নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন কর্মীদের করণীয়
নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মিরা যে সমস্ত বিষয়ে কাজ করে থাকে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো
নীতিমালা প্রনয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
অটো গ্র“প একটি রপ্তানীমূখী তৈরী পোশাক কারখানা যা বাংলাদেশের ইনডাস্ট্রিয়াল জগতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। অটো গ্র“পের উত্তরোত্তর প্রসারের কারনে প্রতিনিয়ত এর পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সে কারনেই অত্র কোম্পানীতে নতুন নতুন কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হয়। কারখানায় নিয়োগকৃত নতুন কর্মীদের জন্য কারখানার কিছু নিয়মাবলী রয়েছে যা মেনে চলা জরুরী। তাই কোম্পানীতে শ্রমিক নিয়োগ প্রাপ্ত হবার পর পরই অরিয়েন্টশন এর মাধ্যমে তাদেরকে এ সকল নিয়মাবলী সম্পর্কে জানানো হয়।
ণীতিমালাটি নিুরূপ:
- কারখানায় নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন শ্রমিকদের প্রতি কারখানার সকলেরই কিছু দায়িত্ব- কর্তব্য রয়েছে। নতুন শ্রমিক নিয়োগ হবার সাথে সাথে কোম্পানীর নতুন পরিবেশ, নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানানো আমাদের সকলেরই দায়িত্ব ।
- কারখানায় নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন শ্রমিকদের করনীয়:
- নিয়োগপ্রাপ্ত বা কাজে যোগদানের পর প্রথমেই পার্সোনাল বিভাগে উপস্থিত হবেন। পার্সোনাল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা (ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা) আপনাকে সংল্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানসহ আপনার নিজ কর্মস্থলে পরিচয় করিয়ে দিবেন।
- এইচ আর এ্যন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ নবাগত শ্রমিককে কোম্পানীর নিয়ম নীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষন দিবেন ও পার্সোনাল ফাইলের প্রশিক্ষন গ্রহনের রেকর্ড সংরক্ষন করবেন।
- পার্সোনাল বিভাগীয় কর্মকর্তা/ওয়ালফেয়ার অফিসারগন আপনাকে আপনার বেতন, ভাতা, ওভারটাইম, কর্মস্থলে উপস্থিতি ও ছুটির সময়, দায়িত্ব কর্তব্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর ও পরামর্শ দিবেন।
- নিয়োগ নিশ্চিত হলে নিয়োগপত্র অবশ্যই গ্রহণ করবেন। সাউন্ড সিষ্টেমে এ ব্যপারে প্রচার করা হয়ে থাকে এমনকি নেটিশবোর্ডেও এ ব্যপারে অবহিত করন করা হয় যে “ কেউ যদি নিয়োগ পত্র না পেয়ে থাকেন তাহলে অফিস চলাকালীন সময়ে এইচ.আর.ডি বিভাগে যোগাযোগ করে আপনার নিয়োগ পত্র সংগ্রহ করতে পারেন”।
- নিয়োগ প্রাপ্তির একমাস এর মধ্যে যত দ্রুত সম্ভভব প্রত্যেক শ্রমিক / কর্মচারীকে বারকোড সম্বলিত একটি আই, ডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিদিন কাজে প্রবেশের সময় এবং কাজ শেষে গেটে রক্ষিত কম্পিউটারাইজড মেশিনে কার্ড পাঞ্চ (ঝরিঢ়ব) করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনার হাজিরা ও ওভার টাইমের হিসাব গননা করা হবে।
- কারখানায় অভ্যন্তরে ধুমপান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। টয়লেটে বা বাথরুমেও ধুমপান করা যাবে না।
- কোম্পানীর কোন মালামালের অবৈধ ব্যবহার কিংবা বিনা অনুমতিতে বাহিরে নেওয়া শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
- কারখানার গেইটে বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কমীদের জিঞ্জাসাবাদ বা তল্লাশি কাজে সহযোগিতা করা আবশ্যক।
- যে যন্ত্র বা মেশিনে আপনাকে কাজে নিয়োজিত করা হবে সে মেশিনের সঠিক ব্যবহার ও নিজের নিরাপত্তা বিষয়গুলো নিজ দায়িত্বে কাজের শুরুতেই আপনার সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার নিকট থেকে জেনে নেবেন।
- আপনার কোন অসুবিধা, অভিযোগ বা চাহিদা নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে সমাধান না হলে ফ্লোরে কর্মরত শ্রমিক প্রতিনিধির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে পারবেন। এছারাও যেকোন অভাব, অভিযোগ ও পরামর্শ সম্পর্কে এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসার ও ওয়েলফেয়ার অফিসারকে জানাতে পারেন।
- আপনার অভিযোগ ও পরামর্শ ফ্লোরে রক্ষিত বাক্রে জমা দিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেন।
- টয়লেট বা শৌচাগার ব্যবহার এ অতিশয় যতœশীল হবেন। টয়লেট ও বেসিন ব্যবহার করার পর যথাযথ পরিস্কার রাখবেন যাতে আপনার পরবর্তী ব্যবহারকরী তা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
- কারখানার ক্যান্টিনের সার্বিক পরিচ্ছন্নতা রক্ষা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ভাত এবং অন্য খাদ্যবস্তু অপচয় করা যবে না। কোমপানীর বাসন যতেœর সাথে ব্যবহার করতে হবে এবং পরবর্তী যে শ্রমিক খেতে আসবে তার ব্যবহার উপযোগী কিনা সে দিকে নজর রাখতে হবে।
- সকলের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করা বাঞ্চনীয় এবং উর্ধ্বতন সুপারভাইজার/ কর্মকর্তাগনের যুক্তিযুক্ত নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করা বিশেষ জরুরী।
- কার্যকরী পরিষদঃ এই নীতিমালা বাস্তবায়নে এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসার ও ওয়েলফেয়ার অফিসারগন মূখ্য সংগঠকের ভূমিকা পালন করে। পলিসি বাস্তবায়নের জন্য সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে আছে ম্যানেজার, এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স। পাশাপাশি এই পলিসির আওতাধীন শ্রমিকবৃন্দ যাতে এই নীতির সুফল ভোগ করতে পারেন তা বাস্তবায়নের সার্বিক দ্বায়িত্বে রয়েছেন জি,এম প্রশাসন।
নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ
অত্র কারখানায় নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন শ্রমিকদেরকে কোম্পানীর নিয়ম-শৃঙ্খলা সম্পর্কে কারখানার সাউন্ড সিস্টেম, শ্রমিক প্রতিনিধি, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে সম্যক ধারনা দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগন ও ওয়েরফেয়ার অফিসারগন অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ
এই নীতিমালা ফ্যাক্টরীর স্বাভাবিকতা রক্ষা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পরিশিষ্ট:
যেকোন ব্যক্তিকেই একটি নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়ে। তাই কোম্পানীতে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত সকল শ্রমিকদের কোম্পানীর পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য সার্বিক সহযোগীতা করতে হবে।