Select Page
ওভারলক মেশিন কি? ওভারলক মেশিন ব্যবহারের নির্দেশাবলী গুলো কি কি?

ওভারলক মেশিন কি? ওভারলক মেশিন ব্যবহারের নির্দেশাবলী গুলো কি কি?

ওভারলক মেশিন ব্যবহারের নির্দেশাবলী

ওভারলক মেশিন ব্যবহার – বিশ্রাম বা আহারের বিরতি: বাংলাদেশ শ্রম আইন এর ১০১ ধারা অনুযায়ী, কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক দৈনিক ছয় ঘন্টার অধিক কাজ করালে তাকে বিশ্রাম বা আহারের জন্য ১ ঘন্টা বিরতি দেয়া হয়। ওভারলক মেশিনে কাজ শুরু করার নিয়মাবলীঃ Interval for rest or meal: As per section 101 of the Bangladesh Labor Law 2006, Any worker in any establishment shall not be liable to work either for more than six hours in any day unless he has been allowed to take meal or rest…

ওভারলক মেশিনে কাজ শুরু করার পূর্বে লক্ষ্যণীয় ঃ

  • পাদানীর উপর পা রাখুন এবং গোড়ালীর দিকে চাপ রাখুন। মেশিনে বসার সময় লক্ষ্য করুন মেশিন পরিষ্কার আছে কিনা। না থাকলে সর্বপ্রথম মেশিন পরিষ্কার করুন।
  • ডান হাত মেশিনের সইচের উপর রাখুন এবং সবুজ রং এর বোতাম চাপ দিন।মেশিনে কোন ছেড়া বা খোলা তার আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন। থাকলে মেকানিককে তা ঠিক করতে বলুন।
  • মটর সম্পূর্ন চালূ হলে পওে আপনার কাজ শুরু করুন। মেশিনের আই গার্ড, নিডেল গার্ড, বেল্ট আভার, পুলি কাভার, মোটর কাভার, ফিংগার গার্ড ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন।
  • কাটার-সিজার সঠিকভাবে মেশিনের হূকের সাথে বেধেঁ নিন।
  • মহিলা শ্রমিকগন মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
  • মেশিন বন্ধ করার সময় লাল রংয়ের বাটন চাপ দিন, এবং মেশিন ভালভাবে পরিস্কার করে কভার দিয়ে ঢেকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে হবে। সকল শ্রমিকগন মুখে মাস্ক ব্যবহান করুন।

ওভারলক কাজ শুরু করার নিয়মাবলী ঃ

  • মেশিনের মটর চালু রেখে বাথরুমে যাবেন না বা অন্য কারও সাথে গল্প করবেন না।পাদানীর উপর পা রাখুন এবং গোড়ালীর দিকে চাপ রাখুন।
  • ডান হাত মেশিনের সুইচের উপর রাখুন এবং সবুজ রঙয়ের বোতাম চাপ দিন।
  • মটর সম্পূর্ন চালু হলে পরে আপনার কাজ আরম্ভ করুন।

কাজ শেষে লক্ষণীয় ঃ

  • ছুটির সময় লাল রংয়ের বাটন চাপ দিন এবং মেশিন ভালভাবে পরিষ্কার করে কর্মস্থল ত্যাগ করুন।
  • মেশিনের মটর চালু রেখে বাথরুমে যাবেন না বা অন্য কারও সাথে গল্প করবেন না।

সম্ভাব্য দুর্ঘটনাসমূহ ঃ

  • মেশিনের কোন ছেড়া বা খোলা তার থাকলে ইলেকট্রিক শক হতে পারে। মেশিনের কোন ছেড়া বা খোলা তার থাকলে ইলেকট্রিক শক হতে পারে।
  • আই গার্ড ব্যবহার না করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আই গার্ড ব্যবহার না করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয়, তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

নিডেল ও ভাঙ্গা নিডেল সংরক্ষন ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা সমুহের বর্ণনা

নিডেল ও ভাঙ্গা নিডেল সংরক্ষন ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা সমুহের বর্ণনা

নিডেল ও ভাঙ্গা নিডেল  নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা

নিডেল ও ভাঙ্গা নিডেল সংরক্ষন – অটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাপনা কার্যকর করণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয। যা রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ। ভাঙ্গা নিডেল সংরক্ষন ও ব্যবস্থাপনার জন্য কর্তৃপক্ষ নিম্ন লিখিত পদ্ধতি প্রনয়ণ করেছেন যা সকলের জন্য প্রযোজ্য। অতি উন্নত মান সম্পন্ন পোশাক প্রস্তুত করার জন্য আমাদের প্রয়োজন উন্নত মানের কাপড়ের তৈরী যাহা পোশাক ব্যবহারকারীর জন্য রুচিকর ও আরামদায়ক। মানব শরীরকে সুই এর আঘাতজনিত ঝুকি হতে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুতকৃত পোশাককে সুই মুক্ত করার জন্য আগাগোড়া পরীক্ষা করতে হবে। এর জন্য নিম্ন প্রদত্ত ‘‘সুই নীতি’’ প্রয়োজন।

পদ্ধতি সমূহঃ

  • নতুন সুই ইস্যু করার সময় সকল ভাঙ্গা সুুই জমা দিতে বা রাখতে হবে।
  • যে সকল সুই ভেঙ্গেছে সেগুলোর “ধরণ” ও “কে” জমা দিচ্ছে তা লিখিত বিবরন রাখতে হবে।
  • সুই ইস্যুর জন্য আলাদা ভাবে লিখিত বিবরন সম্বলিত একটি রেজিষ্টার রাখতে হবে।
  • ভাঙ্গা সুই গুলোকে, ভাঙ্গা অংশসহ একটি রেজিষ্টার রাখতে হবে।
  • প্রত্যেক অপারেটর তার মেশিনের ধরন অণুযায়ী প্রযোজ্য নিডেল ব্যবহার করবে।
  • কোন অপারেটরের কাছে অতিরিক্ত নিডেল কোন অবস্থাতেই থাকতে পারবে না।
  • নিডেলম্যান (নিডেল সংরক্ষক) ছাড়া অন্য কেহ কোন ভাবেই কোন নিডেল ইস্যু করতে পারবে না। অথবা অন্য কোন মেশিন থেকে নিডেল আনতে পারবে না।
  • কোয়ালিটি ম্যানেজার ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের সুপারিশ ছাড়া কোন অবস্থাতেই অপারেটরকে নতুন নিডেল ইস্যু করা যাবে না। কোয়ালিটি ম্যানেজার ও কমপ্লায়েন্স বিভাগ তখনি নিডেলম্যানকে সুপারিশ করবেন নতুন নিডেল দেওয়ার জন্য যখন নিশ্চিত হবেন যে, নিডেলের কোন ভাঙ্গা অংশ কোন গার্মেন্টসে বা আশে পাশে কোথাও নেই।
  • প্রত্যেক অপারেটরকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, দিনে অন্তত ০৩ (তিন) বার স্ব-স্ব মেশিনের ভিতরের অংশ ভালোভাবে পরীক্ষা করবেন। কোন ভাঙ্গা নিডেলের অংশ আছে কিনা তা দেখার জন্য ঃ
  • ১ম বার ÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑ কাজ শুরু করার আগে (প্রথমে)।
  • ২য় বার ÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑ মধ্যাহ্ন বিরতির পর কাজ শুরুর পূর্বে (লাঞ্চের পর)।
  • ৩য় বার ÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑÑ কারখানার উক্ত লাইন বা সেকশনের ছুটি হওয়ার পুর্বে।
  • নিডেলম্যানকে বিশেষ ভাবে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে যে, ভাঙ্গা নিডেলের অংশ সমুহ ভাঙ্গা নিডেল বা ব্যবহৃত নিডেল রেজিষ্টারে স্কসটেপ দিয়ে ভালোভাবে লাগাতে হবে।
  • প্রস্তুতকৃত পোশাকে দৃষ্টিগোচরাধীন কোন সুই আছে কিনা তা ঘববফষব উবঃবপঃড়ৎ গধপযরহব দ্বারা আগাগোড়া পরীক্ষা করতে হবে।
  • প্রতি ঘন্টায় ভাঙ্গা সই এর বিবরন আলাদা একটি ঋড়ৎস এ লিপিবদ্ধ করতে হবে।
  • ভাঙ্গা সুই যথাযথভাবে সংরক্ষনে কোন অনিয়ম হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
  • নিডেলম্যান অবশ্যই ভাঙ্গা নিডেলের সম্পুর্ন অংশ অথবা অসম্পুর্ন নিডেলের ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর অপারেটরের ছাড় পত্র ছাড়া অপারেটরদের নতুন নিডেল দিতে পারবে না।
  • যদি কখনো কোন নিডেলের অংশ বা খুব বেশী ক্ষুদ্র অংশ খুজিয়া না পাওয়া যায় অথবা সংশ্লি¬ষ্ঠ অপারেটর ভাঙ্গা অংশ জমা দিতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে যে গার্মেন্টস্ সেলাই করার সময় যে নিডেলটি ভেঙ্গে ছিল তা ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে। তদুপরি মেশিনের চারপাশ এবং আশপাশের গার্মেন্টসও খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
  • যদি নিডেল এর ভাঙ্গা অংশ না পাওয়া যায় তবে নিডেল ডিটেক্টটর মেশিন ও শক্তিশালি চুম্বক দ্বারা নির্দিষ্ট গার্মেন্টস্টি ও স্থান পরিক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে উক্ত গার্মেন্টস্টি পুড়িয়ে ছবি সংরক্ষন করতে হবে। অথবা অবশ্যই নিশ্চিত হবেন যে, উক্ত গার্মেন্টসে কোন ভাঙ্গা নিডেলের অংশ নাই।
  • কোন নিডেল (সুঁই) ভেঙ্গে গেলে অপারেটর সাথে সাথে ‘ লাইন সুপারভাইজার’-কে জানাতে হবে।
  • সুপারভাইজার ভাঙ্গা নিডেলের সব টুকরোগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট পাত্র/কৌটায় করে অপারেটরের নাম, কার্ড নং, লাইন, অর্ডার নং সহ মেইনট্যানেন্স ডিপার্টমেন্ট বা রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে জমা দিবেন।
  • রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ সাথে সাথে নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে রেকর্ড করে একটি নতুন নিডেল মেশিনে স্থাপন করবেন।
  • রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ ভাঙ্গা নিডেলের অংশগুলো একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে রেখে দিবেন।
  • কোন ভাঙ্গা নিডেলের অংশ কোন বডিতে বা বান্ডিলে চলে গেলে বা সন্দেহ হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট অপারেটর ‘ লাইন সুপারভাইজার’-কে জানাবেন।
  • সুপারভাইজার সেই বডি বা বান্ডিলটি (সব গার্মেন্টস্ পার্ট সহ) একটি লাল ফিতা দ্বারা বেঁধে সতর্কভাবে মেটাল চেক টেবিলে গিয়ে জমা দিবেন।
  • নিডেল ডিস্ট্রিবিউটর তার রেজিষ্টারে বিস্তারিত রেকর্ড করবেন।
  • রেকর্ড কিপিং-এর পর ভাঙ্গা নিডেলের অংশ চেক করবেন এবং রেকর্ড রেজিষ্টার বুকে রেজাল্ট লিখে রাখবেন।
  • চেক করার পরও যদি ভাঙ্গা নিডেলের অংশ পাওয়া না যায় তখন সেই বডি বা বান্ডিলটি চেক মেশিন দ্বারা চেক করতে হবে।
  • চেক করার সময় যদি মেশিনটি কোন প্রকার এলার্ম দেয় তখন সেই বডি বা বান্ডিলটি নির্দিষ্ট তালা বন্ধ বাক্সে নিরাপদ স্থানে রেখে রেজিষ্টার বুকে রেকর্ড করতে হবে অথবা এলার্ম যদি না দেয় তখন সে বডি বা বান্ডিলগুলি রেজিষ্টার বুকে রেকর্ড করে কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার এর দ্বারা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিবেন।
  • তালা বন্ধ বাক্সে মালের পরিমাণ বেশী হয়ে গেলে সেই বডি বা বান্ডিলগুলো সাবধানতার সাথে কারখানার বাইরে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে, তারপর ছাইগুলো নদী অথবা মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।
  • উপরোক্ত বিষয় বুঝতে কোন প্রকার অসুবিধা বা সমস্যা হলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিতে হবে।

Sharp Tools and Non-Conforming Goods Disposal Policy

১.   অটোকম্পোজিট লিঃ এক বৎসরের পূর্বে কাটিং ব্লেড / ভাঙ্গা নিডল/ পুরানো বাটন হোল নাইফ /নিডলযুক্ত গার্মেন্টস ধ্বংস / বিক্রয় করে না। অর্থাৎ উক্ত সামগ্রী ০১(এক) বৎসর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়।

২.   প্রোডাক্ট সেফটি ম্যানেজার কাটিং ব্লেড / ভাঙ্গা নিডল/ পুরানো বাটন হোল- নাইফ/নিডলযুক্ত গার্মেন্টস ধ্বংস / রিসাইকেল করার সময় আমাদের সকল সম্মানিত বায়ারদের অথবা তাদের প্রতিধিদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রন দেন।

৩.   একটি টিম গঠন করেন যারা কাটিং ব্লেড / ভাঙ্গা নিডল/ পুরানো বাটন হোল-নাইফ/ নিডলযুক্ত গার্মেন্টস সংগ্রহ করবে এবং ধংসের পুর্বে ও পরে ছবি তুলে রাখবে।

৪.   প্রমান স্বরুপ একটি রেজুলুশন তৈরি করবেন।

সুইং মেশিন কি? সুইং মেশিন পরিচালনার সময় ঝুকি সমূহ কি কি?

সুইং মেশিন কি? সুইং মেশিন পরিচালনার সময় ঝুকি সমূহ কি কি?

সুইং মেশিন কি

এই সুইং মেশিন কি পলিসি যাতে কারখানার সব জায়গায় ও সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীকে কারখানার সাউন্ড সিস্টেম, শ্রমিক প্রতিনিধি, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এছাড়াও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাাইন্স অফিসার ও সমাজ কল্যান কর্মকর্তাগন প্রত্যেক সেকশনের মিটিং ও ট্রেনিং এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়।

  • নিডল গার্ড না থাকায় ভাঙ্গা নিডল আঙ্গুলে ফুটতে পারে।
  • অভার লক ও ফ্লাট লকসহ আই গার্ডযুক্ত মেশিনগুলোতে আই গার্ড না থাকলে ভাঙ্গা নিডল চোখে ছিটঁকে গেলে চোখ নষ্ট হতে পারে।
  • পুলি কভার মেশিনের মটরের সাথে না থাকলে চুল অথবা জামা কাপড় আটকে র্দূঘটনা হতে পারে।
  • চলন্ত মেশিনের ইলেকট্রিক সর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন কারনে মটর পুড়ে অগ্নি র্দূঘটনা ঘটতে পারে।

সূতরাং র্দূঘটনা এড়াতে নিম্নোক্ত বিষয়ে সচেতন হোন-

  • মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ সঠিক আছে কি-না সুইচ অন করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • মেশিন চালাতে কোন অসুবিধা দেখা দিলে বা মেশিনে কোন সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে মেইনটেন্যান্স বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
  • দূর্ঘটনাস এড়ানোর জন্য মেশিনের আই গার্ড, পুলি গার্ড এবং নিডেল গার্ড সঠিক আছে কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • কর্মস্থলে ঢিলে-ঢালা পোশাক পরিধান না করা এবং মেয়েদের মাথার চুল খোলা রেখে কাজ না করা।
  • নির্দিষ্ট সময়ে কাজ আরম্ভ করতে হবে।
  • ড্রেস, মাস্ক ও কোন কমিটির সদস্য হলে তাকে অবশ্যই সংশিষ্ট প্রতীক সম্বলিত ব্যাজ পারতে হবে।
  • আপনার আশে-পাশে মেশিনের দিকে লক্ষ্য রেখে নিজের মেশিনটিকেও সোজা রাখতে হবে।
  • প্রতিটি অপারেটরকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
  • কাজের সময় এদিক সেদিক বিনা প্রয়োজনে হাঁটাচলা ও অহেতুক ( অপ্রয়োজনীয় ) কথা-বার্তা থেকে বিরত থাকা।
  • ফ্লোর ছুটির সময় যাতে মেশিন পরিষ্কার –পরিচ্ছন্ন থাকা ও কাজের সুষ্ঠ পরিবেশ বিরাজ করে ঃ, সে লক্ষ্যে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
  • কাজের সময় ভারী অলংকার ব্যবহার না করা ।
  • যেখানে সেখানে থুথু ও পানের পিক না ফেলা।

সাপ্তাহিক ছুটি: বাংলাদেশ শ্রম আইন এর ১০৩ ধারা অনুযায়ী, কলকারখানা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একজন কর্মরত শ্রমিক প্রতি সপ্তাহে ১ দিন ছুটি পাবে। অত্র প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার।

Weekly Holiday: As per section 103 of the Bangladesh Labor Law 2006, an adult worker working in any factory will get at least one holiday within a week. Friday is the holiday of this factory.

সুইং অপারেটর কি? সুইং অপারেটর এর দায়িত্ব গুলো কি কি ?

সুইং অপারেটর কি? সুইং অপারেটর এর দায়িত্ব গুলো কি কি ?

অপারেটর এর দায়িত্ব

  1. কাজ শুরুর কমপক্ষে ১০ মিনিট পূর্বে সুইং অপারেটর কে কর্মস্হলে উপস্হিত হতে হবে।
  2. ফ্যাক্টরিতে প্রবেশের সময় কোন ভাবেই জুতা, স্যান্ডেল, টিফিন বক্স ইত্যাদি Line এর ভিতরে আনা যাবে না।
  3. মেশিনে বসার পর মেশিন ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে এবং যথাসময়ে কাজ শুরু করতে হবে।
  4. প্রতি ঘন্টায় Target ও Capacity অনুযায়ী ঠিক মত Production দিতে হবে।
  5. Target ও Capacity অনুযায়ী একাধিক মেশিন চালাতে হবে সেক্ষেত্রে কোন ধরনের ওজর আপত্তি চলবে না।
  6. Line Balancing এর ক্ষেত্রে যখন যেখানে যে কোন Machine বা  Operation এ দিলে তা মনোযোগের সহিত কাজ করতে হবে সেক্ষেত্রে ও কোন ধরনের ওজর আপত্তি চলবে না।
  7. Line এর Efficiency Level ঠিক রেখে কাজ করতে হবে এবং পাশাপাশি নিজের Individual Efficiency Level বাড়াতে হবে।
  8. Recruitment এর সময়ের প্রত্যেক Operation এর Efficiency Level ধরে রেখে কাজ করতে হবে এবং ক্রমান্নয়ে তা increase করতে হবে।
  9. প্রত্যেক Operator-কে তার Skill Develope করতে হবে(যেমন একাধিক Process এর কাজ শিখতে হবে পর্যায়ক্রমে P,SP Grade ইত্যাদি কাজও শিখতে হবে)।
  10. প্রতোক Operator-কে তাদের কাজ চেক করে Quality নিশ্চিত করে পরবর্তী প্রসেস এ পাস করতে হবে।
  11. সুইং অপারেটর কে পর্যায়ক্রমে নিজেকে Zero Defect Operator হিসাবে প্রমান করতে হবে।
  12. অপচয় কমাতে হবে(সময়, সূতা, পাইপিং, কাপড়, Needle  , পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি.)। মেশিন থেকে উঠার সময় অবশ্যই সুইস বন্ধ করে উঠতে হবে।
  13. নির্দিষ্ট সময় পরপর মেশিন পরিষ্কার করতে হবে (প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে)।
  14. Floor এর Compliance ও House Keeping ঠিক রাখতে হবে, অপ্রয়োজনীয় কোন জিনিষ নিজের কাছে বা লাইনের ভিতরে রাখা যাবে না।
  15. Helper বিহীন কাজ করতে হবে Helper বিহীন কাজ করতে দিলে কোন ধরণের ওজর আপত্তি করা চলবে না।
  16. কোম্পানিতে কর্মরত কারও সাথে কোন ধরণের খারাপ আচরন করতে পারবে না।
  17. Machine এর উপর কোন ধরণের Garments রাখা যাবে না সে ক্ষেত্রে Body রাখার Tray ব্যাবহার নিচ্চিত করতে হবে।
  18. Body রাখার Tray এর উপর বসা যাবে না বা অন্য কোন কাজে তা ব্যাবহার করা যাবে না।
  19. Lunch Time এ লাইনের ভিতরে ঘুমানো যাবে না যদি ঘুমন্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ভে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  20. ছুটি ও লাঞ্চ এর ঘণ্টা বাজার আগে মেশিন থেকে উঠা যাবে না ।
  21. লাইনের ভিতরে চুল ঝারা, কোন কিছু খাওয়া, অপ্রয়োজনীয় কোন কিছু রাখা ইত্যাদি সম্পূর্ণ নিষেধ ।
  22. কোম্পানির জারিকৃত যে কোন নতুন নিয়ম কানুন করলে তা সম্মানের সহিত পালন করতে হবে।
  23. নিজের নিরাপত্তা (কাটার, সিজার, নিডেল গার্ড, আই গার্ড, হ্যান্ড গ্লভস ইত্যাদি)   নিজেকে নিচ্চিত করে কাজ করতে হবে ।
  24. কোন ধরনের সমস্যা হইলে সাথে সাথে ওয়েল ফেয়ার এর শরণাপন্ন হতে হবে। কোন   ধরনের দলাদলি করা চলবে না।
নিডেল কন্ট্রোল কি? নিডেল কন্ট্রোল এবং ব্রোকেন নিডেল পলিসি কি?

নিডেল কন্ট্রোল কি? নিডেল কন্ট্রোল এবং ব্রোকেন নিডেল পলিসি কি?

নিডেল কন্ট্রোল এবং ব্রোকেন নিডেল পলিসি

সমস্ত সুচ অবশ্যই তালাবদ্ধ বা লক করা অবস্থানে থাকতে হবে। শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীদের সেখানে প্রবেশাধিকারের অনুমোদন থাকবে। নিডেল ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে সাথে অপারেটরকে তার অপারেশন বন্ধ করে দিতে হবে এবং তার মেশিনের সুইচ অফ করে দিতে হবে।
নিডেল ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে সাথে অপারেটর স্ব-স্ব লাইনের সুপারভাইজারকে অবহিত করবে। নিডেল ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে সাথে ঐ মেশিনের উপর একটি সতর্কীকরণ ব্যানার টানিয়ে দিতে হবে যেন সবাই এই বিষয়ে সচেতন থাকে। সমস্ত সুচের টুকরার অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং সমস্ত টুকরা যেন পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভাঙ্গা টুকরোর সাথে একটি ভাল সুচের সাথে তুলনা করে দেখা যেতে পারে যেন কোন টুকরা বাদ না পরে।

যে মেশিনের সুচ ভেঙ্গে গেছে সেই মেশিনের ভেঙ্গে যাওয়া সুচের টুকরা খুজে বের করতে হবে।
নিডেল টুকরা সমুহ তৎক্ষণিকভাবে ব্রোকেন নিডেল রিপোর্টের সাথে এ্যাডহেসিভ টেপ দ্বারা যুক্ত করে দিতে হবে এবং তার তথ্য সমূহ লিপিবদ্ধ করতে হবে।
নতুন নিডেল তখনই ইস্যু করা হবে যখন সমস্ত ভাঙ্গা টুকরা পাওয়া গেছে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
প্রতিটি নতুন সুচ ইস্যুর সময় ভেঙ্গে যাওয়া সুচ সহ ডকুমেন্টেশন থাকতে হবে।
কোন পরিস্থিতিতেই এক সাথে অতিরিক্ত নিডেল কোন শ্রমিকের জন্য ইস্যু করা যাবে না।
যদি সমস্ত ভাঙ্গা টুকরা খুজে পাওয়া না যায় তবে যে প্রোডাক্টটিতে কাজ করা হচ্ছিল এবং তার খুব নিকটবর্তী প্রোডাক্ট একটি নির্দিষ্ট ব্যাগ বা বক্সে ভবিষ্যত চেকের জন্য রেখে দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট এরিয়াতে চেকের জন্য নিয়ে যেতে হবে।
যদি ভেঙ্গে যাওয়া সুচের সকল টুকরা খুজে পাওয়া না যায় তবে নিডেল ডিটেক্টর / ম্যাগনেট দ্বারা খুজে বের করতে হবে।
ভাঙ্গা সুচের সমস্ত টুকরা একটি নিয়ন্ত্রিত বক্সের ভিতর জমা / সঞ্চিত রাখতে হবে এবং সুচ নিবন্ধন খাতায় তা রেকর্ড রাখতে হবে।
নিয়মিত সময় বিরতিতে সুচ নিবন্ধন আপডেট করতে হবে।
নতুন নিডেলের প্রয়োজন হলে এ্যাপ্লিকেশন ফরম স্ব-স্ব লাইনের সুপারভাইজারের মাধ্যমে পূরণ করে ফ্লোর ইনচার্জ, প্রোডাকশন ম্যানেজারের অনুমোদন নিতে হবে।
কাজ পূণরায় শুরুর পূর্বে অবশ্যই কাজের স্থান/জায়গাকে হাত দ্বারা ব্যবহৃত মেটাল ডিটেক্টর বা চুম্বক দ্বারা চেক করে নিতে হবে।
হস্ত ব্যবহৃত ডিটেক্টর অবশ্যই সঠিকভাবে পরিমাপ ও পরিচালনা করতে হবে এবং পরীক্ষামূলক ভাবে ডিটেক্টরের ১.২ মি:মি ‘‘টেস্ট পিচ” টেস্ট করতে হবে।
যখন কর্মক্ষেত্র পরিস্কার বা স্পষ্ট হিসেবে নিশ্চিত হবে তার পর একটি নতুন নিডেল ইস্যু করতে হবে। পলিসি হতে হবে- “ওয়ান নিডেল আউট, ওয়ান নিডেল ইন”।
নিডেলের অপচয় রোধে কোন লাইনের কোন অপারেটর দ্বারা কি পরিমান নিডেল ব্যবহৃত এবং অপচয় হচ্ছে তার একটি সারাংশ রিপোর্ট প্রতি মাসে তৈরী করতে হবে।

পুরাতন এবং নষ্ট নিডেল প্রতিস্থাপন:

যে সকল নিডেল ভাঙ্গা নয় কিন্তু পুরাতন এবং নষ্ট সে সকল নিডেল দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি লাইন হতে সংগ্রহ করবে এবং ঐ সংখ্যক নতুন নিডেল লাইনের জন্য ইস্যু করবে।
পুরাতন বা ব্যবহৃত নিডেল সমুহ নির্দিষ্ট সীলকৃত পাত্র বা টিনের মধ্যে রাখতে হবে। সীলকৃত পাত্রটি অবশ্যই নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে এবং দায়িত্বের সাথে তা সরিয়ে ফেলতে/নিষ্পত্তি করতে হবে। ম্যানুয়াল বা সয়ংক্রিয় নিটিং মেশিনের নিডেলের ক্ষেত্রে সীলকৃত নিষ্পত্তি পাত্র মেশিনের কাছাকাছি রাখতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ বা ব্যবহৃত সুচ ভবিষ্যত নিডেল কন্ট্রোল অডিট রিপোর্টের জন্য গননা করে রাখতে হবে এবং নিয়মিত আপডেট করে রাখতে হবে।

থ্রেড ব্রেকেজ কি? কিভাবে থ্রেড ব্রেকেজ এবং স্কীপ স্টীচ কমানো  যায়?

থ্রেড ব্রেকেজ কি? কিভাবে থ্রেড ব্রেকেজ এবং স্কীপ স্টীচ কমানো যায়?

থ্রেড ব্রেকেজ এবং স্কীপ স্টীচ কমানো

গার্মেন্টস হচেছ এমন ধরনের প্রতিষ্ঠান যেখানে একসাথে অনেক লোক দীর্ঘ সময় ধরে থ্রেড ব্রেকেজ এবং স্কীপ স্টীচ কাজ করে। এখানে অধিকাংশ শ্রমিকই অশিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত, নির্মম দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত,পাওয়া আর না পাওয়ার দ্বন্দ সংঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে কাজ করছে। কাজ করার সময় যাতে কাউকে অযথা অপমান, নির্যাতন, অথবা হয়রানী করা না হয় এ জন্য গ্র“পের সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাবৃন্দের সম্মান ও মর্যাদা সমুন্নত রেখে সম্পুর্ন হয়রানী ও উৎপীড়নমুক্ত কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর। হয়রানী হচেছ কারো সাথে এমন কোন আচরণ যা অপ্রত্যাশিত ,অপমানজনক ভাবে এবং কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়।

থ্রেড ব্রেক এবং স্কীপ স্টীচ এর ক্ষতিকর দিকসমুহ:

উৎপাদনে বাধা
উৎপাদনের গুনগত মান কমে যাওয়া
অপারেটরের দক্ষতা হ্রাস
আয় / উপার্জন কমে যাওয়া সহ উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।

অনেক কারনেই থ্রেড ব্রেক এবং স্কীপ স্টীচ হতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম কারন গুলো হল:

অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ভুল থ্রেডের ব্যবহার
থ্রেডের গুনগত মানে ত্রুটি-বিচ্যুতি
ত্রুটিযুক্ত সেলাই সুচ বা থ্রেড সাইজ সম্পর্ক
ত্রুটিপূর্ণ থ্রেড গাইড অথবা আইলেটস
ত্রুটিপূর্ণ থ্রেডিং
অত্যাধিক মেশিন থ্রেড টান
ত্রুটিপূর্ণ সুচ অথবা সুচের ত্রুটিপূর্ণ পজিশনিং
নিডেল হিট
ত্রুটিপূর্ণ মেশিন পার্টস ব্রাস অথবা ধারালো পৃষ্ঠতল
সুইং মেশিনের সমন্বয়হীনতা বা অ্যাডজাস্টমেন্টের সমস্যা
ইমপ্রোপার ফিডিং
ইমপ্রোপার অপারেটর হ্যান্ডলিং
ঝিমানো ঋষধমমরহম

থ্রেড ব্রেক এবং স্কীপ স্টীচ কমাতে মূল বৈশিষ্ট হল:

সঠিক লুপ সংকলন
ইয়ার্ণ ইমপারফেকশনের অনুপস্থিতি
সঠিক লুব্রিকেশন
ভাল করে প্লাই পাকানো

কর্মরত শ্রমিকদের জন্য হয়রানী ও উৎপীরন মুক্ত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরণ ও পালন করে থাকি। আল-মুসলিম গ্র“পের সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠানে নিম্নে উল্লেখিত কর্মকান্ডগুলি নিষিদ্ধ। এ সব কর্মকান্ডগুলো হচ্ছে ঃ
গালি গালাজ ও হুমকি প্রদান করা। শারীরিক নির্যাতন করা। এমন ধরনের মানসিক নির্যাতন করা যার কারণে কর্মীর কাজের স্পৃহা হ্রাস পায় বা নষ্ট হয়। যে কোন প্রকার যৌন হয়রানী করা। পানীয় জল, টয়লেট, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক প্রয়োজনের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা। অযৌক্তিকভাবে কর্মীদের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা । উল্লেখিত নীতিমালাগুলি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কোম্পানী ও শ্রম আইন মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোম্পানীতে কর্মরত যে কেউই যেকোন ধরনের অভিযোগ বা পরামর্শ যদি থাকে সরাসরি কর্তৃপক্ষের নিকট জানাতে পারবে এবং এজন্যে তাকে কোন প্রকার শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে না। এই নীতিমালা সকল শ্রমিক,কর্মচারী, কর্মকর্তাবৃন্দের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে।  নিম্ন লিখিত উপায়ে অভিযোগ বা পরামর্শ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জানানো যাবে ঃ
প্রতিটি টয়লেটে রাখা অভিযোগ বা মতামত বাক্সের মাধ্যমে নির্ভয়ে যে কেউ তার অভিযোগের কথা জানাতে পারে। অভিযোগ পত্রে অভিযোগকারীর নাম বা কার্ড নং লেখার কোন প্রয়োজন নাই। কর্মীরা শ্রমিক ফোরাম সদস্যদের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবে।
প্রয়োজনে সরাসরি উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকের কাছে তথ্য প্রদান করতে পারবে এবং এক্ষেত্রে সম্পূর্ন গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। সচেতন কর্মী তৈরির লক্ষ্যে নিম্ন-লিখিত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় যার মাধ্যমে কর্মীরা সঠিকভাবে হয়রানী ও উৎপীড়নের কথা কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক নিয়মে জানিয়ে তার প্রতিকার আশা করতে পারে।