থ্রেড সাকার মেশিন

আভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্র ও বহিঃ ষড়যন্ত্র গুলো কি কি হতে পারে?

আভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্র

প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিরাগভাজন যে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ধ্বংস বা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। এছাড়া উক্ত ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠানে বিশৃংখলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করতে পারে এবং পরিকল্পনা মোতাবেক যে কোন দল বা উপদলকে ইন্ধন বা উস্কানী দিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রষ্ঠিানে ক্ষতি করতে পারে। এ ধরনের কোন তথ্য নিরাপত্তা বিভাগের কোন কর্মী উপলদ্ধি বা বুঝতে পারলে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রয়োজনে প্রশাসন বিভাগকে জানাবে এবং প্রতিকারের সকল ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

বহিঃ ষড়যন্ত্রঃ

প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিরাগভাজন তৃতীয় কোন পক্ষ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে শ্রমিক,কর্মচারী বা কর্মকর্তাদেরকে দিয়ে উস্কানী প্রদানের মাধ্যমে, কোন তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে বা প্রতিষ্ঠানের ক্রেতাসাধারনকে ভুল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে বা অন্য যে কোন উপায়েই হোক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে । এজন্য তারা কোন সন্ত্রাসীকে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পাওয়ার মাধ্যমে বা পূর্ব থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত কারো মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারে। এজন্য এ ধরনের যে কোন কারোও মাধ্যমে বোমা, অস্ত্র বা ক্ষতিকর কোন পদার্থ ফ্যাক্টরী অভ্যন্তরে আনার চেষ্টা করতে পারে। এছাড়া ক্ষতিকর উক্ত পদার্থ ঊীঢ়ড়ৎঃ ঈধৎঃড়হ এ রাখারও চেষ্টার করতে পারে। এ ব্যপারে নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। কোন তথ্য বা ঘটনা গোচরীভুত হওয়ার সাথে সাথে প্রাশাসন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

নিরাপত্তা কর্মীরা কোন অনিয়ম ঘটলে তা তাৎক্ষনিক ভাবে প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে জানাবে। এছাড়া কোন সন্ত্রাসী আক্রমন হলেও প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে জানাবে এবং সাথে সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ফোনের মধ্যমে ঘটনা জানাবে এবং প্রয়োজনে সহায়তা চাইবে। এমনকি থানায় মামলা দায়ের করতে হবে।

বহিঃ আক্রমনে করনীয়ঃ

নিরাপত্তা কর্মীদের অভ্যন্তরীন আক্রমনের ব্যাপারে সচেতনতার পাশাপাশি বহিঃ আক্রমনের ব্যাপারেও তাদের সচেষ্ট থাকা বাঞ্চনীয় । সন্ত্রাসীদের অভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্র রোধ করা সহজ হলেও বহিঃ সন্ত্রসীদের আক্রমন রোধ করা নিরাপত্তা কমীদের ক্ষেত্রে সমস্যার কারন হতে পারে। বহিঃ আক্রমনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মীদের সন্ত্রাসীদের আপরাধ কর্মকান্ডের ব্যাপারে গভীর জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয় যা সকলের জানা । এ ব্যাপারে তারা বর্তমান বিশ্বের দেশগুলো যেমন, ইরাক, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ভারত ইত্যাদি দেশগুলোতে ঘটে যাওয়া সা¤প্রতিক ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষন করবে। এক কথায় বহিঃ ষড়যন্ত্র এবং বহিঃ আক্রমনের ব্যাপারে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক নিরাপত্তা কর্মীরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply