Select Page
আগুন থেকে যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা রাখার নিয়ম গুলো কি কি

আগুন থেকে যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা রাখার নিয়ম গুলো কি কি

যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা

আগুন থেকে যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা রাখার নিয়ম।  উল্লেখিত বিষয়াদী নিশ্চিত করবেন এবং কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক/কর্মচারীর অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের লক্ষে অগ্নি প্রতিরোধক দলকে সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করনে আন্তরিক থাকবেন। যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য কারখানা নিম্নোলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করবে ঃ …

সেলাই মেশিন ঃ

অগ্নিকান্ডের ইতিহাস পর্যালোচনা করে সংঘটিত ভয়াবহতম কিছু অগ্নিকান্ডে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির কারনে আল মুসলিম গ্রপ কর্তৃপক্ষ অগ্নি দুর্ষটনা প্রতিরোধ এবং সম্পদ ও জীবন রক্ষার জন্য হাতে নিয়েছেন বিশেষ ব্যবস্থা ।  জরুরী সময়ে বিদ্যূৎ সরবরাহ যেন বন্ধ করা যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। মেইন পাওয়ার সুইচ সহজে নাগাল পাওয়া যায় এমন স্থান ও স্পষ্ট চিহ্ন দিয়ে রাখতে হবে। অন্য সব সুইচের কোনটা কি নিয়ন্ত্রন করে তার লেবেল লাগাতে হবে।

  • সকল সেলাই মেশিনে নিম্নলিখিত জিনিসগুলো থাকবে ঃ
  • পুলি কভার
  • বেল্ট কভার
  • নিডল গার্ড
  • আই গার্ড
  • কারখানা এটা নিশ্চিত করবে যে, উপযুক্ত নিরাপত্তামূলক জিনিস ছাড়া ফ্লোরে/ লাইনে কোন মেশিন থাকবে না।
  • কারখানায় সকল নিরাপত্তামূলক জিনিসের মজুদ থাকব
  • কারখানা নিশ্চিত করবে যে, মেশিন বেডে কোন ভাঙ্গা নিডল থাকবে না।

নিডল ঃ

অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের সনাক্ত করতে ‘ইউনিফর্ম ’ দিতে হবে। প্রতিমাসে  অগ্নি মহড়ার পর সাব-কমিটির সদস্যরা একবার মিলিত হবে এবং রেকর্ড সংরক্ষন করবে।

১৬.ফায়ার চীফঃ প্রতি মাস অন্তর অ

  • কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক কারখানা ভাঙ্গা নিডলের রেজিষ্টার রাখবে।
  • ভাঙ্গা নিডলের সকল অংশ জমা দেবার পূর্ব পর্যন্ত কারখানা নতুন নিডল ইস্যূ করবে না।
  • পূর্বের ইস্যুকৃত সকল নিডলের হিসাব না পাবার পূর্ব পর্যন্ত স্টোর নতুুন নিডল ইস্যু করবে না।
  • পি.এম. স্বাক্ষরিত এস. আর. এর মাধ্যমে সকল নতুন নিডল ইস্যু করা হবে।
  • ভাঙ্গা নিডলের রেজিষ্টার প্রতিদিন পি. এম. স্বাক্ষর করবে।
  • ভাঙ্গা নিডলের সকল অংশ সংগ্রহের জন্য কারখানা একটি হস্তচালিত নিডল ডিডেক্টর দিবে।

কাটিং মেশিন ঃ

কাটার সময় নিরাপদভাবে মেশিন ঘুরাবার জন্য কাটিং টেবিলের উপরের স্থায়ীতারের সাথে কাটিং মেশিন সংযুক্ত করতে হবে।

কাটার সময় মেশ্/ ধাতব মোজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

ছুরি ইস্যু ও ব্যবহার শেষে স্টোরে ফেরত দেয়া নিশ্চিত করার জন্য রেকর্ড সংরক্ষন করতে হব্

বয়লার রুম/ স্টিম লাইন ঃ

  • মেরামত ও সংরক্ষনের জন্য পর্যাপ্ত স্থানসহ একটা সংরক্ষিত এলাকায় বয়লার স্থাপন করতে হবে।
  • ৬০ কেজি/ ২২.৭ লিটারের বেশী ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন বয়লারের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং নবায়ন করতে হবে।
  • পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, বাষ্পীয় চাপ, বৈদ্যুতিক সংযোগ, গ্যাসের ছিদ্র, পানি সরবরাহ রেকর্ড করার জন্য কারখানা দৈনিক বয়লার সংরক্ষন কার্ড প্রবর্তন করবে।
  • মেকানিকদের ব্যবহারের জন্য কারখানা হাত মোজা ও এয়ার মাফলার দিবে।
  • যেকোন ধরনের ছিদ্র পরীক্ষার জন্য কারখানা বাষ্প লাইনে সাপ্তাহিক পরীক্ষা নিশ্চিত করবে।
  • বয়লার, ভ্যাকুয়াম টেবিল, বাষ্পীয় ইস্ত্রি সকল সার্কিট/ সুইচ
  • কারখানা নিশ্চিত করবে যে, বয়লার রুমে কোন ধরনের গুদাম করা হয় না।
  • কারখানা ”বিপদজনক” চিহ্ন দিবে এবং ”প্রবেশ সংরক্ষিত” লিখবে।

মুল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রন ঃ  এইচ. আর বিভাগের সদস্যগন এই নীতিমালার মুল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন ও নিয়ন্ত্রনের জন্য দায়বদ্ধ।

১. আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তুঃ আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু অপসারণ করে ধাতব পাত্রে ভরে ওয়ার্ক ষ্টেশনের বাইরে রাখা নিশ্চিত করতে হবে।

২. বিদ্যূৎঃ বৈদ্যূতিক সার্কিটসমূহ পরিবেষ্টিত, অপরিবাহী বস্তুদ্বারা বিচ্ছিন্ন এবং ফিউজ লাগানো থাকবে। বৈদ্যূতিক সার্কিটের চাপ সর্বদা পরীক্ষা করতে হবে। মেশিনের বৈদ্যূতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতি বছর পরীক্ষা করতে হবে। মেশিনের ইনসুলেশন ঠিকমত আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে হবে। কাটিং মেশিনের ন্যায় বহনযোগ্য সরঞ্জামের ডাবল-ইনসুলেশন ও আর্থিং করাতে হবে।

৩. বহির্গমন সিড়িঃ অগ্নিকান্ডের সময় প্রত্যেক তলায় সকলেই যেন নিরাপদে নামতে পারে সেজন্য সকল সিড়ি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্লোরে এবং দেয়ালে অঙ্কিত তীর চিহ্ন অনুসরণ করতে হবে।

৪.বর্হিগমন দরজাঃ জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য বর্হিগমন দরজা প্রস্থ্যে কমপক্ষে ৮৪” এবং উচ্চতায় ৮৪” হবে। প্রতিটি দরজা এমনভাবে তৈরী যে বাইরে ও ভিতর থেকে  খোলা যায়। প্রতিটি দরজায় লাল এবং স্থানীয় ভাষায় লাল অক্ষরে “বহির্গমন” কথাটি লেখা আছে। ফ্যাক্টরী চলা কলে কাজ করার সময় কারখানার সকল ফ্লোরের দরজা/বর্হিগমন পথ খোলা থাকবে। লাল ও হলুদ রং দ্বারা প্রত্যেকটি দরজা/বর্হিগমন পথ জেব্রা ক্রসিং দেয়া থাকবে।

৫. জরুরী নির্গমন বাতিঃ সকল দরজা/বহির্গমন পথে, ফ্লোর ও সিঁড়িতে ব্যাটারী চালিত জরুরী বাতি থাকবে, যাতে বহির্গমন নির্দেশিত লাল রং এর তীর চিহ্ন দেয়া থাকবে। চলাচলের সকল পথ সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।  ও কোন বাধা থাকবেনা । প্রতিটি সিঁড়ির সাথে হ্যান্ডরেইল থাকবে, যাতে কেউ পড়ে না যায়।

৬.হুশিয়ারী সংকেত/ গংবেল/পিএ সিস্টেমঃ আগুন লাগলে শ্রমিকদের সতর্ক করার জন্য ফ্লোরে  ব্যাটারী চালিত হুশিয়ারী সংকেত ও    হস্তচালিত গং বেল থাকবে। হুশিয়ারী সংকেত ও গং বেল কথাটি শ্রমিকদের বোধগম্য ভাষায় লাল কালিতে লেখা থাকবে। জরুরী প্রয়োজনের মূহুর্তে সকলকে নির্দেশ দেয়ার জন্য প্রত্যেক ফ্লোরে ব্যাটারী চালিত পি,এ সিস্টেম থাকবে।  প্রতি ৫৫০ বর্গফুট মেঝে এলাকার জন্য লাল রং করা পানি ভর্তি ২টি করে বালতি থাকবে।

৭.অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রঃ প্রতি ৫৫০ বর্গফুটের জন্য ১টি করে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকবে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রসমূহ প্রতিটি ৫-৬ কেজি   ওজন সম্পন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং এ,বি,সি পাউডারের হতে হবে।

৮.নির্গমন নক্সাঃ প্রত্যেক ফ্লোরে স্থানীয় ভাষায় লিখিত প্রতিটা আইটেম নির্দেশ করে নির্গমন নক্সা থাকবে, যাতে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার হোস, প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স, পানির ট্যাংক, বাকেট থাকবে এবং ‘ আমি এখানে’ শব্দসমূহ দ্বারা নিজের অবস্থান নির্দেশ করা থাকবে

৯.অগ্নি মহড়াঃ অগ্নি দুর্ঘটনার সময় নিরাপদ নির্গমনের ব্যাপারে শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার অগ্নি মহড়া দিতে হবে। অগ্নিমহড়া ইউনিট ভিত্তিক ও যৌথ উভয়ভাবেই দিতে হবে। মহড়া, মহড়ার সময় এবং যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে তার রেকর্ড রাখতে হবে। মহড়াটি এমন হবে যাতে এটা দ্বারা প্রকৃত অবস্থা বুঝা যায়।

১০.ফায়ার এসেম্বলী পয়েন্টঃ অগ্নি দূর্ঘটনা বা অগ্নি মহড়ার সময় নির্দিষ্ট ফায়ার এসেম্বলী পয়েন্টে সকলেই সমবেত হবে।

১১.ফায়ার হোজঃ প্রত্যেক ফ্লোরে সংরক্ষিত জলাধারের সাথে ফায়ার হোজ থাকবে এবং পাইপটির দৈর্ঘ্য ফ্লোরের ১০০% এলাকা জুড়ে থাকবে। মাসে কমপক্ষে একবার হোজ পাইপের কার্যকারীতা পরীক্ষা করতে হবে।

১২.অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতিঃ কারখানার প্রত্যেক ফ্লোরে  নিম্ন লিখিত সরঞ্জামাদি থাকবে ঃ

১৩.(ক) হুক ( ধাতব) খ) বিটার (ধাতব) গ) ষ্ট্রেচার ঘ) ব্লাংকেট ঙ) গ্যাস মাস্ক চ) লক কাটার।

১৪.প্রশিক্ষণ/পরিচিতিঃ ৬০% কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবে। সকল শ্রমিকদের জন্য সাধারণভাবে প্রশিক্ষনের উপাদান হিসেবে দেয়ালে লিফলেট/পোষ্টার রাগাতে হবে। অগ্নি নিরাপত্তার প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সংরক্ষন করতে হবে।

১৫.ফায়ার সেফটি কমিটিঃ অগ্নি প্রতিরোধ, প্রতিকার ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল বিভাগ থেকে সদস্য নিয়ে একটি ফায়ার সেফটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির সকল সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দেশ করতে হবে। গ্নি মহড়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন এবং কারখানার অগ্নি প্রতিরোধ কমিটির যথাযথ প্রশিক্ষন নিশ্চিত করবেন। সাধারন শ্রমিকদের বেসিক প্রশিক্ষন দিবেন এবং

বিশেষ ফায়ার কমান্ডো টীম গঠন ঃ এরই ধারাবাহিকতায় অত্র কারখানায় গঠন করা হয়েছে অগ্নি নিরাপত্তা বিভাগ।এ বিভাগে রয়েছে ২৫ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য ও একজন ফায়ার সেফটি অফিসার। এ সকল সদস্য অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অগ্নি দর্ঘটনায় করনীয় কি সে সম্পর্কে কর্মরত সকলকে প্রক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করে তুলছে।

অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত  নীতিমালা সমূহ গুলো কি কি ?

অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা সমূহ গুলো কি কি ?

অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা

সংজ্ঞাঃ মানব সভ্যতা যখন তিমিরে তখনও মানুষ আগুনের ব্যবহার শিখেছিল প্রয়োজনের তাগিদে। পাথরে পাথরে ঘষে জ্বালাতো আগুন নামক এক তাপ বা  শক্তিকে। পরিমিত তাপ,অক্সিজেন এবং দাহ্য বস্তুর মিলিত রূপ এর সমন্বয়ে যে আকার ধারন করে তাই হচ্ছে আগুন।  এই নীতি মালার সঠিক প্রয়োগ এবং ব্যবহারের লক্ষে কার্যকরী পরিষদ একটি অডিট টীম গঠন করবেন। অডিট টীম  কারখানার সকল সেকশন এর সকল স্থান পর্যবেক্ষন ও নিরীক্ষন করবেন। অডিটকালে অডিটরগন কারখানার কোথায়ও অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা লক্ষ্য করলে তা লিখিত আকারে প্রতিবেদন তৈরী করে এজি এম (এইচ আর এন্ড কমপপ্লাইন্স) এর নিকট দাখিল করবেন। …

উদ্দেশ্য ঃকারখানা এলাকায় অগ্নিকান্ড সমুদয় ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে। এর কারণে গুরুতর আহত হবার এমনকি মৃত্যূর ঘটনাও ঘটতে পারে। তারপরও যে কোনো মূল্যে মানসম্মত ও উন্নত ডিজাইন ও উপকরণ ব্যবহার করে কারখানায় অগ্নি দূর্ঘটনার ঝুকি শুন্য পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং জ্বান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যই এই নীতিমালা প্রনীত হয়। নিরাপদ কর্মক্ষেত্র, সম্পদের সুরক্ষা ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা।

পরিধি ঃ প্রতিষ্ঠানের সকল বিল্ডিং, ঘর, গোডাউন, স্টোর, গাড়ী, গ্যারেজ, পাওয়ার  প্লান্ট, বয়লার রুম সহ প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন সকল স্থান। একটি নীতিমালাটি প্রয়োগ, ব্যবহার নিয়ন্ত্রন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখা দিলে কার্যকরী পরিষদ তা সনাক্ত করে এ জি এম (এইচ আর এন্ড কমপপ্লাইন্স) এর নিকট পেশ করবেন। এ জি এম (এইচ আর এন্ড কমপ¬াইন্স) আভ্যন্তরীন মিটিং অথবা  উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন।

লক্ষ্যঃ আগুন নামক এই ভয়াল  দানবীয় শক্তির থাবা থেকে পরিত্রানের লক্ষে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ,অগ্নি দূর্ঘটনায় অত্র কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোম্পানীতে অগ্নি নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণোয়ণ করা হয়েছে। কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ তাদের নির্ধারিত কর্তব্য অনুসারে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যেমে অত্র কারখানাকে অগ্নি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করনার্থে  সকল পদক্ষেপ গ্রহনে বদ্ধপরিকর। তারপরেও যদি কারখানার কোন সেকশনে বা স্থানে  কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেটি সনাক্ত করতে হবে।

বাস্তবায়ন ঃএইচ. আর বিভাগের তত্বাবধানে বিভাগের সদস্যগন ইলেক্ট্রিক, কনস্ট্রাকশন, নিরাপত্তা ও প্রডাকশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগন এর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সমন্বয়, প্রশিক্ষন প্রদান, ব্যবস্থা গ্রহন ও তদারকির মাধ্যমে এই নীতিমালার বাস্তবায়নের জন্য দায়বদ্ধ।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ

এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয়, তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

আগুন লাগার কারন সমূহ ঃ

  • বৈদ্যুতিক গোলোযোগ (সর্ট সার্কিট)।
  • বয়লার, গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ।
  • মেশিন,যন্ত্রপাতি অবিরাম চলনের ফলে সৃষ্ট মাত্রাতিরিক্ত তাপ।
  • দিয়াশলাই, লাইটার, সিগারেট ইত্যাদির মাধ্যমে সৃষ্ট আগুন।

অন্যান্য কারন।

অগ্নি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সমূহঃ

এই নীতিমালা প্রনয়ন ও বস্তবায়নের ক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হয় এবং যদি অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা  জোরদার করতে কোন পদ্ধতির পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন,বিয়োজন এর প্রয়োজন হয় তাহলে কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ/উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ  আলোচনা সাপেক্ষে তা সংশোধনী আনতে পারবে।

  • লুজ ওয়ারিং বন্ধ করা।
  • বৈদ্যুতিক লাইন,সুইচবোর্ড,প্যানেল বক্স ইত্যাদির যথাযথ মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন।
  • জেনারেটর,বৈদ্যুতিক মেশিন ও যন্ত্রপাতি ইত্যাদির যথাযথ মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন।
  • বৈদ্যুতিক লাইন ও যন্ত্রপাতির উপর/সঙ্গে দ্রব্যাদি না রাখা।
  • বয়লার,গ্যাসলাইন এর যথাযথ মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন।
  • প্রতিষ্ঠানের সকল গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার,ইঞ্জিনের যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন ও গাড়িতে ধুমপান বন্ধ রাখা।
  • দিয়াশলাই,লাইটার,সিগারেট ইত্যাদি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভিতর প্রবেশ বন্ধ করা।
  • সকল স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবস্থা রাখা।
  • সকল স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফায়ার হোজ পাইপ/রিল এর ব্যবস্থা রাখা।
  • সকল স্থানে অগ্নি নির্বাপনের জন্যে ড্রাম ভর্তি পানি,বালতি ও বালুভর্তি বালতি রাখা।
  • প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লক কাটার,ফায়ার বিটার,গ্যাস মাস্ক,গ্লাভস এবং ট্রেরের ব্যবস্থা রাখা।
  • প্রতিটি ফ্লোরে একাধিক গেট এর ব্যবস্থা এবং কর্মকালীন সময়ে গেট খোলা রাখা।
  • প্রতিটি গেটে ইর্মাজেন্সী একজিট ও ফ্লোরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইর্মাজেন্সী লাইট এর ব্যবস্থা রাখা।
  • প্রতিটি ফ্লোরে একাধিক ফায়ার এ্যলার্ম ও দৃশ্যমান ফায়ার এ্যলার্ম সুইচের ব্যবস্থা রাখা।
  • আইন নির্ধারীত সংখ্যক সদস্যকে অগ্নি নির্বাপন ও উদ্ধার বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সর্বদা প্রস্তুত রাখা।
  • আইন নির্ধারীত সংখ্যক / তদাতিরিক্ত ফায়ার ড্রিল এর মাধ্যমে সকলকে অগ্নিকালীন সময়ে দ্রুত বহির্গমনের বিষয়ে প্রশিক্ষন দানের মাধ্যমে সতর্ক রাখা।
  • ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ স্টেশন, হসপিটাল ইত্যাদিও ফোন নম্বও সমূহ দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন ও প্রদর্শন।
  • প্রতিটি ফ্লোরে সহজে দৃশ্যমান স্থানে একাধিক এভাকেশন প্লান স্থাপন।
  • প্রতিটি ফ্লোরে উজ্জল আইলস মার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা এবং আইলস সর্বদা বাধা মুক্ত রাখা।
  • ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স সর্বদা আপডেড রাখা।

অগ্নি প্রতিরোধ সরঞ্জামাদিঃ প্রতিটি ফ্লোরেই পৃথকভাবে অগ্নি সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ করা  আছে। যেমনঃ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র,পানির পাইপ লাইন,অগ্নি সর্তকতার ঘন্টা,ফায়ার মা¯ক,লক কাটার,পানির ড্রাম,পানির বালতি,বালির বালতি,স্ট্রেচার ইত্যাদি ফ্লোরের বিভিন্ন পয়েন্ট মজুদ আছে।

প্রশিক্ষণঃ  প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেকশনে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদেরকে বাংলাদেশ ফায়ার

সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিগণ কর্তৃক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা   হয়ে থাকে।প্রতিটি ফ্লোরেই অগ্নি নির্বাপন দল নির্বাচন করে  প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। উক্ত সদস্যদের পরিচিতির জন্য নোটিশ বোর্ডে ছবি এবং প্রত্যেকের পৃথকভাবে দায়িত্ব বন্টন করা আছে।এছাড়া ফায়ার ফাইটাররা ফ্লোরে কর্মরত অবস্থায় ফায়ার ব্যাচ পরিধান করে থাকে। প্রতি মাসে অগ্নি মহড়ার মাধ্যমে ও অগ্নি বিষয়ক  প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

উপসংহারঃ  কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগনকে কর্মস্থলে সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কোম্পানী ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আর এই দায়িত্ব সঠিক বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত  নীতিমালা সমূহ গুলো কি কি ?

অগ্নি নির্বাপন এর প্রধান প্রধান নীতি সমুহ গুলো কি কি?

অগ্নি নির্বাপন নীতি

প্রজ্জলন নীতি থেকে জানা যায় আগুনের উৎপত্তির জন্য ৩টি রাসায়নিক বিক্রিয়ার অবিচ্ছিন্ন যোগসুত্র অপরিহার্য। নির্বাপন নীতির মূল বিষয় হচ্ছে যে প্রক্রিয়ায় আগুনের উৎপত্তি হয়েছে সেই পক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করা অর্থাৎ সেই প্রক্রিয়া ঘটতে না দেওয়া, অর্থাৎ আগুনে ৩টি উপাদান এবং অবিচ্ছিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া এই ৪টির মধ্যে যদি কোন একটিকে বিচ্ছিন্ন করা যায় বা এদের যোগসূত্রের বিঘœ ঘটানো যায় তবে আগুন থাকবে না। আর এটাই হচ্ছে অগ্নি নির্বাপন নীতি। …

তবে সর্ব প্রকার আগুন নিরাপত্তা  একই সূত্রে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। আগুনের কোন সূত্রকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে তা নির্ভর করে দাহ্য বস্তুর উপর।

প্রজ্ঝলন চতুর্ভুজের সূত্র বিচ্ছিন্নকারী মাধ্যমগুলির মধ্যে পানি একটি মাধ্যম। পানি দ্বারা তাপের সূত্রকে বিচ্ছিন্ন করা যায়। তবে কিছু কিছু দাহ্য বস্তু আছে যেখানে পানি ব্যবহার করা যায় না। যেমন- গ্যাস, বিদ্যুৎ বা তেল জাতীয় আগুনে পানি ব্যবহার করা যাবে না।

সুতরাং প্রজ্জলন চতুর্ভূজের ৪টি বাহু আছে। অগ্নি প্রযুক্তিতে ঐ ৪টি বাহু বিচ্ছিন্ন করার ৪টি পদ্ধতি আছে। যেমনঃ

১.   স্মুদারিং বা অক্সিজেন সীমিত করণ পদ্ধতিঃ স্মুদারিং হচ্ছে অক্সিজেন সীমিত করে আগুন নির্বাপন করা। স্মুদারিং এজেন্ট হচ্ছে- ফোম, সিওটু ইত্যাদি।

২.    কুলিং বা তাপ সীমিত করণ পদ্ধতিঃ এই পক্রিয়ায় আগুনে পানি নিক্ষেপ করা এই মূলনীতির অর্ন্তভূক্ত (কিন্তু সর্বপ্রকার দাহ্য বস্তুতে এই নীতি প্রযোজ্য নয়) কুলিং এজেন্ট হচ্ছে- পানি বা পানি টাইপ এক্সটিংগুইসার।

৩.   স্টারভেশন বা দাহ্য বস্তুর সীমিত করণ পদ্ধতিঃ দাহ্য বস্তু সীমিত করার দুটি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

  • আগুনের নিকট থেকে দাহ্য বস্তু সরিয়ে নেওয়া অথবা
  • আগুনকে দাহ্য বস্তুর নিকট থেকে সরিয়ে নেওয়া।

আগুনকে সরিয়ে যেমন- সিলিং হুকের সাহায্যে বা অন্য কিছুর সাহায্যে আগুনকে দুরে নিক্ষেপ করে দেওয়া যায়। এভাবে দাহ্য বস্তুকে সীমিত করার পদ্ধতি হচ্ছে স্টারভেশন।

৪.    পয়জনিং দি ফ্লেম বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন করণ পদ্ধতিঃ অগ্নি প্রজ্ঝলনের ৩টি উপাদানের সাথে যতক্ষন না প্রজ্জলনের অবিচ্ছিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটবে না ততক্ষন পর্যন্ত আগুন জ্বলবে না। সুতরাং অবিচ্ছিন্ন যোগ সূত্রকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারলেই আগুন থাকবে না। প্রজ্জলনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করা হয় আগুনে পাউডার নিক্ষেপ করে ফলে অবিচ্ছিন্ন যোগসুত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইহাকেই সাধারনত পয়জনিং দি ফ্লেম বলে।

আগুন লাগলে আমাদের করণীয় কি ?

অগ্নিকান্ডের ক্ষতি ভয়াবহ ও অপূরণীয়। জান মালের হেফাজত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। অগ্নিকান্ড থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হলে আগুন লাগার কারণগুলো অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। আল্লাহ্ না করেন যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটেই যায় তাহলে আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে নিম্নলিখিত বিষয় সমূহ সাহসের সঙ্গে তা নির্বাপন বা মোকাবেলা করতে হবে।

  • আগুন লেগেছে নিশ্চিত হওয়ার পরই ফ্লোরে স্থাপিত ফায়ার এলার্ম বক্স এর গ্লাস সরিয়ে/ভেঙ্গে সুইচ টিপে এলার্ম বাজাবেন।এছাড়া ও ঝুলন্ত চেইন নাড়া দিয়ে অগ্নি ঘন্টা বাজাবেন।
  • ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনামাত্র ফায়ার ফাইটার ব্যতিরেকে ফ্লোরের সমস্ত লোকজন যত দ্রুত সম্ভব মেশিনের সুইচ অফ করে অথবা হাতের কাজ ফেলে ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাবেন। ইলেকট্রিশিয়ান বা ফায়ার ফাইটিং পার্টির দলনেতা দ্রুত ফ্লোরের বৈদ্যুতিক সাবষ্টেশন এবং মেইন সুইচ বোর্ড অফ করবেন।
  • ফায়ার ফাইটাররা সিঁড়ির সামনে রক্ষিত ড্রামের পানি, বালি,অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এবং ফায়ার হোস পাইপের সাহায্যে আগুন নিভাতে চেষ্টা করবেন।
  • কাহারো গাঁয়ের কাপড়ে আগুন ধরে গেলে তৎক্ষনাৎ ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোন ক্রমেই দৌড়ানো যাবে না।
  • ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে বাহির হওয়ার পথ দেখতে না পেলে দ্রুত বসে হামাগুড়ি দিয়ে বাহির হয়ে আসতে হবে। ধোঁয়া প্রশ্বাসের সংঙ্গে ভিতরে নেওয়া যাবে না। কাপড় অথবা ভেজা টাওয়াল দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
  • বাথরুম/টয়লেট,বিল্ডিং এর ছাঁদ বা অন্য কোন স্থানে কেহ আটকা পড়ল কিনা তা মহিলা বাথরুমে একজন মহিলা এবং পুরুষ বাথরুমে একজন পুরুষ চেক করবেন।
  • কেহ ভয় পেয়ে জানালা দিয়ে নামতে চেষ্টা করলে বা লাফ দিতে চাইলে তাকে ফেরাতে হবে এবং সিঁড়ি দিয়ে নামতে সাহায্য করবেন।
  • লোকজন সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ে কোন ভাবেই ধাক্কাধাক্কি, তাড়াহুড়া, হৈ-চৈ বা কান্নাকাটি, আতংক এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবেন না।
  • ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবেন না। সরাসরি নিজের বাসায় চলে যাবে।
  • প্রথমে মানুষ এবং পরে মালামাল উদ্ধার করবে।
ফায়ার লাইসেন্স এর প্রধান প্রধান শর্তাবলী গুলো কি কি ?

ফায়ার লাইসেন্স এর প্রধান প্রধান শর্তাবলী গুলো কি কি ?

ফায়ার লাইসেন্স এর শর্তাবলী

ফায়ার লাইসেন্স এর শর্তাবলী । ফায়ার ফাইটার টিমের দ্বায়িত হল আগুন উৎস চিহ্নিত করা । ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  বা মহাপরিচালকের  ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা মনোনীত অফিসার / পরিদর্শক দল কর্তৃক  গুদাম / কারখানা যে কোন সময় (সুর্যদ্বয়ের পরে এবং সুর্যস্তের পূর্বে) পরিদর্শনের জন্য উন্মক্ত রাখতে হবে।  গুদাম বা কারখানার অংশবিশেষ বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। গুদাম বা কারখানার ছাদ পূর্ণ বা আংশিক ভাবে দ্রব্যাদি তৈরী, প্রস্তুত বা শুকানোর কাজে বা মজুদ করনের নিমিত্তে ব্যবহার করা যাবে না । …

আগুন নিবানোর জন্য নিকটস্থ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আগুন নিবানোর চেষ্টা করবে। কারখানা বা গুদামের অভ্যন্তরে, মালামাল উঠানামার স্থানে এবং নির্ধারিত চৌহাদ্দির মধ্যে ধুমপান করা, দিয়াশলাই ও লাইটার, বিড়ি সিগারেটের প্যাকেট বহন, খোলাবাতি ব্যবহার করা, স্পার্ক হয় এমন কোন লাইট ও বাতি ব্যবহার স¤পূর্ণ নিষিদ্ধ।

গুদাম বা কারখানা অভ্যান্তরে কারখানা আইন অনুযায়ী বিদ্যুতায়ন/ আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং একই আইন অনুযায়ী মালামাল সংরক্ষণ ও মেশিন স্থাপনসহ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ফায়ার ফাইটার টিমের সকল সদস্য নিদ্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়ে থাকবে। প্রতিষ্ঠানটিতে সংগঠিত সম্ভাব্য অগ্নি দুর্ঘটনা তৎক্ষনিকভাবে নির্বাপন ও নিয়ন্ত্রন এবং অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে নিম্নেবর্নিত ব্যাবস্থা সমুহ বলবৎ ও নিশ্চিত করতে হবে।

ক. ভবনের ওয়েট রাইজার ও বেইজমেন্টে  ¯িপ্রংকলার স্থাপন করতে হবে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে প্রতি ৪৫০০ বর্গফুট এরিয়ার জন্য নুন্যতম একটি এবং অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়ার জন্য  আরো একটি রাইজার পয়েন্ট স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি রাইজার পয়েন্টে ১.৫ ডায়া বিশিষ্ট ১০০ ফুট লাম্বার ভেরিয়েবল নজল/ ডিফিউজার নজল সংযুক্তকরে রাইজার পয়েন্টটির পার্শের বাক্সে সংরক্ষন করা হবে।

খ. ভবনের সকল তলায় অবস্থিত  গুদাম / কারখানার অভ্যান্তরে প্রতি ১০০ ফুট এরিয়ার জন্য একটি ¯িপ্রংলার হেড স্থাপন করতে হবে। প্রতিটি ¯িপ্রংলার হেড এর গ্যাস ভাল্ব/ ফিউজেবল কভারের সঠিক তাপ ধারন ক্ষমতা হবে ৬৫ সেলসিয়াস। সাথে একটি ফায়ার সার্ভিস কানেকশান (ফিমেল কপলিন) সংযুক্ত থাকবে। ফায়ার সার্ভিস কানেকশানের ডায়ামিটার হবে ২.র্র্র্৫র্  । রাইাজার পাইপের পানির প্রেসার হবে ন্যূনতম ২.৫ বার এবং ফায়ার সার্ভিস কানেকশনের পানির প্রেশার হবে ৫ বার।

এ দলের সদ্যস্যরা জায়গা খালি করবে এবং লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।কারখানা ও গুদামের প্রতি ১০০ বর্গফুট এলাকার জন্য ১টি করে অটো ইলেক্ট্রিক টাইপ স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন নিশ্চিত করিতে হইবে।

পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বয়ংক্রিয় ফায়ার এলার্ম বেল মেনুয়েল কলপয়েন্টসহ জরুরী নির্গমন সিঁড়ির/ ধোঁয়ামুক্ত সিড়ি রয়েছে।

ওয়্যারহাউজ বা কারখানা  প্রতিটি সিঁড়ির দরজার উভয় পার্শ্বে উপরে এবং জরুরী নির্গমন সিঁড়ির একজিট একসেস এর উপরে ব্যাটারী ও বিদ্যুৎ চালিত (ডুয়েল সোর্স) আলোকিত একজিট সাইন স্থাপনসহ সকল তলার ফ্লোর এড়িয়ায় পর্যাপ্ত সংখ্যক (ডুয়েল সোর্স) ইমার্জেন্সি লাইট স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।

ফায়ার এলার্ম বাজাবে এবং বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করবে।  প্রতি ২৫ মিটার পর পর ১টি করে জরুরী নির্গমন দরজা স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। জরুরী নির্গমন সিঁড়ির সকল উপকরন ইঘইঈ চধৎঃ-১ অনুযায়ী হতে হবে।

মালামাল উদ্ধারকারী টিমের দ্বায়িত হল দুর্ঘটনা কালীন কারখানার মালামাল উদ্ধার করা। অগ্নি কান্ডের সময় ধোয়া ও তাপ দ্রুত বের করার জন্য

প্রতি তলায় ৫৫০ বর্গফুট এলাকার জন্য ১টি ফায়ার এক্্রটিংগুইসার স্থাপন করতে হবে।এ হিসেবে ৫/৬ কেজি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রাই কেমিকেল উঈচ টাইপ, ঈঙ২ কার্বন ডাই অক্সাইড অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষন করতে হবে।

মালামাল উদ্ধারকারী টিমের সকল সদস্য নিদ্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়ে থাকবে।ওয়্যারহাউজ গ্যাংওয়ে উজ্জল রং দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে।

ভবনের ছাদে অবশ্যই বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ভবনের বৈদ্যুতিক আর্থি ব্যবস্থা অবশ্যই সুরক্ষিত হতে হবে।

আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করবে। অতি দাহ্যশীল ক্যামিক্যালস সমূহ পৃথক পৃথক কক্ষে সহনীয় তাপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাসহ গুদামজাত করতে হবে। কারখানার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানী তেল নিরাপদ স্থানে সংরক্ষন করতে হবে।

কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২৫% জনবলকে অবশ্যই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হতে অগ্নি নির্বাপন, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষন গ্রহণ করতে হবে। এ প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে সার্বক্ষনিক অগ্নি নির্বাপক দল গঠন করতে হবে।

প্রতি ১ মাস অন্তত: রেসকিউ ড্রিল আয়োজন করতে হবে এবং ফায়ার ড্রিলে সকলের আংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

কারখানায় পি এ সিস্টেম স্থাপন করতে হবে এবং গুদাম ও কারখানার সকল কক্ষকে এবং সকল সিঁড়ি ও জরুরী নির্গমন সিঁড়িকে  পি এ সিস্টেম এর আওতায় আনতে হবে। পি এ সিস্টেম ফায়ার কমান্ড কক্ষ হতে নিয়ন্ত্রিত হবে।

দুর্ঘটনাকালীন কেউ আটকে পড়ল কিনা তা খুজে বের করবে। প্রতি সপ্তাহে ন্যুন্নতম ১ বার বিল্ডিং ও দেয়ালে ও ছাদে জমে থাকা ডাষ্ট পরিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।

মালামালের ক্ষতির পরিমান যতদুর সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করবে ।  বিদ্যমান সিঁড়ি দুইটির প্রতি ফ্লোর হতে প্রবেশ পথের বাইরে স্মোক ষ্টোর লবি তৈরী করতে হবে এবং জরূরী নির্গমন সিঁড়ির ন্যায় সিঁড়ি দুইটিতে নূন্যতম ১ঘন্টা ফায়ার রেটেড দরজা স্থ্পান সহ সিড়ি দুইটিতে তাপ ও ধোঁয়া মুক্ত রাখার জন্য সিঁড়ির অভ্যান্তরে অগ্নিকান্ড কালীন সময় স্বয়ংত্রিয় ভাবে যাতে সিঁড়ির অভ্যান্তরে ন্যূনতম প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৩বার প্রেশার সৃষ্টি করা যায় সে ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। সিঁড়ির ল্যান্ডিং এরিয়া আগুনের শিখা ও ধোয়ামুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ভবনের সিকিউরিটি পোষ্ট অথবা ভবনের মূল প্রবেশদ্বার সংলগ্ন ১টি কক্ষকে ফায়ার কমান্ড কক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করে এ কক্ষে মেইন প্যানেল বোর্ড স্থাপন করে প্যানেল বোর্ডের সাথে ভবনের স্থাপিত সকল ডিটেক্টর ও এ্যলার্ম বেল এর সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার কমান্ড ষ্টেশনে জরুরী প্রয়োজনে নিম্নোক্ত সাজ সরঞ্জাম সংরক্ষন করতে হবে। এবং সার্বক্ষনিক ভাবে ১জন অপারেটরের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

উদ্ধারকারী টিমের সকল সদস্য নিদ্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়ে থাকবে। ভবনের উচ্চতা ৬ষ্ট তলার উর্দ্ধে বা ভবন বহুতল ও ফ্লোর এরিয়া ন্যুনতম ৫০০ বর্গ মিটারের বেশী হলে ভবনে ফায়ার লিফট নিশ্চিত করতে হবে।

সুইং মেসিনের ঝুঁকির প্রকারভেদ গুলো কি কি?

সুইং মেসিনের ঝুঁকির প্রকারভেদ গুলো কি কি?

ঝুঁকির প্রকারভেদ

কারখানার প্রতিটি ফ্লোরে চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমান প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে রাখতে হবে। প্রতিটি ফ্লোরে মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকের সমন্বয়ে গঠিত প্রাথমিক চিকিৎসা দল থাকতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা দলের অন্তর্ভূক্ত সকল সদস্যকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন প্রদান করতে হবে এবং উত্তীর্ন পরবর্তী কৃতকার্যতার সনদপত্র কারখানা কর্তৃপক্ষকে প্রদান করতে হবে। …

  • মশেনি অতিরিক্ত গরম হয়ে অগ্নি কান্ডের সুত্রপাত ।
  • র্ঘষণরে ফলে অতরিক্তি গরম হয়ে অগ্নি র্দুঘটনার সম্ভবনা।
  • ওভারলোডরে কারনে অগ্নি ঝুঁকি
  • অতিরিক্ত ডাষ্ট জমা হয়ে অগ্নি কান্ডের সুত্রপাত ।
  • মোটর অতিরিক্ত গরম হয়ে অগ্নি কান্ডের সূত্রপাত।
  • জরুরী বর্হিগমনের জন্য বর্হিগমনের পথে  বাধাপ্রাপ্ত হওয়া।
  • বদ্যৈুতকি ওভার লোড ও অতরিক্তি ডাস্ট জমা হয়ে র্শট র্সাকটিরে মাধ্যমে অগ্নি কাণ্ডরে সূত্রপাত হতে পার।ে
  • যন্ত্রপাতি অপব্যবহার করা ও ত্রুটি যুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কারণে অগ্নি র্দুঘটনার সম্ভাবনা।
  • অতরিক্তি ডাস্ট জমা হয়ে অগ্নকিাণ্ডরে সূত্রপাত হতে পার।ে
  • জরুরী অবস্থায় সক্রয়ি না থাকলে প্রানহানি ও আহাত হওয়ার সম্ভবনা।
  • অগ্নকিাণ্ডরে উৎস ও ধোঁয়া সনাক্ত করনে র্ব্যথ হয়ে প্রাণহানি ও আহতরে সংখ্যা বাড়ার সম্ভবনা।
  • অগ্নকিাণ্ডরে সময় ফায়ার হােজ রলি ও পাইপ সক্রয়ি না থাকলে অগ্নি নর্বিাপণ ব্যবস্থা বাঁধাগ্রস্ত হতে পার।ে
  • জরুরী অবস্থায় ফায়ার এক্সটংিগুইশার সক্রয়ি না থাকল।ে
  • জরুরী অবস্থায় জরুরী আলো, ফগ লাইট, আই পি এস সক্রয়ি না থাকলে এভকেুয়শেন/বহর্গিমন এর ক্ষএেে বাঁধা সৃষ্টরি সম্ভবনা।
  • জরুরী অবস্থায় বহর্গিমন পথ বাঁধাগ্রস্ত হওয়া।
  • জরুরী অবস্থায় সঁিড়/ি বহর্গিমন পথ বাঁধাগ্রস্ত হওয়া।

ঝুঁকি নিয়ন্ত্রনের বর্তমান ব্যবস্থা সমূহ

কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা দলের সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিভিন্ন ধরনের আঘাত, দুর্ঘটনা এবং শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবেন।কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা দলের সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিভিন্ন ধরনের আঘাত, দুর্ঘটনা এবং শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দলে নিয়োজিত সদস্যদের সহজেই সনাক্তকরনের সুবিধার্থে কারখানা ফ্লোরের দৃষ্টিগোচর স্থানে সদস্যদের ছবি প্রদান করতে হবে।

  • নয়িমতি মশেনিরে রক্ষণাবক্ষেণ করা।
  • মেশিনের মোটর অতিরিক্ত গরম হচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখা এবং মোটর গরম হলে তা বন্ধ করা।
  • নয়িমতি রক্ষণাবক্ষেণ করা এবং গরম হলে তা বন্ধ করা।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা দলের সদস্যরা শুধুমাত্র সাধারন আঘাত সমুহের চিকিৎসা করবেন। মারাত্মক আঘাতের ক্ষেত্রে আহত কে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল রুমে নিতে হবে। উচ্চ মাত্রার প্রতরিোধ ক্ষমতা সম্পন্ন হাত মোজা ব্যবহার করা।
  • নয়িমতি বদ্যৈুতকি লোড নর্দিষ্টি মাত্রায় নশ্চিতি করা।
  • নিয়মিত মোটরের ডাষ্ট পরিষ্কার করা।
  • মেশিনের মোটর অতিরিক্ত গরম হচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখা এবং মোটর গরম হলে তা বন্ধ করা।
  • বহর্গিমনরেপথ সকল সময় বাধামুক্ত রাখতে হবে এবং চলাচলরে পথ বাঁধাগ্রস্ত রাখা যাবে না।
  • নয়িমতি ডাস্ট পরষ্কিার করা। নদিষ্টি মাত্রায় বদ্যিুৎ সরবরাহ নশ্চিতি করা।
  • বদ্যৈুতকি কাজরে সময় চচঊ ব্যবহার করা।
  • কারখানার অভ্যন্তরে মেডিকেল রুমের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং উক্ত রুম পরিচালনার জন্য সার্টিফিকেটধারী অভিজ্ঞ একজন পুরুষ ও একজন মহিলা পেরামেডিক্স নিয়োগ করতে হবে।  লুস কব্‌েল না রাখা।
  • ত্রুটি হীন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা ও অপব্যবহার রোধ করা
  • নয়িমতি পরষ্কিার করা।
  • জরুরী অবস্থার জন্য সকল ফায়ার ইকুইপমন্টে সক্রয়ি রাখার ব্যবস্থা করা।
  • জরুরী অবস্থার জন্য সকল ধোঁয়া সনাক্তকারী যন্ত্র সক্রয়ি রাখার ব্যবস্থা করা।
  • জরুরী অবস্থার জন্য সকল ফায়ার হােজ রলি ও পাইপ সক্রয়ি ও র্পযাপ্ত পানি সরবরাহরে ব্যবস্থা নশ্চিতি করা।
  • জরুরী অবস্থার জন্য সকল ফায়ার এক্সটংিগুইশার সক্রয়ি ও র্পযাপ্ত এক্সটংিগুইশার সরবরাহরে ব্যবস্থা নশ্চিতি করা।
  • জরুরী অবস্থার জন্য সকল জরুরী আলো, ফগ লাইট, আই পি এস সক্রয়ি ও র্পযাপ্ত সরবরাহরে ব্যবস্থা নশ্চিতি করা।
  • জরুরী অবস্থার জন্য সকল আইলস র্মাক বাধামুক্ত রাখা ও নরিাপদ বহর্গিমনরে পথ নশ্চিতি করা।
  • জরুরী অবস্থার জন্য সকল সঁিড়ি ও বহর্গিমন পথ বাধামুক্ত রাখা ও নরিাপদ বহর্গিমনরে পথ নশ্চিতি করা।
বহন যোগ্য রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এর সহজ বর্ণনা

বহন যোগ্য রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এর সহজ বর্ণনা

বহন যোগ্য রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র

পোশাক শিল্প কারখানায় প্রাথমিক পর্যায়ের আগুন নির্বাপনের জন্য রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। আগুনের সূত্রপাতেই এ যন্ত্র ব্যবহার করতে পারলে সাথে সাথে আগুন নিভে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দলের ছবি প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রত্যেক সদস্যকে সহজেই চিহ্নিত করনের সুবিধার্থে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যাজ প্রদান করতে হবে। মেডিকেল রুমে পর্যাপ্ত ঔষধ ও চিকিৎসা উপকরন থাকতে হবে। সকল প্রকার গুরুতর আঘাত বা জটিল অসুস্থতার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ঝুকি গ্রহন ব্যতিরেখে কারখানায় নিয়োজিত পেরামেডিক্স রোগীকে নিকটবর্তী হাসপাতাল/ক্লিনিকে প্রেরনের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। …

সংজ্ঞা ঃ যে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র একস্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করে নিয়ে গিয়ে আগুন নির্বাপন করা যায় তাকে বহনযোগ্য রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বলে। একটি বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ওজন (কেমিক্যাল সহ) সর্বোচ্চ ২৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

প্রকারভেদ ঃফায়ার বেলের শব্দ শুনার সাথে সাথেই সকল কর্মীবৃন্দ পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে কর্মরত থাকবেন এবং সকল লোকজন নিরাপদ স্থানে বের হয়ে যাওয়ার পর এই দলের লোকজন  নিরাপদ স্থানে জমায়েত হবেন। পার্সোনেল ইনচার্জ ও স্থানান্তর দলের দলাধিনায়ক কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদন মিলিয়ে দিনের হাজিরা অনুযায়ী সকলের সঠিকতা বিষয়ে নিশ্চিত হবেন। আপদ কালিন সময়ে বের হওয়ার সময় যাতে কোন ভীতি বা হুড়োহুড়ির সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করন ও বাইরে জন গননা করার সময় শৃংখলা রক্ষা এই দলের দ্বায়িত্বেও অন্তভুক্ত। বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র পাওয়া যায়। এখানে পোশাক শিল্প কারখানার ব্যবহৃত দাহ্যবস্তু বা জ্বালানীর আগুন নির্বাপনের জন্য যে সকল অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হয় শুধু সেগুলো নিয়েই আলোচনা করা হলো ঃ

অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহৃত কেমিক্যালের উপর ভিত্তি করে কারখানায় সাধারণত ঃ চার ধরনের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা হয়। যেমন ঃ

  • ড্রাই কেমিক্যাল পাউডার বা ডিসিপি  টাইপ
  • কার্বন-ডাই-অক্সাইড বা সিওটু  টাইপ
  • ফোম ) টাইপ
  • ওয়াটার  টাইপ

ড্রাই কেমিক্যাল পাউডার বা ডিসিপি  টাইপ ঃএ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মধ্যে অগ্নি নির্বাপনী এজেন্ট হিসেবে পাউডার থাকে। পাউডারে ধর্ম ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে এ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রকে প্রধানতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়, যেমন ঃ

বিসি টাইপ

এবিসি টাইপ

ডি টাইপ (

এবিসি টাইপ (অইঈ ঞুঢ়ব) ঃ এ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দুই ধরণের যথা ঃ

ষ্টোরড প্রেসার টাইপ

কার্টিজ টাইপ

জরুরী উদ্ধার জরুরী উদ্ধার

নিয়োজিত পেরামেডিক্সগন মেডিকেল রুমে সর্বদা একটি চিকিৎসা রেজিষ্টার সংরক্ষন করবেন এবং প্রতিটি চিকিৎসা প্রদানের পর অবশ্যই প্রদত্ত চিকিৎসার বিবরন উক্ত রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে সংযুক্ত তালিকা বহির্ভূত কোন প্রকার বেদনা নাশক টেবলেট, এন্টিবায়োটিক বা অন্য যে কোন প্রকার সংবেদনশীল ঔষধ রাখা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। নিয়োজিত পেরামেডিক্স কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক বা অন্য যে কোন প্রকার সংবেদনশীল ঔষধ যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক, তা রোগীকে প্রদানে বিরত থাকবেন।  অগ্নি দূর্ঘটনা বা অন্য যে কোন দূর্ঘটনায় কোন শ্রমিক/কর্মচারী আহত হলে তাকে দূর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। রোগী সাচেতন থাকলে এবং হাটতে সক্ষম হলে তাকে উদ্ধার করতে তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু রোগী অসচেতন থাকলে এবং হাটার ক্ষমতা না থাকলে তাকে উদ্ধার করতে অনেক বেগ পেতে হয়। এ ধরণের আহত রোগীকে সাধারণতঃ স্ট্রেচারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু স্ট্রেচার পাওয়া না গেলে তাকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ধার করা হয়। নিম্নে কয়েকটি প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হলো ঃ
(০১) উদ্ধারকারী যদিএকজন হয়, তবে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে উদ্ধার করা হয়-
(ক) হিউম্যান ক্র্যাচ মেথোড  (খ) পিক এ ব্যাগ মেথোড  (গ) ফায়ারম্যান লিফট ( (ঘ) ক্রেডল ক্যারী ( (ঙ) ফায়ারম্যান  (চ) রিমোভ্যাল ডাউন ষ্টেয়ার (
(০২) উদ্ধারকারী যদিদুইজন হয়, তবে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে উদ্ধার করা হয়-
(ক) টু হ্যান্ডেড সীট ( (খ) থ্রি হ্যান্ডেড সীট ( (গ) ফোর হ্যান্ডেড সীট ( (ঘ) ফোর এ্যান্ড আর্ট মেথোড (