Select Page
মাতৃত্বকালীন সুবিধা সংক্রান্ত নীতিমালা গুলোর বর্ণনা কি কি?

মাতৃত্বকালীন সুবিধা সংক্রান্ত নীতিমালা গুলোর বর্ণনা কি কি?

মাতৃত্বকালীন সুবিধা সংক্রান্ত নীতিমালা

১। একজন মহিলা শ্রমিক অন্তঃস্বত্তা হলে প্রসবের দিনের অব্যবহিত আগে অন্ততঃ ৬ (ছয়) মাস পূর্বে কারখানায় নিযুক্ত হয়ে থাকলে নিু বর্ণিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবে ঃ

ক) মাতৃত্বকালীন ছুটি ও
খ) মাতৃকল্যাণ আর্থিক সুবিধা।

২। একজন মহিলা শ্রমিক কিভাবে ছুটি এবং আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবে তা নিুে প্রদ্ত্ত হলো ঃ

ক) মাতৃত্বকালীন ছুটি ঃ প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্বে ৮ (আট) সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের দিনসহ পরে ৮ (আট) সপ্তাহ মোট ১৬ (ষোল) সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে মাতৃত্বকালীন বা প্রসূতীকালীন ছুটি ভোগ করতে পারবে।

খ) মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধের পদ্ধতি ঃ মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিণী মহিলা শ্রমিককে নিুোক্ত ৩ টি পন্থার মধ্যে যে ভাবে তিনি চান সে ভাবে তার প্রাপ্য সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

১) আট সপ্তাহের মধ্যে মহিলার সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে এই মর্মে কারখানার চিকিৎসক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে অথবা

২) প্রসবের দিনসহ প্রসবের দিন পর্যন্ত উক্ত মেয়াদের জন্য সন্তান প্রসবের প্রত্যায়ন পত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে অবশিষ্ট দিনসমূহের জন্য তিনি যে সন্তান প্রসব করেছেন অনুরূপ প্রমাণ পত্র পেশ করার ৮ সপ্তাহের মধ্যে অথবা

৩) উপরোক্ত সম্পূর্ণ মেয়াদের জন্য তিনি যে সন্তান প্রসব করেছেন এ মর্মে প্রমাণ পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে।

৩। এছাড়া মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিনী কোন মহিলা শ্রমিক যদি প্রসবের দিন বা মাতৃকল্যান সুবিধা পাওয়ার মেয়াদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে এবং নবজাতাক জীবিত থাকে তবে তার মনোনীত ব্যক্তি বা আইনগত প্রতিনিধি অথবা নবজাতকের প্রতিপালনের দায়িত্ব বহনকারী সংশি¬ষ্ট মহিলা শ্রমিককে মাতৃকল্যাণ সুবিধা প্রাপ্য হবে।

৪। আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য করণীয় ঃ মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার জন্য সংশি¬ষ্ট মহিলা শ্রমিককে চিকিৎসকের প্রত্যায়ন পত্রসহ সরকার নির্ধারিত নিধিষ্ট ফরমে প্রথম ৮ (আট) সপ্তাহের ছুটি শুরুর কমপক্ষে ৪৮ (আটচল্লি¬শ) ঘন্টা পূর্বে কর্তৃপক্ষের নিকট নোটিশ প্রদান করতে হবে ও ছুটির জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের আর্থিক সুবিধার জন্য সন্তান প্রসবের প্রমাণ পত্রসহ নোটিশ প্রদান করতে হবে। নোটিশ এবং ছুটির নির্ধারিত ফরম ইউনিট এক্সিকিউটিভ এর নিকট পাওয়া যাবে। মাতৃকল্যাণ সুবিধা গ্রহনের জন্য সংশি¬ষ্ট মহিলা শ্রমিক নোটিশ ও ছুটির আবেদন পত্র পূরণের জন্য ইউনিট এক্সিকিউটিভ এর সহযোগিতা গ্রহন করবে। এক্সিকিউটিভ মহিলা শ্রমিকের স্বাক্ষরিত নোটিশ এবং ছুটির আবেদন পত্র গ্রহনের পর পরীক্ষার জন্য রেকর্ড কিপারের কাছে প্রেরণ করবেন। রেকর্ড কিপার শ্রমিকের পার্সোনাল ফাইল দেখে সকল তথ্য পূরণ করে উক্ত ছুটির আবেদন পত্র ও নোটিশ ইউনিট একাউন্টেন্ট এর নিকট হস্তান্তর করবেন। একাউন্টেন্ট মহিলার পাওনা প্রথম কিস্তির ৮ (আট) সপ্তাহের বিল তৈরী করে ছুটি ও বিল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন করানোর পর দিবেন। মহিলা শ্রমিক তখন ইউনিট একাউন্টেন্ট এর নিকট থেকে মজুরী সীট স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহন করবে। উপরোক্ত সকল কাজ সম্পন্ন করে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মহিলা শ্রমিককে তার প্রাপ্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। অনুরূপ ভাবে মহিলা শ্রমিক এক্সিকিউটিভ এর কাছ থেকে সন্তান প্রসবের প্রমাণপত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে পরবর্তী কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে।

৫। আর্থিক সুবিধা প্রদান পদ্ধতি ঃ মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৩ (তিন) মাসে তারপ্রাপ্য মোট মজুরী এবং সঠিক উপস্থিতির ভিত্তিতে মাতৃকালীণ আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাপ্য মোট মজুরীকে সঠিক উপস্থিতির দিন দ্বারা ভাগ করে গড়ে প্রতিদিন যে মজুরী প্রাপ্য হয়, তা প্রসূতীকালীণ ছুটির দিনগুলির সাথে গুণ করে যে পরিমাণ অর্থ হয় তা মহিলা শ্রমিকের প্রাপ্য হবে।

৬। মাতৃকালীণ অবস্থায় যে সময়ে মহিলা শ্রমিককে কাজ করানো যাবে না বা উক্ত মহিলা কাজ করতে পারবে না তা নিুরূপ ঃ
ক) সন্তান প্রসবের দিন থেকে পূর্ববর্তী ৮ (আট) সপ্তাহ সন্তান প্রসবকারিনী কোন মহিলা শ্রমিককে দিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজ করাতে পারবে না।

খ) সন্তান প্রসবকারিনী কোন মহিলা শ্রমিক সন্তান প্রসবের দিন থেকে পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহ শিল্প কারখানায় কাজ করতে পারবে না।

গ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মাতৃকল্যাণ সুবিধা সংক্রান্ত আইনের কোন বিধান কারখানা কর্তৃপক্ষ (মালিক) লংঘন করলে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা পর্যন্ত এবং সংশি¬ষ্ট মহিলা শ্রমিক কর্তৃক আইন ভঙ্গ হলে ও দোষী সাব্যস্ত হলে অনধিক ১০ (দশ) টাকা পর্যন্ত জরিমানায় দন্ডিত হবে।

৭। যে কারণে মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়া যাবে না ঃ সন্তান প্রসবের তিন মাসের মধ্যে এতদবিষযক প্রমাণ পত্র পেশ না করলে সংশি¬ষ্ট মহিলা শ্রমিক মাতৃকল্যাণ ছুটি ও আর্থিক সুবিধা পাবে না। মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাবার ক্ষেত্রে উল্লেখিতঁ বিষয় সমূহ অবশ্যি মেনে চলতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা এর প্রাথমিক ধারণা ও পদ্ধতি গুলো কি কি?

প্রাথমিক চিকিৎসার

প্রাথমিক চিকিৎসকগণ মূলত কোন অনুমোদিত চিকিৎসক নন। তাই আইনগত ভাবে তারা কোন রোগীকে কোন প্রকার ওষুধ (খাবার/ইনজেকশন্) দিতে পারেন না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসকগণ শুধুমাত্র ডাক্তার আসার পূর্ব পর্যন্ত  আহত ব্যাক্তির সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এই নীতিমালা অনুযায়ী,  প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে নিুোক্ত ওষুধ ছাড়া কোন প্রকার ওষুধ রাখার ব্যবস্থা করেনা। Read English Version

১. খাবার স্যালাইন

২. এন্টাসিড

অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবার ওষুধ আমাদের চিকিৎসা/এ্যাম্বুলেন্স রুমে পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে যা শুধুমাত্র ফ্যাক্টরী ডাক্তার দ্বারা অনুমোদিত হলে প্রয়োগ করা হয়। অটো কম্পোজিট লিমিটেড  এর কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, কোম্পানীর উন্নয়ন ও উন্নত কর্মপরিবেশ রক্ষার্থে অত্র কারখানায় কর্মরত অবস্থায় যে কোন সদস্য/সদস্যার স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার আছে যা স্থানীয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। নিম্নে প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ঃ

প্রাথমিক চিকিৎসার সঙ্গা ঃ

ডাক্তার আসার পূর্বে অথবা রোগীকে ডাক্তারের কাছে স্থানানতরিত করার পূর্বে আকস্মিক অসুস্থতা বা দূর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তিকে তাৎক্ষনিক ভাবে জরুরী বিত্তিতে যে চিকিৎসা করা হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বরে।

  • প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য
  • রোগীর জীবন রক্ষা করা।
  • রোগীর অবস্থার অবনতি রোধ করা।
  • রোগীর অবস্থার উন্নতি করা।

প্রাথমিক চিকিৎসার কার্যস্তর ঃ

  • লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় ঃ প্রাথমিক চিকিৎসককে সর্ব প্রথম রোগীর বিবিন্ন লক্ষন দেখে রোগ বা দূর্ঘটনার কারণ নির্নয় করতে হবে।
  • রোগীর চিকিৎসা বা শুশ্রষা ঃ রোগীর দূর্ঘটনার কারণ বা রোগ নির্নয় করে যত দ্রুত সম্ভব তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী অসুস্থতার চিকিৎসা বা শুশ্রষা করতে হবে।

স্থানান্তর ঃ প্রাথমিক চিকিৎসার সর্বশেষ স্তর হলো পরিস্থিতি অনুযায়ী রোগীর অবস্থার উন্নতি কল্পে রোগীকে ডাক্তারের কাছে, হাসপাতালে বা তার বাড়ীতে নিরাপদে পৌছে দেওয়া।

প্রাথমিক চিকিৎসার প্রাথমিক ধারণা ও পদ্ধতি

প্রাথমিক চিকিৎসার প্রাথমিক ধারণা ও পদ্ধতি

First Aid Policy:

First aider are not  legal medical practitioner. As per law no medicine of any sort that needs to be consumed or injected cannot be prescribed by any other person then a legal medical practitioner.

First Aider is a person trained only on procedure where he uses method on injured person to stop deterioration of injury or to keep the person alive till medical help arrives.

In this context GARMENTS (PVT.) LTD as a policy does not keep any sort of consumable medicine in our First Aid Box, Only consumable items available are :

  • Oral Saline
  • Antacid Tablets

Other consumable medicines are available in our Medical /Ambulance room.

ফ্যাক্টরী পর্যায়ে করনীয় ঃ

  • ফ্যাক্টরী পর্যায়ে সুন্দর ও স্বাভাবিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে মাসে কমপক্ষে দুই বার শ্রমিকদের নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষনের আয়োজন করতে হবে।
  • প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নিদির্ষ্ট ফরমেট ব্যবহার করে এই প্রশিক্ষনের সময়সূচী নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিতে হবে।
  • ফ্যাক্টরী পর্যায়ে কমপ্লায়েন্স/ ওয়েলফেয়ার অফিসার / হেলথ এন্ড সেইফটি অফিসার এই প্রশিক্ষনের সময় সূচী প্রস্তুুত করবেন এবং প্রশিক্ষন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন।
  • প্রতিটি প্রশিক্ষনের জন্য হাজিরা রেকর্ড সংরক্ষন করবেন।
  • প্রতিটি প্রশিক্ষনের পর প্রশিক্ষন রেকর্ড তৈরি করে  তা  সংরক্ষন করতে হবে।
  • প্রতিটি ফ্লোরে কমপক্ষে একটি ফার্স্ট এইড বক্স রাখতে হবে ।
  • ফার্স্ট এইড বক্সে রক্ষিত সরঞ্জামাদীর একটি স্টার্ন্ডাড তালিকা সরঞ্জামাদীর নাম সহ এদের ব্যবহার, পরিমান, দৈনন্দিন চেক লিষ্ট ও ফার্স্ট এইডারদের ছবি ফার্স্ট এইড বক্সের সাথে লাগাতে  হবে ।
  • মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার / সহকারী প্রতি দিন ফার্স্ট এইড বক্সে রক্ষিত সরঞ্জামাদী পাশে রক্ষিত স্টার্ন্ডাড তালিকার সাথে মিলিয়ে সমন্বয় করবেন।
  • দৈনিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রাপ্তদের তালিকা মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার / সহকারীর কাছে সংরক্ষিত থাকবে।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে।
  • ফ্যাক্টরীতে একটি ঊঐঝ কমিটি থাকবে ।
  • কমিটিতে একজন সভাপতি ও সদস্যসচিব সহ সকল সদস্যদের একটি তালিকা থাকবে।
  • ঊঐঝ কমিটি মাসে অন্ততঃ একবার মিটিং করবে ও মিটিংএ আলোচ্য বিষয় রেজুলেশান আকারে  লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং মিটিং হাজিরা সংরক্ষন করতে হবে।
প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা কি? সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার কি?

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা কি? সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার কি?

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা – কোন মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে সজ্ঞানে কোন মহিলাকে তাহার সন্ত্মান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে কোন কাজ করাতে পারিবেন না৷ …

কতিপয় ক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকের কর্মে নিয়োগ নিষিদ্ধ

১. কোন মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে সজ্ঞানে কোন মহিলাকে তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে কোন কাজ করাইতে পারিবেন না ।
২. কোন মহিলা কোন প্রতিষ্ঠানে তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে কোন কাজ করিতে পারিবেন না।
৩. কোন মালিক কোন মহিলাকে এমন কোন কাজ করার জন্য নিয়োগ করিতে পারিবেন না যাহা দুষ্কর বা শ্রম-সাধ্য অথবা যাহার জন্য দীর্ঘ দাঁড়াইয়া থাকিতে হয় অথবা যাহা তাহার জন্য হানিকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যদি-
(ক) তাহার এই বিশ্বাস করার কারণ থাকে, অথবা যদি মহিলা তাহাকে অবহিত করিয়া থাকেন যে, দশ সপ্তাহের মধ্যে তাহার সন্তান প্রসব করার সম্ভাবনা আছে;
(খ) মালিকের জানামতে মহিলা পূর্ববতী দশ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসব করিয়াছেন।

ঝুকি প্রতিরোধে করনীয় ব্যবস্থা

  • উঁচুতে/সিঁড়িতে উঠানামা করা যাবে না।
  • ভারী কাজ করা যাবে না।
  • দুস্কর শ্রম-সাধ্য অথবা দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অথবা যা হানিকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমন কাজ করা বে না।
  • একটানা কাজ করা যাবে না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিতে হবে।
  • অতিরিক্ত সময় কাজ করা যাবে না।
  • মাতৃত্বকালীন সময়ে গর্ভবতী মহিলাগন নিজ দায়িত্বে নিয়মিতভাবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।
  • ”আপনি গর্ভবতী” বিষয়টি কারখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি (ডাক্তার/নার্স/ কল্যান কর্মকর্তা)-কে অবহিত করুন।
  • কর্মস্থলে যেকোন সমস্যা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার এবং প্রদানের দায়িত

প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক তাহার মালিকের নিকট হইতে তাহার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী আট সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন, এবং তাহার মালিক তাহাকে এই সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন মহিলা উক্তরূপ সুবিধা পাইবেন না যদি না তিনি তাহার মালিকের অধীন তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পূর্বে অন্যুন ছয় মাস কাজ করিয়া থাকেন।
১. কোন মহিলাকে উক্তরূপ সুবিধা প্রদেয় হইবে না যদি তাহার সন্তান প্রসবের সময় তাহার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে, তবে এক্ষেত্রে তিনি কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইলে তাহা পাইবেন।

প্রসুতি কল্যাণ সুবিধা পরিশোধ সংক্রান্ত পদ্ধ

কোন মালিক সংশ্লিষ্ট মহিলার ইচ্ছানুযায়ী নিম্নলিখিত যে কোন পন্থায় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন, যথাঃ- কোন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এই আইনের অধীন প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইলে তিনি যে কোন দিন মালিককে লিখিত বা মৌখিকভাবে এই মর্মে নোটিশ দিবেন যে, নোটিশের আট সপ্তাহের মধ্যে তাহার সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা আছে, এবং উক্ত নোটিশে তাহার মৃত্যূর ক্ষেত্রে এই সুবিধা যিনি গ্রহন করিবেন তাহার নামও উল্লেখ থাকিবে।
১. কোন মহিলা উক্তরূপ কোন নোটিশ প্রদান না করিয়া থাকিলে তাহার সন্তান প্রসবের সাত দিনের মধ্যে তিনি উক্তরূপ নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার সন্তান প্রসব সম্পর্কে মালিককে অবহিত করিবেন।
২. উপ-ধারা (১) অথবা (২) এ উল্লিখিত নোটিশ প্রাপ্তির পর মালিক সংশ্লিষ্ট মহিলাকে-
(ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশের ক্ষেত্রে, উহা প্রদানের তারিখের পরের দিন হইতে;
(খ) উপ-ধারা (২) এর অধীন নোটিশের ক্ষেত্রে, সন্তান প্রসবের তারিখ হইতে, সন্তান প্রসবের পরবর্তী আট সপ্তাহ পর্যন্ত, কাজে অনুপস্থিত থাকিবার জন্য অনুমতি দিবেন।
৩. কোন মালিক সংশ্লিষ্ট মহিলার ইচ্ছানুযায়ী নিুলিখিত যে কোন পন্থায় প্রসুতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন, যথা ঃ-
(ক) যে ক্ষেত্রে কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের নিকট হইতে এই মর্মে প্রাপ্ত প্রত্যয়ন পত্র পেশ করা হয় যে, মহিলার আট সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা আছে, সে ক্ষেত্রে প্রত্যয়নপত্র পেশ করার পরবর্তী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রসব পূর্ববর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রদেয় মাতৃকল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন, এবং মহিলার সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে অবশিষ্ট সময়ের জন্য প্রদেয় উক্তরূপ সুবিধা প্রদান করিবেন; অথবা
(খ) মালিকের নিকট সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করার পরবর্তী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে সন্তান প্রসবের তারিখসহ উহার পূর্ববর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রদেয় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন, এবং উক্ত প্রমাণ পেশের পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট মেয়াদের সুবিধা প্রদান করিবেন; অথবা
(গ) সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করার পরবর্তী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে উক্ত সম্পূর্ণ সময়ের জন্য প্রদেয় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেনঃ

, সেরূপ কোন প্রমাণ কোন মহিলা তাহার সন্তান প্রসবের তিন মাসের মধ্যে পেশ না করিলে তিনি এই সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন না।
৪. উপ-ধারা (৪) এর অধীন যে প্রমাণ পেশ করিতে হইবে, উক্ত প্রমাণ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর অধীন প্রদত্ত জন্ম রেজিস্টারের সত্যায়িত উদ্ধৃতি, অথবা কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র, অথবা মালিকের নিকট গ্রহণযোগ্য অন্য কোন প্রমাণ হইতে পারিবে।

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার ঃ

১. এই আইনের অধীন যে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদেয় হইবে উহা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত পন্থায় গণনা করিয়া দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক, যে ক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য, গড় মজুরী হারে সম্পূর্ণ নগদে প্রদান করিতে হইবে।
২. উপ-ধারা (১) এর প্রয়োজনে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক গড় মজুরী গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলা কর্তৃক এই অধ্যায়ের অধীন নোটিশ প্রদানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসে তাহার প্রাপ্ত মোট মজুরীকে উক্ত সময়ে তাহার মোট প্রকৃত কাজের দিনগুলি দ্বারা ভাগ করিতে হইবে।

কিভাবে শিল্পকারখানায় পয়ঃ নিস্কাশন বা ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হয় সে সম্পর্কে আলোচনা

কিভাবে শিল্পকারখানায় পয়ঃ নিস্কাশন বা ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হয় সে সম্পর্কে আলোচনা

শিল্পে পয়ঃ নিস্কাশন / ওয়াশরুমের ব্যবস্থা

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে পুরুষ এবং নারীর অবদান প্রায় সমতুল্য। সেক্ষেত্রে টয়লেট একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত টয়লেটের অভাবে পুরুষ এবং নারী শ্রমিককে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ বান্ধব টয়লেটের অভাব থাকে । অনেক ফ্যাক্টরীতে থাকে না নারী ও পুরুষের আলাদা টয়লেট ব্যবস্থা। বাধাগ্রস্থ হয় কাজের গতি এবং মান, বৃদ্ধি পায় শারীরিক ও মানষিক কষ্ট।তাই প্রতিটি শিল্পকারখানায় পয়ঃ নিস্কাশন  উয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকা অপরিহার্য।

শিল্পে টয়লেটে ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিৎ:

অকুপেশনাল সেফটি এন্ড হেলথ এডমিনিস্ট্রেশন অনুযায়ী টয়লেট ব্যবস্থা (পুরুষ শ্রমিকের জন্য) নি¤œরূপ (টোবল নং ১০.২.১) হতে হবে,

পুরুষ শ্রমিক সংখ্যার সাথে টয়লেটে সংখ্যার সম্পর্ক

ব্যক্তি/ শ্রমিক সংখ্যা টয়লেট সুবিধা (সংখ্যা)
১-১৫ জন হলে ১ টি টয়লেট
১৬-৩৫ জন হলে ২ টি টয়লেট
৩৬-৫৫ জন হলে ৩ টি টয়লেট
৫৬-৮০ জন হলে ৪ টি টয়লেট
৮১-১১০ জন হলে ৫ টি টয়লেট
১১১-১৫০ জন হলে ৬ টি টয়লেট যথেষ্ট
১৫০ জনের অতিরিক্ত এবং প্রতি ৪০ জনের জন্য
অতিরিক্ত ১টি করে টয়লেট

অকুপেশনাল সেফটি এন্ড হেলথ এডমিনিস্ট্রেশন অনুযায়ী টয়লেট ব্যবস্থা (মহিলা শ্রমিকের জন্য) নি¤œরূপ (টেবিল নং ১০.২.২) হতে হবে,

মহিলা শ্রমিক সংখ্যার সাথে টয়লেটে সংখ্যার সম্পর্ক

ব্যক্তি/ শ্রমিক সংখ্যা টয়লেট সুবিধা (সংখ্যা)
১-৫ জন হলে ১ টি টয়লেট
৬-২৫ জন হলে ২ টি টয়লেট
২৬-৫০ জন হলে ৩ টি টয়লেট
৫১-৭৫ জন হলে ৪ টি টয়লেট
৭৬-১০০ জন হলে ৫ টি টয়লেট
১০১-১৫০ জন হলে ৬ টি টয়লেট যথেষ্ট
১৫০ জনের অতিরিক্ত এবং প্রতি ৪০ জনের জন্য
অতিরিক্ত ১টি করে টয়লেট

পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের আলাদা আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
কর্মস্থল হতে টয়লেটে সুবিধার দুরত্ব যথাযথ কাছাকাছি হতে হবে যেন শ্রমিকেরা তাৎক্ষণিক টয়লেটে যেতে পারে।
পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রতিটি টয়লেটের প্রকষ্ঠ আলাদাভাবে দরজা, পানি, পর্যাপ্ত উচ্চতা সম্পন্ন পার্টিশনের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
প্রতিটি টয়লেট বা শৌচাগারে ঠান্ডা, গরম বা ঈষৎ গরম পনির অবিরাম প্রবাহ নিশ্চিৎ করতে হবে।
প্রতিটি টয়লেট বা শৌচাগারে অবশ্যই টয়লেট টিস্যু থাকতে হবে।
প্রতিটি টয়লেট বা শৌচাগারে হাত ধোয়ার সাবান বা সাবান সমতুল্য জিনিস থাকতে হবে।
প্রতিটি টয়লেট বা শৌচাগারে হাত মোছার জন্য গামছা বা তোয়ালে থাকতে হবে।

টয়লেটের ব্যবহার বিধি:

টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্লাশ করতে হবে
টয়লেটের ভিতরে ফেব্রিক, কাগজ বা ময়লা ফেলা যাবে না
ফ্যাক্টরীতে বা টয়লেটের ভিতরে ধুমপান করা যাবে না
টয়লেটের দেয়ালে বা ফ্লোরে থুথু ফেলা যাবে না
তরল সাবান ও পানির অপচয় করা যাবে না
ময়লা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে হবে

প্রাথমিক চিকিৎসা কি? প্রাথমিক চিকিৎসা পথনির্দেশক নীতি সমূহ।ফার্স্ট এইড বক্সে কি কি থাকে?

প্রাথমিক চিকিৎসা কি? প্রাথমিক চিকিৎসা পথনির্দেশক নীতি সমূহ।ফার্স্ট এইড বক্সে কি কি থাকে?

প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রাথমিক চিকিৎসা হল আঘাতপ্রাপ্ত বা অসুস্থতার স্বীকার কোন ব্যক্তিকে সীমিত দক্ষতা সম্পন্ন দায়িত্বরত ব্যক্তি দ্বারা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা বা পরিচর্যার ব্যবস্থা করা।
সাধারণত ছোট-খাটো কাটা-ছেড়া, ক্ষত, আঘাত, হাড় ভাঙ্গা, আগুনে পুড়ে ফোস্কা পড়া ইত্যাদি দ্বারা আঘাত বা অসুস্থতাকে সন্তোষজনকভাবে মোকাবেলা অথবা পরিচর্যা বা চিকিৎসার পরবর্তী লেভেল/ স্টেইজে ( যেমন: প্রশিক্ষিত প্যারামেডিক বা ডাক্তারের সরণাপন্ন) পৌছানোর জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা  এর ব্যবস্থা রাখা হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা (ফার্স্ট এইড) কি?

কোন দূর্ঘটনায় আহত বা অসুস্থ লোককে ঘটনাস্থলেই বা নিকটবর্তী স্থানে যে চিকিৎসা করা হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড বলে। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসার সাহায্যে একজন রোগীকে সুস্থ করে তোলাও স্বম্ভব। তাছাড়া রোগীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়ার আগ মুহূর্ত্ব পর্যন্ত তাকে জীবিত বা সুস্থ রাখার জন্যেও প্রাথমিক চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরী বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

ফার্স্ট এইড বক্স কি ?

কলকারখানা বা অফিস আদালতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ পত্রসহ একটি বক্স সাজিয়ে রাখা থাকে। তাকেই ফার্স্ট এইড বলা হয়।

ফার্স্ট এইড বক্সের প্রয়োজনীয়তা ঃ

তাৎক্ষনিক কোন দূর্ঘটনা বা অসুস্থতার ক্ষেত্রে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দেবার জন্য প্রেরনের পূর্ব মুহুর্তে জীবন রক্ষা বা বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁিক রোধকল্পে তাৎক্ষনিক যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় তাই প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্ষ্ট এইড চিকিকিৎসা হিসেবে চিহ্নিত। কার্য ক্ষেত্রে বিশেষত শিল্প কারখানায় এ ধরনের ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জমাদীগুলো ফার্স্ট এইড বক্সে রাখা হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা পথনির্দেশক নীতি

প্রাথমিক চিকিৎসা এর উদ্যেশ্য “৩ চং” দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন:

(ভবিষ্যতে আসন্ন আঘাত / ইনজুরি রোধ)
(জীবনের সুরক্ষা)
(সুস্বাস্থ বা আরোগ্য বৃদ্ধি বা উন্নতি করা)

চিকিৎসা

চিকিৎসা

জিনিস সমুহ প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সে থাকতে হবে:

আঠালো ব্যান্ডেজ/ টেপ
বিভিন্ন সাইজের ব্যান্ডেজ
প্লাস্টার রোল
বাটারফ্লাই ব্যান্ডেজ
ত্রিভুজীয় ব্যাে
ইলাস্টিক র‌্যাপ
ট্যাবুলার গেজ ব্যান্ডেজ– আঙ্গুলের যখমের জন্য
গোলাকার টিপস সহ ধারালো সেফটি পিন
এন্টিসেপ্টিক টিস্যু
তুলা, উল এবং এন্টিসেপ্টিক টিস্যুর সাথে ব্যবহৃত এন্টিসেপ্টিক লোশন
সুচ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার
এন্টিবায়োটিক মলম
হাইড্রজেন পারঅক্সাইড
ল্যাটেক্স ফ্রি গ্লাভস
জীবানুমুক্ত ক্রিম এবং লোশন: যেমন- ডেটল, স্যাভলন
পেট্রোলিয়াম জেলি
ক্যালামাইন লোশন
এ্যলোভেরা জেল
মাসল ক্রিম এবং স্প্রে
ঞবিবুবৎং এক জোড়া- স্পিøন্টার দুর করার জন্য
স্টেরাইল গজ এবং টেপ
ব্যাথা নাশক
এন্টিহিস্টামিন- এ্যালার্জি দূরীকারক
ফাংগাল মেডিসিন-এন্টি ফাংগাল ক্রিম
ডিজিটাল থার্মোমিটার এবং জ্বরের ওষধ যেমন: এবং মৌলিক প্যারাসিটামল
(ফ্লাশ লাইট অথবা পেন টর্চ)

ফার্স্ট এইড বক্সে কি কি থাকে?

ফার্স্ট এইড বক্সে সংরক্ষিত প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদীর নাম ও ব্যবহার নিম্নে দেওয়া হলো ঃ
১. ছোট জীবানুমুক্ত ব্যান্ডিজ ঃ ছোট কাটা বা ক্ষতস্থানে ঢেকে রাখতে ব্যবস্থা করা হয়।
২. মাঝারী আকারের জীবানুমুক্ত ব্যান্ডিজ ঃ মাঝারি আকারের কাটা বা ক্ষতস্থানে ঢেকে রাখতে ব্যবহার করা হয়। যাতে করে ময়লা ও জীবানু ক্ষতস্থানে প্রবেশ করতে না পারে।
৩. বড় আকারের জীবানুমুক্ত ব্যান্ডিজ ঃ বড় আকারের কাটা বা ক্ষতস্থানে ঢেকে রাখতে ব্যবহার করা হয়। যাতে করে ময়লা ও জীবানু ক্ষতস্থানে প্রবেশ করতে না পারে।
৪. বড় আকারের জীবানুমুক্ত ব্যান্ডিজ (পোড়ার ক্ষেত্রে) ঃ সব ধরনের পোড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়না। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন – শরীরে বড় আকারে পুড়ে গেলে।
৫. (১/২)আউন্স জীবানুমুক্ত তুলা ঃ ক্ষত স্থানে জীবানু নাশক প্রয়োগ ও ক্ষতস্থানকে পরিষ্কার করা হয়।
৬. ২% আয়োডিন এলকোহলিক দ্রবন ঃ দ্রুত ক্রিয়াশীল বিস্তৃত বর্ণনীয় জীবানু বিনাশকারী দ্রবন, যা অপরিষ্কার হাতকে জীবানুমুক্ত করে। এছাড়া অক্ষত ত্বককে জীবানুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. ৪” চওড়া রোলার ব্যান্ডিজ ঃ মচকে যাওয়া ও ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে শক্তভাবে বাধানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।যাতে করে খারাপের দিকে যেতে না পারে।
৮. ২” চওড়া রোলার ব্যান্ডিজ ঃ জীবানু মুক্ত গজ যা ক্ষত স্থানকে ঢেকে রাখতে ব্যবহার করা হয়।
৯. এডহেসিভ প্লাষ্টার ঃ ক্ষত স্থানের উপর ব্যান্ডিজকে আটকিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হয়।
১০. ত্রিকোণাকৃতি ব্যান্ডিজ ঃ হাতের কনুই ভেঙ্গে গেলে বা মচকে গেলে ত্রিকোণাকৃতি ব্যান্ডিজ ব্যবহার করা হয়।
১১. সেফটি পিন ঃ রাবার ব্যান্ডেজের ক্ষেত্রে ইহা ব্যবহার করা হয়।
১২. রেক্টিফাইড স্প্রিট ঃ রক্ত বন্ধ করার জন্য এবং ক্ষত স্থানকে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
১৩. টর্নিকুয়েট ঃ রক্তপাত বন্ধ করার উপকরন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১৪. বাঁেশর / কাঠের চটি ঃ ভেঙ্গে যাওয়া বা মচকে যাওয়া স্থানে বাশের চটি দিয়ে শক্ত করে বেঁেধ দিতে হয়।
১৫. খাবার স্যালাইন ঃ অতিরিক্ত ঘাম অথবা পাতলা পায়খানারদ্বারা পানি শূন্যতা দেখা দিলে খাবার স্যালাইন খেতে হবে।
১৬. হেক্সিসল ঃ হাত ও অক্ষত ত্বকের উপরে ব্যবহার করা হয়।
১৭. গজের টুকরা ঃ ক্ষত স্থানে জীবানু নাশক প্রয়োগে ব্যবহার করা হয়।
১৮. সিল ক্রিম / বার্ণ ক্রিম ঃ পুড়ে যাওয়া অংশে লাগানো হয়।
১৯. স্যাভলন ক্রিম ঃ ক্ষত স্থানের রক্ত ক্ষরন বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২০. পভিসেফ ঃ ক্ষত স্থানকে জীবানু মুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২১. আই ওয়াশ ঃ চোখ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২২. সার্জারিক্যাল কাঁিচ ঃ প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহারিত উপকরনাদি কাটার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২৩. সার্জারিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস ঃ কাটা ছিড়া সেলাই ও রক্ত পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহারিত হয়।
২৪. ইলাষ্টিক / ওয়ান টাইম ব্যন্ডিজ ঃ জীবানু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহারিত হয়।
২৫. নিক্স ঃ মাথা ব্যাথার উপশম হিসেবে ব্যবহারিত হয়।
২৬. এন্টাসিড ট্যাবলেট ঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা অনুভব হলে খেতে হবে।
২৭. প্রচার পত্র ঃ আহত কিংবা অসুস্থ হলে করনীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা।

প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা

Materials Quantity (1-10) Persons Quantity (11-25) Persons (cwigvb: 11-25 R‡bi Rb¨)
Assorted Adhesive Plasters 20 40
Triangular Bandages 2 4
Sterile Eye Pads 2 4
Safety Pins 6 12
Medium Sterile Wound Dressings 6 12
Large Sterile Wound Dressings 4 6
Extra Large Sterile Wound Dressings 2 4
Non-alcoholic Cleaning Wipes 10 20
Crepe Roller Bandage 1 2
Pair of Disposable Latex Gloves 5 10
Sterile Eye Wash (500ml) 1 2
Tweezers 1 1
Pocket Mask or Disposable Face Shield 1 1
Paramedic Shears or good quality

Scissors (Blunt Point)

1 1
Ice Pack 2 2
Adhesive Tape 1 1
Elasticized Roller Bandage 1 2
Small Burn Dressing 1 1
Large Burn Dressing 1 1
Gauze Pads (Small Pack) 1 1
Safety Glasses 1 1
 
Flash light or Pen Torch 1 1
High Visibility Vest 1 1
Space Blanket 1 1
Thermometer 1 1
Small Notepad and Pen 1 1
Current Pocket size First Aid Book 1 1