Select Page
হাউজ কিপিং কি? হাউজ কিপিং সংক্রান্ত নীতিমালা গুলো কি কি?

হাউজ কিপিং কি? হাউজ কিপিং সংক্রান্ত নীতিমালা গুলো কি কি?

হাউজ কিপিং সংক্রান্ত নীতিমালা

ভূমিকাঃ

১।হাউজ কিপিং শব্দের অর্থ কর্মস্থল সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা ও তার সঠিক তত্ত¡াবধান করা। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী একটি উৎপাদন মূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এখানে একত্রে কয়েক হাজার লোক চলাচল করে ও নিজ নিজ কর্ম সম্পাদন করে। এজন্য ফ্যাক্টরী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার জন্য কতিপয় নিয়মনীতি অনুসরন করে চলতে হয়। সম্মিলিতভাবে সকলে এজন্য উদ্যোগ নিতে হয় যাতে ফ্যাক্টরীটি পরিস্কার ও কার্যোপযোগী থাকে। ৫ এস পড়ুন
উদ্দেশ্যঃ
২। ঐড়ঁংব কববঢ়রহম সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রদান করা যাতে এ বিষয়ে বার বার কোন প্রকার নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন না হয়।
পরিধিঃ
৩।  ফলে গাদাগাদিভাবে রাখা জিনিসপত্রের চাপে কাজের পরিবেশ বিনষ্ট হবে। উৎপাদনশীলতা কমে যাবে। এমনকি কোন অনাকাংখিত দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়াও অসম্ভব নয়। এজন্যে একটি নীতিমালার ভিত্তিতে কাজ করা উচিৎ।হাউজ কিপিং এর জন্য যে যে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে সেগুলো হলঃ গেইট এলাকা, ফ্যাক্টরীর আঙিনা, ষ্টোর, মেশিন এরিয়া, ফিনিশিং সেকশন, কাপড়ের রোল রাখার স্থান, সিঁড়ি,বিভিন্ন অফিসকক্ষ প্রভৃতি যথাযথভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে এবং তার সঠিক তত্ত¡াবধান করতে হবে।
১। গেইট এলাকাঃ ফ্যাক্টরী চলাকালীন সকল গেইটটি চলাচলের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে। গেইটের ভিতরে এবং বাইরে কোন প্রতিবন্ধক থাকবে না। কোন প্রকার যানবাহন গেইটে দাঁড়ানো থাকবে না। গেইটে কোন লোক সমাবেশ বা জটলা থাকবেনা। লোক চলাচল নির্বিঘœ করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।
২। ফ্যাক্টরীর আঙিনাঃ সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও শুকনা রাখতে হবে। ফুল/গাছের টব এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে সুন্দর দেখায়। টবগুলি পরিচ্ছন্ন এবং সতেজ রাখতে হবে। গাড়ীগুলি পার্কিংয়ের স্থান ছাড়া অন্য কোন জায়গায় রাখা যাবে না। সমস্ত গাড়ী বাইরের দিকে মুখ করে রাখতে হবে। যাতে অনাকাংখিত দুর্ঘটনার সময় দ্রুত বাইরে বের করা যায়। মালামাল লোডিং এবং আনলোডিং এর স্থান পরিচ্ছন্ন ও শুকনা রাখতে হবে।
৩। ষ্টোরঃ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন জায়গা। মালামাল এমনভাবে রাখতে হবে যাতে কম জায়গায় অধিক মালামাল সুশৃংখলভাবে রাখতে হাউজ কিপিং এর নীতিমালা অনুসরন করতে হবে । জানালা, ছাদ, দেয়াল তথা কোন দিক থেকে পানি আসতে পারে এমন স্থান হতে মালামাল দূরে রাখতে হবে। গুলি কমপক্ষে ১২ সে.মি উচ্চতা সম্পন্ন এর উপর করে রাখতে হবে এবং জানালা থেকে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দুরত্বে রাখতে হবে, প্রয়োজনে জানালা বন্ধ রাখতে হবে। সকল মালামালে যাতে ময়লা না লাগে সেজন্য সকল সমূহ কভার করে বা ঢেকে রাখতে হবে। মালামাল স্তুপিকৃত অথবা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা যাবে না। বায়ার অনুযায়ী এবং অনুযায়ী করে রাখতে হবে। রিজেক্ট ফেব্রিক্স পৃথক এ রাখতে হবে। গুলি ৬ ফুট পর্যন্ত উঁচু রাখা যায়। এর সারির মাঝখানে চলাচলের রাস্তা রাখতে হবে। প্রতি থাকতে হবে। নির্ধারিত এ গুছিয়ে রাখতে হবে। প্রতি এর মাঝখানে চলাচলের স্থান রাখতে হবে। ওয়াশ থেকে আসার পর গার্মেন্টসসমূহ ঝুড়ি/র‌্যাক এ রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই এবং পানির ড্রাম, ইস্কেপ প্লান ইত্যাদির রা¯তা কোন মালামাল রেখে বন্ধ করা যাবে না। অপ্রয়োজনীয় কার্টুন, প্যাকেজ সামগ্রী প্রভৃতি জমিয়ে রাখা যাবে না। মাকড়সার জাল, ধুলাবালি জমতে দেয়া যাবে না।
৪। কাটিং সেকশনঃ কাটিং টেবিল সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোন মালামাল ফ্লোরে রাখা যাবে না। কমপক্ষে ১২ সে.মি উচ্চতা সম্পন্ন চধষষবঃ/জধপশ এর উপর ঝঃধপশ করে রাখতে হবে এবং জানালা থেকে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দুরত্বে রাখতে হবে, প্রয়োজনে জানালা বন্ধ রাখতে হবে। সকল মালামালে যাতে ময়লা না লাগে সেজন্য সকল সমূহ কভার করে বা ঢেকে রাখতে হবে। কাপড়ের টুকরা, প্যাকেজ সামগ্রী যেমনঃ পি.পি ব্যান্ড, পলি ব্যাগ প্রভৃতি সঙ্গে সঙ্গে অপসারন করতে হবে। টেবিলের নীচে কখনও অপ্রয়োজনীয় মালামাল রাখা যাবে না। কোন ফেব্রিক্স, পকেটিং অথবা ইন্টারলাইনিং অতিরিক্ত থেকে গেলে যথাযথভাবে ষ্টোরে জমা দিতে হবে। কাটিং মেশিন নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। অপ্রয়োজনে কাটিং মেশিনগুলি প্লাগ লাগানো অবস্থায় টেবিলে রাখা যাবে না। ফেব্রিক্স রোল করে রাখতে হবে। গুলি টেবিল থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। অগ্নিনির্বাপক সামগ্রী পর্যন্ত পৌঁছার রাস্তা উন্মূক্ত রাখতে হবে।
৫। সুইং সেকশনঃ সুইং মেশিন গুলি সংশ্লিষ্ট স্টাইল এর কাজের ধরন অনুযায়ী সাজিয়ে রাখতে হবে। কোন মালামাল ফ্লোরে রাখা যাবে না। কমপক্ষে ১২ সে.মি উচ্চতা সম্পন্ন এর উপর করে রাখতে হবে এবং জানালা থেকে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দুরত্বে রাখতে হবে, প্রয়োজনে জানালা বন্ধ রাখতে হবে। সকল মালামালে যাতে ময়লা না লাগে সেজন্য সকল সমূহ কভার করে বা ঢেকে রাখতে হবে। প্রত্যেকটি মেশিনে যথাযথ দূরত্বে স্থাপন করতে হবে। যাতে অপারেটরগণ স্বাচ্ছন্দে বসে কাজ করতে পারেন। অগ্নিনির্বাপক সামগ্রী এলার্ম বক্স, ফাস্ট এইড বক্স গুলোর নীচে অথবা রাস্তায় কোন মেশিন বসানো যাবে না। দরজা, জানালার পাশে সবসময় উন্মূক্ত রাখতে হবে যাতে স্বাচ্ছন্দে চলাচলে বিঘœ না ঘটে। এবং সবগুলি নিদিষ্ট কাজের জায়গায় বেধে রাখতে হবে যাতে ফ্লোর এ পড়ে গিয়ে দূর্ঘটনা না ঘটে।
৬। ফিনিশিং সেকশনঃ ফিনিশিং সেকশন সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে।কোন মালামাল ফ্লোরে রাখা যাবে না। কমপক্ষে ১২ সে.মি উচ্চতা সম্পন্ন এর উপর করে রাখতে হবে এবং জানালা থেকে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দুরত্বে রাখতে হবে, প্রয়োজনে জানালা বন্ধ রাখতে হবে। সকল মালামালে যাতে ময়লা না লাগে সেজন্য সকল সমূহ কভার করে বা ঢেকে রাখতে হবে। মালামালের কার্টুন যথাস্থানে নামিয়ে রাখতে হবে। যাতে সেকশন এ স্থান সংকুলানের অসুবিধা না হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কার্টুন সেকশন এ রাখা যাবে না। আলপিন, যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা যাবে না। এতে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কাজ শেষে আয়রনের প্লাগ অবশ্যই খুলে রাখতে হবে। প্লাগ লাগানো অবস্থায় কোন আয়রন গার্মেন্টস এর উপর রাখা যাবে না। কাপড় পুরে গিয়ে অগ্নিকান্ড ঘটে যেতে পারে। পলি করার পর গার্মেন্টস গুলো যথা সম্ভব দ্রুত কার্টুন এ ভরে ফেলতে হবে। অযথা ফেলে রাখলে ডাস্ট লেগে ময়লা হয়ে যেতে পারে।
৭। বিপজ্জনক মেশিনঃ কমপ্রেসার বয়লার ইত্যাদি নিরাপদ বেষ্টনীর ভেতর রাখতে হবে। বেষ্টনীর গায়ে ”বিপদজ্জনক” কথাটি লিখে রাখতে হবে।
৮। দাহ্য পদার্থ ঃ যেমন অন্যান্য দাগ উঠানোর সামগ্রী এবং জ্বালানী তেল যেমন- ইত্যাদি নিরাপদ স্থানে জমা রাখতে হবে। গ্যাস এর অব্যবহৃত নতুন এবং ব্যবহৃত উভয় প্রকার সিলিন্ডার নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে এগুলোর পাশে কোন ভারী মালামাল রাখা যাবে না।
৯। কাপড়ের রোল রাখার স্থানঃ ঋরহরংযবফ ঋধনৎরপ যথাযথভাবে সারিবদ্ধভাবে চধষষবঃ/জধপশ এর উপর সাজিয়ে রাখতে হবে। সকল কমপক্ষে ১২ সে.মি উচ্চতা সম্পন্ন এর উপর করে রাখতে হবে এবং জানালা থেকে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দুরত্বে রাখতে হবে, প্রয়োজনে জানালা বন্ধ রাখতে হবে। সকল মালামালে যাতে ময়লা না লাগে সেজন্য সকল সমূহ কভার করে বা ঢেকে রাখতে হবে। মাঝখানে চলাচলের রা¯তা রাখতে হবে। বহন করার সময় মাথায় পরিস্কার কাপড়ের টুকরা ব্যবহার করতে হবে। যাতে রোলের গায়ে মাথা থেকে তৈলাক্ত দাগ না লাগতে পারে।
১০। সিঁড়িঃ সিঁড়িতে কখনও কোন মালামাল রাখা যাবেনা। সর্বদা ঝাড়– দিয়ে সিঁড়িকে অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও সর্বদা শুকনা রাখতে হবে যাতে সিঁড়ির ময়লা ভিতরে না যেতে পারে। এবং সপ্তাহে একবার সকল সিড়িসহ সকল ফ্লোর পানি/ডিটারজেন্ট দিয়ে ধৌত করতে হবে। মেশিন একস্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোর এ আনা নেওয়ার সময় যাতে মেশিনের তেল সিঁড়িতে না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। থু থু ও ময়লা ফেলার পাত্র যথাস্থানে রাখতে হবে এবং নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। ময়লা ও থু থু, ছেড়া কাগজ এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেখাসে সেখানে ফেলা যাবে না।
১১। শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রঃ শিশুদের বাসোপযোগী করার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। শিশুদের বসা, খেলা করা, ঘুমানো এবং স্বাচ্ছন্দ চলাফেরার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ঘরে এমন কোন আসবাবপত্র, কাঁচের বোতল রাখা যাবে না খেয়াল রাখতে হবে যাতে শিশুরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। শিশুদের খেলাধুলার জন্য সুন্দর সুন্দর খেলনা রাখতে হবে। তবে এমন কোন খেলনা রাখা যাবে না যাতে খেলনা থেকেই শিশুরা আঘাত পায়। এ রুমে শুধু সংশ্লিষ্ট শিশু ও মায়েরা ছাড়া অন্যদের যাতায়াত নিষিদ্ধ। নিরাপদ “ফিডিং” প্রদানের জন্য এখানে পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে। শিশুদের দেখা শুনার জন্য প্রশিক্ষন প্রাপ্ত আয়া থাকতে হবে। কক্ষটি কর্তব্যরত চিকিৎসক কর্তৃক নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তিনি শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাশাপাশি কক্ষটিও নিরাপদ রাখার ব্যাপারে যথাযথ উপদেশ দেবেন।
১২। টয়লেটঃ টয়লেটসমূহ সর্বদা পরিস্কার ও শুকনা রাখতে হবে। টয়লেটের মেঝে ও কমোড ঘষে মেজে পরিস্কার রাখতে হবে। হাত ধোয়ার সাবান রাখতে হবে। সর্বদা পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। টয়লেটে পর্দার ব্যবস্থা থাকা উচিৎ। ক্লিনারদেরকে সার্বক্ষনিক তদারকির মধ্যে রাখতে হবে। যাতে কোন কাজে শিথিলতা না আসে। টয়লেট এর ডাস্টবিন সর্বদা পরিস্কার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। টয়লেট এ হাত মুছা বা শুকানোর জন্য তোয়ালে রাখতে হবে এবং সার্বক্ষনিক লাইট থাকতে হবে।
১৩। সকল ফ্লোর, ফ্যাক্টরীর আঙিনা, সিঁড়ি, লিফ্ট, অফিসকক্ষ, টয়লেট, বাথরুম, ডাইনিং হল সহ সকল জায়গা সর্বদা সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে প্রথম দর্শনেই একটা সুসজ্জিত পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। অগ্নিনির্বাপক সামগ্রী সমূহের সামনে কোন প্রতিবন্ধক কোন অবস্থাতেই রাখা যাবে না। মেশিন পত্র সহ সকল মালামাল সবসময় যথা নিয়মে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে। এর ব্যতিক্রম করা যাবে না। ফাষ্ট এইড বক্স সমূহ সুসজ্জিত রাখতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এগুলোর নিয়মিত চেক করার ব্যবস্থা করবেন। ফ্যাক্টরী চলাকালীন বক্স এর তালা খুলে রাখতে হবে।

উপসংহারঃ

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা একটি ভাল অভ্যাস। এ অভ্যাস সকলের সমানভাবে রপ্ত করতে হবে। কোন একক ব্যক্তি বা দলের পক্ষে সব কিছু পরিচ্ছন্ন, ছিম ছাম ও সুন্দর রাখা সম্ভব নয়। এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। প্রত্যেক ইউনিট বা সেকশন প্রধানগণ তাদের অধিনস্থদের অন্যান্য ট্রেনিং প্রদানের সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ও ট্রেনিং দেয়া উচিৎ। এতে পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে ভাল অভ্যাস গড়ে উঠবে। ফ্যাক্টরীটি হয়ে যাবে অত্যন্ত ,গোছানো, পরিচ্ছন্ন ও আকর্ষণীয়।

ফ্যাক্টরীর প্রতিটি কর্মীর অন্যান্য করণীয় বিষয়সমুহ গুলো কি কি ?

ফ্যাক্টরীর প্রতিটি কর্মীর অন্যান্য করণীয় বিষয়সমুহ গুলো কি কি ?

ফ্যাক্টরীর প্রতিটি কর্মীর অন্যান্য করণীয় বিষয়সমুহঃ

ফ্যাক্টরীতে কর্মরত প্রত্যেক কর্মী কো¤পানীর নিুলিখিত নিয়ম-কানুন মেনে চলুন ঃ-

আর পড়ুন ৫স

কাজে উপস্থিতি ঃ

১। সঠিক সময়ে কাজে উপস্থিত হোন।
২। ফ্যাক্টরী তে প্রবেশের সময় সকল কর্মী কো¤পানী কর্তৃক প্রদত্ত তার আইডেনটিটি কার্ডখানা টাইম সেকশনে জমা দিন এবং কাজ শেষে ফ্যাক্টরী থেকে যাবার সময় যার যার জমাকৃত আইডেনটিটি কার্ডখানা আপনার নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে যান।
৩। ফ্যাক্টরীতে আচার, তেঁতুল, বড়ই, বাদাম বা এই জাতীয় অন্য কোন খাবার নিয়ে প্রবেশ করবেন না।
ফ্লোর পরিষ্কার পরিচছন্ন রাখাঃ

১।ফ্যাক্টরীর প্রতিটি কর্মী দায়িত্ব ফ্লোরে কোন প্রকার ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না। ময়লা যার যার নির্ধারিত ঝুডিতে ফেলুন।
২। ফ্লোরে প্রবেশের সময় ফ্যাক্টরী প্রদত্ত্ব নির্দিষ্ট স্থানের জুতা, স্যান্ডেল পড়ে কাজ করুন।
৩। ফ্লোরে কোন প্রকার খাবার খাবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে খাবার খাবেন।
৪। ফ্লোরের উপর গার্মেন্টস্ রাখবেন না।
৫। কোন মেশিনের উপর কোন গার্মেন্টস্ রাখবেন না।
৬। দেওয়ালে বা পিলারে পা অথবা শরীর ঠেকিয়ে দাঁড়াবেন না ।
৭। দেওয়ালে বা পিলারে ঠেকিয়ে কোন গার্মেন্টস্ অথবা ট্রলি রাখবেন না।
৮। গার্মেন্টস্ ভর্তি কোন ব্যাগের উপর বসবেন না বা ব্যাগে ভর করে দাড়াবেন না এবং কোন ব্যাগ গাড়ীতে উঠানো বা নামানের সময় উঁচু করে নামাতে বা উঠাতে হবে। কোনক্রমেই গার্মেন্টস্ ভর্তি ব্যাগ টেনে হেঁচড়ে গাড়ীতে উঠানো যাবে না।
৯। কোন গার্মেন্টস্ মাথায় নিবেন না। এতে করে করে মাথার তৈল গার্মেন্টসে লেগে যেতে পারে।
১০। যেখানে সেখানে থুথু ফেলবেন না। নির্ধারিত থুথু দানিতে থুথু ফেলুন।
১১। থুথু দানির মধ্যে কাপড়ের টুকরা, কাগজ বা অন্য কোন ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন ।
১২। টুকরা কাপড় দিয়ে নাক ঝেড়ে থুথু দানিতে ফেলবেন না।
১৩। যতদূর সম্ভব নিজের আশে-পাশে পরিষ্কার পরিচছন্ন রাখুন এবং ফ্লোর স্বাভাবিক ভাবে ময়লা হলে ফ্লোরের জন্য নির্ধারিত ক্লিনারদেরকে পরিষ্কার করতে বলুন।

খাবার পানি ব্যবহার ঃ

১। ফ্লোরে নির্ধারিত স্থানে সর্বক্ষণ বিশুদ্ধ ঠান্ডা খাবার পানির ব্যবস্থা আছে, প্রয়োজনে খাবার পানির কল হতে গ্লাসে ঢেলে পানি পান করুন এবং অপরকে পানি পান করতে দিন।
২। পানি যাতে ফ্লোরে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩। খাবার পানি দিয়ে হাত মুখ ধোবেন না।
৪। কোনক্রমেই পানির অপচয় করবেন না।