Select Page
অ-প্রতিশোধমূলক নীতি কি? অ-প্রতিশোধমূলক নীতি এর বর্ণনা

অ-প্রতিশোধমূলক নীতি কি? অ-প্রতিশোধমূলক নীতি এর বর্ণনা

অ-প্রতিশোধমূলক নীতি

উদ্দেশ্য

ইন্ডাঃ(প্রাঃ) লিঃ এর অ-প্রতিশোধমূলক নীতি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা । কর্তৃপক্ষ সকল শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নীতির উদ্দেশ্য হলো মানুষ,উপকরণ,তথ্যকে চোর,ধ্বংসকারী, বিনিষ্ঠকারী ও ইচ্ছা পূর্বক ক্ষতি সাধন কারীকে প্রতিরোধ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উন্নত ও সময়পোযগী করে গড়ে তোলা। অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান করাই এই নীতির মূল লক্ষ্য। এই নীতি মালা অত্র প্রতিষ্ঠান ও তার ক্রেতা সাধারনের যে কোন স্বার্থের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান করে। অটো গ্র“প সর্বদাই যেমন বায়ার এর প্রতি সম্মান ও উপযুক্ত মর্যাদা প্রদর্শন করে, তেমনিভাবে কর্মীদের অধিকারের উপর ও সম্মান প্রদর্শন করে। ব্যবসায় ক্ষেত্রে চরম উৎকর্ষ সাধনের জন্য বায়ার, ঠিকাদার ও শ্রমিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ন ও আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কারন বায়ার, ঠিকাদার ও শ্রমিক এই তিনটি বিষয় ব্যবসার ক্ষেত্রে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। তাই অটো গ্র“প এর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বাক-স্বাধীনতায় বা অ – প্রতিশোধমূলক নীতিতে বিশ্বাসী। মূলত: এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বায়ারদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে বায়ার ও শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য শ্রমিকরা যেন ভয়ভীতি ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব হীনভাবে বায়ারদের নিকট সকল কথা বলতে পারে , এর জন্য অটো গ্র“প এর কর্তৃপক্ষ এই নীতি প্রনয়ন করেছ।

আমাদের অ-প্রতিশোধমূলক নীতিমালা নিম্নরুপ

  • শ্রমিকদের বাক স্বাধীনতায় কোনরুপ হস্তক্ষেপ না করা।
  • শ্রমিকদের সমতা অধিকারের উপর সম্মান প্রদর্শন ও গুরুত্বারোপ করা।
  • শ্রমিকদের মতামতের উপর গুরুত্বারোপ ও সম্মান প্রদর্শন করা।
  • শ্রমিকদেরকে বায়ার এর আচার -আচরন ও শর্ত সম্পর্কে অবগত করা , ও তাদের নিয়মনীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তা মেনে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।
  • ভয়হীন ও শংকামুক্ত পরিবেশে বায়ার এর প্রশ্নের জবাব দিতে প্ররোচিত করা।
  • যে কোন বিষয়ে বায়ারকে জানাতে উৎসাহিত করা। এবং
  • বায়ারের যে কোন ধরনের প্রশ্নের জবাব দিয়ে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।

অত্র প্রতিষ্ঠান ও তার ক্রেতা / সরবরাহকারীদের সময়পোযগী চাহিদা মোতাবেক নতুন নিরাপত্তা নীতি নিশ্চিত করতে দৃঢ় ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।

অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মী ব্যবস্থাপনা পরিষদ দৃঢ়তার সাথে ঘোষনা করছে যে, নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত করা হবে।

অত্র প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নীতি সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রচলিত শ্রম আইনের অনুগত ও পরিবেষ্ঠন করা।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই অ-প্রতিশোধমূলক নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

কারখানার শ্রমিকদের সমতা নীতি পলিসি কি?সমতা নীতির বর্ণনা সহমুহ

কারখানার শ্রমিকদের সমতা নীতি পলিসি কি?সমতা নীতির বর্ণনা সহমুহ

সমতা নীতি পলিসি

ইন্ডাঃ(প্রাঃ) লিঃ কতৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষনা করচে যে, মহিলা শ্রমিক/ কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার  করা হয় না।এ ক্ষেত্রে মানব সম্পদ বিভাগ মহিলা শ্রমিক নিয়োগের ব্যপারে উল্লেখিত নীতিমালা যথাযথ ভাবে সমতা নীতি পালনের নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে।কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদেরকে সুষ্ঠ,সুন্দর এবং মুক্ত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে যে কোন প্রকার অপমান,খারাপ ভাষা ব্যবহার,হয়রানি বা শাররীক নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করে।অত্র প্রতিষ্ঠানের যে কোন শ্রমিক কারখানার নিয়ম-কানুন মেনে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। এখানে শ্রমিকরা অপমানিত হয় না বা তাদের কাজের বিপরীতে তাদেরকে অন্য কাজে ব্যবহার করা হয় না।

  • অত্র কারখানায় যে কোন শাখায় নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, পদোন্নতি এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল নাগরিক সমান সুযোগ ভোগ করবে ।
  • যোগ্যতাই হবে নিয়োগ প্রাপ্তির প্রধান বিবেচ্য বিষয় । লিঙ্গীয় বা অন্য কোন ধরনের বৈষম্য বা বিশেষাধিকার অত্র কোম্পানী কখন ও অনুসরণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও এ নীতি অনুসরণ করা হবে । -,
  • মজুরী ও বেতন নির্ধারনের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র দক্ষতাকেই বিবেচনা করা হবে ।
  • চাকুরীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে দক্ষতার প্রমাণ ও কর্মে নিষ্ঠার মূল্যায়নই হবে প্রধান বিবেচ্য বিষয় । এ ক্ষেত্রে কোন রকমের স্বজন প্রীতি বা বৈষম্য করা হবে না ।
  • কোন নারী শ্রমিক মাতৃত্বকালীণ ছুটিতে গেলে তাকে বিধিমোতাবেক সকল সুবিধা প্রদান করা হবে । মাতৃত্বকালীণ ছুটি ভোগ শেষে উক্ত শ্রমিক যথারীতি পুনরায় তার দায়িত্বে যোগদান করবে ।
  • অত্র কারখানায় কর্মে নিযুক্ত কারো প্রতি যদি শারিরিক বা মানসিক অথবা যে কোন ধরনের যৌন হয়রানির কোন অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তা অসদাচারণ হিসাবে গণ্য হবে এবং বিধিমোতাবেক অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তি বর্গের বিরুদ্ধেশাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
  • উপরোক্ত নীতিমালা সমূহ অত্র কারখানার সমতার নীতিমালা হিসাবে সর্বসম্মতি ভাবে গৃহীত হল।
  • শ্রমিকদেরকে কোনরুপ গালিগালাজ করা কিংবা তাদের প্রতি অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা হয় না। এ ব্যপারে শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রেষনা দান করা হয়ে থাকে।
  • কর্তৃপক্ষ উক্ত নীতিমালা লংঘন প্রতিরোধ কল্পে ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে নিদৃষ্ট স্থানে রক্ষিত অভিযোগ বাক্সের আধ্যমে অভিযোগ গ্রহন করে থাকে।
শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার সমুহ এর সুন্দর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার সমুহ এর সুন্দর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার সমুহ

বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় উৎপাদন এবং দারিদ্রের হার যখন সমান্তরালে বেড়ে চলেছে ঠিক তখনই বিশ্ব অর্থনীতিতে আর একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। নতুন এ অর্থনীতির নাম মুক্ত বাজার অর্থনীতি । মুক্ত বাজার অর্থনীতি হলো যোগ্যতমের অস্তিত্বরক্ষা। এই বিশ্ব ব্যবস্থায় একটি উৎপাদনমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। প্রতিনিয়তই একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান চিন্তা করে কি করে কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়। কিন্তু প্রতিযোগিতা মুলক বাজারে তা কি সম্ভব ? শিল্প উদ্যক্তাদের উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন। মুনাফা না হলে করতে রাজি হতো না ।যে সমস্ত অধিকার শ্রমিকদের মৌলিক অধইকারের মধ্যে পরে তা নিম্নে আলোচনা করা হল।

  • নিম্নতম বেতন মজুরী পাওয়া।
  • মজুরীসহ অবকাশ ও অন্যান্য ছুটি ভোগের স্বাধীনতা।
  • শ্রমিকদের দৈনিক কর্মঘন্টা এবং অতিরিক্ত কার্যঘন্টার পূর্ণ স্বাধীনতা।
  • বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা।
  • স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপত্তা পূর্ণ পরিবেশ।
  • জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সমান সুবিধা পাওয়া।
  • প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিয়োগ, ছাঁটাই, পদোন্নতি ,কর্মচ্যুতি, বরখাস্ত, এবং শাস্তি প্রদান।
  • বিনামূল্যে আত্মরক্ষা মূলক সরঞ্জামাদি, বিনোদন মূলক ও কল্যানকর বিধি ব্যবস্থা এবং কল্যাণ মূলক বিধি।
  • কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সম্পুর্ণ অপক্ষপাতিত্ব মূলক হয়রানী ও যৌন উৎপীড়ন মুক্ত কর্মপরিবেশ।
  • দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্র¯হ শ্রমিকের ইন্স্যুরেন্স বা ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকার।
  • মাতৃকালীন সুবিধা ও প্রসূতি ভাতা পাওয়ার অধিকার।
  • পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির অধিকার ।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ও শিক্ষাব্যাবস্থা

কারণ ব্যবসায়ীক উদ্দোগ এর মধ্যে আছে অনিশ্চয়তা। আর বাংলাদেশের বেলায় এই ঝুকি আরও অনেক বেশি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শিল্পায়ণের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এছাড়াও সরকার পরিবর্তন, শিল্প নীতির পরিবর্তন, দলীয় ট্রেড ইউনিয়ন, বন্দর, পরিবহণ ও যোগাযোগ এর অব্যাবস্থাপনা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মত বিষয় গুলো তো রয়েছেই । তাই শিল্প উদ্যোক্তা যে মুলধন বিনিয়োগ করতে চায় সেই মুলধন ব্যাংকে রেখে বা অন্য কোন অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করছে। কিন্তু এতসবের পরেও কোন কোন উদ্দোক্তা বিনিয়োগ করেন । বিনিয়োগ মানেই অধিক মুনাফা অর্জনের নিশ্চয়তা নয়, এর জন্য দরকার সঠিক প্রস্তুতি এবং উপযুক্ত নীতিমালা। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ক্লার্ক তার গ্রন্থে বলেছেন-
একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিদিষ্ট পরিমান মূলধন নিয়ে ঊৎপাদন কাজে অগ্রসর হয়। সেই মূলধন এমন ভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে তার মুনাফা হয় সর্বাধিক। মুনাফা সর্বাধিক করার উদ্দেশ্যে নিদিষ্ট মূলধনের সংগে সংগতি রেখে শ্রমিক নিয়োগ ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
পোষাক শিল্প এর ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বে বিভিন্ন দেশে পোষাক শিল্পো অনেক আগে শুরু হলেও আমাদের দেশে এই শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে এবং রপ্তানি শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই শিল্পের ভূমিকা অনেক বেশি। ১৯৮০-১৯৮১ সালে দেশের মোট রপ্তানি আয় এর ০.৪৬% ছিল পোষাক শিল্পের মাধ্যমে ১৯৯০-১৯৯১ সালে ছিল ৪০% এর মাত্র দশ বছর ব্যবধানে ২০০১-২০০২ সালে ছিল ৭৫% আর বর্তমানে ৭৬% রপ্তানি আয় হয় পোষাক শিল্প থেকে। বর্তমানে দেশে ৪৫ হাজার এর উপরে পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে যার মধ্যে প্রায় ২২ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত । এতো বড় সম্ভবনাময় খাত আমাদের আর দ্বিতীয়টি নেই।
অতিরিক্ত জনসংখ্যা যখন দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তখন পোষাক শিল্পের মাধ্যমে এই বিপুল জনসংখ্যা দেশের জন্য অভিশাপ নয় বরং তা আর্শীবাদে পরিনত হয়েছে। এই জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিনত করতে পারলে দেশ উন্নতির চরম শিখরে পেীছাতে সক্ষম হবে । পৃথিবীতে এরকম দৃষ্টান্ত বিরল নয়। যেখানে বিপুল পরিমান লোক পোশাক শিল্পে কাজ করে সেখানে হাতেগনা দুই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এই বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। এক মাত্র পোষাক শিল্পের উপর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  সেখানেও সমাজের বৃক্তবান শ্রেণীই শুধু পড়ার সুযোগ পায়। দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পোষাক শিল্পের উপর পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হলে তৈরী হতো দক্ষ লোক। একদিকে যেমন তৈরী হতো দক্ষলোক আর অন্য দিকে এই শিল্পের প্রধান উপাদান  কিভাবে ব্যবহার করলে খরচ কম হয় এবং উৎপাদনের পরিমান বেশি হয় তার জন্য নীতি মালা। ব্যবিলন গ্র“প আজ ছোট পরিসরে শুরু করেছে । দেশের সরকার প্রধান যদি দক্ষ লোক তৈরীর কাজে হাত দিতো তবে এই সম্ভবনাময় খাত আরো শক্তিশালী হতো ।

শৃংঙ্খলা মূলক ব্যবস্থার নীতিমালা সংক্ষিপ্ত ও তথ্য নিরভর বর্ণনা

শৃংঙ্খলা মূলক ব্যবস্থার নীতিমালা সংক্ষিপ্ত ও তথ্য নিরভর বর্ণনা

শৃংঙ্খলা মূলক ব্যবস্থার নীতিমালা

উদ্দেশ্য

শৃংঙ্খলা মূলক ব্যবস্থা র নীতিমালা – অটো ফ্যাশন লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কারখানার শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ রক্ষা, একতা, বিশ্বস্ততা, উৎপাদনশীল মানসিকতা এবং প্রত্যেক শ্রমিকের ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যে কারখানার নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি শৃঙ্খলা মূলক ব্যবস্থা নীতিমালা প্রনয়ন করেছে।শৃংঙ্খলা মূলক ব্যবস্থা র নীতিমালা নিম্নলিখিত নিয়মানুযায়ী পরিচালিত হবে। কোন অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তা বিভাগীয় প্রধান লিখিতভাবে মানব সম্পদ বিভাগে পাঠাবেন, এবং এর একটি কপি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর কাছে পৌঁছাবেন। যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে তদন্ত করে লিখিত রিপোর্ট পেশ করার জন্য নিযুক্ত করা যেতে পারে।

প্রথম স্তর ঃ কার্যসম্পাদনের ভিত্তিতে।

লঘু অপরাধ ঃ কার্যক্ষেত্রে শ্রমিকদের মধ্যে যদি কোন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে তবে ঐ শ্রমিক ও তার একধাপ উপরের কর্মকর্তার সাথে মুখোমুখি আলোচনায় বসে বিষয়টি যথাশীঘ্র সম্ভব মিমাংসার চেষ্টা করবে এওবং সাস্তি দিবে।  যদি উভয়ের আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করা না যায়, তবে উক্ত কর্মকর্তা তার বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি অবহিত করবেন। বিভাগীয় প্রধান সাধারন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে উক্ত শ্রমিককে তার কার্যদক্ষতা ও আচরন সংশোধনের জন্য উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তাকে উপদেশ পত্র দিবেন।

লঘু অপরাধে শাস্তির পদ্ধতি ঃ  কোন শ্রমিক অসদাচরনের জন্য দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে  নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলো নেয়া হবে।

  • যদি কোন শ্রমিক প্রথম বারের মত কোন অভিযোগে অভিযুক্ত হন তাহলে ঐ শ্রমিককে তার কার্যদক্ষতা ও আচরন সংশোধনের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ পূর্বক প্রাথমিক ভাবে সতর্কীকরন নোটিশ দিতে হবে।
  • আচরন বা কার্যদ্ক্ষতা সংশোধনের জন্য দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্রমিক যদি পুনরায় একই ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন তাহলে উক্ত শ্রমিককে চুড়ান্ত সতর্কীকরন নোটিশ প্রদান করা হবে।
  • তৃতীয় বারের মত একই অভিযোগে অভিযুক্ত হলে উক্ত শ্রমিককে কর্মচ্যুত বা বরখাস্ত করা হবে।
  • সাধারনত বিভাগীয় প্রধানগন সর্তকীকরন নোটিশ প্রদান করে থাকে, তবে প্রয়োজন বোধে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকের অপরাধের প্রমান উল্লেখপূর্বক লিখিত নোটিশ প্রদান করতে পারেন।
  • কোন শ্রমিককে কর্মচ্যুতি বা বরখাস্ত করার পূর্বে তাকে ব্যক্তিগত শুনানির জন্য ৩ দিন সময় দেয়া হবে এবং শ্রমিক তার যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কৈফিয়ত দিতে পারবে।

দ্বিতীয় স্তর ঃ অসদাচরনের ভিত্তিতে ।

অসদাচরণ সমুহ ঃ শ্রমিক কর্তৃক নিম্নবর্নিত কাজ ও ক্রটি সমুহ অসদাচরন রূপে বিবেচিত হবে।

  • স্বেচছায় কাজে অনুপস্থিত থাকা কিংবা একাকী বা সংঘবদ্ধভাবে কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইনানুগ বা যুক্তিসঙ্গত আদেশ ইচছাকৃত ভাবে পালন না করা, স্বেচছাকৃত অবাধ্যতা বা বেয়াদবী ।
  • মালিকের, প্রতিষ্ঠানের কিংবা ব্যবসার স¤পদ চুরি, মিথ্যাচার, প্রতারণা বা অসাধুতা ।
  • মালিকের অধীনে নিজেকে বা অন্য কোন শ্রমিকদের চাকুরীর ব্যপারে ঘুষ বা বেআইনীভাবে অন্য কোনরুপ উৎকোচ নেয়া বা দেয়ার কারণে।
  • ছুটি ব্যতিরেকে অভ্যাসগত ভাবে কাজে অনুপস্থিতি বা ছুটি ব্যতিরেকে ১০ (দশ) দিনের বেশী অনুপস্থিতি ।
  • অভ্যাসগতভাবে বিলম্বে কাজে উপস্থিতি ।
  • কারখানার মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামামূলক বা গোলযোগপূর্ণ আচরণ করা অথবা নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী যে কোন কাজ করা।
  • শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য যে কোন আইন বা নিয়ম বা বিধান অভ্যাসগত ভাবে ভঙ্গ করার অভ্যাস ।
  • অভ্যাসগত ভাবে কাজে অবহেলা ও উপেক্ষা বা ফাঁকি দেওয়া, কোন কাজ না করার অভ্যাস ।
  • কোন কাজ বা ক্রটি যার জন্য জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে সে কাজে অন্যদেরকে উস্কানি দেয়া, বার বার তা করা বা সে কাজে অবহেলা করা ।
  • বেআইনী ধর্মঘট বা ধীরে কাজ করা অথবা অবৈধ ধর্মঘট বা ধীরে কাজ করার জন্য অন্যদেরকে উস্কানী দেওয়া
  • মালিকের অফিসের দলিলপত্র নষ্ট করা, বিকৃত করা, বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসাধন করা।

তৃতীয় স্তর ঃ অসদাচরনের শাস্তি প্রদানের পদ্ধতি।

১)    একজন শ্রমিককে কর্মচ্যুতি বা বরখাস্তের কোন আদেশ দেয়া যাবে না যদি না  –

  • তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ লিখিতভাবে করা হয়;
  • তাকে এর একটি অনুলিপি এবং কৈফিয়তের জন্য অন্যুন তিন দিনের সময় দেয়া হয়;
  • তাকে ব্যক্তিগত শুনানি দেয়া হয় ( প্রয়োজন হলে); এবং
  • মালিক এবং ব্যবস্থাপক এরূপ আদেশ অনুমোদন করেন।

শ্রমিকের অপরিনামদর্শিতা বা অসদাচরনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে মানব সম্পদ বিভাগ এর প্রধান নিম্নোক্তভাবে সতর্কীকরন বা শাস্তি প্রদান করবেন।

১ ) মৌখিকভাবে বুঝানো।

২)    মৌখিকভাবে সতর্ক করা।

৩)    কারনদর্শানো নোটিশ।

৪)    লিখিত সতর্কবানী।

৫)    অসদাচরনের দায়ে অভিযুক্ত একজন শ্রমিককে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত সাপেক্ষে জীবিকা ভাতা ছাড়া অনধিক ৭ দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা যেতে পারে।

৬)    বরখাস্ত ।

চতুর্থ স্তর ঃ তদন্ত ।

কারন দর্শানো / বা ব্যাখ্যা ঃ কোম্পানীর প্রত্যেক শ্রমিকের মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে কোম্পানীর নিয়মনীতি মেনে চলা এবং তার কার্যদক্ষতার দ্বারা কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করা। তথাপি যদি কোন শ্রমিক কোম্পানীর নীতি অনুসারে অসদাচরনের দায়ে অভিযুক্ত হন তবে অটো ফ্যামন্স এর কর্তৃপক্ষ তা সুবিবেচনার জন্য সাক্ষ্য প্রমান সহ মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান তাকে কারন দর্শানো নোটিশ প্রেরন করবেন।

কারন দর্শানো নোটিশে তার অপরাধের বিস্তারিত বিবরন দিয়ে কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার জবাব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হবে। অভিযুক্ত শ্রমিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারন দর্শানোর জবাব লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরন করবেন।

সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ের তদন্ত ঃ

  • অসদাচরনের দায়ে অভিযুক্ত একজন শ্রমিককে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তকালীন সময়ে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় ষাট দিনের বেশী হবে না।
  • সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ে শ্রমিক তার গড় মজুরীর অর্ধেক জীবিকা ভাতা হিসেবে পাবে।
  • সাময়িক বরখাস্তের আদেশ লিখিতভাবে দিতে হবে এবং শ্রমিককে এটি অর্পন করার সাথে সাথে তা কার্যকর হতে হবে।
  • যদি তদন্তের মাধ্যমে শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হয় তাহলে সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ে উক্ত শ্রমিক কোন ভাতা বা মজুরী পাওয়ার অধিকারী হবেন না। কিন্তু জীবিকা ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবে।
  • যদি তদন্তের মাধ্যমে শ্রমিক দোষী সাব্য¯ত না হয় তবে তদন্তকালীন সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে তাকে কর্তব্যরত বলে গন্য করা হবে এবং সে বরখাস্ত কালীন সময়ে ভাতা বা মজুরী পাওয়ার অধিকারী হবে। কিন্তু জীবিকা ভাতা হিসাবে তাকে যা দেয়া হয়েছিল তা তার প্রাপ্য বেতন থেকে বাদ যাবে।
  • যদি কোন শ্রমিককে শাস্তি দেয়া হয় তবে আরোপকৃত শাস্তির এক কপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে সরবরাহ করতে হবে।
  • শ্রমিকের প্রতি আরোপকৃত শাস্তির একটি কপি তার সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপককে সরবরাহ করতে হবে।
  • যদি কোন শ্রমিক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পত্র, নোটিশ, চিঠি বা অন্য কোন দলিল গ্রহন করতে অস্বীকার করেন তবে তা তাকে প্রেরন করা হয়েছে বলে তার  প্রমান স্বরূপ তার একটি অনুলিপি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করা হবে, এবং শ্রমিকের সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরন করা হবে।

পঞ্চম স্তরঃ আপীল ।

কোম্পানীর অভিযোগ ও পরামর্শ নীতি অনুযায়ী শ্রমিক তার প্রতি আনীত অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট আবেদন করতে পারবে।

সকল ধরনের আপীল কর্পোরেট অফিসের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।

মালিক যদি সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হন অথবা শ্রমিক মালিকের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন তবে মালিক কর্র্তৃক সিদ্ধান্ত দেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শ্রমিক এখতিয়ার সম্পন্ন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।

কোম্পানীর স্বার্থে এই নীতির সাথে সংগতি রেখে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

পোশাক শিল্পে দৈনিক কমপ্লায়েন্স চেক লিষ্ট গুলো কি কি?

পোশাক শিল্পে দৈনিক কমপ্লায়েন্স চেক লিষ্ট গুলো কি কি?

কমপ্লায়েন্স চেক লিষ্ট

কমপ্লায়েন্স চেক লিষ্ট – ইন্ডাষ্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষনা করছে যে, অত্র প্রতিষ্ঠানের চাকুরী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিন্মোক্ত নিয়মাবলী মেনে চলে। অত্র প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক / কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০০৬সালের শ্রমিক নিয়োগ স্থায়ী আইন অনুস্বরন করে। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক শারীরিকও মানসিকভাবে কর্মক্ষম ও সুস্বাস্থের অধিকারী হতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার দেওয়া হয়। প্রার্থীর বয়স নুন্যতম ১৮(আঠার) হতে হবে,যা অত্র কোম্পানীর চিকিৎসক কতৃক সত্যায়িত হতে হবে। প্রার্থীর অবশ্যই নূন্যতম স্বাক্ষরতা জ্ঞান থাকতে হবে(বিশেষ পদ সমূহের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সীমা বেশী হবে)। নিয়োগের সময় তত্ত্বীয় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে মজুরী আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারন করা হয়।

  • শ্রমিকের আইডি কার্ড/মাস্ক/ ইউনিফরম পড়া ছিল?
  • শ্রমিকের কাটার সিজার বাধা ছিল
  • বৈদ্যুতিক বোর্ড/ চ্যানেল/মেশিন/ফ্যান পরিস্কার ছিল?
  • বৈদ্যতিক তার বা ওয়ারিং এবং বোর্ড সমূহ সঠিকভাবে কভার করা ছিল?
  • অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বাধাঁ মুক্ত ছিল?
  • অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সীল ও প্রেসার ঠিক ছিল?
  • অগ্নি নির্বাপন হোসরীল ব্যবহার যোগ্য?
  • অগ্নি নির্বাপন পানির ড্রাম, বালতি ঠিক ছিল?
  • জরুরী বর্হিঃগমন রাস্তার লাইট সচল ছিল?
  • স্মোক ডিটিকটর সচল ছিল?
  • সকল ফায়ার ইকুইপম্যান্ট ব্যবহার উপযোগী ও ঠিক ছিল ?
  • ফ্লোর পরিস্কার ছিল?
  • মেশিন নিডিল গার্ড/আই গার্ড/পুলিকভার ঠিক ছিল?
  • সব বৈদ্যূতিক প্যানেল বোর্ডের নিচে রাবার ম্যাট ছিল?
  • বৈদ্যুতিক বোর্ডসমূহ দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতে চেক করা ছিল
  • প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সে সকল সরঞ্জমাদি ঠিক ছিল?
  • প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স খোলা ছিল?
  • প্রাথমিক চিকিৎসকের ছবিসহ তালিকা ফ্লোরে টানানো ছিল?
  • চলাচলের রাস্তা পরিস্কার ও বাধা মুক্ত ছিল ?
  • ফ্লোরের জরুরী বর্হিঃগমন নকশা পলিসি বোর্ডগুলি পরিস্কার ও সঠিক স্থানে ছিল?
  • বৈদ্যুতিক লাইট/ফ্যান/সকেট ঠিক ছিল?
  • চিকিৎসা বক্সের ঔষধসমূহের কার্যকরী মেয়াদ সঠিক ছিল?
  • অগ্নি নির্বাপক দলের ছবিসহ তালিকা ফ্লোরে টানানো ছিল?
  • বহিঃগমন দরজা খোলা ও বাধামুক্ত ছিল?
  • খাবার পানির ড্রাম ও স্থান পরিষ্কার ছিল?
  • পানি পরীক্ষার সনদপত্র লাগানো ছিল?
  • পর্যাপ্ত খাবার পানি ও গ্লাস ছিল?
  • ড্রামের পানি খাবারের উপযোগি ছিল?
  • টয়লেট ফ্লোর পরিস্কার ও শুকনা ছিল
  • সব পানির কল সচল ছিল?
  • দুর্গন্ধ মুক্ত ছিল?
  • স্যান্ডেল/সাবান/তোয়েল/লাইট ছিল?
  • ময়লা ঝুড়ি পরিষ্কার ছিল?
ধারালো ধাতব বস্তু Sharp Tools নিয়ন্ত্রন নীতিমালা

ধারালো ধাতব বস্তু Sharp Tools নিয়ন্ত্রন নীতিমালা

ধারালো ধাতব বস্তু  নিয়ন্ত্রন নীতিমালা

অটো কম্পোজিট লিমিটেড এর কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র একটি মূখ্য বিষয়, যা রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারবদ্ব। অটো কম্পোজিট লিমিটেড ধারালো ধাতব বস্তু নিয়ন্ত্রন নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে যা কারখানার অভ্যন্তরীন কর্মবেশ নিশ্চিত করে। Read More in English

  • প্রত্যেক সেকশন ইনচার্জ / সুপারভাইজার চাহিদা মোতাবেক চাহিদাপত্র দিয়ে ষ্টোর হইতে  সিজার/কার্টার গ্রহন করিবেন।
  • প্রত্যেক অপারেটর তাহাদের চাহিদা মোতাবেক তাহার সুপারভাইজারের নিকট হইতে সিজার/কার্টার গ্রহন করিবেন যাহা প্রতিদিন অবশ্যই সিজার/কার্টার ইস্যু ও রির্টান নিবন্ধন খাতায় গ্রহনকারীর স্বাক্ষরসহ লিপিবদ্ধ থাকিবে।
  • প্রত্যেক অপারেটর তাহার গৃহীত সিজার/কার্টার এর মধ্যে অবশ্যই সমন্বয় সাধন করিবেন। যে-কোন অ-মিল থাকিলে তাহা অবশ্যই ইনচার্জ/সুপারভাইজার গোচরীভূত হইতে  হইবে।
  • প্রত্যেক অপারেটর তাহার গৃহীত প্রয়োজনীয় সিজার/কার্টার তাহার দখলে রাখিবেন। সুপারভাইজার অবশ্যই সিজার/কার্টার ইস্যু ও রির্টান এর জন্য নিবন্ধন খাতা সংরক্ষন করবেন । কর্তৃপক্ষ কার্য্যদিবসের যে-কোন সময় যে কোন অবস্থায় নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন এবং নিয়ন্ত্রনকারীর কাছে কোন অ-মিল/অনিয়ম  পরিলক্ষিত হইলে তাহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গৃহীত হইবে।
  • সর্বোপরি ষ্টোর শাখা সিজার/কার্টার তথা সকল ধারালো ধাতব বস্তুর মূল হিসাব সংরক্ষণ করিবে। অকার্যকরী অথবা ধারালো ধাতব বস্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মাটির নীচে পুঁতিয়া রাখিতে কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কে সরবরাহ করিবে।
  • নিজ দেশে প্রচলিত ও আর্ন্তজাতিক পরিবর্তন সাপেক্ষ্যে প্রয়োজনানুযায়ী আইন এবং বিধিসমূহের সংযোজন ও বিয়োজন এর বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ অটো গ্র“পে কর্মরত শ্রমিকদের কারখানায় অবস্থানকালীন সময় পর্যন্ত নিরাপদ রাখার জন্য সর্বদা তৎপর। আন্তর্জাতিক  মান সম্পন্ন উপায়ে এই ভবন নির্মান করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপদ রাখার জন্য কারখানার অভ্যন্তরে সকল প্রকার যন্ত্রপাতি যথাযথভাবে স্থাপন করা হয়েছে। কাজের সুবিধার্থে ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে ধারালো যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রন করাই এই পলিসির উদ্দেশ্য।

নীতিমালা প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রকৃয়া ঃ

  • সকল প্রকার মেশিন, যন্ত্রপাতি, কলকব্জা ইত্যাদি ঙঝঐঅ এর মানসম্পন্ন। যদি কোন মেশিন, যন্ত্রপাতি বা কলকব্জা শ্রমিকদের জন্য ঝুকিঁপূর্ন হয়ে যায় বা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায় তাহলে তা তৎক্ষনাৎ সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয় এবং মানসম্পন্ন নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়। ধারালো যন্ত্রপাতি নিরাপদ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ন্ত্রন করার জন্য নিম্নোক্ত নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরন করা হয়েছে।
  • একজনের মেশিন, ধারালো অস্ত্র, যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ কোন অবস্থাতেই অন্যজন ব্যবহার করতে পারবে না।
  • যার যার কাটার, সিজার, এন্ট্রিকাটার, ভ্রমর, ট্যাগগান মেশিন সেই ব্যবহার করবে এবং এগুলোতে শ্রমিকের নাম এবং কার্ড নম্বর লাগানো থাকবে এবং এগুলো নিজ নিজ মেশিন অথবা টেবিলের সাথে নন ইলাস্টিক ড্রস্ট্রিং দ্বারা বাঁধা থাকবে।
  • একজনের যন্ত্র অন্যজনকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
  • মরিচা ধরা কাটার, সিজার, সূঁচ, ভ্রমর, ব্লেড ইত্যাদি ব্যবহার করে কাজ করা যাবে না।
  • পুরাতন যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ জমা দেওয়ার পর তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে নতুন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ প্রদান করা হবে।
  • পুরানো অথবা ভাঙ্গা সূঁচ জমা দেওয়ার পর তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে নতুন সূঁচ প্রদান করা হবে।

কার্যকরী পরিষদঃ

সুষ্ঠুভাবে কর্ম সম্পাদনের পূর্ব শর্ত হল একটি সুন্দর কর্ম পরিবেশ। একথা বিবেচনা করে শ্রম  আইনের  যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে অত্র কারখানার অভ্যন্তরীন নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ও সার্বিক  বাস্তবায়নে  একটি পর্ষদ গঠন করা হয় যা নিম্নরুপঃ

০১.    পরিচালক

০২.    জি.এম প্রশাসন

০৩.   এজিএম, এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স

০৪.    সকল এ.জি.এম (প্রোডাকশন)

০৫.   মেইন্টনেন্স বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ঠ সকল সেকশন চীফ।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ

এই পলিসি কারখানার সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে সাউন্ড সিস্টেম, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এছাড়াও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও ওয়েলফেয়ার অফিসার ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগরেন মাধ্যমে অবহিত করা হয় এবং এই নীতিমালার যাবতীয় কার্যক্রম নথিভূক্ত করা হয়।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ

কারখানার কর্মরত সকলের উদ্দেশ্যে এই পলিসি  বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং প্রয়োজনীয়  ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর  যদি ব্যতয় হয় , তাহলে নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

পরিশিষ্ট: অটো গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিষদ শ্রমিকদের সুÑস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এই ব্যবস্থাপনা পরিষদের আদর্শ হচ্ছে ‘‘প্রথমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, অতপর কাজ করা”।

নিড্ল ডিটেক্টর

প্যাকিং করার পূর্বে সকল তৈরীকৃত পোশাক নিড্ল ডিটেক্টর মেশিন কর্তৃক পাস (অতিক্রম) হইতে হইবে।
প্রতি ঘন্টার আউট পাশ পোষাকের লট প্যাকিং এলাকায় দেওয়ার পূর্বে এক জায়গায় সংরক্ষিত করিতে হইবে। সকল পোষাক নিড্ল ডিটেক্টর মেশিন দ্বারা পাশ হওয়ার পরই প্যাকিং করিতে হইবে। যদি কোন পোষাক নিড্ল ডিটেক্টর মেশিন দ্বারা পাশ না হয় তাহলে ঐ পোষাক পূনরায় পরীক্ষা করিতে হইবে, এরপরও যদি পাশ না হয়, তবে ঐ পোষাক সংরক্ষিত বাক্সে সংরক্ষন করতে হবে।