Select Page
সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা এবং যৌথ দরকষাকষি নীতিমালা

সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা এবং যৌথ দরকষাকষি নীতিমালা

সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা এবং যৌথ দরকষাকষি

কম্পোজিট লিঃ স্বাধীন সংগঠন এবং যৌথ দরকষাকষি করার কর্মীদের আইনগত। এ অধিকার অনুশীলন করার অধিকারকে কর্তৃপক্ষ স্বীকৃতি দেন এবং সম্মান প্রদর্শন করবেন । কর্মীদের পছন্দমত যে কোন সংস্থায় যোগাযোগের স্বাধীনতাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। কর্মীদের অধিকার আদায়ের অনুশীলন এবং সংঘবদ্ধ দর কষাকষির জন্য শ্রমিক কল্যান সংঘে যোগদানকে  নিরুৎসাহিত বা বাধাপ্রদান করায় আমরা বিশ্বাসী নই।

কোম্পানীর নীতিসমূহ

  • স্বাধীন সংগঠন এবং যৌথ দরকষাকষি করার কর্মীদের আইনগত অধিকার অনুশীলন করার অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান এবং সম্মান প্রদর্শন করবেন।
  • কল্যাণ তহবিল নীতিমালা প্রনয়ন করা এবং মনিতরিং করা
  • যে সকল কর্মী আইনানুগতভাবে সমিতি গঠন অথবা যৌথ দরকষাকষি অথবা অংশগ্রহন করবে, তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করবে না।
  • যে সকল কর্মী সমিতি অথবা যৌথভাবে দরকষাকষি না করাকে বেছে নেয়, তাদের বিরুদ্ধেও অবৈধভাবে পক্ষপাতিত্ব করবে না।
  • যে সকল আবেদনকারী পূর্বে স্বাধীন সংগঠন অথবা যৌথভাবে দরকষাকষি করার আইনগত অধিকার অনুশীলন করাকে বেছে নেয়,তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব অর্থাৎ কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্তি করবে না।

প্রযোজ্য আইনসমূহ এবং নীতিসমূহ): আইনসমূহ এবং নীতিসমূহের উৎস

  • শিল্পসম্পর্ক বিধিমালা ১৯৭৭
  • মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষনা ১৯৪৮
  • সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা এবং সংগঠনের অধিকার সংরক্ষণ কনভেশন, ১৯৪৮(৮৭)
  • সংগঠন করার এবং যৌথ দরকষাকষির অধিকার কনভেশন ১৯৪৮ (৯৮)
  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ

  • কোন বৈধ সমিতিতে যোগদান বা যোগদান না করাসহ কর্মচারীদের অবাধ সমিতি গঠনের বৈধ অধিকার প্রয়োগের তাদের সমর্থনকে স্বীকার করে নেয় এবং এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং সাহায্য ও নির্দেশনার জন্য সরকারীভাবে গৃহীতি ইউনিয়ন, স্থানীয়, বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) বা শ্রমিক সংগঠনের সাথে প্রয়োজনে যোগাযোগ স্থাপনের বিষয় বিবেচনা করা।
  • কর্মচারীদের অভিযোগ ও তাদের সমস্যার সমাধানের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং কর্মচারীদের ও সামষ্টিক দরকষাকষির অধিকারকে স্বীকার করে নেয়া এবং এই অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
  • সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা এবং যৌথ দরকষাকষি সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ যোগাযোগ, বিস্তার এবং দেখাশোনা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে তার মাধ্যমে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহের বাস্তবায়ন করা।
  • সংঘবদ্ব হওয়ার স্বাধীনতা এবং যৌথ দরকষাকষি সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহের সম্পর্কে সকল দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সংম্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা ।
মহিলা কর্মীদের অধিকার নীতিমালা গুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

মহিলা কর্মীদের অধিকার নীতিমালা গুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

মহিলা কর্মীদের অধিকার নীতিমালা

লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য ঃ

অটো  গ্র“পে বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত সকল মহিলা শ্রমিকদের মান মর্যাদা, সম্ভ্রম, যৌন হয়রানী,  উৎপীড়ন, নিপীরন, শালীনতা,   কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন  ইত্যাদির বিরুদ্ধে কোম্পানী ও বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহনে বদ্ধ পরিকর। আর কর্মক্ষেত্রে এর সঠিক রুপদান ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এ নীতিমালা প্রণীত। অটো কম্পোজিট লিঃ কর্তৃপক্ষ মহিলাদের অধিকার সম্বন্ধে সর্বদাই সচেতন। আমাদের কারখানায় মহিলা কর্মীরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। যা আমরা বাংলাদেশের শ্রম আইন ও আমাদের সকল বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারন করেছি। উল্লেখিত নীতিমালাটি প্রনোয়ন ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগের জন্য একটি কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে কোন মহিলা শ্রমিক তিনি যে পদমর্যাদারই হউন না কেন তাদের প্রতি যদি কেহ কোন প্রকার অশালীন কিংবা অভদ্রজনোচিত আচরন করেন তাহলে তা নিরসনের জন্য জিএম  প্রশাসন সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেন। এছাড়াও এ,জিএম ( এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স ) তাৎক্ষনিকভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সদা তৎপর ।

  • কর্মী-নিয়োগঃ আমাদের কারখানায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষ ভেদাভেদ করা হয় না। যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে মহিলাকর্মীরা সঠিক ও যথার্থ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। গর্ভবতী মহিলা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থাকে কোন প্রকার অবহেলা করা হয় না। তাছাড়াও ঐ কর্মীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার কাছে থেকে কোন প্রকার গর্ভকালীন পরীক্ষার কথা জানতে চাওয়া হয় না।
  • মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুযোগ-সুবিধা ঃ আমাদের কারখানায় গর্ভবতী মহিলা কর্মীদেরকে সবেতনে ১৬ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা হয়। যদি তার চাকুরীকাল ৬ মাস পূর্ণ হয়। গর্ভবতী মহিলাদের দ্বারা কোন প্রকার ভারী কিংবা ঝুঁকিপূর্ন কাজ করানো হয় না। তাছাড়া নিয়মিত কর্মঘন্টা ছাড়া অতিরিক্ত কর্মঘন্টা (ওভারটাইম) করানো হয় না।
  • বৈষম্যহীনতাঃ আমাদের কারখানায় মহিলা ও পুরুষ কর্মীদের কর্মস্থলে বৈষম্য নেই। মহিলা ও পুরুষ একই পরিবেশে, একই চিকিৎসায়, একই শৃংখলা আইনে নিজ নিজ কার্য সম্পদন করছে।
  • পক্ষপাতমূলক আচরনঃ পদোন্নতি, শ্রেষ্ঠ কর্মী নির্বাচন, চাকুরীচ্যুতি অথবা বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে কোন প্রকার পক্ষপাতমূলক আচরন করা হয় না।
  • সমবেতনঃ আমাদের কারখানায় একই কাজের জন্য সমান কর্মদক্ষতা সম্পন্ন একজন পুরুষ কর্মী যে পরিমান বেতন পায়, একজন মহিলা কর্মীও সেই পরিমান বেতন পেয়ে থাকে।
  • প্রতিনিধিত্বকারীঃ ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদের অংশগ্রহনকারী কমিটিতে অধিকাংশ সদস্যই নারী যাতে তাদের সমস্যাগুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে পারে।
  • ডে-কেয়ার সেন্টারঃ আমাদের কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টারের সুবিধা রয়েছে। এখানে মহিলা কর্মীরা কর্ম কালীন সময়ে তাদের ৬ বছর পর্যন্ত বয়সের বাচ্চাদের নিরাপদে রাখতে পারেন। যেখানে ১ জন গভর্নেজ বাচ্চাদের পূর্ণ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।

মহিলাদের অধিকারকে সামনে রেখে শ্রম আইনের আলোকে আমাদের আরো কিছু সুবিধা উল্লেখ করা হলোঃ

  • আমাদের কারখানায কোন সুস্থ মহিলা ৫০ পাউন্ডের বেশী মাল উত্তোলন করবে না।
  • কোন মহিলা শ্রমিক রাত ৮ টার পর কোন কাজ করবে না।
  • কোন ঘূর্ণায়মান যন্ত্রের নিকট কাজ করবে না।

প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রক্রিয়া ঃ

  • কর্মক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকদের জন্য গৃহীত নীতিমালা গুলো বাস্তবায়নে যে সকল বিশেষ নীতিমালা গুলো আর মসলিম গ্র“প কর্তৃপক্ষ অনুসরন করে থাকে তা নিম্নরুপ:
  • কর্মক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকদের প্রতি কোনরুপ অন্যায় বা অশালীন আচরন না করা
  • মহিলা শ্রমিকদের প্রতি হুমকি প্রদান বা গায়ে হাত না দেওয়া
  • যে কোন প্রকারের যৌন হয়রানীমূলক আচরন না করা
  • মহিলা শ্রমিকদের মানসিক নির্যাতন না করা
  • র্ভবতী মহিলা শ্রমিকদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরন করা ও তাদের সহজ কাজ নিশ্চিত করা।
  • মহিলা শ্রমিকদের কাজকে হেয় চোখে না দেখা
  • মহিলা শ্রমিকদের সাথে বৈষম্য মূলক আচরন না করা।
  • পানীয়জল, টয়লেট, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অন্যাণ্য মানবিক প্রয়োজনের উপর বিধি নিষেধ আরোপ না করা ।
  • শ্রম আইন পরিপন্থি কোন কর্মঘন্টায় মহিলা শ্রমিক দ্বারা কাজ করানো যাবে না।

অটো  গ্র“প কর্তৃপক্ষ মহিলা শ্রমিকদের অধিকার সম্মন্ধে সর্বদাই সচেতন। আমাদের কারখানায় মহিলা কর্মীরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। যা আমরা বাংলাদেশে শ্রম আইন ও আমাদের সকল ক্রেতার/বায়ারের চাহিতা অনুযায়ী নির্ধারন  করা হয়ে থাকে।

মহিলা কর্মীদের সাথে  আচরণের নীতিমালা

ভুমিকা : বাংলাদেশ একটি রক্ষনশীল ও মুসলিম প্রধান দেশ। আমরা নারী পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী তবে আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উশৃংখলতা ও নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার পরিপন্থী। আমাদের দেশের আর্থসামাজিক কর্মকান্ডে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে আসছে এটা জাতীয় উন্নয়নের একটি ইতিবাচক দিক। তবে আমাদের কর্মক্ষেত্রে শালীনতা ও শৃংখলা বজায় রেখে কর্ম পরিবেশকে সুন্দর রাখতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা শ্রমিক কর্মরত আছেন এবং সর্বপ্রথম তাদেরকে মানুষ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। অধিকন্তু আমাদেরকে সর্বাগ্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, এটি একটি ব্যবসায়ী প্রিিতষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও উন্নতির জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মীর সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে।

মহিলা শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য সুবিধামূলক নীতিমালা সমুহের বর্ণনা

মহিলা শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য সুবিধামূলক নীতিমালা সমুহের বর্ণনা

মহিলা শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য সুবিধামূলক নীতিমালা

উদ্দেশ্য ঃ

আমাদের কারখানায় মহিলা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষ ভেদাভেদ করা হয় না। যোগ্যতা ও কর্মক্ষতার ভিত্তিতে মহিলাকর্মীরা সঠিক ও যথার্থ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। গর্ভবতী মহিলা কর্মী নিয়োগের    ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থাকে কোন অবহেলা করা হয় না। তাছাড়া ঐ কর্মীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার কাছ থেকে কোন প্রকার গর্ভকালীন পরীক্ষার কথা জানতে চাওয়া হয় না অতবা কোন ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয় না। ফ্যাশনস লিঃ বিশ্বাস করে যে, এই কোম্পানীর কাজের পরিবেশ সম্পূর্নভাবে নারীর উৎসাহমূলক বান্ধব পরিবেশ। নীটওয়্যার লিঃ এর কর্মরত সকল শ্রমিকদের মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে বিশেষ করে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সুবিধামূলক নীতিমালা গ্রহন করেছে কারখানা কর্তিপক্ষ।

পরিধি ঃ

নীতিমালা বাস্তবায়নে অবহিতকরন/ যোগাযোগ একটি বড় বিষয়। আরএ কাজের জন্য অত্র কারখানায় যে সকল পদক্ণেসমূহ গৃহীত হয় তা হলো-মাসিক মিটিং, কারখানার বিভিন্ন নোটিশ বোর্ড,সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি। এছাড়াও যোগাযোগ কার্যক্রমের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন অত্র কারখানার সমাজ কল্যান কর্মকর্তাগন। কোম্পানীতে কর্মরত সকল শ্রমিকদের মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে বিশেষ করে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । এই নীতিমালা সকল কর্মচারী কর্মকর্তা এবং কারখানাতে আগত যে কারোর জন্যই প্রযোজ্য হবে। ফ্যাশনস লিঃ সকল শ্রমিকদের জন্য সুশৃঙ্খল কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকারার্থে নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরন করে এবং এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করে। নীটওয়্যার লিঃ এ নিয়োজিত সকল নারী শ্রমিকদের প্রতি নিম্নোক্ত সুবিধামূলক নীতিমালা সমূহ গ্রহন করা হয়।

  • নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য দেয়া হয়।
  • গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করা হয় না।
  • মানসিক নির্যাতন করা হয় না ।
  • কোন প্রকার হয়রানী করা হয় না।
  • মার্তৃত্ব জনিতকালে তাদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয় ও তারা আগে ছুটিতে যেতে চাইলে ছুটি দেয়া হয় এবং ছুটির সময় তারা আগে বের হয়।
  • শ্রম আইনানুযায়ী সকল সুবিধাদি তারা প্রাপ্য হন।
  • প্রশিক্ষনগুলোতে তাদের অংশগ্রহন বাড়ানো হয়।
  • পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদের অগ্রধিকার দেয়া ঞয়।
  • ভারী ও কষ্টকরকাজে তাদের নিযুক্ত করা হয় না।
  • মহিলা শ্রমিকদের সুবিধার্থে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র রয়েছে।
  • শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য বাস ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। সেখানে মহিলাদের বসার জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

কোম্পানীর নীতিসমূহ

  • প্রত্যেক সাত দিনে এক দিন ছুটি প্রদান করবে, ব্যবসার জরুরী প্রয়োজন পূরন সংক্রান্ত অত্যাবশ্যকতা ব্যতিরেকে।
  • এক ঘন্টা দুপুরের খাবারের বিরতি সহ নিয়মিত কাজের সিফট সকাল ৮.০০ টায় শুরু  করবে এবং বিকাল ৫.০০ টায় শেষ করবে।
  • নিয়মিত অতিরিক্ত কাজের প্রয়োজনীয়তাকে শ্রমিকদের ইচ্ছার ভিত্তিতে দিনে দুই ঘন্টা, সপ্তাহে ১২ (বার) ঘন্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে ।
  • বৃহস্পতিবারকে ছুটির দিন হিসাবে নির্ধারিত করবে এবং বছরে ১১ দিন আইনগত উৎসব ছুটি প্রদান করবে।
  • টাইম কার্ড অথবা সুইপ কার্ড অথবা উপস্থিতির রেজিস্টার এ কর্মীদের স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষরসহ কাজের ঘন্টাসমূহ লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি অবলম্বন করবে, যা তাদের কর্মঘন্টাকে নিশ্চিত করবে।
  • ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদের এবং ব্যবস্থাপনার ব্যক্তিদের কথ্য ভাষায় আইনতঃ অত্যাবশ্যকীয় সর্বোচ্চ নিয়মিত এবং অতিরিক্ত কাজের ঘন্টাসমূহ এবং দিন সমূহের তথ্যাদি লক্ষনীয় স্থানে লাগাতে হবে।
  • ব্যবসার জরুরী প্রয়োজন” এই বিষয়টি বিদ্যুৎ সমস্যা, ধর্মঘট, হরতাল, দেশে জরুরী অবস্থা, পোর্ট সমস্যা ইত্যাদি হিসাবে সংজ্ঞায়িত কিন্তুু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

মহিলা শ্রমিকদের জন্য বিশেষ নীতিমালা

মার্তৃত্ব কালীন ছুটিঃ আমাদের কারখানায় গর্ভবতী মহিলা কর্মীদেরকে সবেতনে ১৬ সপ্তাহ বা ১১২ দিনের মার্তৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা হয় । যদি কারো চাকুরীকাল ৬ মাস পূর্ন হয় সে এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

গর্ভবস্থায় সুযোগ সুবিধাঃ আমাদের কারখানায় গর্ভবতী মহিলাদের দ্বারা কোন প্রকার ভারি কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো হয় না। তাছাড়া তার কাজ নিয়মিত কর্মঘন্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাকে দিয়ে কোন ওভার টাইম  করানো হয় না।

বৈষম্যহীনতাঃ আমাদের কারখানায় মহিলা ও পুরুষ কর্মীদের কর্মস্থলে বৈষম্য নেই। মহিলা পুরুষ একই পরিবেশে, একই চিকিৎসা সেবায়, একই শৃংখলা আইনে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তগন ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

পরিশিষ্ঠঃ

একদিকে একজন নারী একজন মা। আর মা বলেই একজন নারী বিশেষ মর্যদার আসনে আসীন।অণ্যদিকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ধারা -২০০৬ এর ৩৩২ ধারায় বর্নিত আছে কাজের জন্য কোন মহিলা শ্রমিক নিযুক্ত থাকলে, তিনি যে পদমর্যাদারইহউন না কেন, তার প্রতি এমন কোন আচরন করা যাবে না যা অশ্লীল কিংবা অভদ্রজনোচিত বলে গণ্য হতে পারে, কিংবা যা উক্ত মহিলার শালীনতা ও সম্ভ্রমের  পরিপন্থি। মানবিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন- এই উভয় কারনেই অটো  গ্র“প কর্তৃপক্ষ কর্মক্সেত্রে  উপরোক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার স্থায়ী নির্দেশিকা আবং প্রশিক্ষণ  একটি আদর্শ কারখানার জন্য

মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার স্থায়ী নির্দেশিকা আবং প্রশিক্ষণ একটি আদর্শ কারখানার জন্য

মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার স্থায়ী নির্দেশিকা

মাতৃকালিন সুবিধা পাওয়ার পদ্ধতি

অত্র কারখানায় কর্মরত যে সমস্ত মহিলা কর্মীগন কর্ম রত রয়েছেন তাদের মধ্য যারা  মাতৃকল্যান সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের মাতৃকল্যান সুবিধা প্রদানের জন্য নিুেলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে ঃ-

  • যখন কোন মহিলা কর্মী নিজেকে গর্ভবতী বলে ধারনা করবে তৎক্ষনাৎ সে সরাসরি কারখানার মেডিকেল অফিসারের নিকট রিপোর্ট করবে।
  • মেডিকেল অফিসার তাকে পরীক্ষা করে গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত করবেন এবং তার চিকিৎসার রেকর্ড রাখবেন। মেডিকেল অফিসার তাকে স্বাস্থ্যগত এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মেডিকেল চেকের জন্য উপদেশ দিবেন।
  • মেডিকেল অফিসার কারখানার সকল গর্ভবতী মহিলাদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পরীক্ষা করণ নিশ্চিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের ১০ সপ্তাহ পূর্বে মেডিকেল অফিসার মাতৃকালিন চিকিৎসার ডকুমেন্ট সমূহের এক কপি মানব সম্পদ বিভাগে কল্যাণ কর্মকর্তা/ কমপ্লায়েন্স অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন, যাতে তিনি প্রথম ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
  • পরবর্তীতে কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে মাতৃকালিন ছুটি যাওয়ার পূর্বে প্রথম ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা প্রদান নিশ্চিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের ৯ সপ্তাহ পূর্বে মেডিকেল অফিসার গর্ভবতী মহিলাকে ডেকে তার মাতৃকালিন সুবিধা ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে কো¤পানির নির্ধারিত ফরম (মার্তৃকালীন ভাতা পাওয়ার আবেদন) পুরণ নিশ্চিত করবেন। যদি সে লিখতে না পারে সেক্ষেত্রে তাকে মেডিকেল অফিসার/নার্স ফরম পুরণে সহযোগিতা করা পূর্বক তার স্বাক্ষর/টিপসই নিশ্চিত করবেন এবং পুরণকৃত ফরম তাৎক্ষণিকভাবে কল্যাণ অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন।
  • কল্যাণ অফিসার পুরণকৃত ফরম পাওয়ার সাথে সাথে তার নাম কো¤পানীর ম্যাটারনিটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। ৩ (তিন) ধরনের মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের নিয়ম জানাবেন এবং তার পছন্দানুযায়ী হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
  • অতঃপর কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে ফরম পাওয়ার পর হতে ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে মাতৃকালীন ভাতা প্রদান নিশ্চিত করবেন।
  • সর্বশেষে কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার নিশ্চিত করবেন যে, সে মাতৃকালিন ছুটি যাওয়ার পূর্বে তার পছন্দানুযায়ী নিয়মে মাতৃকালিন ভাতা গ্রহন পূর্বক ছুটিতে গমন করছেন।
  • মাতৃকালিন ছুটিতে যাওয়ার পূর্বে কল্যাণ অফিসার তাকে সন্তান প্রসবের পর পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভাতা পাওয়ার জন্য করণীয় বিষয় স¤পর্কে অবহিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের পর সংশ্লিষ্ট কর্মী কারখানার মেডিকেল অফিসারের নিকট সন্তান প্রসবের সনদপত্র প্রদান করবে। মেডিকেল অফিসার সনদপত্রের এক কপি কল্যাণ অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন।
  • কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার সর্বদা মাতৃকালিন ছুটি ভোগরত কর্মীদের রিপোর্টিং তারিখ সমূহের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন এবং যখনই সন্তান প্রসবের কোন সনদপত্র হাতে পাবে তাৎক্ষনিকভাবে হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে বাকী ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে প্রদান করা নিশ্চিত করবেন ।
  • সকলকে মাতৃকালিন সুবিধা গ্রহন/প্রদানের ব্যাপারে উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মাতৃকালীন ছুটি পাওয়ার শর্তাবলী

অত্র কোম্পানীতে কর্মরত মহিলাগণ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালেন আইনের চতুর্থ অধ্যায় এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী নিুলিখিত শর্তসাপেক্ষে ১৬ সপ্তাহের (৮ সপ্তাহ প্রসবের পূর্বে ও ৮ সপ্তাহ প্রসবের পরে) মাতৃকালীন ছুটি ভোগ করবেন।

  • প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্বে কো¤পানীতে একটানা কমপক্ষে ৬ (ছয়) মাস চাকুরী করতে হবে ।

অভিযোগ পদ্ধতিঃ

যদি কেহ মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মাতৃকালিন সুবিধা না পায়/আংশিক পায় অথবা কম পায়/অথবা সময়মত না পায় সেক্ষেত্রে সরাসরি কো¤পানির জেনারেল ম্যানেজার অথবা পরিচালক অথবা কো¤পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট অভিযোগ করতে পারবেন। তাছাড়াও কারখানার ভিতর বিভিন্ন স্থানে রাখা অভিযোগ বক্সে/পরামর্শ বক্সে তার অভিযোগ রাখতে পারেন। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তদন্ত সাপেক্ষে জরূরী ভিত্তিতে মাতৃকল্যাণ ভাতা প্রদান নিশ্চিত করা হবে এবং ক¤প্লায়েন্স ইনচার্জ বিষয়টি ম্যাটারনিটি লংঘন রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ রাখবেন ।

প্রশিক্ষণঃ

ক¤প্লায়েন্স ইনচার্জের তত্ত্বাবধানে কারখানার মহিলা কর্মীদের মাতৃকালিন সুবিধা স¤পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ তিনভাবে দেয়া হবে।

ক।    নতুন নিয়োগ প্রশিক্ষণ।

খ।    ছোট ছোট দলে প্রশিক্ষণ।

গ।    কারখানার পিএ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ।

ক¤প্লায়েন্স ইনচার্জ এ সমস্ত প্রশিক্ষণ স¤পর্কিত তথ্যাদি ম্যাটারনিটি প্রশিক্ষণ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ রাখবেন।

সকলকে মাতৃকালিন সুবিধা গ্রহন/প্রদানের ব্যাপারে উপরোক্ত পদ্ধতি সমূহ কঠোরভাবে অনুসরন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মাতৃকল্যাণ ভাতা প্রদান সুবিধাদি

অত্র কারখানায় কর্মরত যে সকল মহিলা কর্মী মাতৃকল্যাণ ভাতা পাওয়ার যোগ্য তারা নিুেলিখিত যে কোন এক পদ্ধতিতে মাতৃকল্যাণ ভাতা নিতে পারেন।
১। প্রথম পদ্ধতিঃ আট সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে এ মর্মে একজন চিকিৎসক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ণ পত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে মাতৃকালিন সুবিধার প্রথম আট সপ্তাহের ভাতা পরিশোধ করা হবে। পরবর্তী আট সপ্তাহের পাওনা সন্তান প্রসবের প্রত্যায়ণ পত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। এমন কি তিনি পুণরায় কাজে যোগদান না করেও শুধুমাত্র সন্তান প্রসবের প্রত্যায়ণ পত্র পেশ করলে বাকী আট সপ্তাহের ভাতা পরিশোধ করা হবে।
২। দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ প্রসবের দিনসহ প্রসবের দিন পর্যন্ত উক্ত মেয়াদের জন্য (প্রথম আট সপ্তাহ) সন্তান প্রসবের প্রত্যায়ণপত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে প্রথম আট সপ্তাহের মার্তৃকল্যাণ ভাতা পরিশোধ করা হবে। অবশিষ্ট ৮ সপ্তাহের ভাতার জন্য তিনি যে সন্তান প্রসব করেছেন অনুরূপ প্রমাণ পত্র পেশ করার ছয় সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
৩। তৃতীয় পদ্ধতিঃ উপরোক্ত স¤পুর্ন মেয়াদের (১৬ সপ্তাহ) মাতৃকল্যাণ সুবিধার জন্য তিনি যে সন্তান প্রসব করেছেন এ মর্মে প্রমাণ পত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
————————————————————————————————
প্রত্যায়ন পত্র
আমি ————————— পদবী ——————কার্ড নং ————–সেকশন ———
এই মর্মে প্রত্যায়ণ করিতেছি যে, আমাকে আমার ওয়েল ফেয়ার অফিসার আমার বোধগম্য ভাষায় মাতৃকল্য্যণ সুবিধাসমূহ ও মাতৃকল্যাণ সুবিধা প্রদানের তিনটি পদ্ধতি স¤পর্কে ভালভাবে বুঝিয়েছেন এবং আমি তা ভালোভাবে বুঝিয়া স্বেচছায় ————পদ্ধতিতে মাতৃকালিন সুবিধা ভাতা নেয়ার ইচছা পোষন করে নিুে স্বাক্ষর করিলাম।

তারিখঃ স্বাক্ষর/টিপসহি

প্রত্যায়ন পত্র

আমি ————————- পদবী —————— কার্ড নং ————— সেকশন ———
এই মর্মে প্রত্যায়ণ করিতেছি যে, মাতৃকালিন প্রথম ৮ সপ্তাহের ছুটিতে যাওয়ার পূর্বে —————–অফিসার আমাকে পরবর্তী/বাকী ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা পাওয়ার জন্য করনীয় বিষয় স¤পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়েছেন এবং আমি তা বুঝে নিুে স্বাক্ষর/টিপসহি করলাম।

তারিখঃ স্বাক্ষর/টিপসহি

মাতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা Maternity Leave এর বর্ণনা

মাতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা Maternity Leave এর বর্ণনা

মাতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা

অত্র কোম্পানীতে কর্মরত মহিলাগণ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালেন আইনের চতুর্থ অধ্যায় এর ৪৫-৪৯ ধারা অনুযায়ী নিুলিখিত শর্তসাপেক্ষে ১৬ সপ্তাহের (৮ সপ্তাহ প্রসবের পূর্বে ও ৮ সপ্তাহ প্রসবের পরে) মাতৃকালীন ছুটি ভোগ করবেন।

  • প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্বে কোম্পানীতে একটানা কমপক্ষে ৬ (ছয়) মাস চাকরি করতে হবে। প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্বে যে সকল মহিলার কোম্পানীতে একটানা ৬ (ছয়) মাস চাকরি সম্পন্ন হবেনা এবং যে সমস্ত মহিলার সন্তান প্রসবের সময় তার দুই বা ততোদিক সন্তান জীবিত থাকে,তারা মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগের অধিকারী হবেন না। তবে এক্ষেত্রে তিনি কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হলে তা পাবেন।
  • মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানোর  জন্য বাচ্চা জন্ম হবে/হয়েছে এই মর্মে ডাক্তারের সুপারিশকৃত সনদপত্র প্রদান করতে হবে।

মাতৃকালীন সুবিধা পাওয়ার অধিকারীনিকে নিুরূপ বর্ণিত তাঁর ইচ্ছানুযায়ী যে কোন একভাবে মাতৃকল্যাণ ভাতাদি পরিশোধ করা হবে।

  • ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে এই মর্মে একজন চিকিৎসক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র পেশ করার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রসবের পূর্বের ৮ (আট) সপ্তাহের পাওনা পরিশোধ করা হবে। প্রসবের পরবর্তী ৮ সপ্তাহের পাওনা সন্তান প্রসবের প্রত্যয়নপত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
  • প্রসবের দিনসহ প্রসবের দিন পর্যন্ত মেয়াদের জন্য (প্রথম ৮ সপ্তাহ) সন্তান প্রসবের প্রত্যয়নপত্র পেশ করার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করা হবে। সন্তান জন্মের পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের বাকী পাওনা পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
  • উপরোক্ত ১৬ (ষোল) সপ্তাহের (পূর্ণ মজুরী) সম্পূর্ণ মেয়াদের জন্য, তিনি যে সন্তান প্রসব করেছেন এ মর্মে প্রমাণ পত্র পেশ করার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
  • এ ছাড়া আইনে বর্ণিত অন্যসব শর্তসমূহও সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে।

মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাওয়ার পদ্ধতি

অত্র কো¤পানীর সকল প্রসূতিদের “বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬” সালের আইনের চতুর্থ অধ্যায় এর ৪৫-৪৯ ধারা অনুযায়ী মাতৃকল্যাণ সুবিধাসমূহ সুষ্ঠু ও সঠিক সময়ে প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিুেলিখিত নীতিমালা প্রনয়ণ করা হলোঃ-

  1. কো¤পানীতে কর্মরত মহিলাগণ সন্তান সম্ভবা হলে অবশ্য কো¤পানীর মেডিকেল সেকশনের ডাক্তারের নিকট রিপোর্ট করবেন এবং ডাক্তারের উপদেশ মেনে চলবেন।
  2. ডাক্তার যখন কোন গর্ভবতী মহিলার সন্তান প্রসবের তারিখসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি যাওয়ার জন্য নির্দেশ/উপদেশ সনদপত্র প্রদান করবেন, তাৎক্ষনাৎ উক্ত গর্ভবতী মহিলা মাতৃকালিন সুবিধা পাওয়ার জন্য মানব সম্পদ বিভাগের কল্যাণ কর্মকর্তার নিকট রিপোর্ট করবেন।
  3. কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র পরীক্ষা করে মাতৃকালিন সুবিধা সমূহ পাওয়ার জন্য তাৎক্ষনিক কো¤পানির নির্ধারিত ফরম (মার্তৃকালিন সুবিধা পাওয়ার আবেদন পত্র) পুরণ এবং শ্রমিকের স্বাক্ষর/টিপসই স¤পন্ন করে মাতৃকল্যান ছুটি আরম্ভ হবার পূর্বেই যে কোন নির্দিষ্ট কর্মদিবসে অফিস সময়ের মধ্যে ১৬ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতার প্রথম ৮ সপ্তাহের ভাতা প্রদান নিশ্চিত করবেন এবং পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভাতা প্রদানের নিয়মাবলী জানিয়ে দিবেন।
  4. পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভাতা পাওয়ার জন্য সন্তান প্রসবের পর ডাক্তার কর্তৃক সন্তান প্রসবের সনদপত্র কো¤পানীর মানব সম্পদ বিভাগে কল্যাণ কর্মকর্তার নিকট জমা দিবেন। কল্যাণ কর্মকর্তা পরবর্তী ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে অফিস সময়ের ভিতর একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাতৃকল্যাণ ভাতার দ্বিতীয় কিস্তি (দ্বিতীয় ৮ সপ্তাহের ভাতা) প্রদান নিশ্চিত করবেন।
  5. যদি কেহ কোন অনিবার্য কারণবশত মার্তৃকালিন ছুটি যাওয়ার পূর্বে প্রথম ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা না নিয়ে যান, সেক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের ডাক্তারী সনদপত্র মানব সম্পদ বিভাগে কল্যাণ কর্মকর্তাকে জমা দিলে তিনি স¤পূর্র্ণ ১৬ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রদান নিশ্চিত করবেন ।

মাতৃকালিন সুবিধা পাওয়ার পদ্ধতি

অত্র কারখানায় কর্মরত যে সমস্ত মহিলা কর্মীগন মাতৃকালিন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের মাতৃকালিন সুবিধা প্রদানের জন্য নিুেলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে ঃ-

  • যখন কোন মহিলা কর্মী নিজেকে গর্ভবতী বলে ধারনা করবে তৎক্ষনাৎ সে সরাসরি কারখানার মেডিকেল অফিসারের নিকট রিপোর্ট করবে।
  • মেডিকেল অফিসার তাকে পরীক্ষা করে গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত করবেন এবং তার চিকিৎসার রেকর্ড রাখবেন। মেডিকেল অফিসার তাকে স্বাস্থ্যগত এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মেডিকেল চেকের জন্য উপদেশ দিবেন।
  • মেডিকেল অফিসার কারখানার সকল গর্ভবতী মহিলাদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পরীক্ষা করণ নিশ্চিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের ১০ সপ্তাহ পূর্বে মেডিকেল অফিসার মাতৃকালিন চিকিৎসার ডকুমেন্ট সমূহের এক কপি মানব সম্পদ বিভাগে কল্যাণ কর্মকর্তা/ কমপ্লায়েন্স অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন, যাতে তিনি প্রথম ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
  • পরবর্তীতে কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে মাতৃত্বকালীন ছুটি যাওয়ার পূর্বে প্রথম ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা প্রদান নিশ্চিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের ৯ সপ্তাহ পূর্বে মেডিকেল অফিসার গর্ভবতী মহিলাকে ডেকে তার মাতৃকালিন সুবিধা ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে কো¤পানির নির্ধারিত ফরম (মার্তৃকালীন ভাতা পাওয়ার আবেদন) পুরণ নিশ্চিত করবেন। যদি সে লিখতে না পারে সেক্ষেত্রে তাকে মেডিকেল অফিসার/নার্স ফরম পুরণে সহযোগিতা করা পূর্বক তার স্বাক্ষর/টিপসই নিশ্চিত করবেন এবং পুরণকৃত ফরম তাৎক্ষণিকভাবে কল্যাণ অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন।
  • কল্যাণ অফিসার পুরণকৃত ফরম পাওয়ার সাথে সাথে তার নাম কো¤পানীর ম্যাটারনিটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। ৩ (তিন) ধরনের মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের নিয়ম জানাবেন এবং তার পছন্দানুযায়ী হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
  • অতঃপর কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে ফরম পাওয়ার পর হতে ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে মাতৃকালীন ভাতা প্রদান নিশ্চিত করবেন।
  • সর্বশেষে কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার নিশ্চিত করবেন যে, সে মাতৃকালিন ছুটি যাওয়ার পূর্বে তার পছন্দানুযায়ী নিয়মে মাতৃকালিন ভাতা গ্রহন পূর্বক ছুটিতে গমন করছেন।
  • মাতৃকালিন ছুটিতে যাওয়ার পূর্বে কল্যাণ অফিসার তাকে সন্তান প্রসবের পর পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভাতা পাওয়ার জন্য করণীয় বিষয় স¤পর্কে অবহিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের পর সংশ্লিষ্ট কর্মী কারখানার মেডিকেল অফিসারের নিকট সন্তান প্রসবের সনদপত্র প্রদান করবে। মেডিকেল অফিসার সনদপত্রের এক কপি কল্যাণ অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন।
  • কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার সর্বদা মাতৃকালিন ছুটি ভোগরত কর্মীদের রিপোর্টিং তারিখ সমূহের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন এবং যখনই সন্তান প্রসবের কোন সনদপত্র হাতে পাবে তাৎক্ষনিকভাবে হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে বাকী ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে প্রদান করা নিশ্চিত করবেন ।
স্মাগলিং বিরোধী নীতিমালা Anti Smuggling Policy কি?

স্মাগলিং বিরোধী নীতিমালা Anti Smuggling Policy কি?

স্মাগলিং বিরোধী নীতিমালা

অটো  ফ্যাশন লিঃ এর স্মাগলিং বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ড নিম্নে আলোচনা করা হল

অটো ফ্যশনের প্রত্যেকটি ইউনিটের স্মাগলিং-এর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান রয়েছে, কারণ আমাদের প্রতিটি ইউনিট সংরক্ষিত ও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমাদের কারখানার এলাকার চারপাশ কড়া পাহারা ও উঁচু দেওয়াল দ্বারা ঘেরা এবং কারখানার ভিতর ও বাহিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য সিসি টিভির মাধ্যমে ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে ।

ফ্যাশন লিঃ এ সকল অমানবিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখে এবং এ ধরনের কার্যক্রমকে সমর্থনও করেনা। আর যে কারণেই ফ্যাশন লিঃ এ প্রত্যেকটি ইউনিটের জন্য আলাদা ভাবে নিজস্ব নিরাপত্তা টিম তৈরি করেছেন যা সকল প্রবেশ ও নির্গমনকারী ও রপ্তানী কার্গো পূঙ্খানুপূঙ্খভাবে চেক করে থাকেন।

এ ছাড়াও সিকিউরিটিগণ সকল রপ্তানী মালামাল লোডিং করা কালীন সময়ে সঠিকভাবে গণনা এবং নিশ্চিত করে যে, কার্গো বাহির হওয়ার সময় তা তালাবদ্ধ আছে ।

এ ছাড়াও সিকিউরিটি গণ সকল ষ্টাফ ও শ্রমিক/কর্মচারীদের চলা ফেরা প্রবেশ ও বাহির লক্ষ্য করে। সন্দেহজনক গতিবিধি পরিলক্ষিত হইলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে তল্লাশি করা হয় যাতে কোন ব্যক্তি কোন স্মাগলিং গুডস বহন কিংবা কোন হয়রানীমূলক বা কোন ব্যক্তি কোন রকম বেআইনী ড্রাগ শীপমেন্টের সাথে জড়িত হইতে না পারে এবং সে বিষয়ে সিকিউরিটি টিম সবসময় পুরো সতর্ক অবস্থায় থাকে ।

ব্যক্তি স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর এই অধিকার এর প্রতি গ্র“প শ্রদ্ধাশীল। তাই গ্র“পের প্রতিটি ফ্যাক্টরী এবং স্থাপনায় কোন শ্রমিককে বাধ্যতামূলক বা জোরপূর্বক কাজ করানো সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। কাজ চলাকালীন সময়ে ফ্যাক্টরীর প্রতিটি প্রবেশ এবং বাহির পথ খোলা রাখা বাধ্যতামূলক। এই গ্র“পের কোন স্থাপনায় পলাতক, জামিপ্রাপ্ত আসামী বা দায়বদ্ধ শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই গ্র“পের সকল শ্রমিক কর্মচারী স্ব-ইচ্ছায় চাকুরীতে যোগদান করে এবং স্ব-ইচ্ছায় কাজ করে।

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ ফ্যাক্টরীতে প্রতি ১৫০ জন শ্রমিকের জন্য একটি করে প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স থাকবে। এবং প্রতিটি বাক্সে নিুলিখিত ঔষধ পত্রাদি মজুদ থাকবেঃ

  1. Antiseptic Solution (Savlon)/2% Alcoholic Solution of Iodine/Rectified Spirit
  2. Cotton (Sterilized)
  3. Antiseptic Ointment (e.g. Nebanol Ointment)
  4. Furasep Cream/Burnol-Plus Cream
  5. Sterilized Bandages/Dressing (Surgical Gauge)
  6. Roller Bandages
  7. Adhesive Plaster/Surgical Tape (e.g. Micro pore/Leucoplast)
  8. Surgical Gloves
  9. Analgesic Tablet (Pain Relieving Tablet e.g. Napa)

10 Surgical Scissors

11 Clofenac Gel/Nix (Pain Relieving Gel)

  1. OR Saline
  2. Tourniquet
  3. One Time Bandage (e.g. Neostrip)
  4. Safety Pins
  5. Burn Dressing
  6. Triangular Bandage
  7. Splint