Select Page

কল্যাণ সংক্রান্ত নীতিমালা

যে কোন আইন, বিধি বা নিয়মই হোক না কেন তা যদি সঠিকভাবে প্রণয়ন এবং উহার কার্যকরী প্রয়োগ না হয়, তাহা হলে ঐ বিধি, আইন বা নীতিমালা কখনই শ্রমিক কর্মচারীর কল্যাণ বয়ে আনবে না। অটো গ্র“প কর্তৃপক্ষ তাই শ্রমিক কর্মচারীর সঠিক কল্যাণের বিষয় বিবেচনা করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। এই নীতিমালার প্রধান বিষয় ও তার আলোচনা পর্যায়ক্রমে নিুে প্রদত্ত হল। Read in English Language

প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামঃ

  • অত্র প্রতিষ্ঠানে সকল কর্ম সময়ে যাহাতে সহজে পাওয়া যায় এমন ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সমৃদ্ধ বাক্সে রাখা হয়।
  • অত্র প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ নিয়োজিত প্রত্যেক একশ পঞ্চাশ জন শ্রমিকের জন্য একটি করে বাক্স রাখা হয়।
  • প্রত্যেক প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স এমন একজন দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয় যিনি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং যাহাকে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্ম সময়ে পাওয়া যায়।
  • প্রত্যেক কর্ম-কক্ষে উক্ত ব্যক্তির নাম সম্বলিত একটি নোটিশ টাংগাইয়া দেওয়া হয় এবং উক্ত ব্যক্তি তাহাকে সহজে সনাক্ত করা যায় মত ব্যাজ পরিধান করে।
  • অত্র প্রতিষ্ঠানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত মাপের ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত অথবা অন্যান্য সুবিধা সম্বলিত ডিসপেনসারী সহ একটি রোগী কক্ষ আছে, এবং উক্ত কক্ষটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফের দায়িত্বে থাকে।

সেইফটি রেকর্ড বুক সংরক্ষণ।  অত্র প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলক সেইফটি রেকর্ড বুক ও সেইফটি বোর্ড ডাক্তার কর্তৃক সংরক্ষন করা হয়।

ধৌতকরণ সুবিধাঃ

  • অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগনের জন্য যথেষ্ঠ সংখ্যক উপযুক্ত গোসলখানা ও ধৌত করনের সুবিধা এবং উহার রক্ষনাবেক্ষনের ব্যবস্থা আছে।
  • উক্ত সুবিধাদি পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকগনের জন্য স্বতন্ত্রভাবে আছে এবং উহা যথাযথ ভাবে পর্দাঘেরা থাকিবে।
  • উক্ত সুবিধাদি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় এবং সহজে গমন যোগ্য।

ক্যান্টিন সুবিধা। কারখানার শ্রমিকদের খাবার সুবিধার জন্য ক্যান্টিন/ ভোজনালয়ের ব্যবস্থা আছে। সকল শ্রমিক এই ক্যান্টিন/ভোজনালয়ে তাদের দুপুরের খাবার গ্রহণ করে থাকে। ক্যান্টিন/ভোজনালয়ে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হয়।

শিশুর জন্য সতন্ত্র কক্ষ।  ৪৭ ধারা অনুযায়ী অটো কমপ্লেক্সে শিশুদের জন্য সতন্ত্র কক্ষ রয়েছে। মায়েরা তাদের শিশুকে এই কক্ষে রেখে কাজে যেতে পারেন। যেখানে একজন পরিচারিকা সার্বক্ষণিকভাবে এই শিশুদের দেখাশোনা করে থাকেন। মায়েরা প্রয়োজনে তাদের শিশুদের দেখে যেতে এবং দুধপান করাতে পারেন।

কল্যাণ কর্মকর্তা।  অটো গ্র“প শ্রমিকের সার্বিক কল্যণের কথা বিবেচনা করে যে সমস্ত কারখানায় ৫০০ এর অধিক সংখ্যক কর্মচারী নিযুক্ত আছে তাদের জন্য একজন করে কল্যাণ অফিসার নিয়োগ করেছে। কল্যাণ অফিসার নিম্ম লিখিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন ঃ

  • কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগীতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সংযোগ স্থাপন ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
  • শ্রমিকদের একক বা সমষ্টিগত কোন অনুযোগ থাকলে সেগুলো ত্বড়িৎ নিস্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করা।
  • শ্রমিকদের বক্তব্য উপলব্ধি করা এবং পারস্পরিক মত পার্থক্য দূর করার জন্য কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদেরকে সাহায্য করা।
  • কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দিলে সে বিষয়ে আপোষ-মিমাংসার জন্য নিজের প্রভাব কাজে লাগানো।
  • শ্রমিক মালিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ করা।
  • শ্রমিকদের অধিকতর চিকিৎসা সুবিধার জন্য কারখানার মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা।
  • শ্রমিকদের বিভিন্ন কমিটি ও যুগ্ম উৎপাদন কমিটি, সমবায় সমিতি ও ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠনকে উৎসাহিত করা বং তাদের কাজকর্ম তদারক করা।
  • বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যথা ক্যান্টিন/ডাইনিং হল, বিশ্রামাগার, শিশুভবন, পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যাবস্থা, খাবার পানি ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখা।
  • সবেতনে ছুটি মঞ্জুরীর ব্যাপারে মালিক পক্ষকে সাহায্য করা এবং যেকোন ছুটি ও অন্যান্য নিয়মকানুনের ব্যাপারে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলা।
  • গৃহ সংস্থান, খাদ্য, সমবায় সমিতিতে ন্যায্য মূল্যের যেকোন প্রতিষ্ঠানে সামাজিক ও প্রমোদমূলক সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্য-রক্ষা ব্যবস্থা, ছেলেমেয়েদের লেখা পড়ার সুযোগ ইত্যাদি শ্রম কল্যাণ মূলক বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা।
  • শ্রমিকদের কাজের ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণমুলক ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা ও সুপারিশ করা।
  • নবাগত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দান, শ্রমিকদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও কারিগরি ইনষ্টিটিউটে তাদের যোগ দানের উৎসাহদান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া।