কর্মক্ষেত্রে আইন মেনে চলার পদ্ধতি
কর্মক্ষেত্রে আইন মেনে চলার পদ্ধতি গুলো সাধারণ নিয়মাবলীঃ- শ্রমিক কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট যাবতীয় আইন কানুন, ফ্যাক্টরীর অবস্থা, পরিবেশ ও শুল্ক নিয়মসমূহ অবস্থান ভেদে অবহিত করা হয়। আইন কানুন যখন সংশোধন ও পরিবর্তন করা হয় তা যাতে সঠিকভাবে জানা যায় ও সে অনুযায়ী কাজ করা হয় সেজন্য দায়িত্ব সহকারে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নিয়োজিত করা হয়।আইন ও নিয়মাবলী যখন পরিবর্তিত ও সংশোধিত হয়, তার সাথে সংগতি রেখে কাজ সমাধা করা হয়।
- সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস/ দলিল/ কাগজপত্র / গেজেট যা স্থানীয় আইন ও আর্ন্তজাতিক আইন অনুযায়ী প্রণিত তা সংগ্রহ করা হয়।
- শ্রম আইন সংক্রান্ত আইন, নীতিমালা, ফ্যাক্টরীর অবস্থা, পরিবেশ, শুল্ক সর্¤úকিত আইন ও নীতিমালা ইত্যাদি সর্বদাই সর্বশেষ সংশোধনসহ সংরক্ষণ ও অনুসরণ করা।
- স্থানীয় সরকার ও বিজিএমইএ কর্তৃক যদি কোন শ্রম আইন সংশোধন, ফ্যাক্টরী এ্যাক্ট চালু বা সংশোধন করা হয়, পরিবেশগত আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন করা ইত্যাদি বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানা এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়।
- আইন কানুন ও রীতিনীতিতে কোন পরিবর্তন হলে তা দ্রততার সাথে অনুসরণ করা হয় ও সে মর্মে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়, প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মচারীদেরকে ‘‘স্টাফ-বুলেটিন বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, ট্রেনিং / প্রশিক্ষণ সেকশন দ্বারা, ই-মেইল দ্বারা, নোটিশ দ্বারা অবহিত করা হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ঃ
ডেপুটি মানেজার (এইচ আর এন্ড কমপ্লাইয়েন্স )
দায়িত্ব সমূহ ঃ
(ক) সকল প্রয়োজনীয় নথী পত্র
(খ) শ্রমিক অধিকার কারখানার বিধিমালা, পরিবেশ ও রপ্তানী সংক্রান্ত সকল পরিবর্তীত আইন ও বিধীমালা হালনাগাদ করণ এবং অবহিত করণ।
(গ) লিখিত পদ্ধতিমালা প্রবর্তন অত:পর স্টাফ কড়চা, প্রশিক্ষন, ই-মেইল এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা প্রকাশ করন।
(ঘ) শ্রম ও কারখানা আইন অনুযায়ী শ্রমিকেরা মজুরী, ওভার টাইম ভাতা, ছুটি ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সুবিধাদি পাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।
(ঙ) কারখানার সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা ও ইঝঈও মনিটরকে এ ব্যাপারে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা।
(চ) শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরী, ছুটি ও অন্যান্য ভাতাদি পাওয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলা।
(ছ) শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখা।
(জ) শ্রমিকদের চিকিৎসা সুবিধার জন্য চিকিৎসকের সহিত যোগাযোগ রক্ষা করা।
(ঝ) শ্রমিক কল্যাণ কমিটিকে উৎসাহিত করা ও তাদের কাজ কর্ম তদারকী করা।
(ঞ) শ্রমিকদের কাজের ও কর্মক্ষেত্রের মান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা।
(ট) নতুন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, শ্রমিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও কারখানার সামগ্রিক পরিবেশ সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে বজায় রাখা।
(ঠ) কারখানার কাজের সু-পরিবেশ, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন টয়লেট, পরিষ্কার ও উপযুক্ত ডাইনিং হল এবং সুচিকিৎসা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।
মহিলা শ্রমিকদের বাচ্চা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা ও তদারকী
(ড) শ্রমিকদের জন্য লাভ বিহীন ক্যান্টিন সুবিধা দেয়া।
(ঢ) দুর্ঘটনার সময় জরুরী প্রয়োজনে আত্মরক্ষামূলক কৌশল আয়ত্বের প্রশিক্ষণ দেয়া।
(ণ) অগ্নি নির্বাপক মহড়ার ব্যবস্থা করা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা। প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা।
(থ) আইনানুসারে শ্রমিক কল্যাণ কমিটির কার্যক্রম চালু রাখা
(দ) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন সুবিধাদী পরিশোধ করা।
প্রশিক্ষন ও যোগাযোগঃ
(ক) নানাবিধ রীতিসিদ্ধ/ রীতি বর্হিভূত যোগাযোগ মাধ্যমে, সকল শ্রমিক/ কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে আইন ও বিধিমালার অনুসরন ও পালন সম্পর্কে অবহিত ও আদিষ্ট হবেন।
(খ) প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ডেপুটি মানেজার (এইচ আর এন্ড কমপ্লাইয়েন্স )দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগনকে হালনাগাদ আইন/ বিধিমালা সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করবেন। প্রশিক্ষনের নথী ও উপস্থিতির তালিকা যথাযথ নিয়মে সংরক্ষিত হবে।
(গ) ডেপুটি মানেজার (এইচ.আর এন্ড কমপ্লাইয়েন্স ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে হালনাগাদ আইন / বিধিমালা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
(ঘ) নতুন প্রবর্তিত অথবা হালনাগাদী করনে যদি কোন আইন/বিধীমালার দ্বারা শ্রমিক/কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাবলী, মজুরী অথবা অন্যান্য প্রধান ক্ষেত্রে সরাসরি প্রভাব পড়ে, সে ক্ষেত্রে পরিবর্তিত নীতিমালা ও পদ্ধতিমালা প্রধান ফটকে অথবা প্রধান নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত হবে।