পিছলে পড়া এবং পতন
কর্মস্থানে আঘাত পাওয়া এবং মৃত্যু বরণের অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ কারণ হল পিছলে পড়ে যাওয়া কিংবা উপর থেকে নীচে পতন। বহু কর্মস্থলে মালামাল বহনের মই কিংবা আবর্জনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং পিছলে পড়ে যাবার আশংকা সব সময়েই থাকে। ফলে আঘাত পাওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। এ ধরণের বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা এবং এগুলো এড়ানোর পদ্ধতি অনুশীলনের মাধ্যমে পিছলে পড়া কিংবা পতনের ঘটনা কমানো যায়।
কাজের পরিবেশ যদি স্বাভাবিক থাকে এবং প্রতিরোধমূলক সব ব্যবস্থা যথাস্থানে থাকে তাহলে পিছলে পড়া কিংবা পতনজনিত দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। পরিবেশের আকস্মিক পরিবর্তন করলে আপনি আপনার পতন ডেকে আনতে পারেন। যেমন অপ্রত্যাশিত আবর্জনা, অনুপযুক্তভাবে বস্তু সামগ্রী ষ্টোর করে রাখা, মেঝে তৈলাক্ত কিংবা জায়গায় জায়গায় স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকলে আপনার পতন অনিবার্য। তাই দেখতে হবে বর্জ্য, তৈলাক্ত পদার্থ, পানি কিংবা অন্য কোন বিপজ্জনক সামগ্রী আপনার কর্মস্থলের মধ্যে কোথাও আছে কিনা। থাকলে সেগুলো তখন তখনই পরিস্কার করে ফেলার ব্যবস্থা নিন।
চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট পথেই আপনি হাঁটবেন। মেশিন বা যন্ত্রপাতির মধ্য দিয়ে বা কোনো সংক্ষিপ্ত পথে চলাচল করার কোনো চেষ্টা করবেন না, কেননা ঐ পথের সঙ্গে আপনার সঙ্গত কারণেই তেমন কোনো পরিচয় নেই। কোন দিকে আপনি এগুচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখবেন, চলতে চলতে কথা বলে অমনোযোগী হয়ে পড়বেন না। দু’হাতে ভারী জিনিষ নিয়ে চলা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে আপনার দৃষ্টি যদি সামনে বাধা পায়। নীচে নামবার সময়তো বটেই। ভালো হয় যদি ঐ অবস্থায় লিফট ব্যবহার করেন কিংবা অন্য কারো সাহায্য নেন। প্রয়োজনে একবারে নেওয়ার স্থলে দুবারে ভারী মালামাল বহন করুন। সেটা আরও বেশি নিরাপদ। কম কাজ করা নিরাপদ এবং এতে আপনার পিঠের উপরে চাপও কম পড়ব্।ে সিড়ির উপরে মালামালে অংশ রেখে তা পরে তুলে নেবার কথা ভাববেন না। কে জানে পরের ট্রিপ আপনার না হয়ে অন্য কারোও তো হতে পারে।
আপনার কাজ যদি ভারী কিংবা মাচানের উপর হয় তাহলে তার সামগ্রীগুলো পূর্বাহ্নে পরীক্ষা করে নিন। চারিপাশের দুর্বল স্থানগুলো সনাক্ত করুন। মাচানের উপরে দাঁড়িয়ে বাক্সের উপরে উঠতে চেষ্টা করবেন না কিংবা বেয়ে ওঠার মই মাচানের উপরে দাঁড় করাবেন না। তার পরিবর্তে অন্য স্তরের আর একটি মাচান ব্যবহার করুন। শক্ত সোজা, পরিস্কার তক্তা এবং স্তর কাজে লাগান। পায়ের আঙ্গুঁল রাখা যায় এমন বোর্ড ব্যবহার করুন যাতে আপনি নেজে পড়ে না যান কিঙবা হাতিয়ারগুলো সেখান থেকে পড়ে না যায়।
মই যদিও একটি সাধারণ সরঞ্জাম, এ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হবার ঘটনাও অতি সাধারণ এবং প্রায়ই ঘটে থাকে। তাই সময় নিয়ে সঠিকভাবে দাঁড় করাবার পরে সেটা ব্যবহার করবেন। দেখবেন যেখানে মইটা স্থাপন করছেন সেই জায়গাটা মসৃণ এবং স্থিতিশীল হয়। কোনো অবস্থাতেই এটা বাক্স, সাজ-সরঞ্জাম কিংবা অন্য কোন বস্তুর উপরে দাঁড় করাবেন না, কারণ একটু সরে গেলেই পতন অনিবার্য। যে কোন কাজের জন্য উপযুক্ত ও সঠিক উচ্চতার মই ব্যবহার করুন। মইটিতে আড়াআড়ি নির্দেশক না থাকলে প্রতি চার ফুট উচ্চতার জন্য ভিত্তি থেকে একফুট সরিয়ে কৌণিক অবস্থায় রেখে চেষ্টা করতে পারেন।
হাতিয়ার সামগ্রী উপরে তোলার জন্য কোমরে বেল্ট ব্যবহার করা শ্রেয়। তাতে হাতদুটো মইটি ধরে রাখার মত মুক্ত থাকে। অন্যথায় আপনি ঠিক জায়গায় অবস্থান নিয়ে প্রয়োজনীয় হাতিয়ার, পেইন্ট রশি দিয়ে বেঁধে উপরে টেনে নিন।
মই ব্যবহারের সবচাইতে বড় বিপদ হলো এর ব্যবহারকারীর মধ্যে ঝুঁকে পড়ে দূরের কোনো কিছু নাগাল পাওয়ার সাধারণ প্রবণতা চলে আসে। সে হয়তো ভাবে “মাত্রতো দু’তিন ইঞ্চির দুরত্ব, আমি পৌঁছাতে পারবো”। হ্যাঁ আপনি পৌঁছাবেন ঠিকই তবে কাঙ্খিত জায়গায় না হয়ে তা হবে মাটিতে, তাও এত দ্রুততার সঙ্গে যা আপনার কাছে মোটেও কাম্য হবেনা। সবচাইতে ভালো হয় উপরের এবং নীচের অংশে মইটা রশি দিয়ে বেঁধে নিন, বিশেষ করে বেশি উঁচু কাজে। কখনো উপর থেকে তৃতীয় পাদানীর উর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা একেবারেই করবেন না।
এলুমিনিয়াম এর মই চমৎকার বিদ্যুৎ পরিবাহী। অতএব, ওভার হেড তার এর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। সাধারণতঃ উঁচু ভোল্টের বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনে কিংবা তার আশেপাশে কাজের জন্য
স্থিতিশীলতা এবং সক্রিয়তা
এই সেকশনে তথ্য ঃ পদার্থগুলোর পারস্পরিক বিক্রিয়ার বিভিন্ন পথ আছে। এই সেকশনে বিপজজ্নক পদার্থ এবং পরিস্থিতিগুলো তালিকাভুক্ত করতে যখন সেগুলো এমএসডিএস-এ আলোচিত পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়। এতে থাকে রাসায়নিক পদার্থগুলোর পারস্পরিক অসঙ্গতি, সেগুলো এড়িযে চলার শর্ত, পণ্য পৃথকীকরণ এবং পণ্যের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে তথ্যাদি।
এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
আগে জানা থাকলে অধিক নিরাপদে ম্যাটিরিয়াল হ্যান্ডেল এবং ষ্টোর করা।
পরিবর্তিত তাপমাত্রায় পদার্থটির প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা যেতে পারে।
কন্টেইনার এবং তাকের জন্য উপুক্ত উপকরণ নির্বাচন করা।