জরিমানা বিরোধী নীতি
লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য
ভুল করা মানুষের স্বভাব। কাজ করতে গেলে মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। অটো গ্র“পে কর্মরত কেহ যদি কর্মক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল করে, তবে তাকে কোন প্রকারের জরিমানা করা হয় না। যদিও বাংলাদেশ শ্রম আইনে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, তথাপিও অটো গ্র“প কর্তৃপক্ষ কাউকে জরিমানা না করে তাকে মোটিভেশনাল মিটিং এর মাধ্যমে সংশোধনের পন্থা অবলম্বন করে । আর অটো গ্র“প কে সকল প্রকার জরিমানা মুক্ত ঘোষনা করাই জরিমানা বিরোধী নীতি প্রনয়নের উদ্দেশ্য।
অটো গ্র“পে কমরত কেহ যাতে কোন প্রকার জরিমানার স্বীকার না হয় সে লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ অত্র কারকানার স্ব-স্ব সেকশন প্রধানকে বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছেন।
প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রক্রিয়া ঃ
অটো গ্র“প জরিমানা বিরোধী নিম্নোক্ত নীতি অনুসরণ করে থাকে ঃ
- ফ্যাক্টরীতে কর্মরত কোন শ্রমিক কর্মচারী বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনরুপ জরিমানা ধার্য্য করা যাবে না।
- যদি কেউ কারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার জরিমানা ধার্য্য করে তবে জরিমানা মঞ্জুরকারীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
- কাজ বা আচার – আচরণ সংক্রান্ত ব্যাপারে কেউ যদি কোনরুপ অপরাধ করে তবে তাকে মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে সতর্ক করা যাবে তবে তা অবশ্যই আইন সম্মত হতে হবে।
নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন ঃ
নীতিমালা বাস্তবায়নে অবহিতকরন/ যোগাযোগ একটি বড় বিষয়। আরএ কাজের জন্য অত্র কারখানায় যে সকল পদক্ষেপ সমূহ গৃহীত হয় তা হলো-বিভিন্ন প্রকার মোটিভেশনাল মিটিং, ট্রেনিং, কারখানার সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে একযোগে সকলকে অবহিত করা হয়।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ
এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তগন ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
জরিমানা বিরোধী নীতির পরিশিষ্ঠঃ
মানুষ কোন দেবদূত নয় যে সে ভুল করবে না । ভুল হলে তাকে শাস্তি না দিয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে বিবেচনা করা হয়। অপরাধীকে শাস্তি নয়, সংশোধনের সুযোগ দিতে হয় এই নীতিতে বিশ্বাস করে কর্তৃপক্ষ অটো গ্র“পকে সম্পূর্নরুপে জরিমানা মুক্ত ঘোষনা করেছেন।