যায়ঃ-১) ন্যায় বিচারের নীতিমালা পালন না করাঃরপব বলতে প্রধানত বুঝায়-ক) সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে আগেই পরিস্কারভাবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে জানানো হয়েছে।খ) অভিযোগের ব্যাপারে তার কি বলার আছে সেটা লিখিতভাবে জানাবার জন্য তাকে প্রয়োজনীয় সময় দেয়া হয়েছে।গ) তার জবাব কর্র্তৃপক্ষের কাছে গ্রহনযোগ্য না হওয়ার কারনে তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সে তদন্তে অভিযুক্ত কর্মচারীর সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।ঘ) কর্র্তৃপক্ষের সাক্ষীদের কক্তব্যের শেষে অভিযুক্ত কর্মচারীকে জেরা কারার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।ঙ) কর্র্তৃপক্ষের সাক্ষীদের পর অভিযুক্ত কর্মচারীকে সর্বপ্রকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তার নিজের সাক্ষী আনার এবং অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তার নিজের বক্তব্য দেওয়ার।২) ব্যক্তি শুনানির সুযোগ না দেওয়াঃ ব্যক্তিগত ’শুনানি’র সুযোগ না দিলে তদন্ত দূষিত হবেই।তদন্তে প্রতিটি পদক্ষেপে এ সুযোগ দিতে হবে।

তদন্তে সাক্ষী দেবার সুযোগ দিতে হবে, অন্যপক্ষের সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ দিতে হবে, নিজ বক্তব্য বলার পূর্ন সুযোগ দিতে হবে। অভিযুক্তকে যে কোন একটা সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলেই তদন্ত দূষিত হবে।৩) তদন্তের আরো কিছু ক্রটিঃ প্রায়ই দেখা যায় যে তদন্তের সময় অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাক্ষ্য দেবার সুযোগ দেওয়া হয় না। অনেক সময় তাকে জিজ্ঞাসাও করা হয়না যে সে সাক্ষ্য দিতে চায় কিনা। সাক্ষী দিতে চাইলেও তাকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া হয়না সাক্ষী হাজির করার জন্য। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তদন্তের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত কর্মচারীর অগোচরে এমন কাগজপত্র গ্রহন করেন যা অভিযুক্ত কর্মচারী জানতেই পারের না। ৪)

পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিঃ তদন্ত করবেন সেই ব্যক্তি যিনি অভিযুক্ত কর্মচারীর প্রতি পক্ষপাত দোষে দুষ্ট নন ।৫) বিকৃত সিদ্ধান্তঃ তদন্তকারী কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত হতে হবে তদন্ত কার্যবিবরণীতে থাকা সাক্ষ্য প্রমানের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ যদি সাক্ষী না বলে থাকেন তবে ওই সাক্ষী সে কথা বলেছেন বলে কাউকে দোষী করা যাবে না। করলে সেটা আইনের চোখে বিকৃত সিদ্ধান্ত বলা হবে। আইনের চোখে এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কাউকে চাকুরী থেকে বৈধভাবে চাকুরীচ্যুত করা যাবে না।

অসদাচরণ এবং দন্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাস্তি বা জরিমানা:

  • একজন শ্রমিক বা কর্মচারী উপরোক্ত অসদাচরনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে নিম্ন লিখিত এক বা একাধিক দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন:
  • অপসারণ;
  • নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক ০১ বৎসর পর্যন্ত আনয়ন;
  • অনধিক ০১ (এক) বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ;
  • অনধিক ০১ (এক) বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ;
  • জরিমানা;
  • অনধিক ০৭ (সাত) দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত;
  • ভর্ৎসনা ও সতর্কীকরণ;

শাস্তিদানের পদ্ধতিঃ

  • শাস্তিদানের জন্য কোন আদেশই বলবৎ করা যাবে না, যদি না কোন শ্রমিক বা কর্মিকে ঃ
  • সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মীকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ লিখিতভাবে দেয়া হয়;
  • অভিযোগের একটি কপি শ্রমিককে দিতে হবে;
  • ব্যক্তিগত শুনানীর সুযোগ দেয়া হয়;
  • কারন দশার্নোর জন্য শ্রমিককে কমপক্ষে ০৭ দিন সময় দিতে হবে;
  • তদন্তের পর যদি তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়;
  • মালিক বা ব্যবস্থাপক বরখাস্তের আদেশ অনুমোদন করেন;

তদন্ত চলাকালীন অপসারণ ঃ

  • একজন শ্রমিক বা কর্মী, যার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রস্তাব গ্রহন করা হয়, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যেতে পারে (যদি প্রয়োজন হয়) এবং এই সাময়িক বরখাস্তের সময় ৬০ (ষাট) দিনের বেশী হবে না এবং উক্ত শ্রমিক বা কর্মী সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তার গড় বেতন/মজুরীর অর্ধেক পাবেন।
  • সাময়িক বরখাস্তের আদেশ লিখিত ভাবে হবে এবং বরখাস্তে আদেশ শ্রমিককে দিতে হবে।
  • তদন্তে অভিযুক্ত শ্রমিককে, তার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত এবং তৎ কর্তৃক মনোনিত কোন ব্যক্তি সাহায্য করতে পারবেন।

শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে, শাস্তির আদেশের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মীকে প্রদান করতে হবে।

জরিমানা সম্পর্কে বিশেষ বিধান ঃ

  • কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমাণ অর্থ শ্রমিককে জরিমানা করা যাবে না।
  • কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা কিস্তি ভিত্তিতে বা তা আরোপের তারিখ হতে ষাট দিন অতিক্রান্ত হবার পর আদায় করা যাবে না।
  • কোন জরিমানা, যে অপরাধের জন্য আরোপিত হয়েছে সে অপরাধ সংঘটনের তারিখেই তা আরোপিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।
  • সকল জরিমানা এবং এর আদায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিষ্টারে মালিক কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হবে, এবং আদায়কৃত জরিমানা কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কল্যাণমূলক কাজে ব্যায় করা হবে।
  • কোন তদন্তে অভিযুক্ত শ্রমিককে, প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত এবং তৎকর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি সাহায্য করতে পারবেন।
  • যদি তদন্তে কোন পক্ষ মৌখিক স্বাক্ষ্য প্রদান করেন, তাহলে যার বিরুদ্ধে এই স্বাক্ষ্য প্রদান করা হচ্ছে তিনি সাক্ষীকে জেরা করতে পাবেন।
  • কোন শ্রমিক অনুচ্ছেদ-১ এর অধীনে সংঘটিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে, যদি তার বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ-৩ এর (চ) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় হবে উক্ত শ্রমিক গড় মাসিক মজুরীর অর্ধেক হাবে খোরাকী ভাতা পাবেন।
  • যদি তদন্তে কোন শ্রমিকের অপরাধ প্রমাণিত না হয়, তাহলে তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে কর্মরত ছিলেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত সময়ের জন্য তার খোরাকী ভাতা সমন্বয় সহ, মজুরী প্রদেয় হবে।
  • শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে, শাস্তির আদেশের একটি কপি সংশি¬ষ্ট শ্রমিককে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
  • যদি কোন শ্রমিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রেরিত কোন নোটিশ, চিঠি, অভিযোগনামা, আদেশ বা অন্য কোন কাগজপত্র গ্রহন করতে অস্বীকার করেন, তাহলে তা তাকে প্রদান করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ বা চিঠি বা অভিযোগনামা বা আদেশ এর একটি কপি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত হবে এবং আরেকটি কপি উক্ত শ্রমিকের ঠিকানায় রেজিঃ ডাকযোগে প্রেরণ করতে হবে।
  • উপরে বর্ণিত বিষয়সমুহ ছাড়াও সুষ্ঠু তদন্ত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বার্থে প্রচলিত শ্রম আইনে বর্ণিত সকল ধারা এবং উপধারা প্রযোজ্য হবে।

আপীল ঃ

প্রতিটি শ্রমিক বা কর্মী, যার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর তার শাস্তির জন্য অনুযোগ প্রদান করতে পারেন।

সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মী তার অনুযোগ সঠিক তথ্যসহ প্রদান করতে পারবেন। তার অনুযোগপত্রটি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভাষায় প্রদান করতে হবে।

শাস্তির বিপরীতে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মীর অনুযোগ অবশ্যই আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

উপরোক্ত পদ্ধতিটি অবিলম্বে কার্যকরী হবে এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা  পরিবর্তন অথবা পরিবর্ধন করতে পারবেন।

সুতরাং, সংশ্লিষ্ট সকলকে কোম্পানীর স্বার্থে উপরোক্ত পদ্ধতিটি প্রণয়নে সর্বাত্বক সহযোগীতা করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


Posted

in

by

Comments

5 responses to “শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা এবং পদক্ষেপ সমূহ কি কি?”

Leave a Reply