by Mashiur | Dec 20, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
উৎসব, প্রোডাকশন ও হাজিরা বোনাস নীতি
উদ্দেশ্য ঃ
উৎসব, প্রোডাকশন ও হাজিরা বোনাস – শ্রমিকদের ফ্যাক্টরী ছেড়ে যাওয়া বা শ্রম ঘূর্ণায়মানতা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয় ।অটো গ্র“প এর কর্তৃপক্ষ সর্বদা এর কারখানার শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং শ্রমিকদের সার্বিক কল্যান, সন্তুষ্টি বিধান ও তাদের উৎপাদনশীল মানসিকতার উত্তরোত্তর উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে হাজিরা বোনাস প্রদান করে থাকে। শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে প্রদানের জন্য অটো গ্র“প একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করেছে। কোম্পানীতে নিয়োজিত প্রতিটি শ্রমিক নিম্নলিখিত নিয়ম অনুযায়ী হাজিরা বোনাস পাবেন ।
আমাদের হাজিরা বোনাসের নীতি সমূহ নিম্নরূপ ঃ
- হাজিরা বোনাস প্রদান করা হবে যদি তাহারা কর্মদিবসে ১০০% উপস্থিত থাকে। প্রতিটি কর্মীকে মাসের প্রতিটি কর্মদিবসে উপস্থিত থাকতে হবে।
- চলতি মাসে নিয়োগ প্রাপ্ত শ্রমিকগণ হাজিরা বোনাস প্রাপ্য হবেনা ।
- সকল শ্রমিকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজির হতে হবে এবং নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কোম্পাণীর নিয়ম ও দেশীয় আইন মোতাবেক কাজ করতে হবে। প্রতিদিন প্রতিটি কর্মীকে সঠিক সময়ে কারখানায় উপস্থিত হতে হবে।
- যে কোন ধরনের ছুটি কাটানো হলে বোনাস প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাহা গ্রহন যোগ্য হইবেনা। যদি কোন শ্রমিক কোন মাসে যে কোন প্রকার ছুটি ভোগ করে থাকেন তাহলে সেই শ্রমিক ঐ মাসে হাজিরা বোনাস থেকে বঞ্চিত হবেন।
- অননুমোদিত দেরীতে আগমন এবং অনুপস্থিতি বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে অধিকারভুক্ত হইবেনা।
- যদি কোন শ্রমিক কোন মাসে সর্বোচ্চ এিশ মিনিট দেরী করে কারখানায় উপস্থিত হন তাহলে তিনি ঐ মাসে হাজিরা বোনাস থেকে বঞ্চিত হবেন এবং ০৩ ঘন্টর বেশী গেইট পাশ থাকলে হাজিরা বোনাস থেকে বঞ্চিত হবেন।
- শ্রমিকের মাসিক বেতন এবং হাজিরা বোনাস একত্রে প্রদান করা হবে।
- যদিও রমজান মাস ও ঈদুল আয্হার মাসে নির্ধারিত কর্ম দিবস (ঈদের ছুটির কারনে ) সীমিত করা হয় তবুও এই মাসে সাধারনত হাজিরা বোনাস প্রদান করা হয়।
- একজন শ্রমিক যে মাসে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন সে মাস থেকেই তিনি হাজিরা বোনাস পাওয়ার অধিকারী হবেন।
উৎসব বোনাস
দুই ঈদে একবছরে ৩০০ দিন গড় হাজিরা থাকলে ৮০০ টাকা এবং ২০০ দিনের গড় হাজিরা থাকলে ৫০০ টাকা উৎসব বোনাস প্রদান করা হয়।
ইনসেনটিভসমূহ:
(ক) প্রোডাকশন বোনাস ঃ
আমাদের কারখানাতে নিটিং ও লিকিং অপারেটর যারা নির্দিষ্ট রেট এর উপর ২,০০০ থেকে ২,৯৯৯ টাকা অর্জন করবে তারা উক্ত টাকার উপর (১০%) এবং যারা নির্দিষ্ট রেট এর উপর ৩,০০০ থেকে ৩,৯৯৯ টাকা অর্জন করবে তারা উক্ত টাকার উপর (১৫%) এবং যারা নির্দিষ্ট রেট এর উপর ৪,০০০ টাকার উর্দ্ধে অর্জন করবে তারা উক্ত টাকার উপর (২৫%) হারে প্রোডাকশন বোনাস হিসেবে প্রদান করা হয়।
আমাদের কারখানাতে উইন্ডিং ও ট্রিমিং অপারেটর যারা নির্দিষ্ট রেট এর উপর ১৫০০ টাকার উবের্ধ অর্জন করবে তারা উক্ত টাকার উপর (১৫%) হারে প্রোডাকশন বোনাস হিসেবে প্রদান করা হয়।
(খ) হাজিরা বোনাস: (পীস রেট)
ইংরেজি বর্ষ পঞ্জিকা অনুযায়ী নিটিং, লিকিং, ট্রিমিং ও উইন্ডিং,বিভাগের সকল অপারেটর প্রতিটি কর্ম দিবসে উপস্থিত থাকিলে মাসিক ২০০ টাকা হাজিরা বোনাস প্রদান করা হয় ।
by Mashiur | Dec 18, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
মজুরী হিসাব
সরকারী নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক শ্রমিকের মাসিক ২০৮ ঘন্টা শ্রমকে তার মূল মজুরী হিসাবে ধরা হয়।বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত সর্ব-নিু মজুরীর নিয়ম কাঠামো মেনে মজুরী প্রদান করা হয়।এছাড়াও শ্রমিকদের ওভারটাইম করার সুযোগ রয়েছে।
মজুরীর তিনটি অংশ
ক) মূল মজুরী
খ) মেডিকেল ২০০ টাকা ও
গ) বাড়ি ভাড়া ( মূল মজুরীর ৩০% )।
পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরী প্রদান করা হয়।
মজুরী নীতি ঃ
নিটওয়্যারস্ লিঃ এ দু’ধরণের শ্রমিক আছে (১) মাসিক মজুরী ভিত্তিতে (২) পিসরেট বা সাপ্তাহিক মজুরী ভিত্তিতে। মাসিক মজুরী প্রাপ্ত শ্রমিদেরকে পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরী এবং ওভারটাইমের টাকা একসাথে প্রদান করা হয়। যারা পিস্ রেট বা প্রডাকশন ভিত্তিতে কাজ করেন তাদের প্রতি সপ্তাহে মজুরী প্রদান করা হয় এবং তাদের ওভারটাইমের টাকা প্রদান করা হয় পরবর্তী মাসে।
পিস্রেট শ্রমিকদের ক্ষেত্রে নুন্যতম মজুরী হচ্ছে ১৮৫১ টাকা ( গ্রেড-৬) যার ভিত্তিতে তাদের ওভারটাইম গননা করা হয়।
মজুরী বৃদ্ধি ঃ এক বছর চাকরী পূর্ণ হলে পরবর্তী বছর প্রত্যেক শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা আছে যা তাদের জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে করা হয়।
ওভারটাইম
ওভার টাইম একটি ঐচ্ছিক কোন শ্রমিক দৈনিক নির্ধারিত ৮ ঘন্টার পর অতিরিক্ত কাজ করলে তা ওভারটাইম হিসেবে গণ্য করা হয়। সর্বমোট কার্যকাল দৈনিক ১০ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৬০ ঘন্টা এবং তা বৎসরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫৬ ঘন্টা।
ওভারটাইম রেট ঃ অতিরিক্ত কাজের জন্য একজন শ্রমিকের প্রাপ্য মূল মজুরীর দ্বিগুণ হারে ওভারটাইম হিসাব করা হয়।
. মাসিক মূল মজুরী
ওভারটাইম = ——————— X 2 X অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা
. ২০৮
উদাহরন ঃ একজন শ্রমিকের মোট মজুরি = ১৬৬২.৫০। এবং সে ৪০ ঘন্টা ওভারটাইম করেছে।
. ১৬৬২.৫০ – ২০০
মূল মজুরি = ——————-
. ১.৩
= ১১২৫ টাকা
. মূল মজুরি
ওভারটাইম = ———————- X ২ X ৪০
. ২০৮
= ৪৩৩ টাকা
কার্যঘন্টা ঃ সাধারন কার্যকালীন সময় দৈনিক সকাল ৮.০০ টা হতে ৫.০০ টা পর্যন্ত।
সাপ্তাহিক কাজের সময় : দৈনিক = ৮ ঘন্টা + ওভারটাইম ২ ঘন্টা মোট ১০ ঘন্টা।
সপ্তাহে = ৪৮ ঘন্টা + ওভারটাইম ১২ ঘন্টা। মোট ৬০ ঘন্টা (সর্বোচ্চ) এবং বৎসরে গড়ে ৫৬ ঘন্টা।
বলপ্রয়োগ পূর্বক শ্রম ঃ কোম্পানী বন্দিনিবাসসুলভ, চুক্তিপত্র দ্বারা আবদ্ধমূলক বা বলপ্রয়োগপূর্বক কোন শ্রম ব্যবহার করে না। আমরা কোন প্রকার অনৈচ্ছিক শ্রম ব্যবহার করি না। অর্থাৎ শ্রমিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অধিক সময়ের জন্য তাকে কাজ করতে বাধ্য করি না।
হয়রানি বা নির্যাতনঃ কোম্পানী কখনও কোন শারীরিক নির্যাতন বা দমন নীতি দ্বারা শাসনের কোন কর্মে নিয়োজিত থাকবে না বা কাউকে তা করতে অনুমতি দেয় না। তাই কোম্পানী মনস্তাত্বিক বা অশারীরিক, হিসংসাত্মক হুমকি, যৌনাত্মক অবমাননা, উচ্চ বা তীক্ষ্ম আর্তনাদ অথবা মৌখিক গালি গালাজের মাধ্যমে নির্যাতন বা দমননীতি দ্বারা শাসনের কোন কর্মে নিয়োজিত থাকবে না বা কাউকে করতে অনুমতি দেবে না।
by Mashiur | Dec 18, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
নেতৃত্ব
নেতৃত্ব শব্দটির অর্থ হল পরিচালনা করা, নির্দেশ প্রদান করা, পথ প্রদর্শন করা, আদেশ করা , নায়কত্ব বা অধিনয়কত্ব ইত্যাদি। সাধারণভাবে বলা যায় যে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তদারকি, পথ নির্দেশ ও যোগাযোগের মাধ্যমে বিভ্নি ব্যক্তির উপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা, কৌশল বা গুনকে নেতৃত্ব বলে। যে কোন প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক তঃপরতায় নেতৃত্বের ভূমিকা অত্যন্ত ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ন। কেনানা একজন ভাল নেতা যত বেশী সঠিক কলাকৌশল নির্ধারণ করতে সক্ষম হবেন তত বেশী তার অনুসারী কর্মীদের কর্ম প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ফলে এর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জিত হবে। নেতৃত্ব বা নেতার যে সমস্ত গুনাবলী থাকা বাঞ্জনীয় তা নিুরূপঃ
- মানসিক ও আবেগের পরিপক্কতা।
- উর্ধ্বতনের কাছে পরামর্শদানের সামর্থ্য।
- মানসিক সম্পর্ক সম্বন্ধে পরিপক্কতা।
- ঝুকি গ্রহনের মানসিকতা।
- ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন।
- অপচয়ের দৃষ্টিভংগী বিচারের ক্ষমতা।
- উদ্দেশ্যমূলক অনুসন্ধিসা।
- নিজের মধ্যে নেতা হওয়ার অনুপ্রেরনা।
- শিক্ষাদানের যোগ্যতা।
- যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা।
- সহযোগীতামূলক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী।
- ধের্য।
- দায়িত্ববোধ।
- বিচার বিশ্লেষন করার ক্ষমতা।
- অধঃস্তনের প্রেরনাদানের ক্ষমতা।
- চারিত্রিক ন্যায় পরায়নতা।
- সমালোচনা গ্রহনের ইচ্ছা প্রভৃতি।
নেতার কার্যাবলী ঃ
সাধারনভাবে নেতার দুটি মৌলিক কাজের কথা বলা হয়ে থাকে। কি কাজ করতে হবে এবং কি ভাবে করতে হবে তা নির্ভূল ভাবে নির্ধারন করা ও বর্ননা করা।নির্দিষ্ট লক্ষ্যে দলের সদস্যদেও পরিচালিত করা। এছাড়াও বিজ্ঞ জনেরা একজন নেতার নিুোক্ত পাঁচ ধরনের কাজকে নেতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হিসাবে বর্ননা করেছেন যেমনঃ
উদ্দেশ্য গ্রহন করা ঃ সকল কাজে নেতাকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বোপরি নির্ধারিত লক্ষ্য যাতে অর্জিত হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করা ঃ নেতা দলের সদস্যদেও কাছে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসাবে এবং দলের বা প্রতিষ্ঠােেনর বাহিরে নিজেকে একজন প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন।
বন্ধু, দার্শনিক ও পথ প্রদর্শক হিসাবে কাজ করা ঃ একজন নেতা কখনও বন্ধু, কখনও দার্শনিক অথবা কখনও পথ প্রদর্শক বা নির্দেশক হিসাবে কাজ করবেন।
ব্যাখ্যা করা ঃ একজন নেতা তার প্রতিটি আদেশের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করবেন তার অনুসারীদের কাছে। তিনি এই ব্যাখ্যা এমনভাবে তার অনুসারীদের কাছে উপস্থাপন করবেন যাতে তারা সহজে বুঝতে পারে।
দলীয় চেতনা ও দলীয় কাজকে উৎসাহিত করা ঃ নেতা দলের অধিনায়ক হিসেবে কাজ করবেন। তিনি সবার আস্থা অর্জন করবেন এবং দলীয় কাজের জন্য অনুপ্রেরনা দেবেন। এছাড়া একজন নেতা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিুরূপ কাজ গুলো করবেন ঃ
- পরিকল্পনা প্রনয়নে ও কর্মীদের জন্য লক্ষ্য প্রতিষ্ঠা করা।
- নীতি ও পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা।
- একজন উপযুক্ত কর্মী গড়ে তোলা ও সংরক্ষন করা।
- কর্মীদের ব্যবহার প্রভাবিত করা ও নির্দিষ্ট পথে চালানো।
- কর্মী সংগঠনের জন্য কাঠামো গড়ে তোলা।
- কাজের নির্দেশ দেয়অ।
- সকল প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রন করা।
- কাজের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন।
- যথাযথভাবে দায়িত্ব অর্পন অথবা বন্টন।
- নিয়ম শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত রা ইত্যাদি।
by Mashiur | Dec 14, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
হাজিরা বোনাস নীতি
হাজিরা বোনাস নীতি হাজিরা বোনাস নীতি উদ্দেশ্য ঃ
অটো গ্র“পের অন্তর্ভুক্ত অটো ক্লোথিং কোঃ লিঃ এ হাজিরা বোনাস প্রদান করা হয়। সময়ানুবর্তিতা এবং নিয়মনীতি সঠিক ভাবে মান্য করার লক্ষে এই বোনাস প্রদান করা হয়। প্রতি মাসে যে সকল শ্রমিক নিয়মিত ভাবে সঠিক সময়ে কারখানায় উপস্থিত হবেন সেই সকল শ্রমিককেই এই বোনাস প্রদান করা হবে। মাসিক বেতনের সাথে এই বোনাস প্রদান করা হবে।অটো গ্র“পের অন্তর্ভুক্ত অটো ক্লোথিং কোঃ লিঃ এ হাজিরা বোনাস প্রদান করা হয়। সময়ানুবর্তিতা এবং নিয়মনীতি সঠিক ভাবে মান্য করার লক্ষে এই বোনাস প্রদান করা হয়। গ্র“প এর কর্তৃপক্ষ সর্বদা এর কারখানার শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং শ্রমিকদের সার্বিক কল্যান, সন্তুষ্টি বিধান ও তাদের উৎপাদনশীল মানসিকতার উত্তরোত্তর উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে হাজিরা বোনাস প্রদান করে থাকে। শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে প্রদানের জন্য গ্র“প একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করেছে। কোম্পানীতে নিয়োজিত প্রতিটি শ্রমিক নিম্নলিখিত নিয়ম অনুযায়ী হাজিরা বোনাস পাবেন । …
হাজিরা বোনাসের নীতি সমূহ নিম্নরূপ ঃ
- প্রতিটি কর্মীকে মাসের প্রতিটি কর্মদিবসে উপস্থিত থাকতে হবে।
- প্রতিদিন প্রতিটি কর্মীকে সঠিক সময়ে কারখানায় উপস্থিত হতে হবে।
- যদি কোন শ্রমিক কোন মাসে যে কোন প্রকার ছুটি ভোগ করে থাকেন তাহলে সেই শ্রমিক ঐ মাসে হাজিরা বোনাস থেকে বঞ্চিত হবেন।
- যদি কোন শ্রমিক কোন মাসে সর্বোচ্চ তিনদিন দেরী করে কারখানায় উপস্থিত হন তবে তিনি ঐ মাসে হাজিরা বোনাস থেকে বঞ্চিত হবেন।
- শ্রমিকের মাসিক বেতন এবং হাজিরা বোনাস একত্রে প্রদান করা হবে।
- একজন শ্রমিক যে মাসে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন সে মাস থেকেই তিনি হাজিরা বোনাস পাওয়ার অধিকারী হবেন।
- যাদের বেতন ১৩২০ টাকা বা নিম্নে তারা প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে এবং যাদের বেতন ১৩২০ থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত তারা ১৫০ টাকা করে হাজিরা বোনাস পাবেন।
- এই বোনাস স্টাফ ব্যতীত শুধুমাত্র কারখানার কর্মরত ক্লিনার ও শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ছুটি
সাপ্তাহিক ছুটিঃ
প্রত্যেক শ্রমিককে সপ্তাহে ১ (এক) দিন (প্রতি শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা হয়। জরুরী প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খোলা রাখা হয়, তবে সেক্ষেত্রে যথাশীঘ্র সম্ভব বিকল্প ছুটি প্রদান করা হয়।
মজুরীসহ বার্ষিক বা অর্জিত ছুটি ঃ
কারখানায় কোন শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে চাকুরীর মেয়াদ এক বছর পূর্ণ করলে তিনি পরবর্তী বার মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বার মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ প্রতি ১৮ (আঠার) দিনে একদিন ছুটি অর্জন করবেন। যদি বার মাসের মধ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণ ছুটি ভোগ না করে থাকেন, তবে পরবর্তী বার মাসের পাওনা ছুটির সঙ্গে তা যোগ হয়। এই অর্জিত ছুটির পরিমাণ ৪০ (চল্লিশ) দিন পর্যন্ত জমা হয়, তবে অটো নিটওয়্যারস্ লিঃ এর নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে অর্জিত ছুটির টাকা পরিশোধ করা হয়।
প্রতি মাসে যে সকল শ্রমিক নিয়মিত ভাবে সঠিক সময়ে কারখানায় উপস্থিত হবেন সেই সকল শ্রমিককেই এই বোনাস প্রদান করা হবে। মাসিক বেতনের সাথে এই বোনাস প্রদান করা হবে।
শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বোনাসের হারঃ
০১। ১ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত ৩৫০ টাকা।০২। ৭ম গ্রেড ৩০০ টাকা।
কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বোনাসের হারঃ
০১। অফিস পিয়ন ৩৫০ টাকা।০২। ক্লিনার (সুইপার) ৩০০ টাকা।
মাসিক বেতনের সীট এ এই বোনাসের বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকবে।
অযোগ্যতাঃ
নিন্ম বর্ণিত কারনে একজন শ্রমিক এই বোনাস প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হতে পারে।
০১। মাসে ০৩ দিনের বেশি বিলম্ব করে কর্মস্থলে উপস্থিত হলে।০২। কাজে অনুপস্থিত থাকলে।০৩। কোন ছুটি কাটালে।০৪। যে কোন দিন ০১ ঘন্টার বেশি সময় বিলম্ব করে কর্মস্থলে আসলে।
হিসাব বিবরণঃ
প্রক্সিমিটি কার্ডের বিবরণ হতে এই বোনাসের হিসাব চুরান্ত করা হবে।
উদ্ধুত করণঃ
কারখানার কাউন্সিলরগন নিয়মিত ভাবে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে প্রেষনা (গড়ঃরাধঃরড়হ) প্রদান করেন।
পর্ব / উৎসব ছুটি : ১১দিন
ক) ঈদ-উল- ফিতর -০৩ দিন।
খ) ঈদ-উল- আযহা -০৩ দিন।
গ) ২১ শে ফেব্র“য়ারী -০১ দিন।
ঘ) ২৬ শে মার্চ -০১ দিন।
ঙ) ১ মে -০১ দিন।
চ) ১৬ ডিসেম্বর -০১ দিন।
ছ) ১ বৈশাখ -০১ দিন।
প্রত্যেক শ্রমিককে বছরে অন্ততঃ ১১ (এগার) দিন পর্ব উপলক্ষ্যে মজুরীসহ ছুটি মঞ্জুর করা হয়। অনুরূপ পর্বের দিন ও তারিখ কারখানার কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেন এবং তা নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
ছুটি
নৈমিত্তিক ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক বছরে পূর্ণ মজুরীসহ ১০ (দশ) দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
অসুস্থতার ছুটি ঃপ্রত্যেক শ্রমিক বছরে পূর্ণ মজুরীসহ ১৪ দিন অসুস্থতার ছুটি ভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, প্রাপ্য নৈমিত্তিক ও অসুস্থতার ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বছরে ভোগ করা যায় না।
মাতৃত্বকালীন ছুটি ঃকোন মহিলা শ্রমিক যিনি ছয় (৬) মাস অটো নিটওয়্যারস লিঃ এ কাজ করবেন তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন। মাতৃত্বকালীন ছুটির মোট সময় ১৬ সপ্তাহ (১১২ দিন), যা দুই ভাগে ভোগ করা হয়। সন্তান প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহ ও সন্তান প্রসবের পরে ৮ সপ্তাহ এই মোট ১৬ সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে ছুটি ভোগ করতে পারবেন। সন্তান প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহের টাকা এবং সন্তান প্রসবের পরে অবশিষ্ট ৮ সপ্তাহের টাকা প্রদান করা হয়।
ছুটি কাটানোর পদ্ধতি / নীতি : ছুটি পাবার ক্ষেত্রে যে কোন শ্রমিককে নিুলিখিত আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই সম্পন্ন করতে হয়। অন্যথায় ঐ ছুটি সাধারণতঃ গ্রহণযোগ্য হয় না। তবে অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অতীব জরুরী প্রয়োজনে ছুটির অব্যবহিত পরেও অনুমোদন নেয়া যেতে পারে।
কোন শ্রমিক ছুটি নিতে আগ্রহী হলে তাকে অবশ্যই কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়।
- ছুটির আবেদন পত্র সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার/ ইনচার্জ/ কর্মকর্তা অনুমোদন দিলেই কেবলমাত্র কোন শ্রমিক ছুটি ভোগ করতে পারেন।
- ছুটিতে যাবার পূর্বে অবশ্যই কার্য-দায়িত্ব যথাযোগ্য ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দিতে হয় যেন কাজে কোন ব্যাঘাত না ঘটে।
- যে কোন অনুমোদিত ছুটি কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
by Mashiur | Dec 12, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা কী কী
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা উদ্দেশ্য ঃ অটো কম্পোজিট লিমিটেড – এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অধিকার নিশ্চিত ও কারখানার শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে শাস্তিমূলক ব্যবস্থানীতি প্রণয়ন করেছেন। মানব সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা এবং যেকোন শ্রমিক,কর্মচারী এবং কর্মকর্তার প্রতি কোন ধরণের অন্যায়, অবিচার বা অমানবিক যেকোন বিষয় এড়ানোর লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ দেশে প্রচলিত শ্রম আইনের আলোকে অত্র নীতিমালা প্রণয়ন করছে। …
প্রযোজ্য ক্ষেত্র ঃ অত্র কারখানায় কর্মরত সকলের জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য। অন্য কোন নিয়মকে প্রভাবিত না করে, কোন শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তাগণ এই নিয়মনীতি ভঙ্গ করলে, অবহেলা বা বিমুখ করলে বা জেনে শুনে স্বজ্ঞানে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিরোধী কাজ করলে বা দাপ্তরিক কাজের নির্দেশ অমান্য করলে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে বা অসদাচরনের দোষে দুষ্ট হলে বা নৈতিকতা বিরোধী কাজের দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে নিম্নলিখিত এক বা একাধিক দোষের জন্য দায়ী হবেন।
নিম্নলিখিত কাজ ও ত্র“টিসমুহ অসদাচরন হিসেবে বিবেচিত হবে:
- উপরস্থের কোন আইন সঙ্গত বা যুক্তি সঙ্গত আদেশ মানার ক্ষেত্রে একক ভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে ইচ্ছাকৃত অবাধ্যতা;
- কোন শ্রমিককে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বিনা মজুরীতে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা যাবে, যদি তিনি- ক) কোন ফৌজদারী অপরাধের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হন; অথবা খ) অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।
- মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, প্রতারনা বা অসাধূতা;
- মালিকের অধীন নিজের বা অন্যকোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহন বা প্রদান;
- বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়ে এক সঙ্গে ১০ (দশ) দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি;
- বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়ে এক সঙ্গে দশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি; অভ্যাসগত বিলম্বে অনুপস্থিতি;
- প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংগন;
- প্রতিষ্ঠানে উচছৃংখল বা দাংগা হাংগামামূলক আচরণ, অথবা শৃংখলা হানীকর কোন কর্ম;
- অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি;
- প্রতিষ্ঠানের প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন;
- প্রতিষ্ঠানে অশৃঙ্খল বা দাংগা হাংগামামূলক আচরণ অথবা শৃঙ্খলা হানিকর যেকোন কর্ম;
- কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;
- প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃংঙ্খলা বা আচরণসহ, যেকোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন।
- মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, ক্ষতি বা হারিয়ে ফেলা;
- জরিমানা করতে হবে
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পদক্ষেপ সমূহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা কী কী এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পদক্ষেপ সমূহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ব্যাপারে নিক্ত নীতিমালা গুলোর উল্লেখ করা যেতে পারেঃ
১। দ্রুততাঃ কোন ঘটনা ঘটার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে অযথা দেরী করা মোটেই ঠিক হবে না। এ প্রসঙ্গে ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে
২। সমতাঃ শাস্তির ব্যাপারে সমতা রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। একই অপরাধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শাস্তি হওয়া উচিত নয়-যদি কোন কর্মচারীকে কোন অপরাধের জন্য বরখাস্ত করা হয়ে থাকে তবে ওই একই অপরাধের জন্য অন্যদের ও-তারা যত শক্তিশালী হোক না কেন-বরখাস্ত করা উচিত।
৩। স্পষ্টতাঃ কোন কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়া হলে তাকে পরিস্কার ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে যে তার অপরাধটা কা ছিল যাতে করে সে ভবিষ্যতে ওই একই অপরাধ না করে।
৪। দৃষ্টিভঙ্গিঃ একবার শাস্তি দেবার পর ওই কর্মচারীকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করতে হবে এবং তার সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পদক্ষেপ সমূহঃ
০১। প্রয়োজনে প্রাথমিক তদন্ত ০২। অভিযোগপত্র ০৩। অভিযোগ পত্র প্রদান ০৪। অভিযোগ পত্রের জবাব বিবেচনা করা ০৫। তদন্ত অফিসার মনোনয়ন ০৬। তদন্তের নোটিশ প্রদান ০৭। সঠিক আভ্যন্তরীন তদন্ত ০৮। তদন্ত অফিসারের রিপোর্ট ০৯। কর্তৃপক্ষের দ্বারা তদন্ত রিপোর্ট বিবেচনা করা ১০। শাস্তির আদেশ ১১। শাস্তির আদেশ জারি করাকারা কারা তদন্ত করতে পারবে না
ব্যাক্তিগন তদন্ত করতে পারবে নাঃ
ক) যিনি ঘটনার একজন সাক্ষী তিনি এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।খ) ওই ঘটনার সাথে যার কোন স্বার্থ রয়েছে (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে) তিনি এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।গ) যিনি এ ঘটনার অভিযোগকারী তিনি তদন্ত করতে পারবেন না।ঘ) এই ঘটনার ব্যাপারে যার পূর্বজ্ঞান আছে বা ব্যক্তিগত জ্ঞান আছে তিনি এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।ঙ) অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে যার দুর্বলতা বা শক্রতা আছে তিনি এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।চ) যিনি এ ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত করেছেন, যিনি অভিযোগ পত্র দিয়েছেন তারা কেউই এ ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন না।
কী কী অবস্থায় তদন্ত দূষিত হয়বিভিন্ন কারনে তদন্ত দূষিত হয়।
তবে প্রধানত:নি¤েœাক্ত কারনেই তদন্ত দূষিত হতে দেখা যায়ঃ-১) ন্যায় বিচারের নীতিমালা পালন না করাঃরপব বলতে প্রধানত বুঝায়-ক) সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে আগেই পরিস্কারভাবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে জানানো হয়েছে।খ) অভিযোগের ব্যাপারে তার কি বলার আছে সেটা লিখিতভাবে জানাবার জন্য তাকে প্রয়োজনীয় সময় দেয়া হয়েছে।গ) তার জবাব কর্র্তৃপক্ষের কাছে গ্রহনযোগ্য না হওয়ার কারনে তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সে তদন্তে অভিযুক্ত কর্মচারীর সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।ঘ) কর্র্তৃপক্ষের সাক্ষীদের কক্তব্যের শেষে অভিযুক্ত কর্মচারীকে জেরা কারার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।ঙ) কর্র্তৃপক্ষের সাক্ষীদের পর অভিযুক্ত কর্মচারীকে সর্বপ্রকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তার নিজের সাক্ষী আনার এবং অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তার নিজের বক্তব্য দেওয়ার।২) ব্যক্তি শুনানির সুযোগ না দেওয়াঃ ব্যক্তিগত ’শুনানি’র সুযোগ না দিলে তদন্ত দূষিত হবেই।তদন্তে প্রতিটি পদক্ষেপে এ সুযোগ দিতে হবে।
তদন্তে সাক্ষী দেবার সুযোগ দিতে হবে, অন্যপক্ষের সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ দিতে হবে, নিজ বক্তব্য বলার পূর্ন সুযোগ দিতে হবে। অভিযুক্তকে যে কোন একটা সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলেই তদন্ত দূষিত হবে।৩) তদন্তের আরো কিছু ক্রটিঃ প্রায়ই দেখা যায় যে তদন্তের সময় অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাক্ষ্য দেবার সুযোগ দেওয়া হয় না। অনেক সময় তাকে জিজ্ঞাসাও করা হয়না যে সে সাক্ষ্য দিতে চায় কিনা। সাক্ষী দিতে চাইলেও তাকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া হয়না সাক্ষী হাজির করার জন্য। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তদন্তের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত কর্মচারীর অগোচরে এমন কাগজপত্র গ্রহন করেন যা অভিযুক্ত কর্মচারী জানতেই পারের না। ৪)
পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিঃ তদন্ত করবেন সেই ব্যক্তি যিনি অভিযুক্ত কর্মচারীর প্রতি পক্ষপাত দোষে দুষ্ট নন ।৫) বিকৃত সিদ্ধান্তঃ তদন্তকারী কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত হতে হবে তদন্ত কার্যবিবরণীতে থাকা সাক্ষ্য প্রমানের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ যদি সাক্ষী না বলে থাকেন তবে ওই সাক্ষী সে কথা বলেছেন বলে কাউকে দোষী করা যাবে না। করলে সেটা আইনের চোখে বিকৃত সিদ্ধান্ত বলা হবে। আইনের চোখে এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কাউকে চাকুরী থেকে বৈধভাবে চাকুরীচ্যুত করা যাবে না।
অসদাচরণ এবং দন্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাস্তি বা জরিমানা:
- একজন শ্রমিক বা কর্মচারী উপরোক্ত অসদাচরনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে নিম্ন লিখিত এক বা একাধিক দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন:
- অপসারণ;
- নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক ০১ বৎসর পর্যন্ত আনয়ন;
- অনধিক ০১ (এক) বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ;
- অনধিক ০১ (এক) বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ;
- জরিমানা;
- অনধিক ০৭ (সাত) দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত;
- ভর্ৎসনা ও সতর্কীকরণ;
শাস্তিদানের পদ্ধতিঃ
- শাস্তিদানের জন্য কোন আদেশই বলবৎ করা যাবে না, যদি না কোন শ্রমিক বা কর্মিকে ঃ
- সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মীকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ লিখিতভাবে দেয়া হয়;
- অভিযোগের একটি কপি শ্রমিককে দিতে হবে;
- ব্যক্তিগত শুনানীর সুযোগ দেয়া হয়;
- কারন দশার্নোর জন্য শ্রমিককে কমপক্ষে ০৭ দিন সময় দিতে হবে;
- তদন্তের পর যদি তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়;
- মালিক বা ব্যবস্থাপক বরখাস্তের আদেশ অনুমোদন করেন;
তদন্ত চলাকালীন অপসারণ ঃ
- একজন শ্রমিক বা কর্মী, যার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রস্তাব গ্রহন করা হয়, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যেতে পারে (যদি প্রয়োজন হয়) এবং এই সাময়িক বরখাস্তের সময় ৬০ (ষাট) দিনের বেশী হবে না এবং উক্ত শ্রমিক বা কর্মী সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তার গড় বেতন/মজুরীর অর্ধেক পাবেন।
- সাময়িক বরখাস্তের আদেশ লিখিত ভাবে হবে এবং বরখাস্তে আদেশ শ্রমিককে দিতে হবে।
- তদন্তে অভিযুক্ত শ্রমিককে, তার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত এবং তৎ কর্তৃক মনোনিত কোন ব্যক্তি সাহায্য করতে পারবেন।
শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে, শাস্তির আদেশের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মীকে প্রদান করতে হবে।
জরিমানা সম্পর্কে বিশেষ বিধান ঃ
- কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমাণ অর্থ শ্রমিককে জরিমানা করা যাবে না।
- কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা কিস্তি ভিত্তিতে বা তা আরোপের তারিখ হতে ষাট দিন অতিক্রান্ত হবার পর আদায় করা যাবে না।
- কোন জরিমানা, যে অপরাধের জন্য আরোপিত হয়েছে সে অপরাধ সংঘটনের তারিখেই তা আরোপিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।
- সকল জরিমানা এবং এর আদায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিষ্টারে মালিক কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হবে, এবং আদায়কৃত জরিমানা কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কল্যাণমূলক কাজে ব্যায় করা হবে।
- কোন তদন্তে অভিযুক্ত শ্রমিককে, প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত এবং তৎকর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি সাহায্য করতে পারবেন।
- যদি তদন্তে কোন পক্ষ মৌখিক স্বাক্ষ্য প্রদান করেন, তাহলে যার বিরুদ্ধে এই স্বাক্ষ্য প্রদান করা হচ্ছে তিনি সাক্ষীকে জেরা করতে পাবেন।
- কোন শ্রমিক অনুচ্ছেদ-১ এর অধীনে সংঘটিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে, যদি তার বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ-৩ এর (চ) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় হবে উক্ত শ্রমিক গড় মাসিক মজুরীর অর্ধেক হাবে খোরাকী ভাতা পাবেন।
- যদি তদন্তে কোন শ্রমিকের অপরাধ প্রমাণিত না হয়, তাহলে তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে কর্মরত ছিলেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত সময়ের জন্য তার খোরাকী ভাতা সমন্বয় সহ, মজুরী প্রদেয় হবে।
- শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে, শাস্তির আদেশের একটি কপি সংশি¬ষ্ট শ্রমিককে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
- যদি কোন শ্রমিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রেরিত কোন নোটিশ, চিঠি, অভিযোগনামা, আদেশ বা অন্য কোন কাগজপত্র গ্রহন করতে অস্বীকার করেন, তাহলে তা তাকে প্রদান করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ বা চিঠি বা অভিযোগনামা বা আদেশ এর একটি কপি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত হবে এবং আরেকটি কপি উক্ত শ্রমিকের ঠিকানায় রেজিঃ ডাকযোগে প্রেরণ করতে হবে।
- উপরে বর্ণিত বিষয়সমুহ ছাড়াও সুষ্ঠু তদন্ত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বার্থে প্রচলিত শ্রম আইনে বর্ণিত সকল ধারা এবং উপধারা প্রযোজ্য হবে।
আপীল ঃ
প্রতিটি শ্রমিক বা কর্মী, যার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর তার শাস্তির জন্য অনুযোগ প্রদান করতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মী তার অনুযোগ সঠিক তথ্যসহ প্রদান করতে পারবেন। তার অনুযোগপত্রটি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভাষায় প্রদান করতে হবে।
শাস্তির বিপরীতে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মীর অনুযোগ অবশ্যই আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে।
উপরোক্ত পদ্ধতিটি অবিলম্বে কার্যকরী হবে এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নীতিমালা পরিবর্তন অথবা পরিবর্ধন করতে পারবেন।
সুতরাং, সংশ্লিষ্ট সকলকে কোম্পানীর স্বার্থে উপরোক্ত পদ্ধতিটি প্রণয়নে সর্বাত্বক সহযোগীতা করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
by Mashiur | Dec 10, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
শ্রমিকদের কাজের সময় সূচী সংক্রান্ত নীতিমালা
গার্মেন্টস লিঃ কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী দৈনন্দিন কর্মঘন্টা পরিচালনায় সর্বদা বদ্ধ পরিকর। কারখানার শ্রমিকদের কাজের সময়সূচী/কর্মঘন্টা ঃ (কারখানা আইন-১৯৬৫, ধারা: ৫০-৭৬ ও শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১০০-১০৯) নিম্ন লিখিত সময়সূচি অনুযায়ী কারখানার সাধারন কাজের সময় পরিচালিত হবে।কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কর্মক্ষেত্রে আইনানুগ বিধি-নিষধ এর যথার্থ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সদা সচেতন। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর নবম অধ্যায়ের ১০০-ধারায় বর্ণিত, কোন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক কোন প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ দৈনিক আট ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিবেন না বা তাহাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। তবে ধারা-১০৮ এর বিধান সাপেক্ষে উক্তরূপ শ্রমিক দৈনিক দশ ঘন্টা পর্যন্তও কাজ করিতে পারিবেন। কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কারখনার কার্য সময় সাঠক ভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রচতিল আইনের আলোকে বিশেষ নীতিমালা প্রনয়ন করেছেন যা প্রতিদিনের কর্মঘন্টা এবং প্রতি সপ্তাহের কর্মদিবস সম্পর্কিত আইনগত বিধি ষেধ অনুসারে নির্ধারিত ও পরিচালিত।
কারখানার কাজ শুরুর সময় ঃ সকাল ৮:০০ ঘটিকা হতে
কারখানার কাজ শেষের সময় ঃ বিকেল ৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত
বিরতী ঃ কারখানায় মধ্যাহ্ন বিরতী, নামাজ ও বিশ্রামের জন্য দুপুর ০১:০০ টা হতে ০২:০০ টা পর্যন্ত মোট ০১ ঘন্টা বিরতী।
ক) সাধারণ কার্য-দিবস ( বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১০০ ও ১০১)ঃ সকল শিল্প কারখানা তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দ্ধারিত সময়-সূচী অনুসারে প্রতিদিন সকালে উৎপাদন কাজ-শুরু করবে আবার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করে। দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুসারে প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ০৮(আট) ঘন্টা শ্রম সময় নির্ধারন করা হয়েছে। এই কর্ম সময় দুই ভাগে বিভক্ত করা যাবে যা, সকাল হইতে দুপুর পর্যন্ত দুপুরের এক ঘন্টা আহারের সময়ের পর হইতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
মন্তব্য ঃ আমাদের নির্দ্ধারিত কর্ম সময়-সূচী এটা আমরা নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করি। সময় মত কর্মস্থলে আসা যাওয়ার রেকর্ড রক্ষনাবেক্ষনে আমরা ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যেগ নিব। আমাদের কারখানার প্রতিদিন সকাল ৮.০০ ঘটিকা হইতে কর্ম সময় শুরু হয় এবং দুপুরে ১ ঘন্টা আহারের বিরতির পর একটানা বিকাল ৫.০০ ঘটিকা নিয়মিত কাজ চলে।
খ) ওভারটাই (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১০২ ও ১০৮)ঃ কোন শ্রমিককে প্রতি দুই ঘন্টা, সপ্তাহে ১২ ঘন্টা এবং মাসে ৪৮ থেকে ৫২ ঘন্টার বেশী ওভারটাইম করানো হয় না। আর এ ওভারটাইম কাজ শ্রমিকের নিজ ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত। কোন শ্রমিক যদি ওভার টাইম কাজ করতে না চায় তবে তাকে দিয়ে ওভারটাইম কাজ করানো হয় না। ওভারটাইম কাজ করার জন্য প্রতি শ্রমিককে তার সাধারণ মজুরী থেকে দ্বিগুণ হারে মজুরী প্রদান করা হয়।
মন্তব্যঃ স্ক্যানডেক্স গ্র“প তার শ্রমিককে সময় মত বেতন ভাতা পরিশোধ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে স্ক্যানডেক্স গ্র“প এর একটি সুনাম রয়েছে। এই মজুরী প্রদান পদ্ধতির আরও আধুনিকায়ন করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন আছে।
গ) সাপ্তাহিক ছুটি (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১০৩) ঃ শ্রমিকদের কাজের সময় সুচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কাজের পর বিশ্রাম প্রদান আবশ্যক। এজন্য শ্রম আইন, আই এল ও কনভেনশন এবং দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে শনিবার হতে বৃহস্পতিবার মোট ছয় দিন কর্মদিবসের জন্য একদিন (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা আছে। শ্রমিকেরা সাধারণ ভাবেই এই ছুটি পেয়ে থাকে অনিবার্য কারণে বা বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা না গেলে তৎপরবর্তী দুই দিনের মধ্যে যে কোন একদিন সাপ্তাহিক ছুটির পরিবর্তে ছুটি দেয়ার বিধান আছে।
মন্তব্য ঃ নির্দিষ্ট কাজ শেষে শ্রমিকের বিশ্রাম প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তাকে স্ক্যানডেক্স গ্র“প আইনের সকল প্রয়োগে অঙ্গীকারাবদ্ধ। দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে আমরা সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হিসাবে পালন করা হয়।
অতিরিক্ত কর্মঘন্টা ঃ প্রয়োজন অনুসারে কারখানার সাধারন কর্মঘন্টার অধিক অর্থাৎ বিকাল ০৫:০০টা হতে ০৭:০০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা অতিরিক্ত কর্মঘন্টা হিসেবে আহবান করা যাবে। অতিরিক্ত কর্মঘন্টা বাধ্যতামূলক নয় যা সম্পূর্ণ শ্রমিকের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। এ হিসেবে সপ্তাহে গড়ে (৪৮+১২)= ৬০ ঘন্টা এবং বছরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫৬ (ছাপ্পান্ন) ঘন্টার বেশী করানো যাবে না।
কাজের ঘন্টা
সজ্ঞা ঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর মতে “কমর্-ঘন্টা” অর্থ আহার এবং বিশ্রামের জন্য বিরতি ব্যতীত যে সময় কোন শ্রমিক কাজ করার জন্য মালিকের এখতিযারাধীন থাকেন।
প্রযোয্য ক্ষেত্র ঃ অত্র কারখানায় কার্যরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার জন্য এই নীতিমালা প্রযোজ্য।
কোম্পানীর নীতিসমূহ ঃ
- প্রত্যেক সাত দিনে এক দিন ছুটি প্রদান করবে, ব্যবসার জরুরী প্রয়োজন পূরণ সংক্রান্ত অত্যাবশ্যকতা ব্যতীরেকে।
- গার্মেন্টস বিভাগের দৈনিক কাজের সময় ০৮ ঘন্টা। এক ঘন্টা দুপুরের বিরতি সহ নিয়মিত কাজের এক সিফট সকাল ০৮:০০টায় শুরু হবে এবং বিকাল ০৫:০০টায় শেষ হবে। এবং টেক্সটাইল বিভাগের দৈনিক কাজের সময় ০৮ ঘন্টা। সুবিধা অনুযায়ী এক ঘন্টা বিরতি সহ তিন শিফট, সকাল ০৬.০০ টা থেকে দুপুর ০২.০০ টা, দুপুর ০২.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা এবং রাত ১০.০০ টা থেকে সকাল ০৬.০০ টা।
- গার্মেন্টস বিভাগের উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত কাজের জন্য শ্রমিকদের ইচ্ছার ভিত্তিতে দিনে দুই ঘন্টা করে সপ্তাহে ১২ (বার) ঘন্টার মধ্যে কার্যকাল সীমাবদ্ব রাখবে।
- শুক্রবারকে ছুটির দিন হিসেবে নির্ধারিত করবে এবং বছরে ১১ দিন আইনগত উৎসব ছুটি প্রদান করবে।
- টাইম কার্ড অথবা সুইপ কার্ড অথবা উপস্থিতির রেজিষ্টার এ কর্মীদের স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষরসহ কাজের ঘন্টাসমূহ লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি অবলম্বন করবে, যা তাদের কর্মঘন্টাকে নিশ্চিত করবে।
- আইনতঃঅত্যাবশ্যকীয় সর্বোচ্চ নিয়মিত এবং অতিরিক্ত কাজের ঘন্টাসমূহ এবং দিনসমূহের তথ্যাদি লক্ষ্যনীয় স্থানে লাগাতে হবে যাতে কর্মরত সকলেই জানতে পারে।
- ‘ব্যবসার জরূরী প্রয়োজন’ এই বিষয়টি বিদ্যুৎ সমস্যা, ধর্মঘট, হরতাল, দেশে জরুরী অবস্থা, পোর্ট সমস্যা ইত্যাদি হিসেবে সংজ্ঞায়িত কিন্তু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
প্রয়োজ্য আইনসমূহ এবং নীতিসমূহ:
আইনসমূহ এবং নীতিসমূহের উৎস
- কারখানা বিধিমালা ১৯৭৯
- বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
- বাংলাদেশ সরকার গেজেট
কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ
বাংলাদেশের কারখানার আইন ১৯৬৫ অনুযায়ী কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের অভ্যাস/চর্চাসমূহ যোগাযোগ, বিস্তার এবং দেখাশোনা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে তার মাধ্যমে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহের বাস্তবায়ন করা।
উৎপাদনের সমন্বয় এবং সময় তালিকা প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি সহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ নিয়মিত কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা এবং বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় ছুটির দিন সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ এবং পদ্ধতিসমূহের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
অতিরিক্ত কর্মঘন্টার হার ঃ
(মূল বেতন/২০৮) ী ২ ী অতিরিক্ত কর্মঘন্টা
সাপ্তাহিক ছুটি ঃ প্রতি সপ্তাহে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে শুক্রবার কারখানা বন্ধ থাকবে।
অতিরিক্ত কর্মঘন্টা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
অতিরিক্ত কর্মঘন্টা বিধিবদ্ধ সীমার মধ্যে রাখার জন্য মাসিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কারখানার প্ল্যানিং ব্যবস্থাপক, উৎপাদন ব্যবস্থাপক ও মার্চেন্ডাইজিং ব্যবস্থাপক কর্মঘন্টার উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী চলকগুলোকে যেমন শ্রমিক অনুপস্থিতি, মাইগ্রেশন, ছুটি, পণ্য গুদামজাত করন, লিড টাইম ইত্যাদি আনুসঙ্গিক বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে কর্মঘন্টা নির্ধারন করবেন।
অতিরিক্ত কর্মঘন্টা পরিচালনা পদ্ধতিঃ
সংশ্লিষ্ট সেকশনের ইনচার্জ কর্তৃক নির্দিষ্ট রিকুইজিশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত কর্মঘন্টা আহবান করতে হবে এবং ইচ্ছুক শ্রমিকদের সম্মতি স্বাক্ষর সম্বলিত রিকুইজিশন শ্লিপ কারখানা ব্যবস্থাপক কর্তৃক অনুমোদন নিতে হবে। উক্ত প্রক্রিয়া সাধারন কর্মঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। রিকুইজিশন ব্যাতীত অতিরিক্ত কর্মঘন্টায় কোন শ্রমিক রাখা যাবে না।