by Mashiur | Nov 28, 2020 | বিদ্যুৎ
বিদ্যুৎ নিরাপত্তা নীতিমালা সমূহ
by Mashiur | Jul 19, 2019 | বিদ্যুৎ
বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র
ক) সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এর বৈধ অনুমতি ব্যাতীত বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র স্থাপন বা স্থাপিত উপকেন্দ্রে কোন ধরণের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না। ফফফফ
খ) উপকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদি সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের পরামর্শ বা নির্দেশাবলী
যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে স্থাপন করতে হবে।
গ) পল্লী বিদ্যুৎ বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আওতাধীন বিদ্যুৎ লাইনে কোন পরিবর্তন বা মেরামতসহ কোন প্রকার কাজ করা যাবে না। যদি কখনো কোন কারণে উক্ত বিদ্যুৎ লাইনে কোন পরিবর্তন বা মেরামতের প্রয়োজন অনুভূত হয় তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করতে হবে।
ঘ) বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র স্থাপিত সকল সরঞ্জামাদি যথাযথ মানসম্পন্ন হতে হবে। নিম্নমান সম্পন্ন বা ত্রুটিপূর্ণ কোন সরঞ্জাম বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে স্থাপন বা সংযোজন করা যাবে না।
ঙ) বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে অননুমোদিত কোন বস্তু বা দ্রব্য রাখা বা মজুদ করা যাবে
না।
চ) বৈদ্যুতিক উপকেনদ্র সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
ছ) জ্বালানী তেল বা কোন দাহ্য পদার্থ বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে বা এর চারপার্শ্বে বিপজ্জনক
এলাকার মধ্যে মজুদ করা যাবে না।
জ) বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে বা এর চারপার্শ্বে বিপজ্জনক এলাকার মধ্যে সকল প্রকার অননুমোদিত প্রবেশ সম্পূর্ণরূপপে নিষিদ্ধ।
জেনারেটর চালানোর নিয়ম
জেনারেটর চালানোর ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। জেনারেটর চালানোর ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগকে দায়িত্ব প্রদান করিয়াছেন। এক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ ইনচার্জ রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের জেনারেটর চালানোর সাথে সম্পৃক্তদেরকে এই পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করে থাকেন।
ক্স ইঞ্জিন চালু করার পদ্ধতি ঃ
১. চালু করার ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যাটারির চার্জ (ভোল্ট) ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
২. গ্যাস বাল্ব খুলে মিটার চেক করে দেখতে হবে মিটারের গ্যাস প্রেসার ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
৩. জরুরী সুইচ অন করে নিতে হবে।
৪. ইঞ্জিন চালু করার সুইচ ম্যানুয়্যালী অন করার মাধ্যমে জেনারেটর চালু করতে হবে।
ক্স ইঞ্জিন চালু করার পর করণীয় ঃ
১. ওয়াটার পাম্প চালু ও কুলিং টাওয়ার চালু করতে হবে।
২. সিনক্রোনাইজিং সুইচ অন করে লোড ব্রেকার সংযোগ করতে হবে।
৩. সাপ্লাই মেইন ব্রেকার সংযোগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে।
ক্স ইঞ্জিন বন্ধ করার পদ্ধতি ঃ
১. বন্ধ করার ক্ষেত্রে প্রথমে সংযোগ সার্কিট ব্রেকার ওপেন করতে হবে।
২. কমপক্ষে ৫(পাঁচ) মিনিট ইঞ্জিন নরমালি চালু রাখতে হবে।
৩. ইঞ্জিন চালু করার সুইচ অফ-এ দিয়ে জেনারেটর বন্ধ করতে হবে।
ক্স ইঞ্জিন বন্ধ করার পর করণীয় ঃ
১. ইঞ্জিন বন্ধ করার পর জরুরী সুইচ বন্ধ করতে হবে।
২. ওয়াটার পাম্প ও কুলিং টাওয়ারের সুইচ বন্ধ করতে হবে।
৩. গ্যাস বাল্ব বন্ধ করতে হবে।
by Mashiur | Jul 14, 2019 | বিদ্যুৎ
ইলেকট্রিক সেফটি কমিটি
একটি ১০০% রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা তথা কোন বৈদ্যতিক সমস্যার কারনে কোন অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে একটি সঠিক কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন এবং এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে সর্ম্পক ও স¤প্রীতি স্থাপনের এবং উন্নয়নের লক্ষে শিল্প সর্ম্পক অধ্যাদেশে অংশগ্রহন কমিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে । এ কমিটি উভয়পক্ষের অভিন্ন স্বার্থে বিভিন্ন সুপারিশ প্রনয়ন করে থাকে এবং মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টা করে থাকে । এই উদ্দেশ্যেই একটি অংশগ্রহনকারী ইলেকট্রিক সেফটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠনে আইনের নিম্নলিখিত নীতিমালা অনুসরন করেছে: ফফফফ
ইলেকট্রিক সেফটি এর কার্যক্রম
১) ইলেকট্রিক সেফটি কমিটির কাজ হইবে প্রধানত: প্রতিষ্ঠানের সকল
ঝুকিপুর্ণ স্থান নির্ধারণ করা ।
২) ত্রæটিপূর্ণ সকল শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস,
সমঝোতা এবং সহযোগীতা বৃদ্ধির
প্রচেষ্টা চালানো ;
খ) শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা ;
গ) শৃংখলাবোধে উৎসাহিত
করা, নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য রক্ষা এবং কাজের অবস্থার উন্নতি
বিধান ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা ;
ঘ) বৃত্তিমুলক প্রশিক্ষণ, শ্রমিক শিক্ষা এবং
পরিবার কল্যাণ প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করা ;
ঙ) শ্রমিক এবং তাহাদের পরিবারবর্গের প্রয়োজনীয় কল্যানমুলক ব্যবস্থা
সমূহের উন্নয়নের লক্ষ্যে
ব্যবস্থা গ্রহন করা ; এবং
চ) উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি,
উৎপাদন খরচ হ্রাস করা এবং অপচয়
রোধ করা এবং উৎপাদিত দ্রব্যের মান উন্নত করা।
২) কোন ইউনিট অংশগ্রহনকারী কমিটি মুল অংশগ্রহনকারী কমিটির তত্বাবধানে উলিখিত কার্যাবলী, যতদুর সম্ভব, সম্পাদন করিবে।
অংশগ্রহণকারী কমিটিএর গঠন ঃ
ক) মালিক ও শ্রমিকগনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে অংশগ্রহণকারী কমিটি
গঠিত হবে ।
খ) উক্ত কমিটিতে শ্রমিকগনের প্রতিনিধির সংখ্যা মালিকের প্রতিনিধির
সংখ্যার কম হইবে না ।
গ) যেহেতু প্রতিষ্ঠানে কোন ট্রেড ইউনিয়ন নাই, সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকারী কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধিগন
উহাতে কর্মরত শ্রমিকগনের মধ্য হইতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় মনোনীত হইবেন ।
ঘ) অংশগ্রহনকারী কমিটির সদস্য সংখ্যা ৬-এর কম এবং ৩০-এর বেশী
হবে না।
অংশগ্রহণ পরিষদে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার প্রার্থীর যোগ্যতা
যেকোন শ্রমিক, যার বয়স ২৪ বছরের কম নয় এবং প্রতিষ্ঠানের চাকরি এক বছরের কম নয় তিনি অংশ- গ্রহন পরিষদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অনুষ্ঠিতব্য গোপন ব্যালটে নির্বাচন প্রার্থী হতে পারেন ।
by Mashiur | Jun 28, 2019 | বিদ্যুৎ
বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা
বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা – বিদ্যুৎ অতি মূল্যবান সম্পদ । আমাদের দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশী । প্রয়োজনমত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায়, প্রায় সময়েই বিদ্যুতের ঘাটতি জনিত কারনে নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় এবং শিল্পের ক্রমবিকাশে অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় । অপচয় রোধ কল্পে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠনকে এগিয়ে আসতে হবে । দূর্যোগ যেভাবেই আসুক না কেন মালিক/শ্রমিকদের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করাই নি¤েœাক্ত কমিটির কাজ এবং প্রতি দুই মাস অন্তর উক্ত বিষয়ে একটি সাধারন সভা অনুষ্টিত হবে তবে জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময় সভাপতি সভার আয়োজন করতে পারে। …
আমাদের বিদ্যুৎতের উৎসগুলো হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ ও জেনারেটর। অন্যদিকে বিদ্যুতের ব্যয় হচ্ছে – বৈদ্যুতিক বাতি, সেলাই মেশিন, বৈদ্যুতিক পাখা, বয়লার, আয়রন, কমপ্রেসার, পিএ সিস্টেম(মাইক), প্রিন্টিং মেশিন, নীটিং মেশিন, এবং সকল প্রকার কম্পিউটারে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে । ———————- লিঃ বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা বাস্তবায়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে । নি¤েœ তা আলোচনা করা হইল ।
- বিদ্যুৎ সংরক্ষন করতে কারখানার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জামাদী ব্যবহার করা যায় যেমনঃ এনার্জী সেভিং বাল্ব, ব্যালেষ্ট ইত্যাদি । এতে কম বিদ্যুতে বেশী আলো পাওয়া যায় । দূর্যোগ ভয়াবহতা যদি তীব্র হয় এবং যদি এমন আশংকা থাকে যে, দূর্যোগে জান মাল মেশিন ও অন্যান্য দ্রব্যাদির ক্ষতি হবে তাহলে কারখানা বন্ধ ঘোষনা করতে হবে।
- ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রকার দ্রব্যাদি যেমন- কাপড়, তৈরী পোষাক, মেশিন, মেশিনের অংশ অথবা অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্যাদি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেকটি সেকশনে আলাদা আলাদা ডিষ্ট্রিবিশউন বোর্ড লাগানো হয়েছে, যখন প্রয়োজন হবে তখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে, যখন প্রয়োজন হবে না তখন বন্ধ করে রাখতে পারবে এভাবে কারখানার বিদ্যুৎ সংরক্ষিত করা যায় ।
- প্রয়োজন হলে সাহায্য সহযোগীতার জন্য সরকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
- দূর্গত শ্রমিক কর্মচারীদের পূর্নবাসনের জন্য সহজ শর্তে লোন দিয়ে অথবা অগ্রীম বেতন দিয়ে অথবা অন্য কোন ভাবে সাহায্য করা গেলে অবশ্যই তাদের সাহায্য করতে হবে।
- প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় ছোটখাট চুরি এবং বৃহৎ চুরির আশংকা খুব বেশী থাকে তাই এ সময় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সকল সিকিউরিটি পয়েন্টে ইমারজেন্সি লাইট এবং তদারকির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- দূর্যোগ শেষ হওয়া মাত্রই কারখানা পূনরায় সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
- শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হবে এবং তাদের গন্তব্যে নিরাপদে পৌছিয়ে দেয়া নিশ্চিত করা হবে। দুপুরের খাবার বিরতীসহ যে কোন ছুটির পর কারখানার সমস্ত শাখায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। যার ফলেও বিদ্যুৎ সংরক্ষিত হয় ।
- প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কোন বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করা হয় না যেমন ঃ আলোক সজ্জা, সৌন্দর্য্য বর্ধনে অথবা কোন জায়গা তাপ বৃদ্ধিকরন ইত্যাদি ।
- দূর্যোগে পতিত শ্রমিক কর্মচারীদের দ্রæত উদ্ধার করে আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে এবং গুরুতর আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
- প্রয়োজনে বিদ্যুতিক সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হবে। যে সকল জায়গায় সূর্যের আলোয় কাজ চালানো যায় সে সকল জায়গায় বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার না করে সূর্যের আলোয় কাজ চালিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় কার যায় ।
সংক্ষেপ বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা
বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা যে কোন ধরনের দূর্যোগ যেমন বন্যা, সাইক্লোন, ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড, বর্জপাত, মহামারি অথবা উত্তেজিত জনতার আগমন যা কারখানার ভেতরে অথবা বাইরে সংগঠিত হয়ে কারখানা এবং শ্রমিকের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে, তা মোকাবেলা করার জন্য নি¤œলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। সার্বিক ভাবে সকলে মিলে বৈদ্যুতিক সাশ্রয় মোকাবেলায় একযোগে কাজ করে দেশ তথা কোম্পানির সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর ।
by Mashiur | Dec 22, 2018 | বিদ্যুৎ
পেনেল বোর্ড অপারেটিং
কিভাবে পেনেল বোর্ড অপারেটিং করতে হয়- অগ্নি নির্বাপক দলের সদস্য, সুপারভাইজার, কিংবা দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ দূর্ঘটনা সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার পর এই সংকেত বাজাবেন। পেনেল বোর্ড অফ করতে হলে প্রথমে প্যানেল বোর্ড বক্স এর ঢাকনা খুলতে হবে; ভিতরে দুইটি বার ভোল্ট এর ডিসি (ডাইরেক্ট কারেন্ট) ব্যাটারি রয়েছে। ব্যাটারির উপরে সার্কিট ব্রেকার রয়েছে তা অফ করে ; এসি (অল্টারনেটিভ কারেন্ট) পাওয়ার সাপ্লাই এর উপরে সার্কিট ব্রেকার রয়েছে তা অফ করে দিতে …
প্রথমে জরুরী মুহুর্তে ফায়ার এলার্ম সুইচ লিখিত লাল বক্্রটির অৎৎড়ি চিহ্নিত গ্লাসটিতে চাপ দিন। শুধুমাত্র অগ্নি দূর্ঘটনা কিংবা এরুপ প্রয়োজনে এই সংকেত বাজানো যাবে। প্যানেল বোর্ড অন করতে হলে প্রথমে প্যানেল বোর্ড বক্স এর ঢাকনা খুলতে হবে; এসি (অল্টারনেটিভ কারেন্ট) পাওয়ার সাপ্লাই এর উপরে সার্কিট ব্রেকার রয়েছে তা অন করে দিতে হবে। ভিতরে দুইটি বার ভোল্ট এর ডিসি (ডাইরেক্ট কারেন্ট) ব্যাটারি রয়েছে, ব্যাটারির উপরে সার্কিট ব্রেকার রয়েছে তা অন করে দিতে হবে।
প্যানেল বোর্ড ডিসপ্লে ফাংশন বাটন ব্যবহার করার নিয়মাবলি-
- বহর্গিমনরেপথ সকল সময় বাধামুক্ত রাখতে হবে এবং চলাচলরে পথ বাঁধাগ্রস্ত রাখা যাবে না।এই সংকেতের অপব্যবহার/অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ।। ম্যানুয়াল কল পয়েন্ট এ সমস্যা হলে ডিসপ্লেলতে এম সি পি দেখাবে।
- ডিটেক্টর সিস্টেমে সমস্যা দেখালে ডিসপ্লেলতে এটোম দেখাবে।
- সিস্টেম অন / ফল্ট ঃ প্যানেল বোর্ড এর পাওয়ার সাপ্লাই এবং ফাংশন এর মাঝে কোন প্রকার সমস্যা না থাকলে অন এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলবে এবং কোন প্রকার সমস্যা থাকলে ফল্ট এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলবে ।
- মোর এলার্ম ঃ অনেক গুলো এলার্ম প্যানেল বোর্ড ডিসপ্লেতে রয়ে গেলে মোর এলার্ম এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলবে।
- রিমোট এলার্ম ঃ কোন রিমোট ট্রান্সমিটার না থাকার কারণে রিমোট এলার্ম ফল্ট এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ¡েল; যদি রিমোট ট্রান্সমিটার থাকতো তাহলে একটিভ থাকতো ফলে রিমোট এলার্ম ফল্ট এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলতো না।
- এলার্ম ডিভাইস ঃ দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ প্রতি মাসে একবার এই সংকেতের কার্যকারিতা পরীক্ষা করবেন।যখন এলার্ম আসে বা প্রি এলার্ম আসে তখন একটিভ এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলবে; এলার্ম বন্ধ করে দিলে ফল্ট এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলবে।
- কনট্রোল ফাংশন ঃ কোন ক্যাবল কান্কেশন মিসিং হলে এবং প্যানেল বোর্ড এর অন্য কোথাও ম্যাজর প্রবলেম দেখা দিলে ফল্ট এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলবে।
- ফল্ট ঃ কিছু সংখ্যক এলার্ম ডিসপ্লেতে রয়ে গেলে ফল্ট এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলতে থাকবে।
- আইসোলেশন ঃ কোন ডিভাইস অটো কনফিগারেশন নিলে, এডযাস্ট না হলে, হেং করলে, ক্যাবল লাইন মিসিং থাকলে আইসোলেশন এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলতে থাকবে।
- ডিটেক্টর টেস্ট ঃ কোন ডিটেকটর টেস্ট করলে ডিটেক্টর টেস্ট এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলতে থাকবে।
- সাইলেন্স বাজার ঃ যখন এলার্ম আসে তখন প্যানেল বোর্ড এর ভিতরের স্পিকার বাজে, যদি এলার্ম বন্ধ করে দিলেও প্যানেল বোর্ড এর ভিতরের স্পিকার বন্ধ না হয়, তা হলে সাইলেন্স বাজার বাটনে ক্লিক করতে হবে। প্রশক্ষিণরে মাধমে র্কমীদরে সচতেন করা।
- এ্যক্নোলেজ ঃ জরুরী অবস্থার জন্য সকল ধোঁয়া সনাক্তকারী যন্ত্র সক্রয়ি রাখার ব্যবস্থা করা।এলার্ম বন্ধ করার জন্য এ্যক্নোলেজ বাটনে ক্লিক করতে হয়।
- পেনেল বোর্ড এর সাথেই যে বক্স এরনাম ইনক্লুজার বক্সযার মাঝে রয়েছে ৮টি পাওয়ার সাপ্লাই। যা ভি ই এস ডি এ সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রন করে।
- রিস্টে ঃ প্যানেল বোর্ড ডিসপ্লেতে এলার্ম রয়ে গেলে তা দেখে সমস্যা সমাধান করে রিস্টে বাটনে ক্লিক করলে প্যানেল বোর্ড নর্মাল পজিস্নে ফিরে আসবে।
- এলার্ম ডিলে অফ ঃ কতটা সময় পরে ফায়ার এলার্ম বাজবে তা নির্ধারন করে দেওয়া যায় এলার্ম ডিলে অফ বাটন এর মাধ্যমে।
- প্রিমিস্সে ম্যানেড ঃ কোন ডিভাইস রিমুভ করলে বা সিফ্ট করলে প্রিমিস্সে ম্যানেড এল ই ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) জ্বলবে।
- মেশিনের মোটর অতিরিক্ত গরম হচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখা এবং মোটর গরম হলে তা বন্ধ করা। প্যানেল বোর্ড ডিসপ্লেতে এলার্ম হলে যে স্গিনাল আসে এবং তা বিস্তারিত দেখা যায় এই সিস্টেমটি ফাংশন অফ দ্যা মেইন এ টপোলজি ফাংশন থেকে ইন্সটল করা যার দরূণ ডিসপ্লেতে ইন্ডিভিজুয়াল জোন্ ডিভাইস, এরিয়া, মডেল নং,লুপ নং ইত্যাদি।
- প্যানেল বোর্ড এ মোট ৩,০০,০০০ (তিন লাখ) হিস্ট্রি জমা থাকবে।
- জরুরী অবস্থার জন্য সকল আইলস র্মাক বাধামুক্ত রাখা ও নরিাপদ বহর্গিমনরে পথ নশ্চিতি করা।Auto এক্সেসরিজ লিঃ প্যানেল বোর্ড এর ডিটেকশন সিস্টেম এড্রেসেবল। তাই প্রতিটি ডিটেকটর আলাদা আলাদা ভাবে সিগনাল প্রদান করে।
- ভিম ডিটেকটর সেট করতে হয় ৩০ফিট উপরে; কিন্তু একোর্ড ও এলায়েন্স এর মতে ২০ফিট উপরে সেট করতে হয়।
- ভিম ডিটেকটর – এর কাজ হল এর ডিসপ্লের মাঝে কোন প্রকার ছায়া পড়লে ভিম ডিটেকটর সিগনাল প্রদান করবে।
- জরুরী অবস্থার জন্য সকল সঁিড়ি ও বহর্গিমন পথ বাধামুক্ত রাখা ও নরিাপদ বহর্গিমনরে পথ নশ্চিতি করা।
প্যানেল বোর্ড থেকে ডিটেকটর সিস্টেম ৩ ফিট্ দূরত্তে সেট করতে হয়।
- ডিটেকটর বেসিস সেট করতে হয় সিলিংয়ে;এর কানেকশন ব্যতিত কোন ডিটেকটর একটিভ হবে না।
- জরুরী অবস্থার জন্য সকল জরুরী আলো, ফগ লাইট, আই পি এস সক্রয়ি ও র্পযাপ্ত সরবরাহরে ব্যবস্থা নশ্চিতি করা। হিট ডিটেকটর -এর কাজ হল- তাপমাত্রা ৫৭ডিগি সে. ওভার করলে সিগ্যনাল প্রদান করবে।এর সেন্িসটিভিটি ৩.২৫ পার সে. এবং তাপমাত্রা ৫৭ডিগ্রি সে.কিন্তু একোর্ড এর মতে ৬০ ডিগ্রি সে.।
- জরুরী অবস্থার জন্য সকল ফায়ার এক্সটংিগুইশার সক্রয়ি ও র্পযাপ্ত এক্সটংিগুইশার সরবরাহরে ব্যবস্থা নশ্চিতি করা।হিট এবং মাল্টি সেন্সর ডিটেকটরের ক্ষেত্রে রেইট অফ রাইস্ কাজ করে। এখানে রেইট অফ রাইস্ হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে কত পার সে. কাজ করছে।
- স্মোক ডিটেকটর – এর কাজ হল- ধোঁয়া সনাক্ত করা।
- ভি ই এস ডি এ – ভেরি আরলি সিগ্যনাল ডিটেকশন সিস্টেম
- জরুরী অবস্থার জন্য সকল ফায়ার হােজ রলি ও পাইপ সক্রয়ি ও র্পযাপ্ত পানি সরবরাহরে ব্যবস্থা নশ্চিতি ।ভি ই এস ডি এ – হল একটি – কনভেনশনাল ঝুন মানে সে একাই সমস্যা হলে সিগ্যনাল প্রদান করতে পারে। তবে এইটা মডুয়াল এর মাধ্যমে ইনপুট সিগ্যনাল মানে এলার্ম দিবে কারণ মডিউল ছারা সে এলার্ম দিতে পারে না।
by Mashiur | Nov 16, 2018 | বিদ্যুৎ
বিদ্যুতের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা
বিদ্যুতের গুরুত্ব – কারখানার দুর্যোগকালীণ সময়ে ব্যক্তি ও বস্তু (গধহ ধহফ গধঃবৎরধষ) এর যথা সম্ভব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি পূর্ব পরিকল্পনা এবং দুর্যোগকালীন সময়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পূর্ব নির্ধারিত পলিসি অনুযায়ী কাজ করা জরুরী। কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার বিধি,অপচয়রোধ ও সাবধানতা বিষয়ক প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয় । প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষন প্রদান করেন কোম্পানির ইলেকট্রিক ইনচার্জ জনাব মোঃ তারা মিয়া। আর ও উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক ও ওয়েলফেয়ার অফিসার বৃন্দ। …
প্রশিক্ষনের আলোচ্যসূচীঃ–
- বিদ্যুতের গুরুত্ব।
- শর্টসার্কিট হলে কি পদক্ষেপ নিতে হবে ।
- কিভাবে বিদ্যুতের অপচয়রোধ করা যায় ?
আলোচনার উদ্দেশ্যঃ
- প্রশিক্ষনার্থীগন বিদ্যুতের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন এবং সে সম্পর্কে অপরকে জানাতে পারবেন ।
- প্রশিক্ষনার্থীগন কোন কোন অবস্থায় কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন সে বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারবেন ।
- কি কি সাবধানতা অবলম্বন করলে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা সম্ভব সে সব বিষয়ে ধারনা লাভ করবেন ।
বিস্তারিত আলোচনাঃ–
বিদ্যুৎ শিল্পের প্রাণ স্বরুপ। বিদ্যুৎ ছাড়া শিল্প বিকল,বিদ্যুৎ সমস্যা শিল্প কারখানায় উৎপাদনে প্রধান অন্তরায় যা আমরা সবাই কম বেশী অবগত । আমাদের শিল্পকারখানায় বেশীরভাগ দুর্ঘটনা বিদ্যুতের কারনে হয়ে থাকে । অতএব, বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করতে হবে ।
প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা ঃ
১.সুইচ বোর্ড, সংযোগ স্থলে কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত রক্ষনাবেক্ষন বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনাজনিত দূর্যোগ প্রতিরোধকারী দলে ইলেক্ট্রিশিয়ান কর্তৃক একটি টীম গঠন করতে হবে, যারা যেকোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষনিক বিদ্যুতের মূল সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দিবেন।
২.কারখানার ইলেক্ট্রিক্যাল দূর্ঘটনা জনিত বির্পযয়কালীন সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে ইলেক্ট্রিশিয়ান কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে মেইনটেন্যান্স ম্যানেজারগন প্রধান ভুমিকা পালন করবেন।
মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে ।
৩. দূর্ঘটনা সংবাদ দ্রæত কারখানার মেডিকেল ইউনিটে জানাতে হবে এবং মেডিকেল অফিসার তাৎক্ষনিক দূর্ঘটনায় পতিত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
যদি কোন কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাহায্য গ্রহন করতে হবে। বিপদ সংকেত দেয়া স্থানে স্পর্শ না করা ।
৪.বিদ্যুৎ এর কাজ করার সময় রাবার ম্যাট, গ্লভস্ ও নিরাপত্তা মাকস্ ব্যবহার করা ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার অপচয় রোধ ঃ
০১.যেখানে যতটুকু বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন ঠিক ততটুকু ব্যবহার করতে হবে। অপ্রয়োজনে বাতি, ফ্যান বা এসি চালু /খোলা রাখা যাবে না ।
০২.কখন ও মেশিনের সুইচ অন করে মেশিন ত্যাগ করা যাবে না । মেশিন থেকে উঠে গেলে অবশ্যই মেশিনের বিদ্যুৎ কানেকশন অফ করে দিতে হবে ।
০৩. ছুটির পরে বা আহার বিরতির সময় অবশ্যই কর্মস্থলের বাতি, ফ্যান অফ করে দিতে হবে যাতে অযথা বিদ্যুৎ অপব্যয় না হয় ।
পুরো অধিবেশনের আলোচনা শেষে এইচ আর অফিসার সকল প্রশিক্ষনার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশিক্ষনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
প্রশিক্ষনশালায় অংশগ্রহনকারী সকল শ্রমিকের নাম, পদবী, সেকশন ,কার্ড নং ও স্বাক্ষর সংযুক্ত করা
সারসংক্ষেপ
বিদ্যুতের গুরুত্ব দূর্যোগকালীন অবস্থা মোকাবেলার জন্য একটি লিখিত পরিকল্পনা থাকতে হবে যা যথাযথ ভাবে পালনের জন্য সকলেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের যে কোন দূর্যোগ বিদ্যুতের গুরুত্বমোকাবেলার জন্য একটি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে যার সদস্যগণ দূর্যোগকালীণ অবস্থা মোকাবেলার জন্য যথাযথ এবং কার্যকরী ভুমিকা পালন করবে। প্রয়োজনে স্থানীয় জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করবে।