Select Page

বিভিন্ন পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্টে এর  ব্যবহার

কর্মক্ষেত্রে নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আঘাত প্রাপ্তির ঘটনা যে কোন অবস্থাতেই ঘটতে পারে এবং একে সম্পূর্ণ রূপে নির্মুল করতে না পারলেও যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কমিয়ে আনা যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বেশীর ভাগ দুর্ঘটনারই কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা, অবহেলা এবং অসতর্কতা। আজকের ছোট সমস্যা ভবিষ্যতে বড় সমস্যার আকার ধারন করতে পারে। কর্তৃপক্ষ তাই গভীরভাবে অনুধাবন করে যে, সকল শ্রমিকদের মধ্যে সচারচর ঘটে যাওয়া আঘাত সমূহ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে আঘাতের বা দূঘটনার হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।এ জন্য আঘাত কি তা আগে আমাদের জানতে হবে। আঘাত বলতে যে কোন শারীরিক বাধা বা সীমাবদ্ধতাকে বোঝায় যার কারণে স্বাভাবিক কর্মপ্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে। আঘাত কেবল শারীরিক বিকৃতিকেই বুঝায় না বরং যে কোন বাধা বা ত্র“টি যা কোন বস্তু বা কাজের প্রবাহে বিঘœ ঘটায় তাকেও বুঝায়। আঘাত সাধারণত ৩ টি কারণে হয়ে থাকে- অজ্ঞতা ঃ অজ্ঞতাই হচ্ছে আঘাতের মূল কারণ। কোন ব্যক্তি যদি আঘাতের কারণ সমূহ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে তাহলে সে কখনই প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না। কোন শ্রমিক যদি না জানে যে, সেলাই মেশিনের নিড্ল থেকে তার আঙ্গুলে/চোখে আঘাত লাগতে পারে তাহলে সে কখনও নিড্ল গার্ড/আই গার্ড ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝবে না। তাই আঘাত প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবহেলা ঃ আঘাতের আরেকটি কারণ হচ্ছে অবহেলা। প্রায়ই আমরা ক্ষুদ্র সমস্যাকে অবহেলা করি যা পরবর্তীতে বৃহৎ সমস্যার সৃষ্টি করে। যেমন ত্র“টিযুক্ত বৈদ্যুত্যিক তারকে অবহেলা করি। কিন্তু এ থেকেই কেউ তড়িতাহত হতে পারে বা বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে যা মৃর্ত্যুর কারণও হতে পারে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঃ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আঘাত প্রাপ্তির একটি অন্যতম কারণ। যখন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে লোকজন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে না তখনই তারা আঘাত প্রাপ্ত হয়। নিম্নে গামেন্টর্স ও টেক্সটাইল কারখানায় ব্যবহারিত কিছু পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট এর ছবি ও এদের ব্যবহার দেয়া হল।

পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট এর ব্যবহার

ইয়ার প্লাগ ঃ স্বাভাবিক শব্দের চেয়ে বেশি শব্দের ক্ষেত্রে ইহা ব্যবহার করে কাজ করা হয় যাতে কেউ বধির না হয়ে যায়। যেমন Ñ নিটিং, ডাইং, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি।

ইয়ার মাফলার ঃ স্বাভাবিক শব্দের চেয়ে উচ্চ শব্দের ক্ষেত্রে ইহা ব্যবহার করে কাজ করা হয় যাতে কেউ বধির না হয়ে যায়। যেমন Ñ বয়লার, জেনারেটর, থ্রেড সাকার মেশিন ইত্যাদি।

ক্লথ মাস্ক ঃ সুইং, ফিনিশিং, নিটিং ফ্লোরে সবসময় কাপড়ের ধুলা, কাপড়ের গন্ধ এবং কাপড়ের সুতা নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করে। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে  কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশকীয়।

ডাবল লিফ্টার গ্যাস মাস্ক (রেসপোরিটয় ভাপর) ঃ স্পট রিমোভিং, ডাইং, ওয়াশিং ও কেমিক্যাল ব্যবহারের সময় এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে যাতে বিষাক্ত গ্যাস নিঃশ্বাসের সাথে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন ধরনের রোগ হতে না পারে।

হ্যান্ড গ্লাভস ঃ স্পট রিমোভিং, ডাইং, ওয়াশিং ও কেমিক্যাল ষ্টোরে কাজ করার সময় কেমিক্যাল শরীরে লাগলে ত্বকের ক্ষতি হয় । ফলে এর থেকে বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ হতে  পারে। তাই এ ধরনের কাজে হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।

গগলস (চশমা) ঃ স্পট রিমোভিং, ডাইং, কেমিক্যাল ষ্টোর, ওয়াশিং ও ওভার লক / ফ্লাট লক মেশিনে কাজ করার সময় চশমা(গগলস) ব্যবহার করতে হবে।

গাম বুট ঃ ডাইং, কেমিক্যাল ষ্টোর ও ইটিপি সেকশনে কাজ কাজ করার সময় কেমিক্যাল ও এসিড জাতীয় পদার্থের ছোয়ায় পা পুড়ে যেতে পারে। তাছাড়া এসকল কেমিক্যালের প্রভাবে পায়ে বিভিন্ন চর্ম রোগ যেমন ঃ একজিমা গ্যাংরিন এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। এ সমস্ত রোগ থেকে রক্ষা পাবার জন্য গাম বুট ব্যবহার করা অত্যান্ত জরুরী।

নিডল গার্ড ঃ সুইং মেশিনে (সিঙ্গল নিড্ল ও ডাবল নিড্ল) চলাকালীন সময়ে অসতর্কতা বশঃত কখনো আঙ্গুলে নিডল ঢুকে যায়। মেশিনে নিড্ল গার্ড ব্যবহার করলে আঙ্গুলে নিড্ল ঢুকবেনা।

আই গার্ড ঃ ওবার লক, ফ্লাট লক, বাটন হোল, বাটন ষ্টিচ, বারটেক মেশিন ইত্যাদি মেশিনের নিড্ল ভেঙ্গে ছিটকে চোখে ঢোকার সম্ভাবনা থাকে, তাই এই সকর মেশিনে আই গার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

রাবার ম্যাট ঃ সুইং মেশিনের পাদানি, আয়রন ম্যানের নীচে ও ইলেকট্রিক মেইন সুইচ বোর্ডের নিচে রাবার ম্যাট ব্যবহার করা হয় যাতে যেন ইলেকট্রিক শক শরীরে না লাগে।

মেটাল গ্লাভস ঃ কাটিং মেশিনে কাটারম্যান মেটাল গ্লাভস ব্যবহার করে যাতে হাতের আঙ্গুল কেটে না যায়।

অপার পুলি কভার ঃ মেশিন থেকে তৈল ছিটকিয়ে না পড়া, মেশিনের কাপড় বা ওড়না যাতে না জড়ায় সেজন্য ইহা ব্যবহার করা হয়।

আয়রন সেফটি কভার ঃ আয়রন মেশিনের সংযোগ তার থেকে যাতে কোন প্রকার ইলেকট্রিক শক কিংবা গরম তাপ অনুভব না লাগে তাই ইহা ব্যবহার করা হয়।

মেশিন অনুযায়ী সমস্যা সমুহ ও পিপিইর ব্যবহার

সাধারন আলোচনা ঃ নিম্নে বিভিন্ন ধরনের মেশিন থেকে সম্ভাব্য দূর্ঘটনা এবং এর প্রতিকার দেয়া হলো ঃ

মেশিন সমস্যা পিপিই
সকল প্রকার ডাইং ও ওয়াশিং মেশিন ত্বকের ক্ষতি হওয়া, কানে কম শোনা ইত্যাদি। হ্যান্ড গ্লাভস, চশমা, ইয়ার প্লাগ, গাম বুট, মাস্ক (রেসপেরিটয় ভাপর), এ্যাপ্রন
নিটিং মেশিন শ্বাসনালী / ফুসফুসে সমস্যা, কানে কম শোনা ইত্যাদি কাপড়ের মাস্ক, ইয়ার প্লাগ
ফিনিশিং
সমস্যা ঃ শ্বাসনালী / ফুসফুসে সমস্যা ইত্যাদি কাপড়ের মাস্ক
প্লেন মেশিন, ওভারলক মেশিন, কানসাই ও জিকজাক মেশিন সুঁচ ভেংগে চোখে যাওয়া, আঙ্গুলে ক্ষত হওয়া, কাপড় বা সুতার ডাষ্ট শ্বাসনালী / ফুসফুসে সমস্যা, চুল পেচিয়ে যাওয়া ইত্যাদি এ সকল মেশিন চালানোর সময় আইগার্ড, নিডেলগার্ড, চশমা, পুলিকভার, এ্যাপ্রন, স্কার্ফ, মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে
ব্যান্ড নাইফ, কাটিং মেশিন অঙ্গহানী, ফুসফুসে সমস্যা এ সকল যন্ত্র ব্যবহার করার সময় ধাতব হাত মোজা ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
বেলকো, লেভেল কাটার মেশিন আঙ্গুলে আঘাত পাওয় বা কেটে যাওয়া এ সকল মেশিন ব্যবহার করার সময় হাত মোজা ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
আয়রন আঘাত, ইস্ত্রিদ্বারা পুড়ে যাওয়া সঠিক নিয়মে আয়রন করা, আয়রনের সংযোগ তার সেফটি কভার দ্বারা আবৃত করা ও পায়ের নিচে রাবার ম্যাট ব্যবহার করা
স্নাপ বাটন আঙ্গুলে আঘাত, চোখে বাটন যাওয়া মেশিন চালানোর সময় মেশিন ফিঙ্গার গার্ড ও গগলস ব্যবহার করতে হবে
হ্যাং টেগ আঙ্গুলে আঘাত প্রাপ্ত হওয়া
পিপিই ঃ ফিঙ্গার গার্ড / রিং ব্যবহার করা
কমপ্রেসার বাতাসের চাপ অভিজ্ঞ লোক দ্বারা কমপ্রেসর চালাতে হবে ও সাবধানত অবলম্বন করতে হবে
জেনারেটর
প্রচন্ড শব্দ, কানে কম শোনা বা সমস্যা দেখা দেওয়া ইয়ার মাফলার ব্যবহার করতে হবে
ঊয়লার বয়লার জ্বলে যাওয়া, বাষ্ট হওয়া, কানে কম শোনা বা সমস্যা দেখা দেওয়া ট্রেনিং প্রাপ্ত নিধার্রিত ব্যক্তি দিয়ে বয়লার চালানো, নিয়মিত চেক করা, সময়মত সার্ভিসিং করা, রেকর্ড লিপিবদ্ধ করা ও ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা
ইটিপি শব্দ, শারীরিক সমস্যা, ত্বকের ক্ষতি হওয়া ইয়ার মাফলার, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, গগলস, গামবুট ব্যবহার করা

সাধারণ আঘাতের ধরনঃ

সুইং সেকশন

  • সেলাই মেশিনের নিড্ল ভাঙ্গতে পারে এবং আঘাতের কারণ হতে পারে।
  • নিড্ল গার্ড ব্যবহার না করার কারণে আঙ্গুলে আঘাত লাগতে পারে।
  • আই গার্ড ব্যবহার না করার কারণে বাটন স্টিচ এবং বাটন হোল মেশিন থেকে চোখে আঘাত লাগতে পারে।
  • কাটার এবং সিজার ঠিকমত না রাখলে এবং সাবধানে ব্যবহার না করলে আঘাতের কারণ ঘটতে পারে।

কাটিং সেকশন

হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার না করার কারণে কাটিং মেশিন থেকে আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার সম্বাবনা আছে।

ফিনিশিং সেকশন

  • আয়রন মেশিন সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
  • পলি ব্যাগ ফ্লোরে ছড়িয়ে থাকার কারণে আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
  • স্পট লিফটিং রুমে ব্যবহৃত সল্ভি হতে আঘাত হতে পারে।
  • অতিরিক্ত সল্ভি ব্যবহারের ফলে শ্বাস কষ্টের সৃষ্টি হতে পারে।

ষ্টোর বিভাগ

  • ফেব্রিক এবং কার্টুন সঠিকভাবে না রাখলে আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
  • সলভি এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং ব্যবহার না করলে আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
  • আরও কিছু সচরাচর ঘটা আঘাত
  • আইল্স(অরংষবং) বা দুটি মেশিনের মধ্যকার জায়গা দিয়ে ট্রলি পরিবহনের সময় আঘাত।
  • বৈদ্যুতিক কারণে সৃষ্ট শক বা পুড়ে যাওয়া।
  • ভারী কাপড়ের রোল উপরে উঠানোর সময় সৃষ্ট আঘাত।
  • আগুন লাগার কারণে একসাথে দলবদ্ধভাবে বের হওয়ার সময় পদদলিত হয়ে সৃষ্ট আঘাত।
  • আইল্স (অরংষবং) বা ফাঁকা জায়গায় রাখা কোন বস্তুর কারণে সৃষ্ট আঘাত।
  • পানি জমে পিচ্ছিল হওয়া টয়লেট ও মেঝের কারণে সৃষ্ট আঘাত ।
  • ফ্যান ও অন্যান্য ভারী বস্তুর লুজ বোল্ট বা নাটের কারণে সৃষ্ট আঘাত।
  • ষ্টিম পাইপে লিকেজের কারণে সৃষ্ট আঘাত।
  • ভারী কার্টুন উপরে তোলার সময় সৃষ্ট আঘাত।
  • অসতর্কভাবে রাখা পিন জাতীয় বস্তুর কারণে সৃষ্ট আঘাত।

ফ্যাক্টরী পর্যায়ে সকলের করনীয়

  • সেইফটি ইক্যুইপমেন্ট গুলো নিয়মিত ব্যবহার করা। যেমন আই গ্লাস, গ্লোভস ইত্যাদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা।
  • মেশিন গার্ডিং ঠিক আছে কিনা তা নিয়মিত যাচাই করে নিতে হবে।
  • কাজ করার সময় মেশিন চালনায় সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে হবে। কোনভাবেই মেশিন চালনার সময় অমনোযোগী হওয়া চলবে না ।
  • কাজ করার সময় তন্দ্রা, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দিলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেমন মুখে পানি দেয়া বা ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
  • ফ্যাক্টরীর সকল স্তরের শ্রমিকগনের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি হয়ে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করতে হবে।
  • আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে কাজ করতে হবে।
  • কাজের সময় আপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, ঘোরাফেরা ও খোশগল্পে লিপ্ত না হওয়া।
  • প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নির্ধারিত স্থানে গুছিয়ে রাখা।
  • টয়লেট ব্যবহারের পূর্বে স্যান্ডেল পরিধান করা।
  • টয়লেট ব্যবহারের পর প্রচুর পরিমানে পানি ঢালা ও ফ্লাশ করা।
  • টয়লেট / ক্যান্টিনের পানি অপচয় না করা।
  • টয়লেটের ভিতরে কোন প্রকার অবাঞ্চিত দ্রব্য বা বস্তুু নেওয়া যাবেনা এবং তা ফেলা যাবেনা।
  • কোন প্রকার চর্ম রোগে আক্রান্ত হলে তা সাথে সাথে কারখানার কর্র্তপক্ষকে অবহিত করে চিকিৎসার    ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগ না সারা পর্যন্ত কাজ হতে বিরত থাকতে হবে।
  • থুথু / ময়লা / আর্বজনা নির্ধাারিত স্থানে রাখা।
  • কারখানার অভ্যন্তরে মোবাইল ফোন আনা যাবেনা।
  • খাবারের পূর্বে ও পরে হাত মুখ ও প্লেট সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা।
  • বেসিনে ভাত বা তরকারী না ফেলা।
  • ধূমপান বা অন্যকোন নেশাজাতীয় দ্রব্য কারখানার অভ্যন্তরে আনা ও গ্রহন করা যাবেনা।
  • কারখানার অভ্যন্তরে বিষ্ফোরক জাতীয় কোন দ্রব্য আনা যাবেনা।
  • কারখানাতে ইন টাইম ও আউট টাইমের সময় প্রক্সোমিটি আইডি কার্ড পাঞ্চ করা।
  • অকারনে ও অনুমতি ছাড়া অন্য সেকশনে / ফ্লোরে প্রবেশ করা যাবেনা।
  • কাজের সময় নির্ধারিত আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদী পরিধান করা।
  • মেশিন বা কাজের স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • কাজের শুরুতে মেশিনে তেল যথাযথ এভং মানসম্মতভাবে আছে কিনা তা চেক করা। সমস্যা থাকলে মেনটেইন্যান্স বিভাগকে জানানো।
  • মেশিনের সেফটি ডিভাইস (নিডেলগার্ড, আই গার্ড, পুলিকভার, আপার বেল্ট গার্ড ইত্যাদি) যথাযথভাবে সংযুক্ত আছে কিনা তা চেক করা।
  • খোলা ইলেকট্রিক তার কোনভাবেই ফ্লোরে রাখা যাবেনা। ইহা সেফটি চ্যানেল কিংবা ফ্লেক্সি কভার দিয়ে আবৃত করতে হবে।
  • সিজার কাটার এমনভাবে বেঁেধ রাখতে হবে যেন তা মাটিতে স্পর্শ না করে। লক্ষ্য রাখতে হবে নিচে         পড়ার সময় তা দ্বারা যেন শরীরের কোন স্থান আঘাত প্রাপ্ত না হয়।
  • নিটিং ও সুইং মেশিনের নিডেল ভেঙ্গে গেলে সকল ভাঙ্গা অংশ সংগ্রহ করে নিডেল ইস্যু ম্যানের কাছে জমা রেখে নতুন নিডেল সংগ্রহ করতে হবে।
  • ভাঙ্গা নিডেলের কোন অংশ খুজে পাওয়া না গেলে গার্মেন্টস ভালভাবে চেক করবে। প্রয়োজনে মেটাল নিডেল ডিটেক্টর ব্যবহার করতে হবে।
  • ডাইং ফ্লোরে কাপড় রাখার ট্রলি নির্ধারিত স্থানে রাখতে হবে।
  • ডাইং ফ্লোর যাতে ভিজা ও স্যাঁতস্যাঁতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • কেমিক্যাল ষ্টোরে কেমিক্যাল যাতে ফ্লোরে না পড়ে সেজন্য সেকেন্ডারি কন্টেইনার (ট্রে) ব্যবহার করতে হবে।
  • কাজের শুরুতে মেশিনের কোন কারিগরী ক্রুটি আছে কিনা তা চেক করা।
  • অসুস্থ শরীরে কিংবা তন্দ্রা বা ঝিমুনি আসলে মেশিন চালানো যাবেনা।
  • অব্যবহারিত মেশিন নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষন করা।
  • কর্মীদের নিরাপত্তা বিধিগুলো নিয়মিত ও কার্যকরভাবে পালন করতে হবে। ফলে দূর্ঘটনার মাত্রা কমানো যাবে বা দূর্ঘটনা এড়ানো যাবে।
  • ছোট খাটো দূর্ঘটনা ও আঘাত অবহেলা করা উচিত নয় বরং এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
  • সুপারভাইজার, লাইন ইনচার্জগণ দূর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন। যেমন নিড্ল গার্ড, পুলি গার্ড না থাকলে কর্মীদের গুলি ব্যবহার করতে বলবেন।
  • কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার সকল ছোট বড় দূর্ঘটনাসমূহ কারখানার সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দূর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় বের করতে হবে এবং সেগুলি মেনে চলতে হবে।
  • নিয়মিত মেডিকেল রেজিস্টার চেক করতে হবে এবং সচরাচর ঘটা আঘাতসমূহ চিহ্নিত করে তা সমাধানের উপায় বের করতে হবে।
  • প্রতিরোধ মূলক যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং যন্ত্রপাতিগুলোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকতে হবে।