নিরাপত্তা নীতিমালা
ফ্যাশন লিঃ এর প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি দিক নির্দেশনা মূলক সঠিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা জরুরী প্রয়োজন। সুতরাং একটি কার্যকর ও দক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়নের লক্ষ্যে অত্র কারখানার জন্য যে সমস্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে তা নিুরুপঃ-
নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
১.অত্র কারখানা সীমানার চতুর্দিকে ইটের দেয়ালের মাধ্যমে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে।
২. নিরাপত্তা বেষ্টনী র জায়গায় জায়গায় সুনির্দিষ্ট সিকিউরিটি পোষ্ট স্থাপনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিকভাবে কোম্পানীর নিজস্ব সিকিউরিটি ফোর্স আনসার দ্বারা নিরাপত্তা প্রহরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
৩. নিরাপত্তা বেষ্টনী র নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রহরীদের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য নিরাপত্তা সুপারভাইজারদের মাধ্যমে টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৪. রাত্রীকালীন প্রহরার সুবিধার্থে নিরাপত্তা বেষ্টনী র উপর পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৫. বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সিকিউরিটি পোষ্টে টর্চ লাইট, বল্লম, লাঠি এবং বাঁশির ব্যবস্থা রয়েছে ।
নিরাপত্তা ফটকে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
১. অত্র কারখানা সীমানার পূর্ব দক্ষিন প্রান্তে মনিপুর সড়ক সংলগ্ন একমাত্র নিরাপত্তা ফটক নির্মানের মাধ্যমে কারখানার আগমন ও বহিঃর্গমন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সু-সম্পন্ন করে থাকে ।
২. নিরাপত্তা ফটকে সার্বক্ষনিক ০৩(তিন) জন নিরাপত্তা প্রহরী এবং ১জন নিরাপত্তা ইনচার্জ নিয়োজিত আছেন।
৩. নিরাপত্তা কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তা ফটক সংলগ্ন একটি নিরাপত্তা অফিস ও চেকপোষ্ট নির্মান করা হয়েছে।
৪. নিরাপত্তা ফটকটি ইট সুড়কি দিয়ে তৈরী যাতে রয়েছে সু-উচ্চ মজবুত ও গড়াধনষব লোহার দরজা ।
৫. নিরাপত্তা অফিস ও কারখানা অফিসের সাথে তথ্য যোগাযোগের সুবিধার্থে নিরাপত্তা অফিসে ইন্টারকম টেলিফোন সেট বসানো হয়েছে।
৬. জরুরী অবস্থা মোকাবেলার জন্য জরুরী টেলিফোন নাম্বার সমূহ এবং তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তের জন্য ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা এর সাথে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করা রয়েছে।
৭. সিকিউরিটি ইনচার্জ এর নিকট রক্ষিত মোবাইল ও ওয়াকি টকি সেটের মাধ্যমে সর্বক্ষন ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা এর সাথে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
৮. তাছাড়া ঈঈঞঠ ক্যামেরার মাধমে কারখানার সর্বত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
কারখানায় প্রবেশ সংক্রান্ত গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ-
১. কারখানায় শ্রমিকগণ প্রবেশ করার সময় নিরাপত্তা ফটকে দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরীর নিকট আই.ডি কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমেই কেবল কারখানায় প্রবেশ নিশ্চিত করা হয় ।
২. কোন ভিজিটর, গেষ্ট, সাপ্লায়ার কিংবা অন্য যে কোন ব্যক্তির পূর্নাঙ্গঁ পরিচয় গ্রহণ সম্পন্ন করার পর কারখানার ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা এর অনুমোদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
৩. প্রবেশের অনুমতি প্রাপ্ত ব্যক্তিকে একটি ঠরংরঃরহম ঈধৎফ প্রদান করা হয় এবং একজন নিরাপত্তা প্রহরীর প্রহরায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিদিষ্ট স্থানে পৌছানো হয়।
৪. কারখানায় আগমনের সময় যে কোন ব্যক্তি ও পন্য সামগ্রীকে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করা হয়।
৫ কারখানার নিয়মিত শ্রমিক ব্যতীত কারখানায় আগত যে কোন ব্যক্তি, পন্য সামগ্রী ও যানবাহনের যাবতীয় তথ্যের সুনির্দিষ্ট রেজিষ্টার নিরাপত্তা অফিসে সংরক্ষন করা হয়।
বহির্গমন সংক্রান্ত গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঃ
১. কারখানা হতে যে কোন ব্যাক্তি পন্য সামগ্রী এবং যানবাহন বহির্গমনের সময় উহাদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সুনির্দিষ্ট রেজিষ্টারের মাধ্যমে নিরাপত্তা অফিসে সংরক্ষন করা হয়।
২ কারখানা হতে যে কোন ব্যক্তি বা পন্য সামগ্রী বহির্গমনের সময় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়।
৩. যে সমস্ত ব্যক্তিকে প্রবেশের সময় ঠরংরঃরহম ঈধৎফ দেয়া হয় বহির্গমনের সময় উক্ত কার্ডটি ফেরৎ নেওয়া হয় এবং তাদের প্রস্থানের সময় ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিদিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।
লোডিং এবং আন-লোডিং সীমানায় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঃ
১. পন্যবাহী গাড়ী সমূহের পন্য উঠা নামা করানোর জন্য কারখানা সীমানার অভ্যন্তরে রয়েছে সুনিদিষ্ট ও নিরাপদ লোডিং ও আন-লোডিং এরিয়া
২. রাত্রি কালীন নিরাপদে পন্য উঠা নামা করানোর জন্য লোডিং আন
৩. লোডিং এরিয়ায় পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লোডিং আন-লোডিং এরিয়ায় সার্বক্ষনিক একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও একজন আনসার প্রহরারত থাকেন।
৪. লোডিং আন-লোডিং এরিয়ায় যে কোন অননুমোদিত ব্যক্তি পন্য বা যানবাহনের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫.পন্য জাহাজীকরনের নিমিত্তে ব্যবহৃত ভ্যান সমূহের যাবতীয় তথ্য ঠবযরপষব ধঁফরঃ ভড়ৎস এ লিপিবদ্ধ করা হয়।
৬.লোডিং আন-লোডিং চলাকালে একজন নিরাপত্তা ইনচার্জ ও কারখানার ব্যবস্থাপক ষ্টোর এর পুরাপুরি তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হয়।
৭. খালি কন্টেইনার রাখার নিরাপদ স্থান রয়েছে। যেখানে সর্বসাধারনের প্রবেশ সম্পূর্ন নিষেধ।
কারখানার দৈনন্দিন কার্যক্রম শেষে নিরাপত্তা সংক্রান্ত গৃহীত ব্যবস্থাঃ
১. কারখানার দৈনন্দিন কার্যক্রম শেষে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারের তত্ত্বাবধানে কারখানার প্রতিটি দরজা জানালা সর্তকতার সাথে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২. কারখানার প্রতিটি প্রবেশদ্বার ভারী তালা দ্বারা তালাবদ্ধ করা হয় এবং তালা সীলগালা করা হয়।
৩. তালা সীলগালা করার পরও প্রতিটি প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়।
৪. তালা সীলগালা করার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার চাবিগুলো প্রশাসনিক দফতরে জমা রাখেন।
৫. দরজাগুলো তালাবদ্ধ ও সীলগালা করার সময় উল্লেখসহ যাবতীয় তথ্য নিদিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।
কারখানার দৈনন্দিন কার্যক্রম শুরুর সময় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
১. দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার কারখানা খোলার সময় সীল গালাকৃত তালা সমূহের অবস্থার বর্ননা নির্ধারিত রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
২. দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তালাবদ্ধ ও সীলগালা সংক্রান্ত রেজিষ্টারটি কারখানার ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা এর নিকট পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করবেন।
নিরাপত্তা গার্ডদের দায়িত্ব সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে গৃহীত ব্যবস্থাঃ
১. নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্ব সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে নিরাপত্তা ইনচার্জ প্রতিদিন তাদের ব্রিফিং প্রদান করবেন।
২. নিরাপত্তা কর্মীদের কার্যক্রমকে অধিকতর উপযোগী করার উদ্দেশ্যে সকল নিরাপত্তা কর্মী, ও ইনচার্জকে নিয়ে মাসিক একটি সভার আয়োজন করা হয়। কারখানার ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা উক্ত সভায় দিক নির্দেশনামুলক ব্রিফিং প্রদান করবেন।
৩. এতদ উদ্দেশ্যে ঝবপঁৎরঃু অধিৎবহবংং গববঃরহম ৎবমরংঃবৎ নামে একটি রেজিষ্টার কারখানার ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা সংরক্ষন করবেন।
৪. কারখানার শ্রমিক/কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের বহিরাগতদের উসকানী হয়রানী ভয়ভীতি প্রদর্শন এর উপর সচেতনতামুলক নিয়মিত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কারখানায় আগত ও বহিঃগমন যে কোন লোকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
১. কারখানার প্রশাসনের দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যগন নিয়মিত কারখানায় আগত ও নির্গত লোকদের গতিবিধি সর্তকতার সাথে পর্যবেক্ষন করে থাকেন।
সনাক্তকরণ সংক্রান্ত গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
১. কারখানার কার্যে নিয়োজিত প্রতিটি সদস্যকে সনাক্ত করনের জন্য কারখানার আই.ডি কার্ড সরবরাহ করা হয়।
২. কোন শ্রমিক চাকুরী হতে অব্যাহতি নিলে কিংবা তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হলে তার আই.ডি কার্ড ফেরৎ নেওয়া হয়।
৩. কোন শ্রমিক অননুমোদিত উপায়ে কারখানা ত্যাগ করলে কিংবা আর চাকুরীতে ফিরে না আসলে এরুপ শ্রমিকদের একটি তালিকা ছবিসহ সিকিউরিটি অফিসে সংরক্ষণ করা হয়। এরুপ কোন শ্রমিক কারখানা ফটকে আসলে অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রন করা হয় এবং পাওনাধী সংক্রান্ত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনুমতি নিয়ে হিসাব বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।।
কারখানার ভিতরে অগ্নিকান্ড সংগঠিত হইলে কারখানায় স্থাপনকৃত ফায়ার হোজ দ্বারা উক্ত অগ্নি নির্বাপন ক্ষেত্রে নিুলিখিত বিষয়গুলির প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হইবে ঃ-
১. বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ অফ (ঙভভ) করিতে হইবে।
২. গংবেল বাজিয়ে সকলকে সচেতন করবে।
৩. ব্রাঞ্চ/নজেল ধরে হোজরেক হইতে প্রয়োজনমতো হোজ টানিয়া নিয়া আগুনের দিকে তাক করিয়া কৌশলগত স্থানে অবস্থান নিতে হবে।
৪. বাল্বম্যান অবশিষ্ট হোজের অংশটুকু হোজরেক হইতে নামাইয়া ফ্লোরে লোফ আকারে রাখিবে (যাহাতে হোজে কোন ভাঁজ না পড়ে)।
৫. ব্রাঞ্চ/নজেলম্যানের অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নির্ধারিত সংকেত (ওয়াটার অন) মোতাবেক বাল্বম্যান হোজের গেট বাল্ব আস্তে আস্তে খুলিবে এবং প্রয়োজন মতো পানির প্রেসার নিশ্চিত করিবে।
৬. ব্রাঞ্চ/নজেলম্যান আগুনে পানি নিক্ষেপনের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখিবে যাহাতে অগ্নিকান্ডের সহিত সংপৃক্ততা হয় নাই এমন দ্রব্যাদি ক্ষতিগ্রন্থ না হয়।
৭. মেঝে যদি মসৃন হয় তা হলে স্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে হোজ ব্যবহারকারীদের দৌড়ানো যাবে না।
৮. অগ্নি নিয়ন্ত্রনে আনার পর ধোঁয়া/গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করিতে হইবে।
৯. পরিশেষে ব্যবহৃত হোজ পরিষ্কার ও শুকানো সাপেক্ষে পূর্বের স্থানে পূর্বের অবস্থায় রাখিতে হইবে।