by Mashiur | Nov 17, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
বেপজা আইনের ১-এর ৮৯ ধারা ১৫ মোতাবেক যে কোন শ্রমিক চাকুরীচ্যূত হতে পারেন
১. (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ না মানা , একক বা দলগতভাবে ঊর্ধ্বতনের আইনসঙ্গত আদেশ লংঘন করা।
(খ) চুরি , প্রতারনা কিংবা অসাধু পন্থা অবলম্ভন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা।
(গ) প্রতিষ্ঠানের মালামাল/সম্পদের অনিষ্ট সাধন করা।
(ঘ)বেপজা আইন এ ঘুষ দেওয়া বা গ্রহন করা দন্ডনিয় অপরাদ
(চ) সন্তোষজনক কোন কারন কিংবা অনুমোদিত কোন ছুটি ছাড়া পর পর ১০দিন অনুপস্থিত থাকা।
(ছ) সচরাচর যে কোন আদেশ-নিষেধ না মানা বা আইন ভঙ্গ করা।
(জ)প্রায়ই কাজে অবহেলা করা।
(ঝ)ইচ্ছাকৃতভাবে নিজে কিংবা দলগতভাবে কাজে বিরত থাকা।
(ঞ)বেপজা আইন এ মদ্যপান,মারামারি কিংবা হিংসাত্বক কার্যকলাপ বা চরম অশোভনীয় ব্যাবহার করা সম্পুর্ন নিশেদ
(ট)ফ্যাক্টরীর গন্ডীর মধ্যে কোন নাশকতামূলক কাজ লিপ্ত থাকা বা কোন সন্দেহভাজন ব্যাক্তিতে পরিনত হওয়া ।
(ঠ) কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুমোদিত নয় এমন কোন ব্যাপারে ফ্যাক্টরীর মধ্যে চাঁদা আদায় বা চাঁদা তোলার ব্যাপারে প্রচারণা চালানো।
(ড) ফ্যাক্টরীর মধ্যে ধুমপান করা।
(ঢ) ফ্যাক্টরীর মধ্যে বেআইনি কোন হ্যান্ডবিল বিতরন বা পোষ্টারিং করা ।
(ণ) বিনাঅনুমতিতে ফ্যাক্টরীর মধ্যে সমাবেশ বা মিটিং করা।
(ত) ফ্যাক্টরীর মধ্যে জুয়া খেলা ।
(থ) আইন শৃঙ্খলার পরিপন্থী কাজ বার বার করা।
(দ) বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা।
(ধ) কর্মকালীন সময়ে ঘুমিয়ে থাকা।
(ন) ফ্যাক্টরী কিংবা বেপজার অভ্যন্তরে চুরি করা।
(প) ভুল তথ্য – যেমন ঃ নিজের নাম,বয়স,অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সঠিক ভাবে প্রদান না করা।
(ফ) ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে টাকার লগ্নি বা ধারের ব্যবসা করা।
(ব) ফ্যাক্টরীর মালামাল বা স্টোরের জিনিষপত্র অযথা নস্ট করা বা এ ব্যপারে অর্ন্তঘাতে লিপ্ত থাকা।
(ভ) ব্যক্তিগত ভাবে কাজে ফাকি দেওয়া বা ইচ্ছাকৃত ভাবে কাজের গতি কমিয়ে দেওয়া।
(ম) কোন আইন আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত হওয়া।
(য) যদি ফ্যক্টরীতে কোন ইউনিফর্মের প্রচলন থাকে তবে তার সঠিক ব্যবহার না করা এবং নিরাপত্তাজনিত কোন দ্রব্যের সঠিক ব্যবহার না করা।
২. টার্মিনেশন ঃ
বেপজা আইনের ১৩ নং ধারা মোতাবেক কর্তৃপক্ষ কোন কারন দর্শানো ব্যতিরেকে যে কোন শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তাকে নির্ধারিত পাওনাদি পরিশোধ সাপেক্ষে চাকুরীচ্যুত করার ক্ষমতা রাখে।
by Mashiur | Nov 13, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
স্টাফ নিয়োগ কৌশল/পদ্ধতি:
স্টাফ নিয়োগ -প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে কোন স্টাফ/ব্যক্তিকে কোন পদের জন্য নিয়োগ দেয়ার কৌশল/পদ্ধতিই হল ঐ প্রতিষ্ঠানের স্টাফ নিয়োগের কৌশল/পদ্ধতি।
নিয়োগ মানেই শূন্য পদ বা পজিশন পূরণ করা নয় ইহা একটি ধারাবাহিক, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ যার মাধ্যমে অর্গানাইজেশনে একটি উচ্চ মানের কর্ম প্রবাহ সৃষ্টি হবে এবং যারা ঐ অর্গানাইজেশনের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য অর্জন বা পূরণে সমর্থ হবে।
পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, কাজের ধরন এবং অর্জন, কাজের নির্দেশনা, কাজের মান (কাজের প্রতি একাগ্রতা ও নির্ভুল কাজ), পরিকল্পনামাফিক এবং সুশৃঙ্খলভাবে কাজের তদারকি, সিদ্ধান্ত তৈরীর ক্ষমতা, সমন্বয় করার ক্ষমতা, যোগাযোগ করার ক্ষমতা, চারিত্রিক স্বভাব এবং ব্যবহার, সহকর্মী বা টিমের সাথে সম্পর্ক, কোন কিছু শুরু করার ক্ষমতা এবং দায়িত্বজ্ঞান ইত্যাদি এর উপর ভিত্তি করে প্যানেল বোর্ড স্টাফদের মূল্যায়ন করবে ।
ড় প্রত্যেকটি কে.পি.আই কে ওয়েটেইজ পয়েন্ট এর ভিত্তিতে টোটাল মার্কস হিসাব করা হবে এবং মার্কস এর ভিত্তিতে ইনক্রিমেন্ট নির্দেশিত হবে বা নির্বাচন করা হবে
ড় প্রত্যেক স্টাফের আলাদা আলাদা মূল্যায়নপত্র থাকবে যেখানে স্টাফের মূল্যায়ন এবং পদন্নতির বিস্তারিত থাকবে
ড় প্যানেল বোর্ড বছরের নির্দিষ্ট সময় স্টাফদের মূল্যায়ন করে স্টাফদের গ্রেড নির্ধারন করবে এবং গ্রেড অনুযায়ী বেতনবৃদ্ধি এবং পদন্নতি প্রস্তাব করবে। প্রস্তাবপত্রে অবশ্যই প্যানেল বোর্ড সদস্যেদের সিগনেচার থাকবে
ড় ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী মূল্যায়ন রিপোর্টের সারাংশ তৈরী করতে হবে এবং তিন সদস্যের প্যানেল বোর্ড উক্ত মূল্যায়ন রিপোর্টটি প্রস্তাব করবে এবং টপ ম্যানেজমেন্ট কতৃক অনুমোদন নিতে হবে
ড় ফাইনাল অনুমোদনকারী হিসেবে সন্মানিত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মহোদয় ভুমিকা পালন করবেন
ড় টপ ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক নির্ধারিত অ্যাভারেজ ইনক্রিমেন্ট পারসেনটেইজ এর মধ্যে সবার ইনক্রিমেন্ট ব্যালেন্স করতে হবে
ড় কোন স্টাফের প্রস্তাবকৃত মূল্যায়ন পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা প্যানেল বোর্ডের প্রধানকে অবহিত করতে হবে
স্টাফ নিয়োগের কৌশল ও পদ্ধতি গুলো কি কি?
নিয়োগ এবং নির্বাচন পক্রিয়া:
ক্স পেশা, চাকরী বা কাজ বিশ্লেষণ
ক্স নিয়োগের অনুমোদন
ক্স পোষ্ট বা পদের জন্য বিজ্ঞাপন
ক্স নির্বাচন প্যানেল গঠন
ক্স লিখিত এবং মৌখিক / সাক্ষাৎকার পরীক্ষার জন্য নির্বাচন
ক্স সাক্ষাৎকারের জন্য নির্বাচন
ক্স যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ
ক্স নিয়োগের নথিপত্র প্রদান
ক্স নতুন কর্মচারীকে নিয়োগ করা বা পদে অধিষ্ঠিত করা
উদ্যেশ্য:
ড় কাজের প্রবাহ ঠিক রাখা
ড় ফ্যাক্টরির ঊভভরপরবহপু বা কর্মদক্ষতা বাড়ানো
ড় শৃঙ্খলা বজায় রাখা
স্টাফ দুই ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারে:
১.প্রতিস্থাপন নিয়োগ
২.নতুন নিয়োগ
১.২.১ প্রতিস্থাপন নিয়োগ
কোন স্টাফের শূন্য আসন/পদের বিপরীতে কাউকে নিয়োগ দেয়াকে বোঝায়।
নিয়মাবলী:
ড় প্রতিস্থাপন নিয়োগ এর জন্য নতুনভাবে কোন করার প্রয়োজন নেই।
ড় তবে সন্মানিত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মহোদয়কে নিয়োগের ব্যাপারে অবশ্যই অবহিত করতে হবে।
ড় সংশ্লিষ্ট ইউনিট / ফ্যাক্টরীর এইচ.আর এডমিন প্রতিস্থাপন নিয়োগের বিষয়টি এইচ.আর এডমিন জি.এম, সংশ্লিষ্ট ইউনিট / ফ্যাক্টরীর আই.ই ডিপার্টমেন্টকে ইমেইল দিয়ে অবহিত করবে।
১.২.২ নতুন নিয়োগ
শূন্য আসন/পদের বিপরীতে নয়, নতুন একটি পদের জন্য কাউকে নিয়োগ দেয়াকে বোঝায় কিংবা আগে থেকেই যে পদটি শূন্য ছিল সেই পদের বিপরীতে নিয়োগকে বোঝায়।
নিয়মাবলী:
ড় ম্যানপাওয়ার রিকয়ারমেন্ট ফরমে অবশ্যই এডমিন জি.এম এবং সন্মানিত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হোদয়ের লিখিত অনুমোদন থাকা সাপেক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
ড় স্টাফ নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে কোম্পানী নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতার নিচে কোন স্টাফ নিয়োগ করা যাবে না।
ড় কোন অবস্থায় একক সিদ্ধান্তে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না।
১.২.৩ সি.ভি সংগ্রহের পদ্ধতি:
ড় সরাসরি রেফারেন্সের মাধ্যমে
ড় জব সার্চিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ( বিডি জবস / প্রথম আলো জবস)
ড় সংবাদপত্র / মিডিয়া / টেলিভিশন
১.২.৪ সি.ভি আহবান এবং বাছাই পদ্ধতি:
ড় সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এবং এইচ.আর এডমিন ডিপার্টমেন্ট সংগ্রহিত সি.ভি সমুহের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে একটি তৈরী করবে।
ড় প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে বাছাইকৃত / সর্ট লিষ্টেড প্রার্থীদের নির্দিষ্ট দিনে এবং সময়ে মোবাইল, টেলিফোন, চিঠি এবং ইমেইলের মাধ্যমে মৌখিক কিংবা লিখিত পরীক্ষার জন্য আহবান করবে।
১.২.৫ মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্দেশাবলী:
ড় মাসের ১০, ২০ অথবা ৩০ তারিখে বাছাইকৃত চাকরী প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য আহবান করা হবে।
ড় যদি মাসের ১০, ২০ অথবা ৩০ তারিখ কোন ছুটির দিন হয় তাহলে মৌখিক পরীক্ষা তার পরবর্তী কর্মদিবসে সম্পন্ন করতে হবে।
ড় প্যানেল বোর্ড গঠন করে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার মূল্যায়ন করতে হবে। অবশ্যই প্যানেল বোর্ড স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টের হেড / ম্যানেজার, আই.ই হেড / ম্যানেজার এবং এইচ.আর এডমিন হেড / ম্যানেজার দের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
১.২.৬ প্রার্থী চুড়ান্ত বাছাই পদ্ধতি:
ড় প্যানেল বোর্ড প্রথমত লিখিত কিংবা মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করবে
ড় লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবশ্যই আই.ই ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক তৈরী হতে হবে
ড় লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার মোট ফলাফলের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করতে হবে
ড় লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীকে আলাদাভাবে পাশ করতে হবে
ড় লিখিত কিংবা মৌখিক এর কোন একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হলে প্রার্থীকে নিয়োগের অযোগ্য বলে গন্য করা হবে
ড় সর্বোচ্চ রেজাল্টধারীকে চুরান্তভাবে নিয়োগের জন্য প্যানেল বোর্ড সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে প্রস্তাব করবে
ড় এইচ.আর এডমিন ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই সন্মানিত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ঐড়হড়ৎধনষব ঊীবপঁঃরাব উরৎবপঃড়ৎ) মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে দায়িত্বরত হেড / ম্যানেজারের কনফার্মেশন পত্র নিয়ে নির্বাচিত প্রার্থীকে ফোনের মাধ্যমে নিয়োগ নিশ্চিত করবে
দাযিত্বরত ব্যক্তি:
ড় স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বরত হেড / ম্যানেজার
ড় আই.ই হেড / ম্যানেজার
ড় এইচ.আর এডমিন হেড / ম্যানেজার
পর্যবেক্ষক:
ড় আই.ই হেড / ম্যানেজার
ড় এ্যাডমিন জি.এম
ড় প্রডাকশন জি.এম
ড় সন্মানিত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর
১.৩.১ পারফর্মেন্স মূল্যায়ন
হল প্রত্যেক কর্মচারী বা ব্যক্তির কাজ বা কর্মক্ষমতার এবং কাজে উন্নয়নের সম্ভাবনা বা ক্ষমতার একটি নিয়ামানুগ ও পুনরাবৃত্তি / মেয়াদী মুল্যায়ন প্রক্রিয়া।
১.৩.২ পারফর্মেন্স মূল্যায়নের উদ্যেশ
ড় কর্মচারীর প্রতিক্রিয়া
ড় ক্ষতিপূরণ সিদ্ধান্ত
ড় পদন্নতি / পদাবনতি / স্থানান্তর
ড় ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষন
ড় প্রতিশ্রুতিশীল কর্মচারীদের সম্ভাব্য স্বীকৃতি
ড় স্ব-ভক্তি বা আত্মনিষ্ঠা হ্রাস
ড় কর্মচারীর জন্য স্বচ্ছতা
ড় পর্যবেক্ষণে উন্নতি
১.৩.৩ পারফর্মেন্স মূল্যায়ন প্রক্রিয়া
ড় কর্মবিশ্লেষণ (ঔড়ন অহধষুংরং)
ড় ডেলিভারএ্যাবলস / সুযোগ বুঝতে পারা
ড় কার্যবিবরণ বিস্তারিত বর্ণনা
ড় পারফর্মেন্সের মানদন্ড প্রতিষ্ঠা
ড় পারফর্মেন্সের মানদন্ড নির্ধারণ
ড় পারফর্মেন্স পরিমাপের বেঞ্চমার্ক
ড় সাধারন কর্মচারী দ্বারা অধিগম্য / লভ্য
ড় পরিস্কার এবং বোধগম
ড় কমিউনিকেটিং পারফর্মেন্স স্ট্যান্ডার্ড
ড় মূল্য নির্ধারক বনাম মূল্যায়ন বা মূল্য নির্ধারণ
ড় উভয়কেই মানদন্ডের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে বা যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে যোগাযোগের মাধ্যম হবে লিখিত
ড় প্রকৃত / আসল পারফর্মেন্সের পরিমাপ
ড় উদ্যেশ্য পরিমাপ: পরিমানগত ও যাচাইযোগ্য
ড় বিষয়ী পরিমাপ: ব্যক্তিগত মানদন্ড ও মতামত
ড় সংশোধনী পদক্ষেপ
ড় ইতিবাচক: আলোচনা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা
ড় নেতিবাচক:অপমানকর এবং সতর্কতামূলক
১.৩.৪ পারফর্মেন্স মূল্যায়ন পদ্ধতি
পারফর্মেন্স মূল্যায়ন পদ্ধতি দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে –
১. গতানুগতিক পদ্ধতি
২. আধুনিক পদ্ধতি
গতানুগতিক পদ্ধতি
ড় আনস্ট্রাকচারড পদ্ধতি
ড় সরল পদ্ধতি
ড় জোড় তুলনা পদ্ধতি
ড় ম্যান টু ম্যান বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা
ড় চেকলিস্ট পদ্ধতি
ড় উন্মুক্ত রচনা পদ্ধতি
ড় জটিল ঘটনা পদ্ধতি
ড় মাঠ পর্যালোচনা পদ্ধতি
১.৩.৫ স্টাফদের বাৎসরিক মূল্যায়ন কৌশল:
যে প্রকৃয়া, পদ্ধতি বা কৌশল এর মাধ্যমে বাৎসরিক কাজের ধরন ও তার অগ্রগতির (অর্জন) উপর ভিত্তি করে স্টাফদের মূল্যায়ন করা হয়। স্টাফদের মূল্যায়ন পদ্ধতি বা কৌশল যে কোন অর্গানাইজেশনের মানদন্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।
উদ্দশ্যে :
ড় স্টাফদের মূল্যায়ন পদ্ধতির মানদন্ড তৈরী করা
ড় স্টাফদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা
ড় স্টাফদের কাজের মান ও কাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা বাড়ানো
ড় স্টাফদের কে অনুপ্রেরণা যোগানো
ড় শ্রম আইন মেনে চলা
নিয়মাবলী:
ড় স্টাফদের একটি সতন্ত্র ডাটাবেইজ থাকবে যেখানে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি বিস্তারিত থাকবে যেমন: নাম, আই.ডি নং, পদবি, ডিপার্টমেন্ট, যোগদানের তারিখ, বর্তমান বেতন, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি।
ড় ডাটাবেইজ থেকে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী স্টাফদের একটি তালিকা তৈরী করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ড় স্টাফদের মূল্যায়নের জন্য ডিপার্টমেন্টাল হেড, আই.ই হেড এবং এইচ.আর এডমিন হেডদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল বোর্ড গঠন করতে হবে ।
ড় প্যানেল বোর্ড কমিটির হেড হিসেবে আই.ই ডিপার্টমেন্টের হেড বা ম্যানেজার ভুমিকা পালন করবে।
ড় স্টাফদের মূল্যায়নের জন্য প্যানেল বোর্ড ডাটাবেইজ থেকে কিংবা যে কোন সেকশন / ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রয়োজন মত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।
ড় কে.পি.আই এর ভিত্তিতে স্টাফদের মূল্যায়ন করতে হবে। কাটিং, সুইং, ফিনিশিং, কোয়ালিটি ইত্যাদি ডিপার্টমেন্টের কে.পি.আই ) ভিন্ন ভিন্ন হবে। যেমন কাটিং সেকশন (টেবিল নং ১.৩.১), সুইং সেকশন (টেবিল নং ১.৩.২), ফিনিসিং সেকশন (টেবিল নং ১.৩.৩), কোয়ালিটি সেকশন (টেবিল নং ১.৩.৪), মেইন্টেনেন্স সেকশন (টেবিল নং ১.৩.৫) এবং স্টোর সেকশন (টেবিল নং ১.৩.৬) স্টাফদের পারর্ফমেন্স মূল্যায়ন কে.পি.আই (কচও) নি¤œরূপ-
অর্গানাইজেশনাল স্ট্রাকচার:
ড় অর্গানাইজেশনাল স্ট্রাকচার কোম্পানীর সকল কর্মচারির অফিশিয়াল রিপোর্টিং রিলেশনসীপের গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে যা কোম্পানীর কাজের নিয়মাবলী / নির্দেশাবলী / নীতিমালা হিসেবে বিবেচিত
ড় কোম্পানীর কাঠামোগত সীমারেখা যা কোম্পানীতে নতুন কোন পদ / পদবী / অবস্থান তৈরীতে সহজতর করে
ড় অপারেশনাল ইফিসিয়েন্সি বৃদ্ধি করে
ড় সিদ্ধান্ত গঠন এবং যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
ড় জনশক্তিকে কর্তৃত্ব / ক্ষমতা / শাসন বা দায়িত্বভার বিতরনে সক্ষম
ড় যখন কোন ব্যক্তি চাকুরীতে নতুন যোগদান করে, সাথে সাথে জানতে পারবে সে কোথায় এবং কাহাকে রিপোর্ট করবে
ড় কর্মচারীর পারফর্মেন্স মূল্যায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ‘-
ড় কোম্পানীর নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে / অর্জনে অর্গানাইজেশনাল স্ট্রাকচার গুরুত্বপূর্ণ
ড় অর্গানাইজেশনাল স্ট্রাকচার এ চেইন অব কমান্ড বজায় থাকে
by Mashiur | Nov 5, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
বাংলাদেশের কারখানা আইন – ১৯৬৫
বাংলাদেশের কারখানা আইনের সারাংশ নিুে দেওয়া হলো ঃ –
১। এই আইন শুধুমাত্র সেই সকল কারখানার জন্য প্রযোজ্য হবে, যেখানে ১০ বা তারও অধিক কর্মী নিয়োগ প্রাপ্ত আছে।
২। উৎপাদন প্রত্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট দক্ষ, অদক্ষ, কারিগরিক, অথবা করণিক কাজে লিপ্ত সকলেই কর্মী হিসাবে আখ্যায়িত করা হবে।
৩। জনবলের আভিধানিক বিষয় হলোঃ- বয়স্ক, কিশোর ও শিশু।
ক) বয়স্ক ব্যক্তি ঃ যার বয়স ১৮ বা তারও বেশি।
খ) কিশোর ঃ যার বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছর।
গ) শিশু ঃ যার বয়স ১৪ বছরের নিচে।
৪। মজুরীর সংঙ্গা মজুরী আইন ১৯৩৬ – এ আছে। যেমনঃ স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর মজুরী সর্বসাকুল্যে নুন্যতম ৯৩০.০০ টাকা।
৫। সাপ্তাহিক ছুটি ঃ সপ্তাহে ১ (এক ) দিন।
৬। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ হলে অন্য একদিন অতিরিক্ত ছুটি দিতে হবে।
৭। একজন বয়স্ক কর্মী দিনে ৬ ঘন্টার বেশী কাজ করতে বাধ্য নহে যদি না ১ ঘন্টা বিরতি দেয়া হয় অথবা ৫ ঘন্টার বেশী কাজ করতে বাধ্য নহে যদি না অর্ধ ঘন্টা বিরতি দেয়া হয়ে থাকে।
৮। ক) সাপ্তাহি কাজের সময়-
ক্স দিনে ৯ ঘন্টা ( ১ ঘন্টা বিরতি সহ )
ক্স সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা ।
খ) সপ্তাহে অধিককাল ( ওভার টাইম সহ ) সর্বোচচ ৬০ ঘন্টা। তবে বছরে গড়ে ৫৬ ঘন্টার বেশী নয়।
৯। অধিক কাল ওভার টাইম ) কাজ করলে দ্বিগুন হারে মজুরী দিতে হবে।
১০। সনাক্ত করার জন্য প্রতিটি কর্মীর আলাদা আলাদা আইডি কার্ড থাকতে হবে।
১১। মজুরী সহ বাৎসরিক ছুটিঃ-
ক্স প্রতি ২২ কার্য দিবসে ১ দিন।
ক্স একত্রিকরণ (বয়স্ক শ্রমিক) সর্বোচচ ২০ দিন।
১৪। নৈমিত্তিক ছুটিঃ মজুরীসহ ১০ দিন এবং এই ছুটি পরবর্তী বছরে যোগ হবে না।
১৫। অসুস্থতা ছুটিঃ ১৪ দিন (অর্ধবেতনে) এবং এই ছুটি পরবতী বছরে যোগ হবে না।
১৬। উৎসব / ট্রাডিশনাল ছুটিঃ মজুরীসহ কমপক্ষে ১০ দিন (সরকারী সাধারণ ছুটি) এবং এই ছুটি পরবর্তী বছরে যোগ হবে না। পর্ব উপলক্ষে যে কোন
অবকাশের দিন হলে শ্রমিককে কাজ করানো যেতে পারে। কিন্তু এর বিনিময়ে ৫১ ধারা অনুসারে ক্ষতিপুরণমুলক ২ দিনের পূর্ণ বেতন এবং একটি বিকল্প
ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
১৭। গর্ভকালীন ছুটি ঃ পুর্ণ মজুরী সহ শিশু জন্মের পূর্বে ৬ সপ্তাহ এবং শিশু জন্মের পরে ৬ সপ্তাহ মোট ১২ সপ্তাহ ছুটি প্রদান করা হবে। এই ছুটি কেবল মাত্র
তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা কমপক্ষে ৯ মাস যাবৎ কর্মরত আছে।
১৮। কর্মীদের স্বাস্থ্য, পরিচছন্নতা, নিরাপত্ত্বা ও কল্যানের বিষয়ে কারখানা আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিধান আছে।
শ্রম আইনের আলোকে আমাদের কারখানা নীতিমালা :
অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতি
সকল মানুষ ও পারিপার্শ্বিকতার প্রতি সমান সম্মান প্রদর্শনে বিশ্বাসী। দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করে শ্রদ্ধার সাথে নিুোক্ত নীতি অনুকরণ করে এবং এ ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা কামনা করে।
১। কর্মসংস্থান, বেতন, সুযোগ-সুবিধা, অগ্রিম প্রদান, কর্মচ্যুতি অথবা অবসর গ্রহণের সিন্ধান্ত সম্পুর্ণভাবে প্রতিটি কর্মীর নিজস্ব শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাদারী যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রের কর্ম দক্ষতার উপর নির্ভরশীল। এ ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, বৈবাহিক বা গর্ভাবস্থা অথবা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা বয়সের কারণে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হয় না।
২। স্থায়ী আইন সর্বদা মেনে চলা হয় এবং স্থানীয় আইনের প্রতি সর্বদা সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
৩। উর্দ্ধতন ব্যবস্থাপক কোম্পানীর সকল নীতি প্রয়োগে সজাগ দৃষ্টি রাখেন যাতে করে কারো প্রতি কোন প্রকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয় না।
৪। কর্মীদের ন্যায়সংগত সুযোগ-সুবিধা এবং কর্ম-সন্তষ্টি নিয়ে ব্যবস্থাপকের সাথে আলোচনার জন্য কোম্পানীতে গঠিত “শ্রমিক ফোরাম ও কমপ্লায়েন্স বিভাগ” অন্যতম মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে।
৫। কর্মীদের জানার এবং পরিস্কার ধারণা থাকার জন্য কোম্পানীর সকল নীতি বোর্ডে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নতুন কর্মীদের পরিচিতি মূলক প্রশিক্ষন এবং নিদিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সকল কর্মীদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণে নীতি সমুহ আলোচনার ব্যবস্থা আছে।
৬।কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীকে কাজের নাথে সম্পর্কহীন কোন ব্যক্তিগত বা আইন বহির্ভূত প্রশ্ন করা হয় না।
৭। কর্মক্ষেত্রে নতুন কোন সুযোগ সৃষ্টি হলে প্রথমে পৃরাতন কর্মীদেরকে জানানো হয় এবং তাদেরকে প্রতিযোগিতা করার জন্য সম্পুর্ন সুযোগ দেওয়া হয়।
৮। চাকুরী প্রার্থীবদের দরখাস্তসমুহ পর্যালোচনার মাধ্যমে অ-পক্ষপাতিত্বমূলক নীতির সামঞ্জস্যতা মূল্যায়ন করা হয়।
৯। বিশেষ ধরণের কাজে, বিশেষত যারা শারিরীকভাবে দূর্বল, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় চাহিদার দিকে নজর দেওয়া হয়।
by Mashiur | Nov 5, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
শ্রমিক নিয়োগ পদ্ধতি
উদ্দেশ্যঃ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অপক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীন নিয়োগ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলে, তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আচরণ বিধি নিয়ম মানা হয়ে থাকে । শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে কারখানার এডমিন ম্যানেজার, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান, রিক্রুটিং অফিসার ও মেডিকেল অফিসারের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।
আমাদের শ্রমিক নিয়োগ পদ্ধতি নিম্নরূপ ঃ
- আবেদনকারী আমাদের প্রাথমিক সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ন হলে আমরা তাকে আমাদের কোম্পানীর নিয়োগকৃত ডাক্তার দ্বারা তার বয়স ও সক্ষমতা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমরা কোন মহিলা প্রার্থীকে কোন প্রকার গর্ভাবস্থার বিষয়ে পরীক্ষা বা প্রশ্ন করি না।
- বয়স যাচাই হলে প্রশাসন বিভাগ থেকে তার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র পূরন করে ঐ দিন থেকে তার নিয়োগ দেওয়া হয়।
- নিয়োগ নিশ্চিত হবার পর আমরা অবশ্যই প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগ পত্র, শ্রমিক সহয়িকা এবং সার্ভিস বুক প্রদান করে থাকি। এ সমস্ত শ্রমিকগন স্থায়ী শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে থাকে।
আমরা কোন শ্রমিককে জোর পূর্বক কাজে বাধ্য করি না।
- নিয়োগ দানের পর নির্বাচিত কর্মীদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর প্রশিক্ষন দান করা হয় ক) তাকে কোম্পানীর নিয়মনীতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। খ) স্বাস্থ্য বিধি এবং নিরাপত্তা বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দান করা হয়। গ) শ্রমিকদের অধিকার, শ্রমআইন, ছুটির পদ্ধতি, মজুরীর হিসাব আত্বরক্ষামূলক পদ্ধতি ইত্যাদি সরঞ্জামাদি ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
- চাকুরীতে যোগদান ঃ চাকুরীতে যোগদানের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিুোক্ত কাগজপত্রসহ নির্ধারিত ফরম পূরণ করে কারখানা
অফিসে জমা দিতে হবে। ক) ২ (দুই) কপি ছবি (সত্যায়িত)। খ) চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকতা সনদ। গ) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ বা স্কুল পাশের সার্টিফিকেট। ঘ) মেডিকেল চেকআপ রিপোর্ট
- কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, গোত্র, লিঙ্গ নির্বিশেষে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। নতুন কর্মী বাছাই ও নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিুলিখিত পদ্ধতি সমুহ অনুসরণ করে থাকে।
- শূন্য পদে নিয়োগের জন্য নোটিশ বোর্ড বা পোস্টারের মাধ্যমে এবং কখনও কখনও পত্রিকার মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়।
- আমরা কোন শিশু শ্রমিক বা ১৮ বছরের কম বয়সের কোন শ্রমিক নিয়োগ করি না।
শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা স্থানীয় পত্রিকা, পোষ্টার, ব্যানার বা অন্য কোন উপায়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি।
- নতুন শ্রমিক বাছাই করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়।
- নতুন শ্রমিক বাছাই বা নিয়োগের ক্ষেত্রে অত্র কোম্পানীতে কর্মরত কোন লোক বা বাছাই কমিটির লোকজন বা বাইরের কোন লোক যাতে কোন চাকুরীপ্রার্থীর কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা বা চাঁদা না নিতে পারে কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করে থাকেন।
- শ্রমিকদেরকে সাধারনতঃ তিনটি শ্রেনীতে ভাগ করে নিয়োগ করা হয়। ক) দক্ষ শ্রমিক খ) অর্ধদক্ষ শ্রমিক গ) অদক্ষ শ্রমিক।
- দক্ষ ও অর্ধদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কোম্পানী কর্তৃক ছাপানো আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ স্বাপেক্ষেই কেবল আবেদনপত্র বাছাই করা হয়।
- বাছাইকৃত শ্রমিকদেরকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়ে বাস্তব কাজের পরীক্ষার মাধ্যমে তার দক্ষতার মূল্যায়ন করা হয় এবং মূল্যায়ন ফরম পূরন করে তা সংগ্রহ করা হয়।
- দক্ষতা এবং ইন্টারভিউ পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচন করা হয়।
- শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতা ও বয়স যাচাইয়ের জন্য দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শ্রমিকদেরকে কারখানায় ডাক্তারের নিকট মেডিক্যাল চেক আপ এবং বয়স নির্ণয়ের জন্য পাঠানো হয়।
- চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে বেতন ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদির
- বিস্তারিত বিবরনসহ নিয়োগপ্রত্র প্রদান করা হয়।
- অদক্ষ শ্রমিকদেরকে শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে আবেদনপত্র বাছাই করা হয়।
- বাছাইকৃত প্রার্থীদের ওহঃবৎারবি ও ওছ টেস্টের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়।
- শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতা ও বয়স যাচাইয়ের জন্য দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শ্রমিকদেরকে কারখানায় ডাক্তারের নিকট গবফরপধষ ঈযবপশ ঁঢ় এবং বয়স নির্ণয়ের জন্য পাঠানো হয়।
- নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে বেতন ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদির বিস্তারিত বিবরণসহ নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।
- নিয়োগপত্র প্রদানের পর দক্ষ অদক্ষ সকল শ্রমিকের জন্যই একটি ঙৎরবহঃধঃরড়হ বা পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
- যেখানে ন্যায্য শ্রমনীতি, ক্রেতার আচরন বিধি, কোম্পানীর নিয়ম কানুন বিশদভাবে আলোচনা করা হয় এবং ডড়ৎশবৎং ঐধহফনড়ড়শ এর একটি কপি প্রদান করা হয়।
- আবেদনকারীদের সমান সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়, আমরা কখনও জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ বৈবাহিক বা গর্ভাবস্থা অথবা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা বয়সের কারণে পক্ষপাতমূলক আচরন করি না। আবেদনকারীদের মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দান করা হয়।
চাকুরী হতে অব্যহতি দেওয়ার নিয়ম ঃ
ক) চাকুরী ছাড়তে হলে চাকুরী ছাড়ার ১৪ দিন আগে কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করতে হবে। নোটিশ প্রদান না করলে ১৪ দিনের মজুরী/বেতন কাটা যাবে।
খ) অসুস্থতার কারণে চাকুরী ছেড়ে দিতে হলে মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নোটিশ প্রযোজ্য নয়।
গ) চাকুরী ছাড়ার পর কো¤পানীর প্রদত্ত্ব মালামাল অর্থাৎ ড্রেস, কাটার, টেপ, ববিন ইত্যাদি দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকের নিকট জমা দিয়ে কারখানা থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
নিয়োগপত্র প্রদান
নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে নিয়োগপত্র প্রদানের আগে মেডিকেল টেস্টের সম্মুখীন হতে হয়।
নিয়োগের জন্য মনোনীত প্রত্যেককেই নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয়। নিয়োগ পত্রে নিু লিখিত উল্লেখ থাকেঃ
১। পদ
২। যোগদানের তারিখ সময়, তারিখ ও স্থান।
৩। বেতন
৪। অবেক্ষকাল
চাকুরী অবসানের ক্ষেত্রে (কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক) উভয়পক্ষের শর্তাবলী।
নিয়োগ চুক্তি গ্রহনের পর একজন শ্রমিক কোম্পানীর অন্তভূক্ত হন এবং এই ম্যানুয়ালের নিয়ম-কানুন মেনে নিতে দায়বদ্ধ হন।
কো¤পানী প্রদত্ত্ব সুবিধাদি ঃ
ক) একটানা ৭ (সাত) বছর বা তদুর্ধে চাকুরী করলে প্রতি বছরের জন্য এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমান অর্থ গ্রাচ্যুইটি হিসাবে
প্রদান করা হয়।
খ) প্রত্যেক শ্রমিক ও কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় যদি কোন প্রকার দুর্ঘটনায় কবলিত হয় তবে তাকে সব ধরনের সুবিধাদি প্রদান করা
হয়।
গ) বছরে দুইটি উৎসব বোনাস প্রদান করা হয় (প্রতি বোনাস একমাসের মূলবেতনের সমপরিমান)।
ঘ) প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় যদি মৃত্যু বা অংগহানী ঘটে তাহলে গ্র“প নিু হারে ক্ষতিপরণ প্রদান করিবে।
পরিচিতি পর্ব
- নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যাক্তি প্রশাসনিক শাখায় একটি যোগদান পত্র প্রদান করেন এবং তা প্রশাসনিক ব্যাবস্থাপকের দ্বারা যোগদান পত্রটি গৃহীত হওয়ার পর তিনি কাজে যোগদান করেন। যোগদান পত্রটি তার ব্যাক্তিগত ফাইলে রাখা হয়।
- নতুন শ্রমিক কর্মস্থলে যোগদানের প্রথম দিনে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি, সহকর্মীগন, কাজের পরিবেশ, তার নিকট কর্তপক্ষের প্রত্যাশার ব্যাপারে অবহিত বা পরিচিত করা হয়। পরিচিতি পর্যায়টি সাধারনত নূতন শ্রমিকের সুপারভাইজার দ¡ারা সম্পন্ন করা হয়।
- অবেক্ষকাল ও চাকুরী স্থায়ীকরন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিক ৩ মাস অবেক্ষমান থাকেন এবং শ্রমিকের কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে চাকুরী স্থায়ীকরন করা হয়। কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় অবেক্ষকাল ক্ষেত্রবিশেষে অধিকন্তুু ৩ মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে। অবেক্ষকালীন অবস্থায় একজন শ্রমিক নৈমিত্তিক বা অসুস্থ্যতার ছুটি ভোগ করতে পারেন, কিন্তু একবছর পূুর্ণ হবার আগে অর্জিত ছুটি ভোগ করতে পারবেন না।
প্রশিক্ষন ও উন্নয়নঃ
- প্রশিক্ষন কর্মচারীর কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং তার পূর্বের অভিজ্ঞতার সাথে আরও বেশি অভিজ্ঞতা যোগ হয় যা তার বর্তমান জীবিকাকে সুসজ্জিত করে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের জীবিকা ও অধিক দায়িত্ব নিতে সাহায্য করে।
- কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে। কোম্পানীর মানব সম্পদ বিভাগে রয়েছে সুসংগঠিত ও উচ্চমান সম্পন্ন প্রশিক্ষন শাখা, যারা বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর নীতিমালা এবং ট্রেনিং মেটেরিয়াল তৈরী করে থাকে।
- ট্রেনিং শাখার কার্যক্রম শুধুমাত্র কারিগরী বিষয়ে ট্রেনিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় উপরন্তুু ঈড়সঢ়ষরধহপব ও ব্যক্তিগত আচরণ বিধি, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশ দূষণ এবং অন্যান্য সামাজিক সচেতনতা যেমন পরিবার পরিকল্পনা, এইডস, আর্সেনিক দূষণ, ডেঙ্গুজর, ডাইরিয়া, শিশু পরিচর্যা এবং অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগের উপর প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে।
- কর্তৃপক্ষ যদি বিবেচনা করেন যে কোন শ্রমিকের কর্মদক্ষতা অথবা নূতন কোন যন্ত্র বা কর্মপদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে এবং প্রয়োজনে কোম্পানীর ব্যয়ে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়।
বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধার বিবরনঃ
কর্তৃপক্ষ যে কোন শ্রমীকের ক্ষেত্রে তার পদমর্যাদা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে প্রত্যেকের বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা নির্ধারন করে থাকেন।
সর্বমোট বেতন (এৎড়ংং)=মূল বেতন+বাড়ীভাড়া (যা মূল বেতনের ৩০%)+চিকিৎসা ভাতা ১৫০/= (নির্ধারিত)।
অর্থাৎ মুল বেতন = সর্বমোট বেতন (এৎড়ংং) – ১৫০ টাকা (চিকিৎসা ভাতা)
ওভারটাইম হিসাবঃ মূলবেতন ০২ মোট ওভারটাইম ঘন্টা
শ্রমিকদের প্রত্যেক মাসের বেতন এবং অতিরিক্ত কাজের মজুরী একই সাথে পরবর্তী মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান করা হয়।
বেতন-ভাতাদি প্রদানের পূর্বে প্রত্যেক শ্রমিককে বিস্তারিত ‘বেতনের হিসাব’ লিপিবদ্ধ করে ‘পে স্লিপ’ প্রদান করা হয়।
বেতন প্রদানের সময় প্রত্যেক শ্রমিকের পরিচয় পত্র দেখে তাকে বেতন প্রদান করা হয়।