ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির
অদ্য বিকাল ০৩.০০ ঘটিকার সময় কারখানার ক্যান্টিনে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব হাবিবুর রহমান, সহঃ সভাপতি, ক্যান্টিন ব্যবস্থ্াপনা কমিটি, এক্সেসরিজ লিঃ। সভার শুরুতে সভাপতি উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন।
ক্যান্টিনে খাবারের মানঃ
ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সহঃ সভাপতি শুরুতেই তার বক্তব্যে বলেন ক্যান্টিনে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে। এইজন্য কেন্টিনে বাশি বা পচা খাবার কখনই রাখা যাবে না। ক্যান্টিনে প্যাকেটজাত খাবার অবশ্যই বি এস টি আই অনুমোদীত হতে হবে। সেই সাথে কখনই মেয়াদ উর্ত্তীর্ন খাবার কেন্টিনে রাখা যাবে না।
ক্যান্টিনের শৃঙ্খলা রক্ষা ঃ
সভায় কেন্টিনের অন্যতম সদস্য জনাব রাফিকুল অপারেটর তার বক্তব্যে বলেন কেন্টিনে খাবার সংগ্রহের সময় বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। খাবার সংগ্রহের সময় সাড়িবদ্ধভাবে লাইনে দাড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করতে হবে। খাবার বন্টনের সময় এবং গ্রহনের সময় অযতা ভির করা যাবে না।
সভায় আর কোন আলোচ্য বিষয় না থাকায় সভাপতি সকলকে আবারও সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
অন্যান্য আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত
ফ্যাশনস্ লিমিটেড অত্র কারখনার সকল স্টাফদেরকে কমপ্লায়েন্স এর কাজের প্রতি সহযোগীতা করার জন্য উৎসাহীত এবং অনুপ্রাণীত করেন।
আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন সেকশনে কাজ করলেও সবার পরিচয় একটাই, আর সেটা হচ্ছে আমরা সবাই একই এর সদস্য। সুতারং, আমরা সবাই দলগতভাবে কোম্পানীর উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করব।
আমরা সবাই আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালনের পাশাপাশি অন্যের কাজের তদারকি করব।
বহিঃ বিশ্বে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পের বর্তমান অবস্থা খুব একটা শুভকর নয়। যে কারণে বাংলাদেশের অনেক ছোট, মাঝারী এবং বড় বড় ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেকগুলো বন্ধের পথে। তাই আমাদের এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের প্রত্যেকেরই দৃস্টি-ভঙ্গি বদলাতে হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য মোটেও সুবিধাজনক নয়। যে কোন মূল্যে আমাদেরকে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অতএব, আমরা হরতাল, ধর্মঘট, জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর এসকল বিশৃঙ্খল রাজনীতি থেকে বিরত থাকব এবং এ ধরনের বিরূপ রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা ও দৃস্টি-ভঙ্গি পরিবর্তন করব। তাহলেই বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।