মালিক কর্তৃক বহিষ্কার/চাকুরীর অবসান নীতিমালা
প্রতিষ্ঠানের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে বিভিন্ন যুক্তিসংগত (কারখানার গুরুত্ব পূর্ণ সম্পদ ও ণথি নষ্ট করণ, কারখানা আইন-শৃঙ্খলা অবমাননা, প্রচলিত আইন পরিপন্থি কার্যক্রম- দাঙ্গা, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রদ্রোহী বা অসামাজিক মূলক আচরণ, চুরি ইত্যাদি) কারণে অক্টোবর ১১, ২০০৬ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৬ সালের আইন এর ধারা-২৬ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ একজন শ্রমিককে বহিষ্কার/চাকুরীর অবসান করতে পারেন।
নীতিমালা
যদি কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা ক্লেইম আসে তাহলে প্রশাসন বিভাগ তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত অভিযোগের সমাধানের দায়িত্বে নিয়োজিত। যদি তদন্তে উক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমানিত হয় তাহলে প্রশাসন বিভাগ অপরাধের ধরণ অনুসারে- মৌখিক/ লিখিত সতর্কীকরণ, অথবা বহিষ্কার বা টার্মিনেট, বহিষ্কার বা টার্মিনেট সহ স্থানীয় প্রশাসন এর নিকট হস্তান্তর করতে পারেন। প্রত্যেক অপরাধী তার আত্মপক্ষ রক্ষার্থে সুনানীর সুযোগ পাওয়ার অধিকারী হবেন।
সর্তকীকরণ ঃ
বহিষ্কার বা টার্মিনেট কৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগ কে নিম্নোক্ত বিষয়ে অবশ্যই সর্তক থাকতে হবে ঃ
১. বহিষ্কার বা টার্মিনেট কৃত ব্যক্তি কে চুরান্ত হিসাবের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই নিরাপত্তা জনিত সকল উপকরণ যেমনঃ- আই. ডি. কার্ড, প্রোক্সিমিটি কার্ড, চাবী, ডকুমেন্টস, স্টেশনারীজ ও দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি জবঃৎরবাব বা ফেরত নিতে হবে।
২. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তির অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার থেকে তার সকল ডাটা ডি-এ্যাকটিভেট করা এবং প্রতিদিন সকালে এর মাধ্যমে বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তি উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া।
৩. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তি বিকল্প কোন উপায়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করার সময় বহিস্কৃত ব্যক্তি বা অবাঞ্চিত কোন ব্যক্তি পাঞ্চ করলে তৎক্ষনাত লাল বাতি জ্বলে উঠা ও ইনট্র্যুশন এলার্ম বেজে উঠার ব্যবস্থা করা।
৪. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তির অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য/বন্ধ করার জন্য তার ছবিসহ সকল তথ্য নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যাতে সহজেই ঐ লোকটিকে চেনা যায়।
৫. গুরুত্বর অপরাধে যাদেরকে বহিষ্কার বা টার্মিনেট করা হয় তাদের সকল তথ্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয় প্রয়োজনে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।