Select Page
কারখানার বর্জ্য Dirty ব্যবস্থাপনা নীতিমালা গুলো কি কি?

কারখানার বর্জ্য Dirty ব্যবস্থাপনা নীতিমালা গুলো কি কি?

কারখানার বর্জ্য)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা

উৎপাদনের নিমিত্তে বা কোন যন্ত্র পরিচালনা/ব্যবহারের নিমিত্তে বা কোন উৎপাদনের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত কার্য্য সম্পাদনের নিমিত্তে বা ব্যবস্থাপনা কার্য্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবহৃত সকল দ্রব্য কাঁচামাল, আনুসঙ্গিক মালামাল যাহা প্রয়োজনীয়তা হারাইয়াছে/ব্যবহারের যোগ্যতা হারাইয়াছে/গুনাগুণ হারাইয়াছে ইত্যাদি বর্জ্য হিসাবে ধরা হয় বা চিহ্নিত করা হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ব্যবসায়িক ক্রমোন্নয়নের সফলতাকে ধরে রাখা। আমরা ব্যবসায়ের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল এবং সামাজিক ও পরিবেশগত নৈতিক  উদ্দেশ্য অর্জনের অঙ্গিকারাবদ্ধ। আমরা আরও অঙ্গিকারাবদ্ধ উহার সমসাময়িক/উপযোগী আইনগত বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হওয়ার। আমরা প্রতিটি কর্মীদেরকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও গুরুত্ব সর্ম্পকে সচেতন করে তুলি যাহাতে তাহারা পরিবেশ দূষণ হইতে বিরত থাকে এবং ইহার প্রতিরোধে এবং উন্নতিতে এগিয়ে আসে। পরিবেশগত উন্নয়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে আদর্শ আবাস/বাসস্থান উপযোগী করে তোলার জন্য আমরা আমাদের পরিবেশগত নীতিমালা, অভিজ্ঞতা ও যে কোন তথ্য  অংশীদার/সরবরাহকারীদের সাথে ভাগাভাগি করি। …

বর্জ্য সনাক্তকরন

  • মেডিক্যাল বর্জ্য (প্রাথমিক চিকিৎসা)।
  • উৎপাদনের ক্ষেত্র দ্বারা সৃষ্ট বর্জ্য
  • উৎপাদনের মাধ্যমে নিম্নোক্ত বর্জ্য তৈরী হইতে পারে:
  • ওভেন, প্রিন্টিং, নিডল ইত্যাদি সেকশনের উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
  • গুদামজাতকরণ, কাটিং ও প্যাকেজিং ইত্যাদি এর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
  • বাতিল ও অব্যবহৃত কেমিক্যাল এবং অন্যান্য রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
  • এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
  • অন-উৎপাদনশীল বর্জ্য
  • নিম্নরূপভাবে অন-উৎপাদনশীল বর্জ্য তৈরি হইতে পারে
  • সেনিটারী বর্জ্য।
    প্যাকেজিং মেটেরিয়াল (হেংগার, পলিথিন, পেপার ও প্লাষ্টিক জাতীয় দ্রব্য)
  • অফিসে ব্যবহৃত কাগজ, কার্টন, ব্যবহৃত প্রিন্টার/ফটোকপি টোনার, ইত্যাদি।
  • অব্যবহৃত খাদ্য জাতীয়/পচাঁ ফলমুল ইত্যাদি।
  • মেডিকেলে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, পায়খানা/টয়লেট, রান্নাঘর, লাবরেটরি ইত্যাদিতে সৃষ্ট বর্জ্য।
  • অফিস বা কারখানায় ব্যবহৃত বাতিল কাগজ, নষ্ট টিউব লাইট, ব্যবহৃত বাল্ব, ব্যাটারী, ব্যবহৃত প্রিন্টার/ফটোকপি টোনার, ব্যবহৃত তৈল, গ্রিজ, ব্যবহৃত কেমিকেলের ড্রাম/কনটেইনার, প্যাকেজিং এ ব্যবহৃত কাচাঁমাল ও  কেমিকেল, মেটাল জাতীয় এবং কারীগরি কাজের মাধ্যমে সৃষ্ট বর্জ্য।
  • ব্যবহার অনুপযোগী ফ্লুইড, কেমিক্যাল মেশিন ওয়েল ইত্যাদি।
  • এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার অন-উৎপাদনশীল প্রক্রিয়ার মাধ্যর্মে রক্ষণাবেক্ষনের জন্য দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ
  • খাদ্য সামগ্রির বর্জ্য।
    জুট বা কাপড়ের ছাঁট
    বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির বর্জ্য (ভাঙ্গাঁ টিউবলাইট, ফিউজ টিউব লাইট, পি,ভি,সি পাইপ সুইচ ইত্যাদি)।

বিপদজ্জনক ও ক্ষতিকারক বর্জ্য

বিপদজনক তরল বর্জ্য ঃ  আমাদের কারখানায় স্বল্প মাত্রায় যে সমস্ত বিপদজনক তরল বর্জ্য পদার্থ উৎপাদিত হয় সেগুলি হল-

  • বিভিন্ন ধরনের অব্যবহৃত তৈল, ফ্লুইড যাহা সহজে দাহ্য।
  • ব্যবহৃত মেশিনের তেল
  • ব্যবহৃত মবিল
  • খাবারের বর্জ্য ঃ সকালের টিফিন, দুপুরের লাঞ্চ ও বিকালের টিফিনের সময় কিচেন ও ডাইনিং সেকশনে উৎপাদিত খাবারের উচ্ছিষ্ট বা বর্র্জ্য।
  • মেডিকেল বর্জ্য ঃ মেডিকেলের চিকিৎসার সময় ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান যেমন- ব্যবহৃত তুলা, ব্যান্ডেজ, সিরিঞ্জ, টেবলেট এর খালি প্যাকেট, খালি বোতল, টিউব, স্যালাইনের খালি প্যাকেট ইত্যাদি।
  • বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যাহা শরীরের জন্য ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যেমন- থিনার, স্পিরিট, এসিড ইত্যাদি।

বিপদজ্জনক নয় এমন বর্জ্য

অ-বিপদজনক কঠিন বজঃ আমাদের কারখানায় যে সমস্ত  অ-বিপদজনক বর্জ্য পদার্থ উৎপাদিত হয় সেগুলি হল-

  • ভাঙ্গা / ছেঁড়া কার্টুন
  • কাটা কাপড় বা কাপড়ের ছাঁট।
    বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির বর্জ্য যেমন, ইলেকট্রিক্যালের অব্যবহৃত তার ভাঙ্গাঁ সুইচ, ফিউজ টিউব লাইট, ভাঙ্গাঁ টিউব লাইট, পিভিসি পাইপ ইত্যাদি।
  • নষ্ট পলিথিন
  • কাগজ
  • লেবেল বর্জ্য
  • কক
  • প্যাকেজিং মেটেরিয়াল যেমন হেংগার, পলিথিন, পেপার কার্টুন ইত্যাদি।

বর্জ্য রাখার কন্টেইনার

  • লিকুইড বর্জ্যগুলি কন্টেইনারের মধ্যে রাখা।
  • সেনিটারী বর্জ্যগুলি ঝুড়িতে রাখা (পলিথিনের মধ্যে)।
  • জুট ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক দ্রব্যাদি বস্তায় ভরে এবং রেখের মধ্যে রাখা।
  • বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলি কাঠের বক্সের মধ্যে রাখা।
  • মেডিকেল বর্জ্যগুলি প্লাষ্টিক কন্টেইনার বা প্লাষ্টিক ঝুড়িতে রাখা।

বর্জ্য চিহ্নিতকরন

এক্সেসরিজ লিমিটেড একটি স¦নামধন্য ১০০% রপ্তানীমুখি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। লেবেল প্রস্তুতকালীন সময়ে যে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ উৎপাদিত হয় সেগুলি যাতে পরিবেশের  কোন ক্ষতি করতে না পারে সে দিকটি বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা হয়। সে জন্য কারখানায় উৎপাদিত বর্জ্যসমুহের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে বিভিন্নভাবে শ্রেনীবিভক্ত করা হয়েছে এবং বর্জ্যসমুহকে আলাদা আলাদাভাবে বর্জ্য সংরক্ষন এলাকায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কারখানায় উৎপাদিত বর্জ্যসমুহকে ত ভাবে শ্রেনীবিভাগ করা হয়েছে-

বিপদজনক কঠিন বর্জ্য ঃ  আমাদের কারখানায় যে সমস্ত বিপদজনক বর্জ্য পদার্থ উৎপাদিত হয় সেগুলি হল-

  • খালি রাসায়নিক কন্টেইনার
  • অপচনশীল বর্জ্য।
  • ভাঙ্গা / নষ্ট লাইট
  • ক্ষতিকারক বর্জ্য (শারীরিক ও পরিবেশ)।
  • সহজে জ্বলে বা দাহ্য বর্জ্য।
  • পচনশীল বর্জ্য।
  • পুরোনো কার্টিজ
  • পুরোনো টোনার
  • ওয়েল ফিল্টার
  • ভাঙ্গা কাঁচ
  • প্লাস্টিক
  • পদজ্জনক বর্জ্য।

বর্জ্য গুদামজাতকরন

সংগ্রহ এবং অস্থায়ী গুদামজাতকরণ ঃ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী দ্বারা বিভিন্ন বিভাগ হইতে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি বিভাগে বর্জ্য রাখার জন্য আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া। সে সকল জায়গা হইতে বর্জ্য সংগ্রহকারী কর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট গো-ডাউনে স্থানান্তর করে থাকে। গো-ডাউনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বর্গ বর্জ্যে ধরণ অনুযায়ী আলাদা আলাদা রেজিস্টারে রেকর্ড সংরক্ষণ করেন।

  • লিকুইড বা দাহ্য বর্জ্যগুলিকে আলাদা করে রাখা।
  • ক্ষতিকারক বর্জ্যগুলিকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা।
  • বিপদজ্জনক বর্জ্যগুলিকে আলাদা করে রাখা।
  • জুট গুলিকে আলাদা করে রাখা।
  • বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির বর্জ্যগুলিকে আলাদা করে রাখা।
  • প্লাষ্টিক জাতীয় বর্জ্যগুলিকে আলাদা করে রাখা।

বর্জ্যরে তালিকাকরন

  • রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে রেকর্ড রাখা।
  • তারিখ দেওয়া।
  • নাম্বার দেওয়া।
  • বর্জ্যরে নাম লিখা।
  • সংখ্যা উল্লেখ করা।
  • শ্রেণী উল্লেখ করা।

বর্জ্য অপসারন

  • জুট বর্জ্য যাহারা রিসাইক্লিন করে তাদেরকে দেওয়া হয়।
  • পেপার/কার্টুন ইত্যাদি বর্জ্য যাহারা রিসাইক্লিন করে তাদেরকে দেওয়া হয়।
  • গার, পলিথিন, ইত্যাদি বর্জ্য সাপ্লাইয়ারকে ফেরৎ পাঠানো ব্যবস্থা করা।
  • ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামাদি সাপ্লাইয়ারকে ফেরৎ পাঠানো ব্যবস্থা করা।
  • সেনিটারী বর্জ্য ও খাদ্য সামগ্রির বর্জ্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত ডাষ্টবিনে ফেলা ব্যবস্থা করা।

(কারখানার বর্জ্য)