Select Page

ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্য

ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্য – একজন শ্রমিক একটি যন্ত্রে ভাল্বে নাট শক্ত করে লাগাতে গিয়ে সেটার প্যাঁচ কেটে ফেলে। যার ফলে, ওর সংযোগ লাইন ফেটে যায়। এর মধ্যে দিয়ে যাওয়া সালফিউরিক এসিড শ্রমিকটির গায়ে লাগলে সে দৌড়ে যায় কাছাকাছি পানির ঝর্ণার কাছে। দেখলো বিভিণœ জায়গায় ছিদ্র হয়ে যাবার কারণে সেটাও এখন কাজ করছেনা, কে যেন পানির সাপ্লাইও বন্ধ কওে দিয়েছে। …

সে দৌড়ে পরের শাওয়ারের কাছে যায়, সেটা কাজ করছিল কিন্তু ততক্ষণে লোকটির পুরো মুখ এবং শরীরের উপরের অংশ এসিডে ভয়ংকরভাবে জ্বলে গিয়েছিল। প্রতিরক্ষামূলক কাপড় সে পরেনি। ভেবেছিলো সে নিরাপদেই আছে। লোকটির ভাগ্য ভালো যে সে তার চোখে সেফটি গগল্স পরেছিল। কেমিক্যাল স্টোরে কর্মরত সকল শ্রমিক/কর্মচারী কর্মকালীন সময়ে অবশ্যই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদী (পি,পি,ই) ব্যবহার করতে হবে।

দূর্ঘটনাবশত কারনে এরপরও যদি কোন কারনে কেমিক্যাল কারও শরীরে লাগে অথবা চোখে যায় অথবা মুখে যায় তবে জরুরী ভাবে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহন করবে। ক্ষয়কারী বস্তুগুলো আসলে বিক্রিয়াশীল রাসায়নিক পদার্থে ভরা থাকে। এর স্পর্শে এলে বস্তু গলে যায় বা ক্ষয় হয়ে যায়। মানুষের দেহের মাংসও গলে যেতে পারে। সাধারণত ঃ শিল্পে ব্যবহার্য এসিড ও ক্ষারীয় কেমিক্যাল পানিতে মিশে থাকতে পারে যা ক্ষয়কারী । ক্ষয়কারী রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং নাইট্রিক এসিড সচরাচর পাওয়া যায় বা ব্যবহার হয়। অপরদিকে এ্যালকালির মধ্যে কষ্টিক সোডা, কষ্টিক পটাশ ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থগুলো ল্যাবরেটরী এবং কেমিক্যাল প্লান্ট ইত্যাদি জায়গায় পাওয়া যায়। রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুত করতে, ধাতব পদার্থ পরিষ্কার ও পরখ করতে এবং ব্যাটারীতে এ ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয়। মানব দেহে ক্ষয়কারী পদার্থের গুরুতর প্রভাব পড়ে, এত শরীরের টিস্যুগুলো জ্বলে বা পুড়ে যায়।

যদি শরীরের কোন স্থানে লেগে যায় তখন ঐ স্থান প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজন হলে সাবান ব্যবহার করতে হবে। এসব রাসায়নিক দ্রব্য মাবনদেহের কতটা ক্ষতি করতে পারে শ্রমিকরা তা ভাবে না। ক্ষতি যখন হয়ে যায় তখনই কেবল পূর্বোক্ত শ্রমিকের মতো তাদের টনক নড়ে। ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়। এই ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে নিজেকে বাচাঁতে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আগে ভাগেই নেওয়া ভাল। ক্ষয়কারী পদার্থেও পরিমাণ ও ঘনত্বের পার্থক্যের ভিত্তিতে পিপিইগুলি পৃথক হতে পারে তথাপি সাধারণতঃ মুখমন্ডল বাঁচানোর সরঞ্জাম, দস্তানা, জুতা, প্রতিরক্ষামূলক কাপড়-চোপড় ইত্যাদি পিপিই হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বায়ু পরিবাহিত গ্যাস ও ধোঁয়া থেকে আতœরক্ষা করতে শ্বাস-প্রশ্বাস রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে।

দূর্ঘটনাবশতঃ উক্ত কেমিক্যাল খেয়ে ফেললে মুখ দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং বমি করার চেষ্টা করতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে।

নিঃশ্বাসের সাথে উক্ত কেমিক্যালের গ্যাস শ্বাস প্রশ্বাসের ভিতরে চলে গেলে মুক্ত বায়ু সেবন করতে হবে। এরপরে থাকছে জরুরীভাবে দূষণমুক্ত কওে এমন সাজ-সরঞ্জাম যেমন- নিরাপত্তামূলক ঝুকি  পানির ঝর্ণা, চোখ ধুয়ে ফেলার পরিষ্কার পানি। এ সবই অত্যাবশ্যক এবং এগুলো ব্যবহারে কোন প্রতিবন্ধকতা যাতে না থাকে তা দেখতে হবে, প্রয়োজনীয় সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। এগুলো সার্বক্ষনিকভাবে যাতে চালু থঅকে সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।

যদি চোখে যায় তখন যত দ্রুত সম্ভব প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রাথমিক পরিচর্যা বা ফাষ্ট এইড সংক্রান্ত বিষয়াদিঃ-মানুষের জীবন বিপন্ন হলে তাকে ফাষ্ট এইড দেওয়া অপরিহার্য। কর্ম ক্ষেত্রে যে কোন লোক যে কোন সময়ে এমন বিপদে পড়তে পারে। এ

সারসংক্ষেপ

ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্য – উল্লেখিত পদক্ষেপ গ্রহন পর্যাপ্ত মনে না হলে, সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল অফিসারকে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে এইচ আর ও এডমিন বিভাগকে অবহিত করতে হবে। অবস্থা যদি সংকটাপন্ন হয় তবে জরুরী টেলিফোন নম্বর দেখে নিকটস্থ হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে পাঠিয়ে স্থায়ী ভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।