by Mashiur | Jul 10, 2019 | নীতিমালা
বিপদ সংকেত
বিপদ সংকেত কি ? কোন সন্ত্রাসী কর্তৃক আক্রমনের পূর্বাভাষ পাওয়া গেলে, আক্রমন হলে, কোন বড় ধরনের চুরি বা ডাকাতি হলে বা কোন বড় ধরনের বিপদ হলে বিপদ সংকেত সুইচ করে সংকেত বাজাবে। এতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সহ স্থানীয় বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে।
সন্ত্রাসী কিভাবে চিহ্নিত করা হয়ঃ
একজন সন্ত্রাসীকে খুঁজে বের করা সহজ নয় । সন্ত্রাসী এই পৃথিবীর বাহিরের কোন লোক নয় না সে অন্য কোন গ্রহের লোক । সে আমাদের সমাজেরই সাধারণ একজন মানুষ। সে সাধারণ মানুষের মতই আমাদের সাথে বসবাস করে। অতএব একজন সন্ত্রাসীকে খুঁজে বের করার ব্যপারে নিরাপাত্তা বিভাগের কর্মীরা সর্বদা সজাগ থাকবে । নিরাপত্তা কর্মীদের এ ব্যপারে যথাযথ প্রশিক্ষন গ্রহন করতে হবে এবং যা হতে হবে আধুনিক যুগের। সন্ত্রাসী খুঁজে বের করার ব্যাপারে নিরাপত্তা কর্মীরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। নিরাপত্তা কর্মীরা প্রয়োজনে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার সাহায্য নিবে।
আভ্যন্তরীন ও বহিঃ সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা ব্যাপারে সমর্থ হতে হবে। তাহারা সন্ত্রাসী চিহ্নিত করনে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ অথবা ‘ক্লোজ সার্কিট’ ক্যামেরার মত আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নিবে। এছাড়া প্রয়োজনে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে। নিরাপত্তা কর্মীরা ঘনিষ্ঠভাবে শ্রমিকদের আসা যাওয়া, কথাবার্তা গতিবিধি লক্ষ্য রাখবে । এর মাধ্যমে সন্দেহজনক আচরনকারী কর্মচারীদের চিহ্নিত করবে। সন্দেহের বিষয়ে প্রয়োজনে প্রশাসন বিভাগকে জানাবে।
হুমকি বিষয়ক কর্মসূচী ঃ
প্রতিষ্ঠান ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক মানসম্মত পন্য উৎপাদন করবে ও নির্ধারিত সময়ে তা রপ্তানী করবে এটাই নিয়ম। কিন্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বা অস্থিরতার কারনে প্রতিষ্ঠানে বিশৃংখলা সৃষ্টি সম্পদ ধবংস,উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ, মান খারাপ করা, ভুল তথ্য প্রদান , উস্কানিমূলক কথা বলার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে । এসংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া গেলে তা সাথে সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন শ্রমিক-কর্মচারীদের ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের ও বাহির হবার সময় ভাল ভাবে পরীক্ষা করতে হবে। তাদের ব্যাগ, পকেট বা শরীরের অন্য কোন অংশে কোম্পানীর জন্য ক্ষতিকর বা হুমকি স্বরূপ এমন কিছু আছে কিনা তাহা পরীক্ষা করে দেখবে। বিপদ সংকেত কি
by Mashiur | Jun 2, 2019 | নীতিমালা
গার্মেন্টসের নীতিমালা সমূহের তালিকা
- ওজন বহন নীতিমালা
- কর্মদক্ষতা অনুযায়ী বেতন নির্ধারন করার নীতিমালা
- কর্মক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় হাউজ কিপিং সঙক্রান্ত নীতিমালা
- পরিবেশগত বিষয় পর্যবেক্ষন নীতিমালা
- রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার নীতিমালা
- মেশিন ওয়েল ব্যবহারের তিমালা
- অনাবৃত এবং উন্মুক্ত জানালা ব্যবহারবিধি তিমালা
- ইউনিফর্ম ,ক্যাপ এবং মুখোশ ব্যবহার নীতিমালা
- বর্জ্য বা রিজেক্ট গামেন্টর্স অপসারন করার নীতিমালা
- স্ট্যান্ডার্স অপারেটিং প্রসেডিউর পর্যাপ্ত আলো বাতাসের সুব্যবস্থা নীতিমালা
- বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নীতিমালা
- গেইট পাশ ব্যবহারের নীতিমালা
- নীতিমালা সমূহের তালিকা
- ধারালো যন্ত্রপাতি রক্ষনাবেক্ষন নীতিমালা
- কাগজের অপচয়রোধে করনীয় নীতিমালা
- পরিবহন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা
- টয়লেট ব্যবহারের নীতিমালা
- সিষ্টেমের নীতিমালা
- শিশু শ্রম পরিহার নীতি
- বৈষম্যহীনতা নীতি ব্যধতামূলক শ্রম পরিহার নীতি
- শিক্ষানবীস কর্মচারী নিয়োগ-বিধি
- শিশু ও কিশোর নিয়োগ নীতিমালা
- বেতন বৃদ্ধি নীতি
- বোনাস নীতিমালা
- মাতৃত্বকালীন সুবিধা নীতি
- যৌন নির্যাতন পরিহার নীতি
- বর্জ্য অপসারন নীতি
- ঘুষ ও দূর্ণীতি প্রতিরোধ নীতিমালা
- শ্রমিক কর্তৃক পূরন কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদন
- দক্ষতা মূল্যায়ণের নীতিমালা
- বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি নীতিমালা
- কল্যানমুলক কর্মকান্ড সংক্রান্ত নীতিমালা
- শৃংঙ্খলা মূলক ব্যবস্থার নীতিমালা
- শিশু ও সাক্ষাৎ প্রার্থীদের সম্পর্কে নীতিমালা
- জেন্ডার পলিসি
- চাইল্ড রিমিডিয়েশান পলিসি
- সাধারন ও অতিরিক্ত কর্মঘন্টা নীতি
- শ্রমিক নিয়োগ নীতি
- প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা ও ভাতাদি নীতিমালা
- পরিবেশ,নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতিমালা
- বেতন ভাতা/মজুরী সংক্রান্ত নীতিমালা
- ছুটির নীতিমালা
- অনুযোগ প্রক্রিয়া
- অভিযোগ হ্যান্ডলিং
- পরামর্শ/অভিযোগ বাক্স ব্যবহারের নীতিমালা
- প্রশিক্ষনের নীতিমালা আতœরক্ষামূলক সরজ্ঞামাদি ব্যবহার নীতি
- ধারালো যন্ত্রপাতি (শার্প মেটাল টুল্স) ব্যবহার নীতি
- কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি চিহ্নিত করণ নীতিমালা
- চিকিৎসা নীতি
- মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরন সুবিধার নীতিমালা
- শিশু কক্ষে শিশু পরিচর্যার নীতি
- ভাঙ্গা নিডেল বাতিলকরণ নীতিমালা
- মড়ক নিয়ন্ত্রন নীতিমালা নিরাপত্তামূলক নীতিমালা
- শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান নীতিমালা
- চাকুরীর অবসান /সমাপ্তি নীতিমালা
- চাকুরী সমাপ্তির চুড়ান্ত পরিশোধ নীতিমালা
- লোন এবং তা পরিশোধের নীতিমালা
- অর্জিত বা বাৎসরিক ছুটির নীতিমালা
- ধুমপান পরিহার নীতি
- গার্মেন্টসের নীতিমালা সমূহের তালিকা
- তিল পন্যের নিয়ন্ত্রন নীতিমালা
- মান ব্যবস্থাপনা নীতিমালা
- ফ্যাশনস্ লিমিটেডের স্বচছতা
- স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধির নীতিমালা
- শক্তি ব্যবহার নীতিমালা
- আভ্যন্তরীন ও বহিরাগত যোগাযোগ নীতিমালা
- সততা ও স্বচ্ছতা নীতি
- অসদাচরন এবং শাস্তির নীতিমালা
- বেতন ও মজুরী প্রদানের নীতিমালা
- মেটাল মুক্ত নীতিমালা জরুরী অবস্থায় বা অনাকাংখিত ঘটনা মোকাবেলার পলিসি
- মেশিন রক্ষনাবেক্ষন পলিসি
- নির্যাতন বা অবজ্ঞা পরিহার নীতি
- নিরাপত্তা নীতি
- পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
- জরুরী বর্হিগমন পদ্ধতি
- জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থার নীতিমালা
- অগ্নি মহড়া বা বর্হিগমন পদ্ধতি
- শৃংখলা সম্বন্ধীয় নীতিমালা অগ্নি সতর্কতার নীতিমালা
- জরুরী ব্যবসায়িক নীতিমালা
- সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা
- সুঁই, পিন, ধাতব অংশ এবং কাঁচের খন্ড নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি
- ওজন ও গণনা করার নীতিমালা
- সঙ্কটকালীন সময় এর জন্য নীতিমালা
- ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্পসম্পর্ক নীতিমালা
- ফায়ার ডিরেকশন সেন্টাল প্যানেল নীতিমালা
- সাব স্ট্রেশন রুম এর কার্য নীতিমালা
- এইচ আই ভি / এইডস নীতিমালা
- মেডিকেল বর্জ্য অপসারন নীতিমালা
- র্কপোরটে সামাজকি দায়ত্বি নীতমিালা
by Nazmul Islam | Aug 4, 2018 | অডিট পরিদর্শন, নীতিমালা
পলিসি সেবা
একটি পলিসি সম্পাদন করতে হলে পলিসিটির দাবি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিক্রয় উত্তর সেবা প্রাদান করা যেতে পারে ।জীবনবীমা শিল্পে বিক্রয় উত্তর সেবা যে কম্পানি হতে পলিসি গ্রহন করা হয় সে কম্পানি হতে সেবা গ্রহন করতে হয়। অন্য কোন কম্পানি থেকে সেবা গ্রহন করা যাবে না ।গ্রাহক কে বীমা কম্পানি থেকে সব সেবা দেয়া হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হল ঃ
পলিসি সেবায় বীমা দলিল ইস্যু করা
বীমা গ্রহিতাকে বীমা দলিল ইস্যু করতে হয় ।
নবায়ন জনিত সেবা
নবায়ন জনিত সেবা দুই প্রকার
১।চলতি সমন্বয়
২।পুনর্বহাল
চলতি সমন্বয়
চলতি সমন্বয়ের কাজের ধাপগুলো নিম্নে আলোচনা করা হল ঃ
বিমাগ্রহিতাকে প্রিমিয়াম প্রদানের তারিখ স্মরন করিয়ে দেওয়ার জন্য দেয় তারিখের পুর্বে গ্রাহকদের বরাবরে কম্পিউটারে মুদ্রিত প্রিমিয়ামের নোটিশ প্রেরন করতে হবে ।
কেন্দ্রীয় হিসাব বিভাগ ,সার্ভিস সেন্টার /সার্ভিসিং সেল এর হিসাব বিভাগ থেকে নগত অর্থ গ্রহনের মাধ্যমে চলতি প্রিমিয়ামের পাকা রসিদ ইস্যু করতে হবে ।
কেন্দ্রীয় হিসাব বিভাগ বা সার্ভিস সেন্টারের হিসাব বিভাগের মাধ্যমে কোম্পানির স্থানীয় অফিস বা ব্যাংকের মাধ্যমে জমাকৃত প্রিমিয়ামের রসিদ গ্রহন করতে হবে।
সমস্ত পি আর /বি এম কম্পিউটার এন্ট্রি করতে হবে ।
সাময়িক রসিদ পাওয়ার পর বিভাগীয় রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে পরীক্ষা করতে হবে ।
উপরোক্ত তথ্যগুলি ভাল্ভাবে যাচাই করার পর দৈনিক সমন্বয় বিবরনি প্রস্তুত করে তা কম্পিতারে তা প্রেরন করতে হবে ।
কম্পিটার থেকে আউটপুট পাওয়ার পর পাকা রসদ প্রস্তুত করে (সিল ও রাজস্ব স্ট্যম্প সংযুক্ত করে) ভার প্রাপ্ত কর্মকরতার সাক্ষর গ্রহণ করতে হবে ।
পাকা রসিদ ডাকযোগে অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বীমাগ্রহিতার বরাবরে প্রেরন করা।
পাকা রসিদ নাম্বার স্ট্যম্প রেজিস্টারে তালিকাভুক্ত করা বা এন্ট্রি করা ।
পলিসি নবায়নের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিগ তথ্যাবলি
সমর্পনমুল্য সৃষ্টি হঅয়ার পর যথা সময়ে প্রমিয়াম জমা দেওয়া না হলে পলিসি বাজেয়াপ্ত হয়ার সম্ভাবনা থাকে ।তাই বাজেয়াপ্ত না হওয়ার জন্য পলিসি অপশনের ব্যবস্থা রয়েছে।সাধারণত একটি পলিসি সমর্পন মুল্য অর্জন করার পর পলিসি অপশন কার্যকর করা হয়। নিম্ন অপশন গুলির সুবিধা গুলো আলোচনা করা হল
১।পলিসি অপশন (A)
পলিসি অপশন (A) এর আওতাভুক্ত হলে নির্ধারিত সময়েও প্রিমিয়াম জমা না হলে পলিসি তামাদি হয়না এক্ষেত্রে অর্জিত সমর্পন মুল্য থেকে এক বছরের প্রিমিয়াম ঋণ হিসাবে গ্রহণ করে পলিসিটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু রাখা যায়। এক বছর অতিক্রম হওয়ার পর পলিসিটি খণ্ডিত বীমা বা আংশিক পরিশোধিত বীমায় রূপান্তরিত হয় ।
২।পলিসি অপশন (B)
পলিসি (A) এর সাথে পলিসি (B) এর পার্থক্য হচ্ছে এখানে সমর্পন মুল্য থেকে ঋণ নিয়ে পলিসি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বেধে দেওয়া নেই। সমরপন মুল্য নিঃশেষিত হওয়ার পুর্বে বিমাগ্রাহক পলিসি পরিশোধ করতে চাইলে অপশন (A) এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নিয়মে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন ।
৩।পলিসি অপশন (C)
এ ক্ষেত্রে কোন পলিসির প্রিমিয়াম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না হলে পলিসিটি সরাসরি তামাদি হায়ে যায় বা আংশিক সম্পাদিত বীমায় রূপান্তরিত হয়। পলিসির সম্পাদিত মূল্য মেয়াদপূর্তিতে অথবা মৃত্যুদাবী উত্থাপিত হলে পরিশোধযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।আংশিক সম্পাদিত বীমা পুনরায় নিয়মিত করার জন্য বকেয়া প্রিমিয়াম বিলম্ব ফি ইত্যাদির সাথে বিভিন্ন অবলিখন চাহিদার প্রয়োজন হতে পারে।
পুনর্বহাল (Revival)
সাধারণত প্রিমিয়াম প্রদানের নির্ধারিত তারিখের পর বিশ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে প্রিমিয়াম জমা দেওয়া না হলে পলিসি তামাদি/অচল/অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তামাদি বা অচল পলিসি গ্রাহকের জীবনের উপর বা সম্পত্তির উপর ঝুঁকি বহন করে না। তবে, বীমা গ্রহিতা ইচ্ছা করলে বীমাযোগ্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে বিভিন্ন অবলিখন চাহিদাদি (ভাল স্বাস্থ্যের ঘোষণা/বিভিন্ন ডাক্তারী পরীক্ষার রির্পোট) এবং বিলম্ব ফি সহ বকেয়া প্রিমিয়াম জমা করে পলিসিটি পুনর্বহাল করিয়ে নিতে পারেন। সাধারণতঃ বীমাগ্রাহকের বয়স, বীমার পরিমান , তামাদিকাল ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে পুনর্বহালের চাহিদাদি নির্ধারন করা হয়। বীমাগ্রহিতা যত তাড়াতাড়ি পলিসি পুনর্বহালের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, পুনর্বহালের চাহিদা তত কম হবে।যেমন পলিসি তামাদি হওয়ার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সাধারণত শুধুমাত্র বকেয়া প্রিমিয়াম, বিলম্ব ফি এবং ভাল স্বাস্থ্যের ঘোষণার মাধ্যমে পলিসির পুনর্বহাল করা যেতে পারে।তামাদিকাল ৬ মাসের বেশী হলে বয়স, বীমার পরিমান এবং তামাদিকাল ভেদে বিলম্ব ফি ছাড়াও আরও বিভিন্ন ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট প্রয়োজন হয়।
by Nazmul Islam | Jun 2, 2018 | নীতিমালা
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা সমূহ
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এর সকল কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নীতিমালা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রসমূহে প্রয়োগ করা হবে। …
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আনন্দের সাথে তার কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের জন্য একটি শাস্থিমূলক নীতিমালা ঘোষনা করছে। একজন কর্মী যখনই কোম্পানীর সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বা কোম্পানীর সাথে কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়, তখন থেকে তাকে কোম্পানীর প্রতি এবং তার কাজের প্রতি হতে হবে অনুগত এবং কোম্পানীর লক্ষ পূরনে হতে হবে বদ্ধপরিকর।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা র উদ্দেশ্য/লক্ষ্য
অন্য কোন নিয়মকে প্রভাবিত না করে, কোন শ্রমিক /কর্মচারী যদি এই নিয়মনীতি ভঙ্গ করলে, অবহেলা বা বিমুখ করলে বা জেনে শুনে স্বজ্ঞানে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিরোধী কাজ করলে বা দাপ্তরিক কাজের নির্দেশ অমান্য করলে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে বা অসদাচরনের দোষে দুষ্ট হলে বা নৈতিকতা বিরোধী কাজের দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে নিম্নলিখিত এক বা একাধিক দোষের জন্য দায়ী হবেন। কোন কর্মীকে শাস্তি প্রদানই এই নীতিমালার মুখ্য উদ্দেশ্য নয় বরং একজন কর্মীর কাজের উন্নয়ন বৃদ্ধি এবং সে মোতাবেক পেষনা দানই হচ্ছে এই নীতিমালার উদ্দেশ্য।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা একজন কর্মীর আচরনকে সংযত পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করে এবং সম্ভাব্য শিক্ষা প্রদান করে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা নিম্নলিখিত ধাপ সমূহ অনুসরন করবে।
ছোট অপরাধ
কোন কর্মীর কাজের মান যদি আশানুরূপ না হয়, তবে তার রিপোর্টিং উর্দ্ধতন কর্মকর্তা তার সাথে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন এবং স্বল্প সময়ে তার কাজের মান বৃদ্ধির তাগিদ এবং প্রেষনা দান করবেন। যদি এখানে প্রমাণ বা দলিল দস্তাবেজের প্রয়োজন পড়ে তবে তার উদ্ধর্তন কর্মকর্তা বিভাগীয় প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে কর্মীর বিরুদ্ধে একটি পরামর্শপত্র ইস্যু করতে পারেন। উক্ত পরামর্শ পত্রে কর্মী কিভাবে তার কাজের মান সন্তোষজনক পর্যায়ে নিতে পারেন তা উল্লেখ থাকবে।
ছোট অপরাধ দমনের প্রক্রিয়া
- মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, প্রতারণা বা অসাধুতা। অসদাচরন প্রমানিত হওয়ার পর তা যদি চাকুরীচ্যুতির পর্যায়ে না পড়ে, তাহলে নিম্নলিখিত শাস্তিমুলক ব্যবস্থা প্রদান করা হবে।
- একজন কর্মীর প্রথম অপরাধের জন্য তাকে একটি সতর্কীকরণ পত্র প্রদান করা হবে যেখানে অপরাধ উল্লেখ পূর্বক একটি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সংশোধন করার তাগিদ দেয়া হবে।
- উপরস্থের কোন আইনসংগত বা যুক্তিসংগত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সংগে সংঘবদ্ধ হইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা।
- যদি নিদিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও সে তার অপরাধ সংশোধন করতে ব্যর্থ হয় তবে তাকে একটি “চুড়ান্ত সতর্কীকরণ পত্র” প্রদান করা হবে।
- মালিকের অধীন তাঁহার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহন বা প্রদান। “চুড়ান্ত সতর্কীকরণ পত্র” গ্রহনের পর যদি অপরাধ পুনঃঘটিত হয় তবে তাকে নিয়ম অনুযায়ী চাকুরীচ্যুত করা যাবে।
- সাধারনতঃ সেকশন বা বিভাগীয় প্রধানই তার অধঃস্থনদের সতর্কীকরন পত্র প্রদান করতে পারেন। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান প্রয়োজনীয় প্রমান সাপেক্ষে এই পত্র ইস্যু করতে পারেন।
- কটি কর্মীই যে কোন সিদ্বান্ত মনঃপুত না হলে লিখিত আকারে তা জানানোর অধিকার আছে, তবে এ সিদ্বান্ত পত্র প্রাপ্তির নুন্যতম ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে ইস্যু কারীর নিকট প্রদান করতে হবে।
- প্রত্যেক কর্মীর সতর্কীকরণ পত্র তার ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষিত হবে এবং বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টের সময় এর নৈতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অসদাচরন
- ইচ্ছাকৃত ভাবে অবাধ্যতা, উর্দ্ধতনের সাথে অশালীন ব্যবহার।
- কোম্পানীর ব্যবসা এবং সম্পত্তি চুরি, অসৎভাবে আতœসাৎ এবং অসততা প্রদর্শন।
- কোন অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে ঘুষ গ্রহন বা প্রদান।
- অভ্যাসগত দেরীতে উপস্থিত এবং অনুনোমোদিত ছুটি।
- কোম্পানীর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে ধ্বংশ করা।
- উর্দ্বতন কর্মকর্তা, সহকর্মী অথবা অধঃনস্থদের হুমকী প্রদান, গালিগালাজ এবং অপমান।
- কোম্পানীর কোন গোপনীয় তথ্য কোন অপরিচিত ব্যক্তির নিকট ফাঁস করা।
- কারখানার অভ্যন্তরে আর্থিক লেনদেন সংঘটন করা।
- বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়া এক সংগে দশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি। কারখানার অভ্যন্তরে অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতি।
- কারখানার অভ্যন্তরে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন পুস্তিকা, পোষ্টার, ব্যানার ইত্যাদি প্রদর্র্শন বা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
- কারখানার অভ্যন্তরে মদ্য পান করে মদ্যপ অবস্থায় অশালীন আচরণ করা।
- কারখানার অভ্যন্তরে এমন ধরনের মিছিল বা সমাবেশ ঘটানো যা উৎপাদন কার্যের ব্যাঘাত ঘটায়।
- অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি। কোম্পানীর আচরণ নীতিমালা লঙ্ঘন।
- প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন। আবেদন পত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান।
- ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে কোন ধরনের মিটিং করা।
- প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃংখল বা দাংগা হাংগামামূলক আচরণ, অথবা শৃংখলা হানিকর কোন কর্ম। অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ।
- প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃংখলা বা আচরণসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন। কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি। জুয়া খেলা এবং নিদ্রা যাওয়া।
- ছুটি ব্যতীত ১০ (দশ) দিনের অধিক অনুপস্থিত থাকা।
- অভ্যাসগত ভাবে ক্রমাগত কাজে ফাঁকি দেওয়া।
- ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন আদেশ ও নির্দেশ ভঙ্গ করা।
- মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা উহা হারাইয়া ফেলা। আদালত দ্বারা সাজা প্রাপ্ত হলে।
ধাপঃ শাস্তি
শাস্তিদানের জন্য কোন আদেশই বলবত করা যাবেনা যদি না কোন শ্রমিক /কর্মীকে;
- উপরোক্ত তালিকা অনুযায়ী ক্ষমতাবলে মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রধান নিম্নলিখিত শাস্তি প্রদান করতে পারে।
- মৌখিক সতর্কীকরণ
- লিখিত সতর্কীকরণ
- অনুন্য ০৭ (সাত) দিনের জন্য সাময়িক কর্মচ্যুতি
- চাকুরীচ্যুতি
- তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিতভাবে করা হয়।
- অভিযোগের একটি কপি তাহাকে দেওয়া হয় এবং ইহার জবাব দেওয়ার জন্য অন্তত: সাতদিন সময় দেওয়া।
- তাহাকে শুনানীর সুযোগ দেওয়া হয়।
- তদন্তের পর তাহাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
- মালিক বা ব্যবস্থাপক বরখাস্তের আদেশ অনুমোদন করেন।
- অসদাচরনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোন শ্রমিককে নিম্নলিখিত যে কোন শাস্তি প্রদান করা যাইবে, যথা:-
- বরখাস্ত, অথবা বরখাস্তের পরিবর্তে বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে।
- অপসারণ।
- অনধিক এক বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ।
- অনধিক এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ।
- জরিমানা।
- অনদিক সাত দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত।
- ভৎসনা ও সতর্কীকরণ।
অসদাচরনের জন্য শাস্তির ধাপ সমূহ
- অপরাধ প্রমানিত হলে অপরাধীকে চাকুরীচ্যুতি করা যেতে পারে। তবে নিম্নলিখিত ধাপ সমুহ অনুসরন করতে হবে।
- অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্যই লিখিত আকারে হতে হবে।
- তাকে ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য নুন্যতম ০৩ (তিন) দিন প্রদান করতে হবে।
- ব্যাখ্যা বিবেচনা করা।
- তদন্ত নোটিশ তৈরী।
- যথাযথ আভ্যন্তরীন তদন্ত।
- তদন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য পত্র প্রেরণ।
- শাস্তি প্রদান।
পুঙ্খানুপুঙ্খানুরুপে অনুসন্ধান করা
একজন শ্রমকি /র্কমী, যার বরিুদ্ধে শাস্তমিূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় তাকে সাময়কিভাবে বরখাস্ত করা যতেে পারে (যদি প্রয়োজন হয়) এবং এই সাময়কি বরখাস্তরে সময় ৬০ (ষাট) দনিরে বশেী হবনো। সাময়কি বরখাস্তকালীন সময়ে সংশ্লষ্টি শ্রমকি /র্কমী র্কতৃপক্ষরে লখিতি অনুমতি ছাড়া তার র্কতব্যস্থল ত্যাগ করতে পারবনেনা অথবা অন্য কোন প্রতষ্ঠিানরে সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবনেনা।
সাময়কি বরখাস্তরে আদশে লখিতি হতে হবে এবং তা যত শীঘ্র সম্ভব পাঠাতে হব।যদি তদন্তে সংশ্লষ্টি শ্রমকি /র্কমী তার বরিুদ্ধে আনীত অভযিোগ দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হয়, সাময়কি বরখাস্তকালীন সময়ে তনিি তার বতেন /মজুরী পাবনেনা এবং সইেসাথে প্রাপ্ত জীবকিাভাতা সমন্বয় করা হব।ে
উক্ত শ্রমকি /র্কমী সাময়কি বরখাস্তকালীন সময়ে শুধুমাত্র জীবকিাভাতা (বাড়ী ভাড়া ও চকিৎিসাভাতা ছাড়া শুধু মূল বতেন /মজুরী এবং অন্যান্য ভাতাসহ, যদি থাক)ে পাবনে।শাস্তি প্রদানরে ক্ষত্রে,ে শাস্তরি আদশেরে একটি অনুলপিি সংশ্লষ্টি শ্রমকি /র্কমীকে প্রদান করতে হব।
ঘটনা / অসদাচারন সংঘঠিত হওয়ার সাথে সাথে তা লিখিত আকারে মানব সম্পদ প্রধানের নিকট জানাতে হবে এবং একটি কপি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট প্রেরণ করতে হবে। একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা প্রয়োজনে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করবেন।
ব্যাখ্যা প্রদান
প্রত্যেকটি কর্মীই উচিৎ কোম্পানীর নীতিমালা মোতাবেক তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য মেনে চলা। তারপরেও যদি কোন কর্মী কোন অসদাচারন করেন তবে মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করবেন।
কারন দর্শানো নোটিশ উল্লেখ করা থাকবে “কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না”। কারন দর্শানো নোটিশে অপরাধ, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় এবং কারন দর্শানোর সর্বশেষ সময় উল্লেখ থাকবে।
তদন্তকালীন অপসারন
- অভিযুক্ত কর্মীকে সাময়িক কর্মচ্যুত করা যায় তবে তা সর্বোচ্চ ০২ (দুই) মাসের বেশী হবে না।
- তদন্তকালীন অপসারনের সময় কোন কর্মী পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত ঠিকানা পরিবর্তন করবেন না বা পরিবর্তন করলেও তা প্রশাসন বিভাগকে অবগত করবেন।
- তদন্তকালীন অপসারনের সময় একজন অভিযুক্ত কর্মী তার মাসিক মোট মজুরীর অর্ধেক প্রাপ্য হবেন।
- অপসারনের আদেশ পত্র প্রাপ্তির সাথে সাথে কার্যকর হবে।
- তদন্ত রিপোর্টে যদি অভিযুক্ত কর্মী নির্দোষ প্রমানিত হয় তবে পূর্বের জমাকৃত অর্ধেক অর্থ পুরো প্রদান করতে হবে।
- যদি অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে যে শাস্তি প্রদান করা হবে তা লিখিত আকারে কর্মীকে প্রদান করা হবে।
কার্য সম্পাদন
- যদি অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে যে শাস্তি প্রদান করা হবে, তা লিখিত আকারে কর্মীকে জানাতে হবে।
- যদি কোন অভিযুক্ত কর্মী নোটিশ, ব্যাখ্যা প্রদান পত্র, কারণ দর্শানো পত্র, সতর্কীকরণ পত্র ইত্যাদি গ্রহন করতে রাজী না হয় তবে উক্ত পত্র তার স্থায়ী ঠিকানায় প্রেরণ করতে হবে এবং নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে।
আপিল
প্রত্যেক কর্মী যার উপরে শাস্তি আরোপ করা হয়েছে, তার বিচার পূর্ন বিবেচনা করার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা হয়েছে।
প্রত্যেকটি পূর্নঃ বিবেচনার আবেদন মানব সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে প্ররণ করতে হবে।
একজন কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তির রায় ঘোষনার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিচার পূর্ন বিবেচনার জন্য প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
উপরোক্ত নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যখন ইচ্ছে করবেন, তখনই এই নীতিমালার পরিবর্তন করতে পারবেন।
সকলকে উক্ত নীতিমালা অনুসরন করার জন্য বলা হলো।
by Nazmul Islam | Jun 1, 2018 | নীতিমালা
কাস্টমস নীতিমালা বাস্তবায়ন
কাস্টমস নীতিমালা বাস্তবায়নে একটি পর্ষদ গঠন করা দরকার যা এই নীতিমালাটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হবে কিনা তা পর্যবেক্ষন করে
- সভাপতি – নির্বাহী পরিচালক /পরিচালক
- সহ-সভাপতি – জি,এম
- সাংগঠনিক সম্পাদক এ,জি,এম
- সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক – ম্যানেজার
- সদস্য – সিনি, এক্সিকিউটিভ
- সদস্য – ওয়েলফেয়ার অফিসার
- সদস্য – সেকশন / শাখা প্রধান
কার্যকরী প্রকৃয়া ও অনুমোদন
উল্লেখিত নীতিমালা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্যকরী রাখার ক্ষমতা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে উল্লেখিত পর্ষদ এই নীতিমালা প্রয়োগ ও চলমান রাখতে নীতিগতভাবে দায়বদ্ধ।
The organization/person responsible for implementing the policy
কাস্টমস নীতিমালা প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রকৃয়া
নিম্নোক্ত রপ্তানী নীতি অনুসরন করা একান্ত আবশ্যক।
- অর্ডার গ্রহন,
- রপ্তানীকৃত কাঁচামাল বায়ারের কাছ থেকে সংগ্রহ করার জন্য এল.সি খোলা হয়।
- আমদানী যোগ্য কাঁচামাল সমূহের শুল্ক সর্ম্পকীত নথিপত্র সংগ্রহ করে থাকে।
- ক্রেতার কাছ থেকে কাঁচামালের স্বীকৃতি গ্রহন।
- আমদানীর জন্য নথিপত্র প্রস্তুতকরন।
- চুক্তি বা সম্পর্কজনীত আলাপ আলোচনা বা সন্ধি স্থাপন।
- রপ্তানী কার্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
- ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী প্রদান করেন/ক্রয় সংক্রান্ত অন্যান্য পক্রিয়া বা কার্যাবলী সম্পর্কে বানিজ্য /ব্যবসায়ীক পরিচালক প্রদান করে থাকেন।
- কমার্শিয়াল বিভাগীয় প্রধান উৎপাদন সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, মূল্য নির্ধারন এবং তৎসম্পর্কীত সকলের সাথে সম্পর্ক স্থাাপন করে ক্রয় সংক্রান্ত নিয়ম অনুসরন করে থাকেন ।
- উৎপাদন কার্য সমাপ্ত হবার পর ক্রেতার মনোনীত কোয়ালিটির দ্বারা মান নির্ধারন করা হয়।
- কমার্শিয়াল বিভাগ রপ্তনী যোগ্য পন্য জাহাজীকরনের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে থাকে।
- চুড়ান্ত পরিদর্শনের পর রপ্তানীকারক কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংক এবং শুল্ক সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র প্রস্তুত যেমন, চালান, প্যাকিং তালিকা ইত্যাদি তৈরী করে সংশ্লিষ্ঠ সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
- সংস্থা শিপমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় বিল এবং যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা পূরনের পর সকল নথিসমূহ পন্য শিপিং এর জন্য পাঠিয়ে দেয়। পন্য গন্তব্যে পৌছানোর জন্য সর্ম্পকীত সংস্থা পন্য খালাশ করে থাকে।
- যান বিক্রয়ের পর শিপিং লাইনের যাবতীয় নথিপত্র সমূহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে চালান পত্র,প্যাকিং লিস্ট এবং অন্যান্য নথিপত্র সমূহ এল,সি অনুযায়ী গ্রহন করে থাকে।
রপ্তানী দ্রব্য গহন।
- সবশেষে ব্যাংকের মাধ্যমে সকল কার্যাবলী সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং কাগজপত্র বন্ধ করা হয়েছে এই মর্মে অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
দায় দায়িত্ব, কর্তৃপক্ষ এবং যোগাযোগ
- দায়-দায়িত্ব এবং কতৃপক্ষঃ কমার্শিয়াল পরিচালক শুল্ক আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী দিয়ে থাকে এবং তৎসংশ্লিদের স্বাক্ষর গ্রহন করে থাকে।
The communication and implementation of routines
নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ
কর্মক্ষেত্রে আইন ও শৃঙ্খলা জনিত নীতিমালা নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং, ই-মেইলিং, পি,এ সিষ্টেম ইত্যাদির মাধ্যমে সকলকে অবগত করা হয়। এছাড়াও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও ওয়েলফেয়ার অফিসার ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগরেন মাধ্যমে অবহিত করা হয় এবং এই নীতিমালার যাবতীয় কার্যক্রম নথিভূক্ত করা হয়।
Feedback and control
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল
এই নীতিমালা ফ্যাক্টরীর স্বাভাবিকতা রক্ষা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
পরিশিষ্ঠ
বায়ারের চাহিদা পূরন ও সুষ্ঠ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে শুল্ক নীতি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।
by Nazmul Islam | May 28, 2018 | ইন্ডাস্ট্রিয়াল, কর্ম পরিবেশ, নীতিমালা
কেমিক্যাল এর কিছু দিকনির্দেশনা
- কেমিক্যাল স্টোরে নাজমুল কেমিক্যাল এর কেমিক্যাল রেস্ট্রিকশন এবং রেস্ট্রিকশন ইম্লিমেন্টেশন টুলকিট এর নতুন কপি ফাইল আপ করা আবশ্যক।
- র্পাসোনাল প্রটক্টেীভ ইকুইপমন্টে যথাস্থানে সংরক্ষণ করা দরকার।
- র্পাসোনাল প্রটক্টেীভ ইকুইপমন্টে এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে যা guideline for chemical industry তে উল্লেখ আছে।
- কেমিক্যাল স্টোরে নাজমুল কেমিক্যাল এর ফরম্যাটে একটা Chemical Inventory sheet থাকতে হবে।
- Chemical Inventory sheet এ যে সকল কমেক্যিাল আছে,সে সব কেমিক্যাল এর MSDS থাকতে হবে।
- Chemical Inventory Sheet এ যে সকল কমেক্যিাল আছে সে সব কেমিক্যাল এর কেমিক্যাল রেস্ট্রিকশন কমপ্লায়ন্সে র্সাটফিকিটে থাকা উচিৎ।
- ডিটারজেন্ট এর APEO/NPEO সার্টিফিকেট এর FILE থাকতে হব।
- GUIDELINE FOR CHEMICAL এর নিয়মানুসারে প্রত্যকেটা কোম্পানির Oeko-Tex সার্টিফিকেট থাকতে হব।
- কোম্পানি ওয়াইজ না থেকে প্রোডাক্ট ওয়াইজ থাকলওে চলব।
- GOTS সার্টিফিকেট এর একটা ফাইল থাকবে, এখানে যে সকল প্রোডাক্ট/ কোম্পানরি সার্টিফিকেট আছে তা সংরক্ষণ করতে হবে।
- এবস্ত্রাক্ট MSDS প্রত্যকেটা কেমিক্যালের ড্রামের পাশে ঝুলানো থাকবে।
- প্রত্যকেটা কেমিক্যালের অরজিনিাল MSDS থাকতে হব।
- প্রত্যকেটা ড্রাম বা কন্টেইনারের গায়ে অরজিনিাল লেবেল লাগানো থাকতে হবে এবং সেটা দৃশ্যমান থাকতে হবে।
- কেমিক্যাল স্টোরে কম্প্যাটিবিলিটি চার্ট টাঙানো থাকতে হবে।
- কম্প্যাটিবিলিটি চার্ট সর্ম্পকে কেমিক্যাল কর্মীদের সাম্যক ধারনা থাকতে হবে।
- অডিটরের সময় কেমিক্যাল রুমে কোন উৎকট গন্ধ থাকতে পারবে না।র্অথাৎ এগজষ্ট ফ্যান চালু রাখতে হবে।
- FIFO (First In First Out)র্অথাৎ যে ডাইস/কমেক্যিাল স্টোরে প্রথমে আসবে সেটা প্রথমে ব্যবহার করতে হবে। খাতায় তা দৃশ্যমান হতে হবে।
- ইনকামিং এবং কেমিক্যালের ইনভয়সে নাম্বার এবং রিসিভিং তারিখ পন্যের গায়ে লাগানো থাকতে হবে।