Select Page

পরিবেশ ও বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা

উদ্দেশ্য  :

পরিবেশ ও বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা  ঃ কারখানার আভ্যন্তরীন কর্ম পরিবেশও বর্হিভাগ দূষন মুক্ত রাখার প্রত্যয়ে  কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ সদা সচেতন। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাচাঁমাল এর সঠিক ব্যবহার,  উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট বর্জ বা আবর্জনা দ্বারা পরিবেশ যেন দূষিত না হয় এবং বর্জ নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন সঠিক নিয়মে স্থানান্তর ও পরিশোধিত হয় সে বিষয়ে  কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। …

উদ্দেশ্য  :

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে উহার উত্পাদন প্রক্রিয়ার কারণে সৃষ্ট কোন বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷ পরিবেশ ও বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা  ঃ কারখানার আভ্যন্তরীন কর্ম পরিবেশও বর্হিভাগ দূষন মুক্ত রাখার প্রত্যয়ে কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ সদা সচেতন। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাচাঁমাল এর সঠিক ব্যবহার,  উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট বর্জ বা আবর্জনা দ্বারা পরিবেশ যেন দূষিত না হয় এবং বর্জ নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন সঠিক নিয়মে স্থানান্তর ও পরিশোধিত হয় সে বিষয়ে কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কর্ম-কক্ষে উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্য হানি হয় এই প্রকার অতিরিক্ত ভীড় করা যাইবে না৷

প্রযোজ্য ক্ষেত্র  :

উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট সকল সেকশনে কাপড়ের বর্জ, সুতার বর্জ, মেশিনের বর্জ, ক্যামিকেল বর্জ, ব্যবহৃত নিডল এর বর্জ, নতুন প্যাকেটের এর বর্জ, প্লাষ্টিক/পলিথিন এর বর্জ ইত্যাদি এই নীতিমালার অর্ন্তভূক্ত।
কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্যাদী শ্রেণী বিন্যাশের মাধ্যমে পৃথক করে নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনা কার্যকর করেছেন। কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে একটি কমিটি গঠন করেছেন।  উক্ত কমিটির সদস্যগন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দায়বদ্ধ।
নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা ও সহজতর করার জন্য  বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্যাদী কে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা ঃ
১. ক্ষতিকর বর্জ দ্রব্য

২. সাধারণ বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য
ছাড়াও কিছু মেশিন রয়েছে যা থেকে পরিবেশ দূষন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যেমন –

শব্দ দূষন ঃ জেনারেটর , সার্কুলার নিটিং ও এমব্রয়ডারী ইত্যাদি মেশিন অধিক শব্দ তৈরী করে যা কর্ম পরিবেশকে শব্দ দূষন করে। উক্ত মেশিনের কাছাকাছি কর্মরত সকলকে ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।

পানি দূষন ঃ ওয়াশিং ও ডাইং মেশিন ব্যবহারের ফলে দূষিত পানি নির্গত হয় যা পরিবেশ দূষন করে। এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যেন দূষিত পানি দ্বারা পরিশোধিত যেন দূষিত না হয় এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়।

(১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে, উহাতে কর্মরত সকল শ্রমিকের পান করার জন্য উহার কোন সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিতে হইবে৷
(২) প্রত্যেক পানি সরবরাহের স্থানকে বাংলায় “পান করার পানি” কথাগুলি স্পষ্টভাবে লিখিয়া দিয়া চিহ্নিত করিতে হইবে৷

(৩) যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ দুইশত পঞ্চাশ জন বা ততোধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন, সে সকল প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালে পান করার পানি ঠান্ডা করিয়া সরবরাহ করার ব্যবস্থা করিতে হইবে৷

(৪) মাত্রাতিরিক্ত তাপ উদ্রেককারী যন্ত্রের সন্নিকটে কাজ করার কারণে শ্রমিকের শরীরে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হইলে, ঐ সকল শ্রমিকের জন্য ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির ব্যবস্থা করিতে হইবে৷

৫শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ।- প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে-

(ক) উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণ কাজের সময়ে যাহাতে সহজে ব্যবহার করিতে পারেন এরূপ সুবিধাজনক স্থানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রকারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক [স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষের] ব্যবস্থা করিতে হইবে;

(খ) উক্ত [শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ] পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকগণের জন্য স্বতন্ত্রভাবে ব্যবস্থা করিতে হইবে;

(গ)  [শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষগুলিতে] যথেষ্ট আলো, বাতাস এবং সার্বক্ষণিক পানির ব্যবস্থা রাখিতে হইবে; এবং

(ঘ) উক্ত [শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ মালিকের নিজ খরচে] জীবানুনাশক ও পরিষ্কারক ব্যবহারের মাধ্যমে সব সময় পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখিতে হইবে৷

বায়ূ দূষন ঃ জেনারেটর, বয়লার, এসি, হইতে নির্গত ধোয়াঁ, ওয়াশিং ও ডাইং মেশিন ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট বর্জ পরিবেশ দূষন করে। বায়ু দূষন যাতে না হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়।

শ্রেণীভেদে -ক্ষতিকর বর্জ দ্রব্যগুলো ঃ

  • ফিউজ টিউব লাইটক্স
  • ভাঙ্গা গ্লাস বা কাঁেচর টুকরা/অংশ
  • ক্যামিকেল এর খালি কনটেননার
  • ইটিপির বর্জক্স ভাঙ্গা নিডল,
  • ম্যানুয়াল কাটিং ব্লেড, জিএসএম কাটার ব্লেড, কাটার, সিজার, ইনজেকশ এর সিরিঞ্জ ও বোতল, অব্যবহৃত মেশিনাংশক্স পুড়া তৈল

কারখানায় উৎপাদিত পন্য হতে সৃষ্ট বর্জ ঃ

জুট, সুতা, সুতার কোণ

সাধারণ বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য ঃ

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক আবর্জনা ফেলার বাক্স ও পিকদানীর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে, এবং এইগুলিকে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থায় রাখিতে হইবে৷ কার্টন, পলিথিন ব্যাগ, কাগজ, ঔষুধ এর খোশাক্স অব্যহৃত কাঠের আসবাব পত্র/টুকরা অংশক্স প্লাষ্টিক এর দ্রবাংশ/প্লাষ্টিক দ্রব্যের ভাঙ্গা অংশ ক্স আইরণ এর পাইপক্স বৈদ্যুৎতিক বাতিল তার, বাতিল টেলিফোনের তার ইত্যাদি

নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা

কোন প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনার মধ্যে কোন ব্যক্তি অনুরূপ বাক্স ও পিকদানী ব্যতীত অন্য কোথাও ময়লা আবর্জনা কিংবা থুথু ফেলিতে পারিবেন না৷ কাজ শেষে হওয়ার পর বর্জ বা অব্যবহৃত দ্রব্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে নিয়ে শ্রেণীভেদে জমা করতে হবে।

  • বর্জ বা অব্যবহৃত দ্রব্য স্থানান্তর করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে এক বিভাগের বর্জ অন্য বিভাগের কাজের পরিবেশ যেন নোংরা না করে।
  • জুট, সুতা, সুতার কোণ, কার্টন, পলিথিন ব্যাগ, কাগজ, কাঠের টুকরা অবশ্যই শুকনা স্থানে রাখতে হবে যেন ভিজে নষ্ট না যায় এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।
  • অব্যবহৃত/ফিউজ টিউব লাইট একটি স্থানে জমা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশ্লিষ্ট কাষ্টমারকে অবগত করতে হবে।
  • ভাঙ্গা নিডল, ম্যানুয়াল কাটিং ব্লেড, জিএসএম কাটার ব্লেড, কাটার, সিজার ইত্যাদি মেটাল সম্পর্কৃত দ্রব্য ব্যবহারের পর ষ্টোরে সংরক্ষিত নির্ধারিত বাক্সে জমা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশ্লিষ্ট কাষ্টমারকে অবগত করতে হবে।
  • গ্লাস এর দেয়াল দ্বারা  তৈরী রুম, জানালা কিংবা গ্লাস দ্বারা ব্যবহৃত আসবাবপত্র নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা এবং ভেঙ্গে গেলে সাথে সাথে শংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা ও কাছাকাছি রক্ষিত কোন গার্মেন্টস এ কাঁেচর টুকরা আছে কি না তা নিরিক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা।
    ক্যামিকেল এর খালি কনটেইনার নির্ধারিত স্থানে অর্থাৎ যেখানে সাধারণ লোকজন চলাচল না করে সেখানে জমা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশ্লিষ্ট কাষ্টমারকে অবগত করতে হবে।
  • এই বিধান এবং উহা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ-ইহা উল্লেখ করিয়া প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উপযুক্ত স্থানে এরূপভাবে নোটিশ লটকাইয়া দিতে হইবে যাহাতে ইহা সহজেই সকলের দৃষ্টিগোচর হয়৷ যে সকল বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না সেগুলো অবশ্যই নির্ধারিত স্থানে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
  • যে সকল বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য বিক্রি করা সম্ভব সেগুলো বিক্রির ব্যবস্থাকরতে হবে এবং প্রশাসন, সিকিউরিটি ও ষ্টোর বিভাগ এর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করতে হবে যেন কোন প্রকার অনিয়ম না হয় এবং ওজন পরিমাপ ও চালান ঠিকমত সংকলন ও সংরক্ষণ করা হয়।
  • বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য বিক্রি বা পুড়িয়ে ফেলা যা-ই হোক না কেন অবশ্যই ষ্টোর বিভাগে চালান ও রেজিষ্টার রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।

Cleanliness Procedure:

  • প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে হইবে এবং কোন নর্দমা, পায়খানা বা অন্য কোন জঞ্জাল হইতে উত্থিত দূষিত বাষ্প হইতে মুক্ত রাখিতে হইবে,  কারখানার পরিষ্কার পরিচ্চন্নতার জন্য নিম্ন লিখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরন করা হয়
    কারখানার প্রতি সিড়িতে ময়লা ও কফ থুথু ফেলার জন্য ১টি করে ঝঢ়রঃঃড়ড়হ দেওয়া রয়েছে।
  • প্রতিষ্ঠানের মেঝে, কর্মকতগ, সিড়ি, যাতায়াতের পথ হইতে প্রতিদিন ঝাড়ু দিয়া ময়লা ও আবর্জনা উপযুক্ত পন্থায় অপসারণ করিতে হইবে; প্রতি ফ্লোরে যথেষ্ট সংখ্যক ময়লা ফেলার ঝুড়ি দেওয়া আছে।
  • প্রত্যেক কর্মকগর মেঝে সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন ধৌত করিতে হইবে, এবং প্রয়োজনে ধৌত কাজে জীবানুনাশক ব্যবহার করিতে হইবে; ময়লা এবং নষ্ট জিনিসপত্র পরিষ্কারের জন্য প্রত্যেক সেকশনে এবং লাইনে একজন করে ক্লিনার রয়েছে।
  • যে ক্ষেত্রে কোন উত্পাদন প্রক্রিয়ার কারণে কোন মেঝে এমনভাবে ভিজিয়া যায় যে, ইহার জন্য পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করিতে হইবে; টয়লেট পরিষ্কার সহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কারের জন্য প্রত্যেক ফ্লোরে একজন করে সুইপার দেওয়া আছে।
  • প্রতিষ্ঠানের সকল আভ্যন্তরীন দেওয়াল, পার্টিশন, ছাদ, সিড়ি, যাতায়াতপথ- রং বা বার্নিশ করা থাকিলে, প্রত্যেক তিন বত্সরে অন্ততঃ একবার পুনঃ রং বা বার্নিশ করিতে হইবে, কাটিং, ফিনিশিং এবং ডাইনিং এলাকায় জুট, ময়লা, খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লিনার রয়েছে।

Disposal Policy:

রং অথবা বার্নিশ করা এবং বহির্ভাগ মসৃণ হইলে, প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্ততঃ একবার উহা বিধিদ্বারা নির্ধারিত পন্থায় পরিস্কার করিতে হইবে, অন্যান্য ক্ষেত্রে, প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্ততঃ একবার চুনকাম বা রং করিতে ফ্লোরের সকল ময়লা নিদিষ্ট ঝুড়িতে ফেলা হয়। উক্ত ঝুড়ি গুলো প্রতিদিন ক্লিনার / সুইপার পরিষ্কার করে এবং কারখানার বাইরে নিদিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দেয় যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হয়।

Wastage- 01 Disposal Policy:

এর পানি, ব্যবহৃত ময়লা পানি এবং প্রবাহিত পানি সেনিটেশনের পাইপ দিয়ে কারখানার ঝধহরঃধঃরড়হ ঞধহশ এ জমা হবে এবং ই.টি.পির মাধ্যমে শুধন হয়ে উরংঢ়ড়ংব হবে।

কারখানায় পরিবেশ রক্ষার্থে সকলকে নিম্নরূপ বিষয়গুলির প্রতি সচেতন থাকতে হবে ঃ

১। ধুমপানমুক্ত পরিবেশ গড়া।
২। ময়লা-আবর্জনা কেবল নির্দিষ্ট স্থানেই ফেলতে হবে এবং এগুলোর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ না ঘটে।
৩। যখনই সম্ভব হবে বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে এবং অপ্রয়োজনে বাতি না জ্বালাতে।
৪। কেবল রপ্তানী ছাড়া অন্যকোন প্রয়োজনে পলিথিন ব্যাগ এবং সমজাতীয় পন্য ব্যবহার না করতে এবং ঐসব ব্যাগ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে রেখে পরিবেশ দূষণ না করতে।
৫। যতদূর সম্ভব পানির ব্যবহার সাশ্রয় করতে এবং ব্যবহারের পর পানির টেপ বন্ধ রাখতে।
৬। কারখানায় বায়ু সঞ্চালনের জন্য পর্যাপ্ত ভেনটিলেশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা।
৭। সপ্তাহে একদিন কারখানার সর্বত্র বিশেষ পরিষ্কার পরিচ্ছনড়বতার ব্যবস্থা করা এবং রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা।
৮। কারখানার অভ্যন্তরে অপ্রয়োজনীয় উৎপাদন সামগ্রী সর্বক্ষন পরিষ্কার ও নির্গমন করা।

আলোর ব্যবস্থা।- (১) কোন প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক অংশে, যেখানে শ্রমিকগণ কাজ করেন বা যাতায়াত করেন, যথেষ্ট স্বাভাবিক বা কৃত্রিম বা উভয়বিধ আলোর ব্যবস্থা করিতে হইবে৷

(২) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের কর্মকক্ষ আলোকিত করার জন্য ব্যবহৃত সকল কাঁচের জানালা এবং ছাদে বসানো জানালাসমূহের উভয় পার্শ্ব পরিষ্কার রাখিতে হইবে, এবং যতদূর সম্ভব প্রতিবন্ধকতা মুক্ত রাখিতে হইবে৷

(৩) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে-

(ক) কোন স্বচ্ছ পদার্থ বা বাতি হইতে বিচ্ছুরিত বা প্রতিফলিত আলোকচ্ছটা, অথবা

(খ) কোন শ্রমিকের চোখের উপর চাপ পড়িতে পারে বা তাহার দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকিতে পারে, এরূপ কোন ছায়া সৃষ্টি, প্রতিরোধ করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে৷

উপরিউক্ত বিধানের হানি না করিয়া, প্রত্যেক কর্মকক্ষে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য অন্ততঃ ৯.৫ কিউবিক মিটার পরিমাণ জায়গার ব্যবস্থা করিতে হইবে৷ শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা সকলের নিরাপত্তামূলক কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং ক্রেতা সাধারণের চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণের  অঙ্গিকার নিয়ে . কম্পোজিট লিঃ কার্যরত।