জেনারেটরে তৈল ভরার নিয়মাবলী
অত্র কারখানায় কর্মরত রয়েছে নানান জাতের,নানান মতের, ধর্মের, বর্নের লোক।আপাতঃ দৃস্টিতে মনে হচ্ছে এ যেন এক অমিলের কারখানা।হাজারো অমিলের মধ্যে কোথায় যেন একটা মিল রয়েছে।আর সেই মিলের সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা সবাই একই পরিবারের লোক।এখানে নেই কোন হয়রানী, নেই কোন উৎপীড়ন।সবাই এক ভয়হীন পরিবেশে কাজ করছি। …
জেনারেটরে তৈল ভরার নিয়মাবলী সমূহ নিম্নে বর্নিত হলো ঃ
- প্রথমে বেরেল বা তৈলের ড্রাম জেনারেটরের রুমে নিতে হবে।
- বেরেল বা ড্রাম এর মুখ খুলে ড্রাম এর ভিতর পাম্প এর পাইপ ঢুকাতে হবে।
- পাম্প এর হাতল ঘুরিয়ে বালতিতে তৈল উঠাতে হবে।
- পরে জেনারেটরের ট্যাংকের মুখ খুলে, ট্যাংকের মুখে চুঙ্গা বসিয়ে এর উপর তৈল ছাকার জন্য একটি ছাঁকনি বসিয়ে তৈল ঢালতে হবে।
- ট্যাংকের তৈলের মিটার দেখে তৈলের পরিমান নিশ্চিত করতে হবে।
- বৈদ্যুতিক ডিসস্ট্রিবিউশন, সাব-ডিসট্রিবিউশন ও সুইচ বোর্ডকে ফেব্রিক কাটুর্ন ও অন্যান্য বস্তু থেকে মুক্ত রাখা হয় কিনা এবং সবগুলো বোর্ডেও নীচে রবারম্যাট আছে কিনা ?
- জরুরী বর্হিগমন, আইলস্ মার্ক ও সিঁড়ি সবসময় বাধামুক্ত রাখা হয় কিনা ?
- কাজ শেষে সকল সুইং মেশিনের সুইচ বন্ধ করা ও বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি বৈদ্যুতিক সংযোগ হতে বিচ্ছিন্ন করা হয় কিনা ?
- বৈদ্যুতিক চ্যানেলগুলি ঝুল বা আঁশ জাতীয় ধুলিকনা মুক্ত আছে কিনা তাহা নিয়মিত চেক করা হয় কিনা ?
- নের মটর কেসিং নিয়মিত পরিস্কার করা হয় কিনা?
- কোন জায়গায় লুস তার বা কেবেল আছে কিনা ?
- বয়লার মেশিন সাভিসিং সময়মত হচেছ কিনা ?
- বয়লারে কোন যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কিনা ?
- সকল বর্হিগমন লাইট গুলো ঠিক আছে কিনা ?
- কোন স্থানে জোড়া লাগানো তার আছে কিনা ?
- ভাঙ্গা সুইচ, খোলা সুইচ, কোন স্থানে আছে কিনা ?
- আই পি এস ব্রেক আপ চালু আছে কিনা ?
প্রত্যেকটি কর্মচারীকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন এবং শ্রম আইনের বিধানসমূহ মেনে কাজ করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি তা ভঙ্গ করেন, আর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তাহলে অচিরেই সে প্রতিষ্ঠানে নিয়ম কানুন আর থাকবে না। একথা বিবেচনা করেই এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২৪ পুরোপুরি অনুসরন করেই গ্র“পে কর্মরত যে কেউই যদি হয়রানি বা উৎপীড়নের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে চাকুরিচ্যুত বা তাৎক্ষনিক শাস্তিমূলক বদলী বা স্ব-পদ হতে নীচের পদে নামিয়ে দেওয়া হবে। তাছড়া অবস্থাভেদে নিম্নলিখিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
হীনপদস্ত বা শাস্তিমূলক বদলী অবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি ৬০ দিনের মধ্যে একই ঘটনার পূনারাবৃত্তি ঘটায় তাহলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে চাকুরী হতে বহিস্কার করা হবে।
হয়রানী ও বা উৎপীড়নমূলক বদলী অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে অবশ্যই নিপীড়িত ব্যক্তির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তির আচরণ শুদ্ধিকরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেমন-আন্ত সংস্কৃতির প্রশিক্ষণ, দ্বন্দ সমাধানের ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভীতি সৃষ্টিকারী যেকোন ব্যাক্তিকে প্রয়োজনে দ্রুত বদলী করা অথবা তার আচরণ বিবেচনায় কোম্পানী ও শ্রম আইন অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
প্রয়োজন হলে দোষী ব্যক্তিকে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন অনুসরণ করা হবে।
অভিযোগ ও শাস্তি সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট সব সময়ই নথীভূক্ত রাখতে হবে যাতে করে প্রয়োজনের সময় সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও হয়রানী ও উৎপীড়নের ঘটনা যদি বার বার সংঘটিত হতে থাকে, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে হয়রানী প্রতিরোধে বিরাজমান নীতিমালাতে পরিবর্তন আনতে হবে।