Select Page
চাকুরীর শর্তাবলী ও নিয়োগ নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা

চাকুরীর শর্তাবলী ও নিয়োগ নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা

চাকুরীর শর্তাবলী ও নিয়োগ নীতিমালা

চাকুরীর শর্তাবলী

চাকুরীর শর্তাবলী ও নিয়োগ নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা – অত্র প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকগনের নিয়োগ ও তৎসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর আলোকে এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হইবে।শ্রমিকের শ্রেনী বিন্যাস।  শ্রমিকদের বয়সের উপর ভিত্তি করে এবং শ্রমিকদের কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে তাদেরকে নিু বর্ণিত শ্রেনীতে বিভক্ত করা যায় ঃ

ক।   বয়স ভিত্তিক।  শ্রমিকের বয়সের উপর ভিত্তি করে নিু বর্ণিত তিনটি শ্রেনীতে বিভক্ত করা হয় ঃ

  • শিশু শ্রমিক। ১৪ বছরের কম শ্রমিকদেরকে শিশু শ্রমিক হিসাবে গন্য করা হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়না।
  • কিশোর শ্রমিক। ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত শ্রমিকদেরকে কিশোর শ্রমিক বলা হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোর শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়না।
  • প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক। ১৮ থেকে এর উর্ধ্ব বয়সের শ্রমিকদের প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক বলা হয়।

খ।      কর্ম ভিত্তিক।   কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগনকে নিু লিখিত শ্রণীতে বিভক্ত করা হয় ঃ

  • শিক্ষাধীন। কোন শ্রমিককে শিক্ষাধীন শ্রমিক বলা হয় যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে হয় এবং প্রশিক্ষনকালে তাহাকে ভাতা প্রদান করা হয়।
  • বদলী। কোন শ্রমিককে বদলী শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে তাহাকে স্থায়ী শ্রমিক বা শিক্ষানবিসের পদে তাহাদের সাময়িক অনুপস্থিতিকালীন সময়ের জন্য নিযুক্ত করা হয়।
  • সাময়িক। কোন শ্রমিককে সাময়িক শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ সাময়িক ধরনের হয়।
  • অস্থায়ী। কোন শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ এমন কোন কাজের জন্য হয় যাহা একান্তভাবে অস্থায়ী ধরনের এবং যাহা সীমিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
  • শিক্ষানবিস। কোন শ্রমিককে শিক্ষানবিস শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন স্থায়ী পদে তাহাকে আপাততঃ নিয়োগ করা হয় এবং তাহার শিক্ষানবিসীকাল সমাপ্ত না হইয়া থাকে।
  • স্থায়ী। কোন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি অত্র প্রতষ্ঠানে তাহাকে স্থায়ী ভাবে নিযুক্ত করা হয়, অথবা প্রতিষ্ঠানে তিনি তাহার শিক্ষানবিসীকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়া থাকেন।

ব্যাখ্যাঃ

  • কেরানী- সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত কোন শ্রমিকের শিক্ষানবিসকাল হইবে ছয় মাস অন্যান্য শ্রমিকের জন্য এই সময় হইবে তিন মাস। তবে শর্ত থাকে যে, একজন দক্ষশ্রমিকের ক্ষেত্রে তাহার শিক্ষানবিসীকাল আরও তিন মাস করা যাইবে যদি কোন কারনে প্রথম তিন মাস শিক্ষানবিসীকাল তাহার কাজের মান নির্নয় করা না হয়।
  • যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী তাহার শিক্ষানবিসীকালে বর্ধিত সময়সহ, অবসান হয়, ইহার পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে যদি তিনি একই মালিক কর্তৃক পুনরায় নিযুক্ত হন তাহা হইলে যদি না স্থায়ীভাবে নিযুক্তহন, একজন শিক্ষানবিসী হিসাবে গন্য হইবেন এবং তাহার শিক্ষানবিসীকাল গুনার ক্ষেত্রে পূর্বের শিক্ষানবিসীকাল হিসাবে আনা হইবে।
  • যদি কোন স্থায়ী শ্রমিক কোন নতুন পদে শিক্ষানবিস হিসাবে নিযুক্ত হন, তাহা হইলে তাহার শিক্ষানবিসীকালে যে কোন সময় তাহাকে পূর্বের স্থায়ী পদে ফেরত আনা যাইবে।
  • নিয়োগপত্র ও পরিচয় পত্র। অত্র প্রতিষ্ঠানে একটি নির্র্দিষ্ট নিয়োগ পত্রের (পরিশিষ্ট ‘ক’) মাধ্যমে শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয় এবং এই নিয়োগ পত্রের একটি কপি শ্রমিকদের দেওয়া হয়। নিয়োগের পর প্রত্যেক শ্রমিককে তাদের ছবি সহ একটি ইলেকট্রনিক বার কোড সম্বলিত পরিচয় পত্র (পরিশিষ্ট ‘খ’) দেওয়া হয়।

   সার্ভিস বই ঃ

  • অত্র প্রতিষ্ঠান হইতে নিজস্ব খরচে প্রত্যেক শ্রমিককে একটি করে সার্ভিস বই দেওয়া হয়।
  • প্রত্যেক সার্ভিস বই অত্র প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে থাকে।
  • কোন শ্রমিককে নিয়োগ করার পূর্বে তাহার নিকট হইতে পূর্বেকার সার্ভিস বই তলব করা হয়, যদি উক্ত শ্রমিক দাবী করেন যে, তিনি ইতিপূর্বে অন্য কোন মালিকের অধীনে চাকুরী করিয়াছেন।
  • যদি উক্ত শ্রমিকের কোন সার্ভিস বই থাকে তাহা হইলে তিনি উহা অত্র প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করিবেন এবং অত্র প্রতিষ্ঠান হইতে তাহাকে রশিদ প্রদান করিয়া সার্ভিস বইটি প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে রাখা হইবে।
  • যদি উক্ত শ্রমিকের কোন সার্ভিস বই না থাকে তাহা হইলে নিয়ম অনুযায়ী তার সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা করা হইবে।
  • যদি কোন শ্রমিক সার্ভিস বইয়ের একটি কপি নিজে সংরক্ষণ করিতে চাহেন তাহা হইলে নিজ খরচে তিনি তাহা করিতে পারিবেন।
  • কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসানকালে অত্র প্রতিষ্ঠান তাহার বই ফেরত দিবেন।
  • যদি ফেরতকৃত কোন সার্ভিস বই বা সার্ভিস বইয়ের কোন কপি শ্রমিক হারাইয়া ফেলেন তাহা হইলে অত্র প্রতিষ্ঠান , শ্রমিকের খরচে তাহাকে সার্ভিস বইয়ের একটি কপি সরবরাহ করা হইবে।
  • এই ধারার কোন কিছুই শিক্ষাধীন, বদলী বা সাময়িক শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

ছুটির পদ্ধতি ঃ

  • কোন শ্রমিক ছুটি নিতে ইচ্ছা করিলে অত্র প্রতিষ্ঠানে লিখিত ভাবে দরখাস্ত করিতে হবে এবং ইহাতে তাহার ছুটিতে অবস্থানকালীন ঠিকানা উল্লেখ থাকিবে।
  • অত্র প্রতিষ্ঠান হইতে অনুরুপ দরখাস্ত প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে অথবা ছুটি শুরু হওয়ার দুই দিন পূর্বে , যাহা আগে সংঘটিত হয়, তাহার আদেশ প্রদান করা হয়।
  • তবে শর্ত থাকে যে, জরুরী কারণবশতঃ যদি প্রার্থীত ছুটি দরখাস্তেও তারিখে অথবা উহার তিন দিনের মধ্যে শুরু করিতে হয়, তাহা হইলে অনুরুপ আদেশ দরখাস্ত প্রাপ্তির দিনেই প্রদান করা হয়।
  • যদি প্রার্থীত ছুটি মঞ্জুর করা হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে একটি ছুটির পাস দেওয়া হয়।
  • যদি প্রার্থীত ছুটি নামঞ্জুর বা স্থগিত করা হয়, তাহা হইলে নামঞ্জুর বা স্থগিতাদেশের কারনসহ ইহা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রার্থিত ছুটি আরম্ভ হওয়ার তারিখের পূর্বে অবহিত করা হয় এবং এতদ উদ্দেশ্যে রক্ষিত রেজিস্টারে ইহা লিপিবদ্ধ করা হয়।
  • যদি কোন শ্রমিক ছুটিতে যাওয়ার পর ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে চাহেন, তাহা হইলে তাহাকে ছুটি পাওনা ছুটি বর্ধিতকরনের আবেদন মঞ্জুর বা না মঞ্জুর করিয়া শ্রমিকের ছুটির ঠিকানায় লিখিত ভাবে জানানো হয়।

যদি তাহার কোন বাৎসরিক ছুটি পাওনা থাকে, তাহা হইলে অত্র প্রতিষ্ঠান ঐ পাওনা ছুটির পরিবর্তে এই আইনের বিধান অনুযায়ী ছুটিকালীন সময়ে উক্ত শ্রমিকের যে মজুরী প্রাপ্য হইতে তাহা প্রদান করা হয়। মৃত্যুজনিত সুবিধা। যদি কোন শ্রমিক অত্র প্রতিষ্ঠানের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্ততঃ তিন বছরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন, তাহা হইলে অত্র প্রতিষ্ঠান মৃত শ্রমিকের কোন মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ছয় মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরন হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহন করিলে যে সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।তবে শর্ত  থাকে যে, মৃত শ্রমিক যদি প্রতিষ্ঠানের যৌথ বীমা স্কীমের আওতাভূক্ত হন, অথবা যদি তাহার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন কোন ক্ষতিপূরন প্রদেয় হয়, তাহা হইলে যাহা অধিক হইবে তাহাই উক্ত শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রদেয় হইবে।

সার্ভিস বেনিফিট কি ? মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরণ এর নিয়ম

সার্ভিস বেনিফিট কি ? মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরণ এর নিয়ম

সার্ভিস বেনিফিট

সজ্ঞা

সার্ভিস বেনিফিট বলতে বুুঝায় একজন শ্রমিক/কর্মচারী/ তার চাকুরীর অবসানের পরবর্তি যে সকল আর্থিক সুবিধা কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ব হয়।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, সংশেধিত আইন-২০১৩ অনুযায়ী চাকুরীর অবসান নীতিমালায় (ধারা-২৬ ও ২৭,) আওতায় একজন শ্রমিক/কর্মচারী স্বেচ্ছায় চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ কারুক বা মালিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান হউক নিম্ন বর্ণিত হারে সার্ভিস বেনিফিট প্রদত্ব হইবে।

১. ধারা-২৬ এর উপধারা (৪) অনুযায়ী মালিক কর্তৃক কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হয় সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে সার্ভিস বেনিফিট  প্রদান করবে, ত্রিশ (৩০) দিনের মজুরী, অথবা গ্রাচুইটি (অথার্ৎ কোন শ্র্রমিকের প্রতি পূর্ণ বৎসর চাকুরী অথবা ছয় মাসের অতিরিক্ত সময়ের চাকুরীর জন্য তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা একই মালিকের যে কোন প্রতিষ্ঠানে অনধিক ০৮ বৎসরের চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৩০ দিনের মজুরী অথবা ৮ বৎসরের অধিককাল চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৪৫ দিনের মজুরী যাহা উক্ত শ্রমিককে তাহার চাকুরীর অবসানে প্রদেয়, ইহা এই আইনের অধীনে শ্রমিকের বিভিন্ন ভাবে চাকুরীর অবসানজনিত কারনে মালিক কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরন বা নোটিশের পরিবর্তে প্রদেয় মজুরী বা ভাতার অতিরিক্ত হইবে) যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে. প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।

২. ধারা-২৭  অনুযায়ী শ্রমিক কর্তৃক ঃ কোন স্থায়ী শ্রমিক মালিককে ষাট দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন। সেক্ষেত্রে, মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য
ক) যদি চাকুরীর মেয়াদ পাচঁ (০৫) বৎসর বা তার অধিক কিন্তু দশ (১০) বৎসের কম মেয়াদে অবিছিন্ন ভাবে মালিকের অধিনে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে চৌদ্দ (১৪) দিনের মজুরী ; এবং
খ) যদি চাকুরীর মেয়াদ দশ (১০) বৎসর বা তা অধিক সময় হয় তাহা হইলে ত্রিশ (৩০) দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি (অথার্ৎ কোন শ্র্রমিকের প্রতি পূর্ণ বৎসর চাকুরী অথবা ছয় মাসের অতিরিক্ত সময়ের চাকুরীর জন্য তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা একই মালিকের যে কোন প্রতিষ্ঠানে অনধিক ০৮ বৎসরের চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৩০ দিনের মজুরী অথবা ৮ বৎসরের অধিককাল চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৪৫ দিনের মজুরী যাহা উক্ত শ্রমিককে তাহার চাকুরীর অবসানে প্রদেয়, ইহা এই আইনের অধীনে শ্রমিকের বিভিন্ন ভাবে চাকুরীর অবসানজনিত কারনে মালিক কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরন বা নোটিশের পরিবর্তে প্রদেয় মজুরী বা ভাতার অতিরিক্ত হইবে) যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে প্রদান করবেন।

মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরণ

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, সংশেধিত আইন-২০১৩ এর ধারা-১৯ অনুযায়ী যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীন অবিছিন্নভাবে অন্ততঃ ০২(দুই) বৎসরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন, তাহা হইলে মালিক মৃত শ্রমিকের কোন মনোনিত ব্যক্তি বা মনোনিত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ০৬ (ছয়) মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ (ত্রিশ) দিনের এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় অথবা কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারনে পরবর্তীতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৪৫(পয়তাল্লিশ) দিনের মজুরী প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহন করিলে যে অবসর জনিত সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হইবে।

বরখাস্ত বা ছাটই ব্যতীত অন্যভাবে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান

সজ্ঞা ঃ যখন কোন শ্রমিককে ছাটাই, বরখাস্ত, অপসারন ইত্যাদি অপরাধ ছাড়া চাকুরী সমাপ্তি ঘটানো হয় তখন তাকে অব্যাহতি বা টার্মিনেশন বলা হয়।

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা-২৬ অনুযায়ী মালিক যথাক্রমে ঃ ১২০ দিনের নোটিশ প্রদান বা নোটিশ এর পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরী প্রদান করিয়া, বিনা নোটিশে কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারেন।

সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে, ত্রিশ (৩০) দিনের মজুরী, অথবা গ্রাচুইটি (অথার্ৎ কোন শ্র্রমিকের প্রতি পূর্ণ বৎসর চাকুরী অথবা ছয় মাসের অতিরিক্ত সময়ের চাকুরীর জন্য তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা একই মালিকের যে কোন প্রতিষ্ঠানে অনধিক ০৮ বৎসরের চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৩০ দিনের মজুরী অথবা ৮ বৎসরের অধিককাল চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৪৫ দিনের মজুরী যাহা উক্ত শ্রমিককে তাহার চাকুরীর অবসানে প্রদেয়, ইহা এই আইনের অধীনে শ্রমিকের বিভিন্ন ভাবে চাকুরীর অবসানজনিত কারনে মালিক কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরন বা নোটিশের পরিবর্তে প্রদেয় মজুরী বা ভাতার অতিরিক্ত হইবে) যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে. প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।

অর্জিত ছুটির হিসাব

সজ্ঞা ঃ এক বৎসর অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করার পর একজন শ্রমিক/কর্মচারী যে ছুটি পায় তাকে অর্জিত ছুটি বলে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা-১১৭ অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে এক বৎসর চাকুরী পূর্ন করিয়াছে এমন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে পরবর্তী বারো মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বারো মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ নিম্ন বর্ণিত হারে গননার ভিত্তিতে মজুরীসহ বাৎসরিক ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে, যথাঃ-

(ক) একজন শ্রমিক/কর্মচারী তাহার চাকুরীর বয়স অবিচ্ছিন্নভাবে এক বৎসর পূর্ন করিলে, উক্ত এক বৎসরের মধ্যে প্রতি আঠার (১৮) দিন কাজের জন্য এক (১) দিন ছুটি পাওয়ার অধিকারী হবেন।

অর্থাৎ ঃ মোট কর্মদিবস  ১৮ = যত দিন হয় (অর্জিত ছুটি)।

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা-১১৯ অনুযায়ী ছুটি অথবা বন্ধের সময়ের মজুরী হিসাব ও প্রদান ঃ

কোন শ্রমিক/কর্মচারী ছুটির অব্যবহিত পূর্ববর্তী মাসে যে দিন গুলিতে কাজ করিয়াছেন সেই দিন গুলির জন্য প্রদত্ত, অধিকাল ভাতা ও বোনাস ব্যতিত, তাহার পূর্ন সময়ের মজুরী এবং মআর্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরী , যদি থাকে, এর দৈনিক গড়ের সমান ।

অর্থাৎ ঃ শেষ মাসে প্রদত্ব মোট মজুরী  শেষ মাসে যতদিন কাজ করেছেন = এক দিনের টাকার হিসাব (পরিমাণ)।

অতএব, অর্জিত ছুটির টাকার হিসাব= (এক দিনের টাকার পরিমাণ  যত দিন অর্জিত ছুটি বের হয়েছে) টাকা।

শ্রমিক কর্তৃক ইস্তফা বা চাকুরীর অবসান সংক্রান্ত বিধি-বিধান বা নীতিমালা  গুলো কি কি?

শ্রমিক কর্তৃক ইস্তফা বা চাকুরীর অবসান সংক্রান্ত বিধি-বিধান বা নীতিমালা গুলো কি কি?

শ্রমিক কর্তৃক ইস্তফা/চাকুরীর অবসান নীতিমালা শ্রমিক কর্তৃক ইস্তফা/চাকুরীর অবসান নীতিমালা
অক্টোবর ১১, ২০০৬ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৬ সালের আইন এর ধারা-২৭ (০১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন স্থায়ী শ্রমিক  চাইলে, ষাট (৬০) দিনের লিখিত নেটিশ প্রদানের মাধ্যমে তার চাকুরীর অবসান করতে পারেন।
করণীয় ঃ ইস্তফা বা  জবংরমহ প্রদানকারী সম্পর্কে মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগ কে নিম্নোক্ত কার্যসমূহ নিশ্চিত করতে হবে ঃ
১. ইস্তফা বা জবংরমহ প্রদানকারী কে চুরান্ত হিসাবের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই নিরাপত্তা জনিত সকল উপকরণ যেমনঃ- আই. ডি. কার্ড, প্রোক্সিমিটি কার্ড, চাবী, ডকুমেন্টস, স্টেশনারীজ ও দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি জবঃৎরবাব বা ফেরত নিতে হবে।
২. ইস্তফা বা জবংরমহ প্রদানকারীর অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার থেকে তার সকল ডাটা ডি-এ্যাকটিভেট করা এবং প্রতিদিন সকালে  এর  মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তি উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া।
৩. ইস্তফা বা জবংরমহ প্রদানকারী বিকল্প কোন উপায়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করার সময় উক্ত ব্যক্তির পাঞ্চ করলে তৎক্ষনাত লাল বাতি জ্বলে উঠা ও ইনট্র্যুশন এলার্ম বেজে উঠার ব্যবস্থা করা।
৪. ইস্তফা বা জবংরমহ প্রদানকারীর  অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য/বন্ধ করার জন্য উক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের নামের তালিকা নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
অননুমোদিত অনুপস্থিত নীতিমালা
অক্টোবর ১১, ২০০৬ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৬ সালের আইন এর ধারা-২৪ এর ৪(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন শ্রমিক কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে দশ (১০) দিনের বেশী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাকে অসদাচরণের আওতাভুক্ত বলা হয়।
সর্তকীকরণ ঃ অসদাচরণের আওতাভুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগ কে নিম্নোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবেঃ
১. অনুপস্থিত ব্যক্তিদের নামের তালিকা করা।
২. কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত ফরমে স্থায়ী ঠিকানায় রেজিষ্ট্রী টিঠি প্রদান করা।
৩. অনুপস্থিত ব্যক্তির অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার থেকে তার সকল ডাটা ডি-এ্যাকটিভেট করা এবং প্রতিদিন সকালে এর  মাধ্যমে বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তি উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া।
৪. অনুপস্থিত ব্যক্তি বিকল্প কোন উপায়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করার সময় বহিস্কৃত ব্যক্তি বা অবাঞ্চিত কোন ব্যক্তি পাঞ্চ করলে তৎক্ষনাত লাল বাতি জ্বলে উঠা ও ইনট্র্যুশন এলার্ম বেজে উঠার ব্যবস্থা করা।
৫. অনুপস্থিত ব্যক্তির  অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য/বন্ধ করার জন্য তার ছবিসহ সকল তথ্য নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যাতে সহজেই ঐ লোকটিকে চেনা যায়।   অবহিত করণ  : ১. মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগের প্রতিনিধি অবশ্যই  ঝবপঁৎরঃু ্ ওঞ বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিকে উক্ত বহিষ্কার বা টার্মিনেট, ইস্তফা বা  জবংরমহ প্রদানকারী ও  অনুপস্থিত ব্যক্তিদের নামের লিখিত তালিকা সরবরাহ করতে হবে।  ২. মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগে অবশ্যই  সংশ্লিষ্ট বহিষ্কার বা টার্মিনেট, ইস্তফা বা  জবংরমহ প্রদানকারী ও  অনুপস্থিত ব্যক্তিদের সকল রের্কড যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

মালিক কর্তৃক বহিষ্কার বা চাকুরীর অবসান নীতিমালা কি ?

মালিক কর্তৃক বহিষ্কার বা চাকুরীর অবসান নীতিমালা কি ?

মালিক কর্তৃক বহিষ্কার/চাকুরীর অবসান নীতিমালা

প্রতিষ্ঠানের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে বিভিন্ন যুক্তিসংগত (কারখানার গুরুত্ব পূর্ণ সম্পদ ও ণথি নষ্ট করণ, কারখানা আইন-শৃঙ্খলা অবমাননা, প্রচলিত আইন পরিপন্থি কার্যক্রম- দাঙ্গা, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রদ্রোহী বা অসামাজিক মূলক আচরণ, চুরি ইত্যাদি) কারণে অক্টোবর ১১, ২০০৬ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৬ সালের আইন এর ধারা-২৬ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ একজন শ্রমিককে বহিষ্কার/চাকুরীর অবসান করতে পারেন।

নীতিমালা

যদি কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা ক্লেইম আসে তাহলে প্রশাসন বিভাগ তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত অভিযোগের সমাধানের দায়িত্বে নিয়োজিত। যদি তদন্তে উক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমানিত হয় তাহলে প্রশাসন বিভাগ অপরাধের ধরণ অনুসারে- মৌখিক/ লিখিত সতর্কীকরণ, অথবা বহিষ্কার বা টার্মিনেট, বহিষ্কার বা টার্মিনেট সহ স্থানীয় প্রশাসন এর নিকট হস্তান্তর করতে পারেন। প্রত্যেক অপরাধী তার আত্মপক্ষ রক্ষার্থে সুনানীর সুযোগ পাওয়ার অধিকারী হবেন।

সর্তকীকরণ ঃ

বহিষ্কার বা টার্মিনেট কৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগ কে নিম্নোক্ত বিষয়ে অবশ্যই সর্তক থাকতে হবে ঃ
১. বহিষ্কার বা টার্মিনেট কৃত ব্যক্তি কে চুরান্ত হিসাবের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই নিরাপত্তা জনিত সকল উপকরণ যেমনঃ- আই. ডি. কার্ড, প্রোক্সিমিটি কার্ড, চাবী, ডকুমেন্টস, স্টেশনারীজ ও দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি জবঃৎরবাব বা ফেরত নিতে হবে।
২. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তির অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার থেকে তার সকল ডাটা ডি-এ্যাকটিভেট করা এবং প্রতিদিন সকালে  এর  মাধ্যমে বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তি উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া।
৩. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তি বিকল্প কোন উপায়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করার সময় বহিস্কৃত ব্যক্তি বা অবাঞ্চিত কোন ব্যক্তি পাঞ্চ করলে তৎক্ষনাত লাল বাতি জ্বলে উঠা ও ইনট্র্যুশন এলার্ম বেজে উঠার ব্যবস্থা করা।
৪. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তির  অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য/বন্ধ করার জন্য তার ছবিসহ সকল তথ্য নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যাতে সহজেই ঐ লোকটিকে চেনা যায়।
৫. গুরুত্বর অপরাধে যাদেরকে বহিষ্কার বা টার্মিনেট করা হয় তাদের সকল তথ্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয় প্রয়োজনে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

প্রদেয় পাওনা এবং সুযোগ-সুবিধা রেফারেন্স র‌্যাপ নীতিমালা ও বিভিন্ন ছুটি সমুহের তালিকা

প্রদেয় পাওনা এবং সুযোগ-সুবিধা রেফারেন্স র‌্যাপ নীতিমালা ও বিভিন্ন ছুটি সমুহের তালিকা

প্রদেয় পাওনা এবং সুযোগ-সুবিধা

কম্পোজিট লিমিটেড এর কর্তৃপক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রচলিত আইন সমূহ এবং নীতিমালা  কার্যকর করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ দূঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আইনানুযায়ী অত্র কারখানা পরিচালিত এবং সকলের জন্য প্রযোজ্য। সকল অত্যাবশ্যক বেতনাদি, ছুটি সুযোগ-সুবিধাদি এবং অতিরিক্ত পাওনাদিসহ অন্ততপক্ষে স্থানীয় আইন কর্তৃক অত্যাবশ্যকীয় নুন্যতম সর্বমোট পাওনাদি প্রদান করবেন।

কোম্পানীর নীতিসমূহ

মুজুরী ও বেতন

  • সকল অত্যাবশ্যকীয় মজুরী, সুযোগ-সুবিধাদি এবং অতিরিক্ত পাওনাদিসহ অন্ততপক্ষে স্থানীয় আইন কর্তৃক আবশ্যকীয় নুন্যতম প্রদেয় পাওনা প্রদান করবে।
  • তাদের চাকুরীর শর্তানুযায়ী মাসিক ভিওিতে মজুরী প্রদান করবে এবং মজুরী প্রদানের সময় কর্মীদের মজুরী রশিদ দিবেন,যা মজুরীর প্রত্যেকটি উপাদানকে অন্তর্ভূক্ত করবে।
  • অতিরিক্ত কাজের ঘন্টার প্রদেয় পাওনা/মজুরী আইন অনুযায়ী মূল বেতনের ২০০% প্রদান করবে।
  • অতিরিক্ত কাজ সহ পাওনাদির সহায়ক হিসেবে বেতনাদি প্রাপকদের তালিকা প্রস্তুত এবং সংরক্ষণ করেন অর্থাৎ বেতনাদি প্রাপকদের তালিকা, টাইম কার্ড, উপস্থিতির বিবরণী এবং সকল নথিপত্র সমূহ সময়কাল সংরক্ষণ করবে।
  • ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদের এবং ব্যবস্থাপনার ব্যক্তিদের কথ্য ভাষায় আইনতঃ অত্যাবশ্যকীয় অতিরিক্ত কাজের পাওনার/মজুরীর হারের গণনা পদ্ধতি এবং সুযোগ – সুবিধাদির নীতিসমূহ সংক্রান্ত তথ্য লক্ষ্যনীয় স্থানে লাগাবে।

মজুরী ঃ

  • সরকারী নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক শ্রমিকের মাসিক ২০৮ ঘন্টা শ্রমকে তার মূল মজুরী হিসাবে ধরা হয়।
  • বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত সর্ব-নিু মজুরীর নিয়ম কাঠামো মেনে মজুরী প্রদান করা হয়।

মজুরীর তিনটি অংশ :-

ক) মূল মজুরী

খ) মেডিকেল ২০০ টাকা ও

গ) বাড়ি ভাড়া (মূল মজুরীর ৪০%)।

মজুরী নীতি ঃ

মজুরীঃ মজুরী দু’ভাবে প্রদান করা হয়ঃ

১। মাসিক মজুরী ভিত্তিতে ঃ

মাসিক মজুরী প্রাপ্ত শ্রমিদেরকে পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরী এবং ওভারটাইমের টাকা একসাথে প্রদান করা হয়।

২। পিস্রেট বা ফুরন ভিত্তিক মজুরী (যদি প্রয়োজন হয়)ঃ

(ক) গার্মেন্টস এর অপারেশন বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত রেটে সপ্তাহে বিল পরিশোধ করা হয়

(খ) যদি কোন পিস্রেট শ্রমিক কোন মাসে তার নির্ধারিত গ্রেডের চাইতে কম টাকা আয় করেন তবে কোম্পানী তাকে যত টাকা কম আয় হয় তা ভর্তুকি হিসাবে প্রদান করবেন।

মজুরী বৃদ্ধি  ঃ

এক বছর চাকরী পূর্ণ হলে পরবর্তী বছর প্রত্যেক শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা আছে যা তাদের জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে করা হয়।

কার্যঘন্টা ঃ

সাধারন কার্যকালীন সময় দৈনিক সকাল ৮.০০ টা হতে ৫.০০ টা পর্যন্ত।

সাপ্তাহিক কাজের সময় :

দৈনিক ৮ ঘন্টা +ওভারটাইম ২ ঘন্টা। সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা + ওভারটাইম ১২ ঘন্টা সপ্তাহে ওভার টাইমসহ সর্বোচ্চ মোট ৬০ ঘন্টা এবং বৎসরে গড়ে ৫৬ ঘন্টা।

বিশ্রাম ঃ

প্রতি কর্মদিবসে মধ্যাহ্ন ভোজ ও বিশ্রামের জন্য বিরতি দেয়া হয়।

ওভারটাইম

কোন শ্রমিক দৈনিক নির্ধারিত ৮ ঘন্টার পর অতিরিক্ত কাজ করলে তা ওভারটাইম হিসেবে গণ্য করা হয়। সর্বমোট কার্যকাল ওভারটাইমসহ দৈনিক ১০ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৬০ ঘন্টা এবং তা বৎসরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫৬ ঘন্টা।

ওভারটাইম হার ঃ

অতিরিক্ত কাজের জন্য একজন শ্রমিকের প্রাপ্য মূল মজুরীর দ্বিগুণ হারে ওভারটাইম হিসাব করা হয়।

মাসিক মূল মজুরী

ওভারটাইম =                                  ী ২ ী  অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা

২০৮

ওভার টাইম পলিসিঃ

ওভারটাইম সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। যেদিন ওভারটাইম হবে সেদিন দিনের শুরুতে অথবা লাঞ্চ বিরতির পর শ্রমিকের সাথে পারস্পারিক আলোচনা সাপেক্ষে ওভার টাইম কার্যঘন্টা নির্ধারন করা হয়। উল্লেখ্য যে, এ বিষয়টি শ্রমিক-মালিক কল্যাণ কমিটির (ডচঈ) সাথেও আলোচনা করা হয়। নির্ধারিত কাজের সময়ের পরে ওভারটাইম কাজের ক্ষেত্রে কেউ কাজ করতে না চাইলে তাকে ছুটি প্রদান করা হয়।

সার্ভিস বেনিফিট ঃ  সার্ভিস বেনিফিট বলতে বুুঝায় একজন শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তা তার চাকুরীর অবসানের পরবর্তি যে সকল আর্থিক সুবিধাদী কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ব হয়।

চাকুরীর অবসান নীতিমালায় (ধারা-২৬ও২৭, ২০০৬) আওতায় একজন শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করুক বা মালিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান হউক,  উভয় ক্ষেত্রেই নিম্ন বর্ণিত হারে সার্ভিস বেনিফিট প্রদত্ব হইবে। যথাঃ

১.     যদি কোন স্থায়ী শ্রমিক চাকুরী হইতে ইস্তফা দেন সে ক্ষেত্রে মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য –

ক) যদি চাকুরীর মেয়াদ পাচঁ (০৫) বৎসর বা তার অধিক কিন্তু দশ (১০) বৎসের কম মেয়াদে অবিছিন্ন ভাবে মালিকের অধিনে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে চৌদ্দ (১৪) দিনের মজুরী ;

২.     উল্লেখ্য, মালিক কর্তৃক কোন শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তার চাকুরীর অবসান ঘটিলে প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ত্রিশ (৩০) দিনের মজুরী প্রদেয় হবে।

ছুটি সমূহ ঃ

শ্রম আইন অনুসারে সকল প্রকার ছুটির সুবিধা প্রদান করা হয়।

সাপ্তাহিক ছুটি ঃ

প্রত্যেক শ্রমিককে সপ্তাহে ১ (এক) দিন (প্রতি শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা হয়।

মজুরীসহ বার্ষিক বা অর্জিত ছুটি ঃ

কারখানায় কোন শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে চাকুরীর মেয়াদ এক বছর পূর্ণ করলে তিনি পরবর্তী বার মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বার মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ প্রতি ১৮ (আঠার) দিনে একদিন ছুটি অর্জন করবেন। যদি বার মাসের মধ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণ ছুটি ভোগ না করে থাকেন, তবে পরবর্তী বার মাসের পাওনা ছুটির সঙ্গে তা যোগ হয়। এই অর্জিত ছুটির পরিমাণ ৪০ (চল্লিশ) দিন পর্যন্ত জমা হয়।

পর্ব / উৎসব ছুটি  : ১১দিন

  • ঈদ-উল- ফিতর ০৩ দিন।
  • ঈদ-উল- আযহা ০৩ দিন।
  • ২১ শে ফেব্রুয়ারী ০১ দিন।
  • ২৬ শে মার্চ ০১ দিন।
  • ১লা মে ০১ দিন।
  • ১৬ ডিসেম্বর ০১ দিন।
  • পহেলা বৈশাখ ০১ দিন।

প্রত্যেক শ্রমিককে বছরে অন্ততঃ ১১ (এগার) দিন পর্ব উপলক্ষ্যে মজুরীসহ ছুটি মঞ্জুর করা হয়। অনুরূপ পর্বের দিন ও তারিখ কারখানার কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেন এবং তা নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

নৈমিত্তিক ছুটি ঃ

প্রত্যেক শ্রমিক বছরে পূর্ণ মজুরীসহ ১০ (দশ) দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন।

অসুস্থতার ছুটি  ঃ

প্রত্যেক শ্রমিক বছরে পূর্ণ মজুরীসহ ১৪ দিন অসুস্থতার ছুটি ভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য  যে, প্রাপ্য নৈমিত্তিক ও অসুস্থতার ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বছরে ভোগ করা যায় না।

মাতৃত্বকালীন ছুটি ঃ

কোন মহিলা শ্রমিক যিনি ছয় (৬) মাস কাজ করবেন তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন। মাতৃত্বকালীন ছুটির মোট সময় ১৬ সপ্তাহ (১১২ দিন), যা দুই ভাগে ভোগ করা হয়। সন্তান প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহ ও সন্তান প্রসবের পরে ৮ সপ্তাহ এই মোট ১৬ সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে ছুটি ভোগ করতে পারবেন। সন্তান প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহের টাকা এবং সন্তান প্রসবের পরে অবশিষ্ট ৮ সপ্তাহের টাকা প্রদান করা হয়।

ছুটি কাটানোর  পদ্ধতি / নীতি :

  • ছুটি পাবার ক্ষেত্রে যে কোন শ্রমিককে নিন্মলিখিত আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই সম্পন্ন করতে হয়। অন্যথায় ঐ ছুটি সাধারণতঃ গ্রহণযোগ্য হয় না। তবে অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অতীব জরুরী প্রয়োজনে ছুটির অব্যবহিত পরেও অনুমোদন নেয়া যেতে পারে।
  • কোন শ্রমিক ছুটি নিতে আগ্রহী হলে তাকে অবশ্যই কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়।
  • ছুটির আবেদন পত্র সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার/ইনচার্জ/কর্মকর্তা অনুমোদন দিলেই কেবলমাত্র কোন শ্রমিক ছুটি ভোগ করতে পারেন।
  • ছুটিতে যাবার পূর্বে অবশ্যই কার্য-দায়িত্ব যথাযোগ্য ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দিতে হয় যেন কাজে কোন ব্যাঘাত না ঘটে।
  • যে কোন অনুমোদিত ছুটি কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

নিয়োগ কার্যকরী কাল ঃ

চাকরীতে যোগদানের তারিখ থেকে প্রত্যেক শ্রমিকেরই ৩ (তিন) মাস অবেক্ষকাল হিসেবে গণ্য হবে। অবেক্ষকাল চলাকালে কর্তৃপক্ষ বিনা কারণে ও কোন রকম নোটিশ ছাড়া যে কোন শ্রমিককে চাকরী হতে অব্যাহতি দিতে পারবেন। অবেক্ষকাল এবং শিক্ষনবীসকাল শেষ হওয়ার পর একজন শ্রমিক স্বাভাবিকভাবে স্থায়ী শ্রমিকে পরিনত হবেন, যদি কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে তার অবেক্ষকালের সময় বৃদ্ধি না করেন।

মেডিকেয়ার সেন্টার ঃ

শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সেবা ও কর্মকালীন র্দূঘটনার তাৎক্ষনিক সেবা প্রদান করার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে নিজস্ব স্বাস্থসেবা কেন্দ্র বা হেল্থকেয়ার (মেডিকেল) সেন্টার। হেল্থকেয়ার সেন্টারের দায়িত্বে আছেন একজন অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার। হেল্থকেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা-সুবিধা (ঔষধসহ) প্রদান করা হয় সারা বছর। এছাড়াও কার্যকালীন অবস্থায় আহতদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যয়ভার কোম্পানী বহন করে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েই সমান অধিকার প্রাপ্য।

শিশু পালন কেন্দ্র ঃ

কর্মজীবি মায়েদের জন্য তাদের ছয় বছরের কম বয়সী সন্তানদের লালন-পালনের জন্য রয়েছে ডে-কেয়ার সেন্টারের সুবিধা। এই সেন্টারে বাচ্চাদের বিভিন্ন রকমের  খেলনা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা হয়। শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে কোম্পানীর ডাক্তার সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

উৎসব বোনাস :

দুই ঈদে দুটি উৎসব বোনাস প্রদান করা হয়। শ্রমিক/কর্মচারী যাদের চাকুরী ন্যুনতম ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে, কেবল তারাই এ বোনাস পেয়ে থাকেন।

ট্রেনিং পলিসি ঃ

ফ্যাক্টরীর প্রত্যেক শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দক্ষ মানব সম্পদে পরিনত করতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য এখানে শুরু করা হয়েছে সারা বছর ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী। সকলকে সচেতন, মানসিক উন্নয়ণ, কাজে অধিতর দক্ষ ও গতিশীল, কোম্পানীর প্রতি একাত্মবোধ সৃষ্টি করাই ট্রেনিং এর মূল উদ্দেশ্য। ট্রেনিং কর্মসূচীতে প্রথমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় সকল সুপারভাইজার, ইনচার্জ ও ম্যানেজারদের। যারা পরবর্তীতে প্রশিক্ষিত করেন তাদের তদারকিতে থাকা শ্রমিকগণকে এবং পরবর্তীতে উক্ত শ্রমিকগণকে আবার মূল প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়ে থাকে।

প্রশিক্ষণ / ট্রেনিং বিষয়বস্তু ঃ

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো  সম্বন্ধে অবগত করা হয়।

  • দেশীয় আইন ও কর্মস্থল সংক্রান্ত বিধি নিষেধ।
  • শিশু শ্রম।
  • কার্যঘন্টা।
  • জোরপূর্বক শ্রম বা কাজ।
  • ষম্য।
  • হয়রানী ও নির্যাতন।
  • পেশাগত দায়িত্ববোধ।
  • পেশাগত স্বাস্থ্য ও অগ্নি নিরাপত্তা।
  • হাউস কিপিং।
  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গুরুত্ব।
  • মজুরী ও ওভারটাইম।
  • চাকুরী হতে অব্যাহতি ও বরখাস্ত।
  • অভিযোগ পদ্ধতি ও পরামর্শ।
  • শ্রমিক অংশগ্রহন কমিটি ।
  • সকল প্রকার ছুটি।

খাবার রুম বা লাঞ্চ রুম ঃ

শ্রমিকদের খাবারের জন্য রয়েছে  লাঞ্চ রুমের ব্যবস্থা।

নামাজের রুম ঃ

ধর্মপ্রান মুসলমান শ্রমিক কর্মচারীদের রয়েছে নামাজের রুমের ব্যবস্থা।

প্রাথমিক চিকিৎসা দানকারী ঃ

কারখানার প্রতিটি বিভাগে আছে প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স এবং বাক্সগুলোর দায়িত্বে আছেন দুইজন প্রশিক্ষিত প্রাথমিক চিকিৎসা দানকারী।

খাবার পানি ঃ

শ্রমিকদের পান করার জন্য রয়েছে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।

টয়লেট ঃ

কারখানার পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকদের জন্য রয়েছে পৃথক পৃথক পর্যাপ্ত পরিমান টয়লেটের ব্যবস্থা।

প্রযোজ্য আইন এবং নীতি সমূহ

আইনসমূহ এবং নীতিসমূহের উৎসঃ

  • নুন্যতম মজুরী বিধিমালা ১৯৬১
  • শ্রমিক নিয়োগ(স্থায়ী আদেশ) বিধিমালা ১৯৬৮
  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০১০
  • বাংলাদেশ সরকার গেজেট

কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ

১.     আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রদেয় পাওনা/মজুরী এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি প্রদানের চর্চাসমূহ যোগাযোগ, বিস্তার এবং দেখাশোনা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহের বাস্তবায়ন করা।

২.     প্রদেয় পাওনা/মজুরী এবং সুযোগ-সুবিধাদি হিসাবের জন্য নিয়োজিত সকল ব্যক্তি সহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে নুন্যতম মজুরি, অতিরিক্ত কাজের পাওনা, মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা, ছুটি এবং অতিরিক্ত প্রদেয় সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ এবং পদ্ধতিসমূহের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান এবং চাকুরী হতে ডিসচার্জ পদ্ধতি

শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান এবং চাকুরী হতে ডিসচার্জ পদ্ধতি

শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান

১। শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান ঃ স্থায়ী শ্রমিক ষাট দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করে চাকুরী হতে ইস্তফা দিতে পারবেন এবং কোন মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত অস্থায়ী শ্রমিক ত্রিশ দিনের ও অন্য শ্রমিকগণ চৌদ্দ দিনের নোটিশ প্রদান করে চাকুরী হতে ইস্তফা দিতে পারবেন। বিনা নোটিশে চাকুরী হতে ইস্তফা দিতে চাইলে প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরীর সমপরিমান অর্থ কর্তৃপক্ষকে প্রদান করে তা করতে পারবেন।

২। শ্রমিক কর্তৃক অবসর গ্রহণ ঃ কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকের বয়স ৬০ (ষাট) বৎসর পূর্ণ হলে স্বাভাবিকভাবে অবসর গ্রহণ করবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের সার্ভিস বইয়ে লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখ উপযুক্ত প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে এবং আইনানুযায়ী সকল পাওনাদি পরিশোধ করা হবে।

৩। চাকুরী হতে ডিসচার্জ ঃ কারখানার রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়িত, শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স¦াস্থ্যের কারনে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান হবে। এ ক্ষেত্রে ডিসচার্জকৃত শ্রমিককে আইনানুযায়ী সকল পাওনাদি পরিশোধ করা হবে।

৪। ছাঁটাই ঃ কোন প্রতিষ্ঠানে সার্বিক অথবা বিশেষ শ্রেণীতে প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে শ্রমিক বেশী হয়ে গেলে (কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে না হয়ে তথা অপ্রয়োজনীয়তার কারনে) মালিক তার প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক কাজে রেখে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করতে পারবেন। ছাঁটাই-এর ক্ষেত্রে মালিক আইনানুযায়ী সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

৫। চাকুরী হতে বরখাস্ত ঃ অসদাচরনের কারনে মালিক কর্তৃক কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান হবে। কোন শ্রমিককে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বিনা মজুরীতে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা যাবে, যদি তিনি-
ক) কোন ফৌজদারী অপরাধের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হন; অথবা
খ) অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।
নি¤œলিখিত কাজগুলো অসদাচরণ বলে গণ্য হবে ঃ-
ক) উপরস্থের কোন আইনসংগত বা যুক্তিসঙ্গত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা;
খ) মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, আত্মসাৎ, প্রতারণা বা অসাধুতা;
গ) মালিকের অধীনে তার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহন বা প্রদান;
ঘ) বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়ে এক সঙ্গে দশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি;
ঙ) অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি;
চ) প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন;
ছ) প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃংখলতা, দাংগা-হাংগামা, অগ্নিসংযোগ, বা ভাংচুর
জ) কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;
ঝ) প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃঙ্খলা বা অসদাচরণসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন।
ঞ) মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা উহা হারিয়ে ফেলা।

৬। বরখাস্ত, ইত্যাদি ব্যাতীত অন্যভাবে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান ঃ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত স্থায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রে ১২০ (একশত বিশ) দিনের এবং অস্থায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৩০ (ত্রিশ) দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করে চাকুরীর অবসান করতে পারবেন। আইনানুযায়ী সকল পাওনাদি পরিশোধ করা হবে।