চাকুরীর শর্তাবলী ও নিয়োগ নীতিমালা
চাকুরীর শর্তাবলী
চাকুরীর শর্তাবলী ও নিয়োগ নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা – অত্র প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকগনের নিয়োগ ও তৎসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর আলোকে এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হইবে।শ্রমিকের শ্রেনী বিন্যাস। শ্রমিকদের বয়সের উপর ভিত্তি করে এবং শ্রমিকদের কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে তাদেরকে নিু বর্ণিত শ্রেনীতে বিভক্ত করা যায় ঃ
ক। বয়স ভিত্তিক। শ্রমিকের বয়সের উপর ভিত্তি করে নিু বর্ণিত তিনটি শ্রেনীতে বিভক্ত করা হয় ঃ
- শিশু শ্রমিক। ১৪ বছরের কম শ্রমিকদেরকে শিশু শ্রমিক হিসাবে গন্য করা হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়না।
- কিশোর শ্রমিক। ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত শ্রমিকদেরকে কিশোর শ্রমিক বলা হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোর শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়না।
- প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক। ১৮ থেকে এর উর্ধ্ব বয়সের শ্রমিকদের প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক বলা হয়।
খ। কর্ম ভিত্তিক। কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগনকে নিু লিখিত শ্রণীতে বিভক্ত করা হয় ঃ
- শিক্ষাধীন। কোন শ্রমিককে শিক্ষাধীন শ্রমিক বলা হয় যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে হয় এবং প্রশিক্ষনকালে তাহাকে ভাতা প্রদান করা হয়।
- বদলী। কোন শ্রমিককে বদলী শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে তাহাকে স্থায়ী শ্রমিক বা শিক্ষানবিসের পদে তাহাদের সাময়িক অনুপস্থিতিকালীন সময়ের জন্য নিযুক্ত করা হয়।
- সাময়িক। কোন শ্রমিককে সাময়িক শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ সাময়িক ধরনের হয়।
- অস্থায়ী। কোন শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ এমন কোন কাজের জন্য হয় যাহা একান্তভাবে অস্থায়ী ধরনের এবং যাহা সীমিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
- শিক্ষানবিস। কোন শ্রমিককে শিক্ষানবিস শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন স্থায়ী পদে তাহাকে আপাততঃ নিয়োগ করা হয় এবং তাহার শিক্ষানবিসীকাল সমাপ্ত না হইয়া থাকে।
- স্থায়ী। কোন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতষ্ঠানে তাহাকে স্থায়ী ভাবে নিযুক্ত করা হয়, অথবা প্রতিষ্ঠানে তিনি তাহার শিক্ষানবিসীকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়া থাকেন।
ব্যাখ্যাঃ
- কেরানী- সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত কোন শ্রমিকের শিক্ষানবিসকাল হইবে ছয় মাস অন্যান্য শ্রমিকের জন্য এই সময় হইবে তিন মাস। তবে শর্ত থাকে যে, একজন দক্ষশ্রমিকের ক্ষেত্রে তাহার শিক্ষানবিসীকাল আরও তিন মাস করা যাইবে যদি কোন কারনে প্রথম তিন মাস শিক্ষানবিসীকাল তাহার কাজের মান নির্নয় করা না হয়।
- যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী তাহার শিক্ষানবিসীকালে বর্ধিত সময়সহ, অবসান হয়, ইহার পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে যদি তিনি একই মালিক কর্তৃক পুনরায় নিযুক্ত হন তাহা হইলে যদি না স্থায়ীভাবে নিযুক্তহন, একজন শিক্ষানবিসী হিসাবে গন্য হইবেন এবং তাহার শিক্ষানবিসীকাল গুনার ক্ষেত্রে পূর্বের শিক্ষানবিসীকাল হিসাবে আনা হইবে।
- যদি কোন স্থায়ী শ্রমিক কোন নতুন পদে শিক্ষানবিস হিসাবে নিযুক্ত হন, তাহা হইলে তাহার শিক্ষানবিসীকালে যে কোন সময় তাহাকে পূর্বের স্থায়ী পদে ফেরত আনা যাইবে।
- নিয়োগপত্র ও পরিচয় পত্র। অত্র প্রতিষ্ঠানে একটি নির্র্দিষ্ট নিয়োগ পত্রের (পরিশিষ্ট ‘ক’) মাধ্যমে শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয় এবং এই নিয়োগ পত্রের একটি কপি শ্রমিকদের দেওয়া হয়। নিয়োগের পর প্রত্যেক শ্রমিককে তাদের ছবি সহ একটি ইলেকট্রনিক বার কোড সম্বলিত পরিচয় পত্র (পরিশিষ্ট ‘খ’) দেওয়া হয়।
সার্ভিস বই ঃ
- অত্র প্রতিষ্ঠান হইতে নিজস্ব খরচে প্রত্যেক শ্রমিককে একটি করে সার্ভিস বই দেওয়া হয়।
- প্রত্যেক সার্ভিস বই অত্র প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে থাকে।
- কোন শ্রমিককে নিয়োগ করার পূর্বে তাহার নিকট হইতে পূর্বেকার সার্ভিস বই তলব করা হয়, যদি উক্ত শ্রমিক দাবী করেন যে, তিনি ইতিপূর্বে অন্য কোন মালিকের অধীনে চাকুরী করিয়াছেন।
- যদি উক্ত শ্রমিকের কোন সার্ভিস বই থাকে তাহা হইলে তিনি উহা অত্র প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করিবেন এবং অত্র প্রতিষ্ঠান হইতে তাহাকে রশিদ প্রদান করিয়া সার্ভিস বইটি প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে রাখা হইবে।
- যদি উক্ত শ্রমিকের কোন সার্ভিস বই না থাকে তাহা হইলে নিয়ম অনুযায়ী তার সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা করা হইবে।
- যদি কোন শ্রমিক সার্ভিস বইয়ের একটি কপি নিজে সংরক্ষণ করিতে চাহেন তাহা হইলে নিজ খরচে তিনি তাহা করিতে পারিবেন।
- কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসানকালে অত্র প্রতিষ্ঠান তাহার বই ফেরত দিবেন।
- যদি ফেরতকৃত কোন সার্ভিস বই বা সার্ভিস বইয়ের কোন কপি শ্রমিক হারাইয়া ফেলেন তাহা হইলে অত্র প্রতিষ্ঠান , শ্রমিকের খরচে তাহাকে সার্ভিস বইয়ের একটি কপি সরবরাহ করা হইবে।
- এই ধারার কোন কিছুই শিক্ষাধীন, বদলী বা সাময়িক শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
ছুটির পদ্ধতি ঃ
- কোন শ্রমিক ছুটি নিতে ইচ্ছা করিলে অত্র প্রতিষ্ঠানে লিখিত ভাবে দরখাস্ত করিতে হবে এবং ইহাতে তাহার ছুটিতে অবস্থানকালীন ঠিকানা উল্লেখ থাকিবে।
- অত্র প্রতিষ্ঠান হইতে অনুরুপ দরখাস্ত প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে অথবা ছুটি শুরু হওয়ার দুই দিন পূর্বে , যাহা আগে সংঘটিত হয়, তাহার আদেশ প্রদান করা হয়।
- তবে শর্ত থাকে যে, জরুরী কারণবশতঃ যদি প্রার্থীত ছুটি দরখাস্তেও তারিখে অথবা উহার তিন দিনের মধ্যে শুরু করিতে হয়, তাহা হইলে অনুরুপ আদেশ দরখাস্ত প্রাপ্তির দিনেই প্রদান করা হয়।
- যদি প্রার্থীত ছুটি মঞ্জুর করা হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে একটি ছুটির পাস দেওয়া হয়।
- যদি প্রার্থীত ছুটি নামঞ্জুর বা স্থগিত করা হয়, তাহা হইলে নামঞ্জুর বা স্থগিতাদেশের কারনসহ ইহা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রার্থিত ছুটি আরম্ভ হওয়ার তারিখের পূর্বে অবহিত করা হয় এবং এতদ উদ্দেশ্যে রক্ষিত রেজিস্টারে ইহা লিপিবদ্ধ করা হয়।
- যদি কোন শ্রমিক ছুটিতে যাওয়ার পর ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে চাহেন, তাহা হইলে তাহাকে ছুটি পাওনা ছুটি বর্ধিতকরনের আবেদন মঞ্জুর বা না মঞ্জুর করিয়া শ্রমিকের ছুটির ঠিকানায় লিখিত ভাবে জানানো হয়।
যদি তাহার কোন বাৎসরিক ছুটি পাওনা থাকে, তাহা হইলে অত্র প্রতিষ্ঠান ঐ পাওনা ছুটির পরিবর্তে এই আইনের বিধান অনুযায়ী ছুটিকালীন সময়ে উক্ত শ্রমিকের যে মজুরী প্রাপ্য হইতে তাহা প্রদান করা হয়। মৃত্যুজনিত সুবিধা। যদি কোন শ্রমিক অত্র প্রতিষ্ঠানের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্ততঃ তিন বছরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন, তাহা হইলে অত্র প্রতিষ্ঠান মৃত শ্রমিকের কোন মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ছয় মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরন হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহন করিলে যে সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।তবে শর্ত থাকে যে, মৃত শ্রমিক যদি প্রতিষ্ঠানের যৌথ বীমা স্কীমের আওতাভূক্ত হন, অথবা যদি তাহার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন কোন ক্ষতিপূরন প্রদেয় হয়, তাহা হইলে যাহা অধিক হইবে তাহাই উক্ত শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রদেয় হইবে।