Select Page

ঝুঁকি এবং জীবন বীমা সর্ম্পকে বিশ্লেষণ

জীবন বীমায় লক্ষ্য হচ্ছে  অনেকের সম্মিলিতি অংশগ্রহনের মাধ্যমে কোন এক জনের আর্থিক  ক্ষতি পুষিয়ে  দেয়া। সংগত কারণইে কোন বীমা গ্রহণ কালে একজন অবলিখক কে নৈতিক এবং ভৌত ঝুঁকি সমূহ বিচার বিশ্লেষণ  করে যা করতে হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

  • ঝুঁকি নিরুপন করা
  • ঝুঁকি গ্রহণ করবে কিনা কিংবা ঝুকি  গ্রহণ করলে কি পরিমান
  • বীমা গ্রহনের শর্তাদি এবং ঝুকি গ্রহনের পরিধি নির্দিষ্ট করণ
    যুক্তি সংগত প্রিমিয়াম নির্ধারন করা

ভৌত ও নৈতিক ঝুকি

  • ভৌত ঝুঁকি ঃ বীমার বিষয়বস্তুর  সাথে যে ঝুঁকি সম্পৃক্ত থাকে তাকে ভৌত ঝুঁকি বলে ।
  • নৈতিক ঝুকি  ঃবীমাকারির প্রস্তাবকের আচরনের সাথে  যে ঝুঁকি সম্পৃক্ত থাকে একে নৈতিক ঝুঁকি বলে।

ঝুকির দুইটি গুরুত্তপুর্ণ উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করা হল

চুরান্ত সদ্বিশাষ

বিমাগ্রহন কারীর চুরান্ত সদ্বিশাস থাকতে হবে।ঝুকি সঠিক পরিমান অনুধাবন করতে বীমা প্রস্তুত কারির অকপট আচরণ ও গুরুত্বপুর্ন তথ্য প্রদান অপরিহার্য ।ঝুকি সঠিক পরিমান অনুধাবন করতে বিমাপ্রস্তুতকারির অকপট আচরণ ও গুরুত্বপুর্ন  তথ্য এবং আকজন বিমাচুক্তির ভিত্তি ঃ

  • প্রস্তাবপত্র
  • ডাক্তারি পরীক্ষাবিহিন নথিপত্রের বিবৃতি
  • FMR – এ বিমাপ্রস্তাবকারির চরম সদিচ্ছা প্রকাশে আইনগত বাধ্য বাধকতা সমূহ

আকজন অবলিখক কে মনে  রাখতে হবে যে, যদি কোন প্রস্তাবক সরল সদিচ্ছা প্রকাশে আইন লঙ্ঘন করেন তাহলে বিমাচুক্তি আইনগতভাবে বাতিল হবে।

বীমাযোগ্য সার্থ

বিমাচুক্তিতে বীমা যোগ্য সার্থ না থাকলে আইনের দৃষ্টিতে তা বাজী খেলার মত এবং চুক্তি আইনের ৩০ধারা অনুযায়ি তা বাতিল।  জীবনবীমা করার সময় বিমাকারির বীমা যোগ্য সার্থের অনুপস্থিতে বিমাপত্র বাতিল হয়ে যায়।

বর্তমান আইনে স্বীকৃত বীমা যোগ্য সার্থের উপস্থিতি

  • প্রস্তাবকারির জীবনের ওপর ঃকারন তার জীবনে অসীম সার্থ রয়েছে এবং এটা কারোর পক্ষে জানা সম্ভব নয় যে তিনি কত টাকা অপার্জন করতে পারবেন।
  • স্বামি কর্তিক স্ত্রীর জিবনের ওপর ঃকারন স্ত্রীর মৃত্যুয়ে স্বামী তার স্ত্রীর সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
  • স্ত্রী কর্তিক স্বামীর জীবনের ওপর ঃকারন স্বামীর মৃত্ততে তিনি স্বামীর ভরন পোষণ থেকে বঞ্চিত হবেন।
  • ব্যবসায় অংশীদার কর্তিক অন্য অংশীদারের ওপর সর্বোচ্চ  পরিমাণ আদায়কৃত মুল্ধনের পরিমান।
  • জামিন্দার কর্তিক যে লোকের জন্য জামিন হয়েছে তার জিবনের ওপর
  • মহাজন কর্তিক খাতকের জীবনের ওপর।
  • কর্মচারি কর্তিক মালিকের জীবনের ওপর (যে পরিমান  মজুরির জন্য চুক্তিবদ্ধ  হয়ে থাকে)।
  • মালিক কর্তিক কর্মচারির জীবনের ওপর (চুক্তি হবে মালিক কর্তিক যতদিন নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন না হয় তার মোট মজুরির সমান)
  • মাতা-পিতা কর্তিক সন্তানের জীবনের ওপর এবং সন্তান কর্তিক পিতা-মাতার জীবনের ওপর।