Select Page

কিশোর কর্মী নিয়োগ নীতিমালা

উদ্দেশ্য:  গ্র“প কিশোর কর্মী দের নিয়োগ দান করে না। তথাপি যদি কোন রুপে কোন কর্মী কে নিয়োগ প্রদান করে তবে সাধারনত এই নীতির বাইরে নিু নীতি অনুসারে তাদের কার্যাদী সম্পর্ন হইবে। কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না, যদি না-বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একজন রেজিস্টার্ড চিকিত্সক কর্তৃক তাহাকে প্রদত্ত সত্মগমতা প্রত্যয়নপত্র মালিকের হেফাজতে থাকে, এবংজে নিয়োজিত থাকাকালে তিনি উক্ত প্রত্যয়নপত্রের উলেস্্নখ সম্বলিত একটি টোকেন বহন করেন। অটো  গার্মেন্টস লিঃ এ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। এই গ্র“পে শিশু ও কিশোর নিয়োগ সম্পর্কিত সুনির্দ্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। শিশু ও কিশোর শ্রম আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নিুলিখিত বিষয় গুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকে  …

বয়স নির্ধারনঃ

যদি কোন ব্যক্তি শিশু নাকি কিশোর এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ, স্কুল সার্টিফিকেট বা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত উক্ত ব্যক্তির বয়স সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে উহা নিষ্পত্তি হইবে।

শিশু        ঃ  যার বয়স ১৪ বৎসর পূর্ণ হয় নাই।

কিশোর    ঃ  যার বয়স ১৪ বৎসর পূর্ণ হয়েছে কিন্তু ১৮ বৎসর পূর্ণ হয় নাই।

প্রাপ্ত বয়স্ক ঃ  যার বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বয়স নির্ধারনের ক্ষেত্রে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যায়ন পত্র চুড়ান্ত প্রমান হিসেবে গন্য করা হবে।

  • অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাবে না।
  • অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাবে, সে ক্ষেত্রে
  • বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত সক্ষমতার প্রত্যায়ন পত্র কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকতে হবে ।
  • কাজে নিয়োজিত থাকা কালে তাকে উক্ত প্রত্যায়ন পত্রের উল্লেখ সম্বলিত একটি টোকেন বহন করতে হবে।

সংজ্ঞা:১৪ বৎসরের উপরে এবং ১৬ বৎসরের নীচে যাদের বয়স তাদের আমরা কিশোর বলবো।

দায়ীত্বশীল ব্যক্তি: বিভাগীয় প্রধান

নীতি সমুহ:

কোন প্রতিষ্ঠানে কিশোর শ্রমিক নিযুক্ত থাকিলে উহাতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কিশোরের কর্মঘন্টা সম্পর্কে, তাহার কাজের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখসহ, একটি নোটিশ প্রদর্শন করিতে হইবে৷ এ উল্লিখিত নোটিশে প্রদর্শিত সময়ে কাজ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে, প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের ত্মেগত্রে যেভাবে স্থির করা হয় সেভাবে স্থির করিতে হইবে, এবং ইহা এমন হইবে যেন উক্ত সময়ে কর্মরত কোন কিশোরকে এই আইনের খেলাপ কোন কাজ করিতে না হয়৷

কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পূর্ণ বয়স্ক শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এতদসংক্রান্ত বিধান এর অধীন নোটিশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷ সরকার বিধি দ্বারা উক্ত নোটিশের ফরম এবং উহা রক্ষণাবেক্ষণের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷

  • দৈনিক ৬(ছয়) ঘন্টার বেশী কাজ করানো যাবেনা।
  • একজন মেডিক্যাল অফিসার এইমর্মে প্রত্যায়ন পত্র দিবে যে কিশোর ব্যক্তি সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম।
  • দুটি কাজের সময়ের মধ্যে একটানা অন্ততঃ তের ঘন্টার বিশ্রামের অনুমতি থাকতে হবে।
  • কিশোর কর্মী স্কুলে ভর্ত্তি হবে এই মর্মে লিখিত দিবে।
  • নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন ভাবেই অতিরিক্ত সময় কাজ করানো যাবেনা।

সক্ষমতা প্রত্যায়ন পত্র ঃ

  • কোন কিশোর কাজের জন্য উপযুক্ত কিনা ইহা পরীক্ষা করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কিশোর বা তাহার পিতা -মাতা বা অভিভাবক কর্তৃক অনুরূদ্ধ হইলে অথবা কোন মালিক কর্তৃক অনুরূপ ভাবে অনুরূদ্ধ হইলে, কোন রেজিষ্টার্ড    চিকিৎসক কিশোরটিকে পরিক্ষা করিবেন এবং তাহার সক্ষমতা সিদ্ধান্ত দিবেন।
  • রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত সক্ষমতা প্রত্যায়ন পত্র উহা প্রদানের তারিখ হইতে পরবর্তি বারো মাস পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
  • উক্তরূপ প্রত্যায়ন পত্রের জন্য প্রদেয় ফিস মালিক প্রদান করিবেন এবং উহা সংশ্লিষ্ট কিশোর বা তাহার মাতা-পিতা বা      অভিভাবকরে নিকট হইতে আদায় করা যাইবে না।

কতিপয় কাজে কিশোর নিয়োগে বাধা ঃ

কোন প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি চালু অবস্থায় উহা পরিষ্কারের জন্য, উহাতে তেল প্রদানের জন্য বা উহাকে সুবিন্যস্ত করার জন্য বা উক্ত চালু যন্ত্রপাতির ঘুর্ণয়মান অংশগুলির মাঝখানে অথবা স্থির এবং ঘুর্ণয়মান অংশগুলির মাঝখানে কোন কিশোরকে কাজ করিতে অনুমতি দেওয়া যাইবে না।

বিপদ জনক যন্ত্রপাতির কাজে কিশোর নিয়োগ ঃ

এই বিধান কেবলমাত্র ঐ সকল যন্ত্রপাতি সম্পর্কে প্রযোজ্য হইবে যে সম্পর্ক সরকার বিজ্ঞপ্তি মারফত ঘোষণা করে যে, এইগুলি এমন বিপজ্জনক যে উহাতে  এ উল্লেখিত শর্তাদি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিশোরের পক্ষে কাজ করা উচিত নহে৷ কোন কিশোরকে যন্ত্রপাতির কোন কাজ করা যাবে না, যদি না-

  • তাহাকে উক্ত যন্ত্র—পাতি সংক্রান্ত বিপদ সম্পর্কে এবং এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন সম্পর্কে সম্পূর্নভাবে ওয়াকেবহাল করানো হয়।
  • তিনি যন্ত্রপাতিতে কাজ করার জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষন গ্রহন করিয়াছেন, অথবা তিনি যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত অভিজ্ঞ এবং পুরোপুরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে কাজ করেন।

কিশোরের কর্ম ঘন্টাঃ

কোন কিশোরকে কোন কারখানা বা খনিতে দৈনিক পাঁচ ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে ত্রিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া হইবে না৷ কোন কিশোরকে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে দৈনিক সাত ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে বিয়াল্লিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷

  • কোন কিশোরকে দৈনিক পাঁচ ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে ত্রিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।
  • কোন কিশোরকে সন্ধা ৭.০০ টা হইতে সকাল ৭.০০ টার মধ্যবর্তি সময়ে কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।
  • ওভার টাইম কাজের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৩৬ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করানো যাইবে না।
  • একই দিনে কোন কিশোর একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করিতে পারিবে না।
  • যদি কোন কিশোর অধিকাল কাজ করেন, তাহা হইলে অধিকালসহ তাহার কাজের মোট সময়- (ক) কারখানা বা খনির ত্মেগত্রে, সপ্তাহে ছত্রিশ ঘন্টা; (খ) অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ত্মেগত্রে, সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টা; এর অধিক হইবে না৷

কতিপয় ক্ষেত্রে শিশু শ্রমিক নিয়োগে ব্যতিক্রম ঃ

তবে শর্ত থাকে যে, শিশু যদি বিদ্যালয়গামী হয় তাহা হইলে তাহার কর্মসময় এমনভাবে নির্ধারণ করিতে হইবে যেন ইহা তাহার বিদ্যালয় গমনকে বিঘ্নিত না করে৷ কিশোর শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই অধ্যায়ের সকল বিধান যতদূর সম্ভব, উক্ত শিশুশ্রমিক ও প্রতিবন্ধী শ্রমিক] ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷

এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বারো বৎসর বযঃপ্রাপ্ত কোন শিশুকে এমন কোন হালকা কাজে নিয়োগ করা যাইবে যাহা তাহার স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য বিপজ্জনক নহে অথবা যাহা তাহার শিক্ষা গ্রহনে বিঘিœত হইবে না। কোন প্রতিবন্ধী শ্রমিককে বিপজ্জনক যন্ত্রপাতির কাজে অথবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, শিশু যদি বিদ্যালয়গামী হয় তাহা হইলে তাহার কর্ম সময় এমনভাবে নির্ধারন করিতে হইবে যেন তাহা তাহার বিদ্যালয় গমনকে বিঘিœত না করে।