Select Page

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার পদ্ধতি ঃ

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি  – অত্র ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিকদের পিপিই ব্যবহার ও সচেতন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশক্ষিন প্রদান করনে করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হয়। আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জমাদি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। শ্রমিকেরা নিয়মানুযায়ী আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জমাদি ব্যবহার করছে কি না তা নিশ্চিত করবে সেকশন ইনচার্জ/সুপারভাইজার।সকল শ্রমিক অবশ্যই তাদের সংশ্লিষ্ট আত্মরক্ষামূলক যন্ত্রাদি ব্যবহারের নিয়মাবলী সর্ম্পকে জানবে। শ্রমিক কর্মচারীদের সর্বোচচ নিরাপত্তার খাতিরে নিুলিখিত সরঞ্জামাদি ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়ে নিুে আলোচনা করা হলো ঃ- ফফফফ …

হাত মোজা ব্যবহার বিধি ঃ

১। ফ্লোর-ইনচার্জ ও সংশ্লিষ্ট্য ব্যক্তি শ্রমিককে হাত মোজা ব্যবহারের নিয়ম শিক্ষা দিবে।
২। প্রথমে দেখে নিতে হবে হাত মোজাটি আপনার হাতে সঠিক ভাবে লাগছে কিনা ।
৩। শ্রমিক হাত মোজা ব্যবহার করছে কি না তা ফ্লোর-ইনচার্জ ও সংশ্লিষ্ট্য ব্যক্তি তদারক করবেন।
৪। হাত মোজা কার্যকারিতা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করতে হবে।
৫। কোন ত্রটি দেখা দিলে ফ্লোর-ইনচার্জকে বলুন ও প্রয়োজনে বদলে নিন।
৬। মনে রাখবেন এটি আপনার জন্য একটি অপরিহার্য বস্তুু। তাই এটি পরতে যতœবান হোন।

মুখোশ (মাসক্) ঃ

প্রথমে দেখে নিন যে মাস্কটি আপনাকে দেওয়া হয়েছে তা আপনার মাপ মতো কি না। এইটির সম্পূর্ণ অংশ সঠিক আছে কি না। একাধিকবার আপনার নাক এবং মুখে স্থাপন করে নিশ্চিত হোন যে, এটি আপনার কোন প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি করছে কি না। প্রত্যেকদিন এইটি পরীক্ষা করুন এবং কোন ত্রæটি পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করে সরঞ্জমাদি বদলে নিন। এই মাস্কটি আপনাকে সম্ভাব্য অনেক ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করবে, তাই এইটি ব্যবহারে যতœবান হোন। বশিষে করে ধুলো-ময়লা, আর্বজনা, র্দুগন্ধ যুক্ত কাজরে সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদরে সব সময় মাস্ক পরা উচতি।

কারখানার নিডেল সকেশনরে শ্রমকিরা সব সময় মাস্ক পরধিান করা বাধ্যতামূলক, এর পাশাপাশি অন্যরাও সব সময় মাস্ক পরধিান করব।ে  প্রত্যেকদিন এটি পরীক্ষা করুন এবং কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করে সরঞ্জামাদি বদলে নিন। এই মাস্কটি আপনাকে সম্ভাব্য অনেক ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করবে, তাই এটি ব্যবহারে যতœবান হোন। ফ্যাক্টরীতে যারা কার্যরত তাদের প্রত্যেকের জন্য মাসক্ ব্যবহার অত্যন্ত জররী। প্রধানতঃ কাপড় নাড়ার সময় অত্যন্ত হালকা ময়লা বাতাসে ভেসে বেড়ায় নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে এই অতি ক্ষুদ্র ময়লাগুলি শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে তাদের শরীরের ক্ষতি করে থাকে। এই মাসক্টি তাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে।

গ্লাভসঃ

যেসব অপারেটর কেমিকেল নিয়ে কাজ করে, তথা মিক্সিং বা ড্রাম হতে ডেলে কাজ করে তাদের উচিত কাজ শুরু করার আগে জঁননবৎ এষড়াবং পরে নেয়া। এতে তার যেকোন প্রকার থেকে নিরাপদ থাকবে। প্রথমেই দেখে নিন আপনাকে যে গেøাভসটি দেওয়া হয়েছে তা আপনার হাতে সঠিকভাবে লাগছে কি না। কেমিক্যাল ড্রাম বা পট হতে কেমিক্যাল মেশানোর সময় অবশ্যই কেমিক্যাল ড্রেস পরে  কাজ করতে হবে। যাতে কেমিক্যাল গায়ে না লাগতে পারে।  গেøাভসটির কার্যকারিতা সব সময়ে পরীক্ষা করুন। কোন ত্রæটি পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার সেকশন চীফকে জানান এবং নিজ দ্বায়িত্বে বদলের জন্য সচেষ্ট হোন। এইটি আপনার একটি অপরিহার্য বস্তুু এবং এইটি ব্যবহারে যতœবান হোন।

ব্যবহার বিধি ঃ

১। প্রথমে দেখে নিন যে মুখোশটি (মাসক্) আপনাকে দেওয়া হয়েছে তা আপনার মাপ মতো কিনা।
২। পরীক্ষা করন কোন ক্রটি আছে কি না। থাকলে আপনার ফ্লোর-ইনচার্জকে বলুন।
৩। ফেœার-ইনচার্জ ও সুপারভাইজার সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে মুখোশ ব্যবহার শিক্ষা দিবে এবং তা ব্যবহার করছে কি না তা তদারক করবে।
৪। এই মুখোশটি (মাসক্) স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থেকে আপনাকে বাঁচাবে তাই আপনারা মুখোশ (মাসক্) ব্যবহারে সতর্ক হোন।

ভার বহন / উত্তোলন ঃ

ভার বহন/উত্তোলন একটি শারীরিক কাজ। এই কাজের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন নতুবা বিপদের সম্ভাবনা থাকে। ভার বহন/উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিুলিখিত নির্দেশাবলী পালন করা উচিত ঃ
১। ভার উত্তোলনের পূর্বে ওজন সর্ম্পকে সঠিকভাবে জেনে নিন। সম্পূর্ণ সামনের দিকে ঝুকে ভার উত্তোলন করবেন না। ভার উত্তোলনের পূর্বে ওজন স¤পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।
২।বড় সাইজের বাক্স হলে দুইজন ধরাধরি করে কোমর উচ্চতায় তুলুন, পরে আপনার সুবিধাজনক স্থানে ধরে ওজন বহন করুন।  স¤পূর্ণ সামনের দিকে ঝুকে ভার উত্তোলন করবেন না।
৩। বড় সাইজের কার্টুন হলে দুইজন ধরাধরি করে কোমর উচচতায় তুলুন পরে আপনার সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করে ওজন বহন করন।
৪। ভারী ওজন বহনের ক্ষেত্রে অপরের সাহায্য নিন।
৫।ভারী ওজন বহনের ক্ষেত্রে অপরের সাহায্য নিন। ওজন বহনের সময় আপনার দৃষ্টি সীমা পরিষ্কার রাখুন।  ওজন বহনের সময় আপনার দৃষ্টি সীমা পরিষ্কার রাখুন।
৬। ওজন বহনের সময় শব্দ ব্যবহার করে আশে পাশের সকলকে সতর্ক করুন এবং সংঘর্ষ এড়ান।  ওজন বহনের সময় শব্দ করে আশে পাশের সকলকে সতর্ককরন এবং সংঘর্ষ এড়ান।
৭ ওজন বহনের সময় ট্রলি ব্যবহার করার চেষ্টা করন। শারীরিকভাবে ওজন বহন যথাসম্ভব পরিহার করন।
৮। কোন দ্রব্য সরঞ্জাম বা যস্ত্রপাতি হাতে বা মাথায় করিয়া বহন, উত্তোলন বা অপসারনের জন্য কোন অন্তঃসত্বা মহিলাকে কাজে লাগানো যাবে না।

এছাড়াও আমাদের কোম্পানীর আত্মরক্ষমূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিজস্ব নীতি আছে যা নিম্নরুপ ঃ

আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নীতিমালা

শ্রমিকের সার্বিক স্বাস্থ্য রক্ষা ও নিরাপত্তার খাতিরে আমাদের একটি লিখিত আতœ রক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের কর্ম পদ্বতি আছে। কর্মপদ্ধতি গুলো নি¤œরুপঃ
১. আতœ রক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিয়ম বর্ননা করে একটি আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের আয়োজন করে থাকি।
২. কমপ্লায়েন্স / কল্যান কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে হাত মোজা, গামবুট, মুখোশ ও ইয়ার প্লাগ/ইয়ার মাফলার, চশমা ইত্যাদির (যেখানে যা প্রযোজ্য) ব্যবহারিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
৩. শ্রমিকেরা এই সব ব্যবহার করছে কিনা তা নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার।
৪. মেশিনে ও কাজের ধরন অনুযায়ী আতœ রক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
৫. সকল শ্রমিক তাদের সংশিষ্ট আত্ম রক্ষামূলক দ্রবাদী ব্যবহারের লিখিত ব্যবহারবিধি অনুসরন করে থাকে।
আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ঃ-
* হাত মোজা * মুখোশ * কানের ছিপি * চশমা হেলে ইত্যাদী।
মাস্ক ঃ যারা আমাদের ফ্যক্টরীতে কাটিং, নিটিং, এবং ওয়ার হাউজের সঙ্গে জড়িত আছেন তাদের জন্য মাস্ক এর ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া সাধারণত সুইংমেশিন অপারেটর, স্প্রে গান অপারেটর এবং থ্রেড ছাকার ব্যবহারকারী কর্মীদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক।
হাত মোজা ঃ হাত মোজা ব্যবহারের প্রথম কারণ হচ্ছে আপনার হাতকে সম্ভাব্য বিপদ হতে রক্ষা করা। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
কানের ছিপি ঃ যারা বেশি শব্দ তৈরি হয় এরুপ জায়গায় (নিটিং, জেনারেটর রুম,বয়লার রুম ইটিপি) কাজ করেন তাদেরকে কানের ছিপি ব্যবহার করতে হয়। যাতে শব্দ দূষনে কানের কোন প্রকার ক্ষতিসাধন না হয়। কানের ছিপিটি অথবা ইয়ার মাফটি এমনভাবে পরতে হবে যাতে বাহিরের শব্দ কানে প্রবেশ করতে না পারে।
চশমা ঃ এটি না থাকলে চোখে কালি বা অন্যকিছু গিয়ে কিছু পড়তে পারে । সেক্ষেত্রে চোখের মারাতœক ক্ষতি হতে পারে। তাই অবশ্যই কালি বা কেমিক্যাল ব্যবহারের পূর্বে গগল্স ব্যবহার করে কাজ করবেন। অনেকে গগল্স ব্যবহার না করে কালি বা কেমিক্যাল মেশানোর কাজ করেন। এ অভ্যাসগুলি আপনাদের পরিবর্তন করতে হবে আপনাদের নিজের নিরাপদের জন্য। যারা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে এবং ¯œ্যাপ বাটন মেশিন অপারেট করে তারা চশমা ব্যবহার করে। যাতে এসিড / কেমেক্যাল কিংবা বোতামের ভাঙ্গা অংশ চোখের কোন ক্ষতি করতে না পারে।
হেলমেট ঃ সিভিল কন্সট্রাকশনের কাজ করার সময় মাথায় হেলমেট ব্যবহার করতে হবে।

ব্যবহারবিধিঃ

১) প্রথমে দেখে নিন যে সরঞ্জামটি আপনাকে দেওয়া হয়েছে তা আপনার মাপ মত হয়েছে কিনা।
২) সরঞ্জামটির কার্যকারিতা ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
৩) এটির সমন্ত অংশ সঠিক কিনা (যেমন- ইলাসটিক, সামনের কাপড় বা রবার কাপ ইত্যাদি) দেখে নিন।
৪) একাধিকবার আপনার নাক, কান, মুখ বা চোখে স্থাপন করে নিশ্চিত হোন যে এটি আপনার কোন প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি করছে কি না।
৫) প্রত্যেকদিন এটি পরীক্ষা করুন এবং সমস্যা পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সুপারভাইজারকে অবহিত করে বদলে নিন।
৬) মনে রাখবেন এটি আপনার জন্য একটি অপরিহার্য বস্তু এবং এটি ব্যবহারে যতœবান হোন।

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার নীতি।

উদ্দেশ্য ঃ অটো গ্র“প এ নিযোজিত সকল শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিেেবশের জন্য এই নীতি
প্রযোগে দুঢ় প্রতিজ্ঞ।
পরিধি ঃ প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিক, কর্মচারীদের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে।

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের জন্য যে সমস্ত নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে সে গুলো নিম্নরুপ ঃ

১) আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিয়ম শিখানোর জন্য শ্রমিকদের একটি আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের আযোজন করা হয় ।
২) কারখানায় কর্মরত প্রত্যেকটি শ্রমিককেই মুখোশ ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
৩) কাটিং মেশিনে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিককেই অবশ্যই হাত মোজা ও মুখোশ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়।
৪) লাইন সুপারভাইজরদের সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে হাতমোজা ,মুখোশ, কানের ছিপি, নিডিল গার্ড ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৫) শ্রমিকরা সঠিকভাবে এ সব ব্যবহার করছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য লাইন সুুুুুুপারভাইজরদের নির্দেশ দেয়া হয়।
৬) আনুষ্ঠ্ানিকভাবে ভার উত্তোলন শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
৭) সুপারভাইজররা নিশ্চিত করেন যে শ্রমিকরা সঠিক নিয়মে ভারউত্তোলন করছে।
৮) নোটিশ বোর্ড, কর্মীদের খাবার স্থান ও বিশ্রামস্থল সহ প্রধান প্রধান স্থানে ভার উত্তোলনের নিয়মাবলী এবং লিঙ্গভেদে ভার বহনের ছক ঝুলানো হয়