Select Page

মাতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা

অত্র কোম্পানীতে কর্মরত মহিলাগণ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালেন আইনের চতুর্থ অধ্যায় এর ৪৫-৪৯ ধারা অনুযায়ী নিুলিখিত শর্তসাপেক্ষে ১৬ সপ্তাহের (৮ সপ্তাহ প্রসবের পূর্বে ও ৮ সপ্তাহ প্রসবের পরে) মাতৃকালীন ছুটি ভোগ করবেন।

  • প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্বে কোম্পানীতে একটানা কমপক্ষে ৬ (ছয়) মাস চাকরি করতে হবে। প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্বে যে সকল মহিলার কোম্পানীতে একটানা ৬ (ছয়) মাস চাকরি সম্পন্ন হবেনা এবং যে সমস্ত মহিলার সন্তান প্রসবের সময় তার দুই বা ততোদিক সন্তান জীবিত থাকে,তারা মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগের অধিকারী হবেন না। তবে এক্ষেত্রে তিনি কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হলে তা পাবেন।
  • মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানোর  জন্য বাচ্চা জন্ম হবে/হয়েছে এই মর্মে ডাক্তারের সুপারিশকৃত সনদপত্র প্রদান করতে হবে।

মাতৃকালীন সুবিধা পাওয়ার অধিকারীনিকে নিুরূপ বর্ণিত তাঁর ইচ্ছানুযায়ী যে কোন একভাবে মাতৃকল্যাণ ভাতাদি পরিশোধ করা হবে।

  • ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে এই মর্মে একজন চিকিৎসক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র পেশ করার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রসবের পূর্বের ৮ (আট) সপ্তাহের পাওনা পরিশোধ করা হবে। প্রসবের পরবর্তী ৮ সপ্তাহের পাওনা সন্তান প্রসবের প্রত্যয়নপত্র পেশ করার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
  • প্রসবের দিনসহ প্রসবের দিন পর্যন্ত মেয়াদের জন্য (প্রথম ৮ সপ্তাহ) সন্তান প্রসবের প্রত্যয়নপত্র পেশ করার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করা হবে। সন্তান জন্মের পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের বাকী পাওনা পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
  • উপরোক্ত ১৬ (ষোল) সপ্তাহের (পূর্ণ মজুরী) সম্পূর্ণ মেয়াদের জন্য, তিনি যে সন্তান প্রসব করেছেন এ মর্মে প্রমাণ পত্র পেশ করার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
  • এ ছাড়া আইনে বর্ণিত অন্যসব শর্তসমূহও সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে।

মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাওয়ার পদ্ধতি

অত্র কো¤পানীর সকল প্রসূতিদের “বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬” সালের আইনের চতুর্থ অধ্যায় এর ৪৫-৪৯ ধারা অনুযায়ী মাতৃকল্যাণ সুবিধাসমূহ সুষ্ঠু ও সঠিক সময়ে প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিুেলিখিত নীতিমালা প্রনয়ণ করা হলোঃ-

  1. কো¤পানীতে কর্মরত মহিলাগণ সন্তান সম্ভবা হলে অবশ্য কো¤পানীর মেডিকেল সেকশনের ডাক্তারের নিকট রিপোর্ট করবেন এবং ডাক্তারের উপদেশ মেনে চলবেন।
  2. ডাক্তার যখন কোন গর্ভবতী মহিলার সন্তান প্রসবের তারিখসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি যাওয়ার জন্য নির্দেশ/উপদেশ সনদপত্র প্রদান করবেন, তাৎক্ষনাৎ উক্ত গর্ভবতী মহিলা মাতৃকালিন সুবিধা পাওয়ার জন্য মানব সম্পদ বিভাগের কল্যাণ কর্মকর্তার নিকট রিপোর্ট করবেন।
  3. কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র পরীক্ষা করে মাতৃকালিন সুবিধা সমূহ পাওয়ার জন্য তাৎক্ষনিক কো¤পানির নির্ধারিত ফরম (মার্তৃকালিন সুবিধা পাওয়ার আবেদন পত্র) পুরণ এবং শ্রমিকের স্বাক্ষর/টিপসই স¤পন্ন করে মাতৃকল্যান ছুটি আরম্ভ হবার পূর্বেই যে কোন নির্দিষ্ট কর্মদিবসে অফিস সময়ের মধ্যে ১৬ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতার প্রথম ৮ সপ্তাহের ভাতা প্রদান নিশ্চিত করবেন এবং পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভাতা প্রদানের নিয়মাবলী জানিয়ে দিবেন।
  4. পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভাতা পাওয়ার জন্য সন্তান প্রসবের পর ডাক্তার কর্তৃক সন্তান প্রসবের সনদপত্র কো¤পানীর মানব সম্পদ বিভাগে কল্যাণ কর্মকর্তার নিকট জমা দিবেন। কল্যাণ কর্মকর্তা পরবর্তী ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে অফিস সময়ের ভিতর একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাতৃকল্যাণ ভাতার দ্বিতীয় কিস্তি (দ্বিতীয় ৮ সপ্তাহের ভাতা) প্রদান নিশ্চিত করবেন।
  5. যদি কেহ কোন অনিবার্য কারণবশত মার্তৃকালিন ছুটি যাওয়ার পূর্বে প্রথম ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা না নিয়ে যান, সেক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের ডাক্তারী সনদপত্র মানব সম্পদ বিভাগে কল্যাণ কর্মকর্তাকে জমা দিলে তিনি স¤পূর্র্ণ ১৬ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রদান নিশ্চিত করবেন ।

মাতৃকালিন সুবিধা পাওয়ার পদ্ধতি

অত্র কারখানায় কর্মরত যে সমস্ত মহিলা কর্মীগন মাতৃকালিন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের মাতৃকালিন সুবিধা প্রদানের জন্য নিুেলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে ঃ-

  • যখন কোন মহিলা কর্মী নিজেকে গর্ভবতী বলে ধারনা করবে তৎক্ষনাৎ সে সরাসরি কারখানার মেডিকেল অফিসারের নিকট রিপোর্ট করবে।
  • মেডিকেল অফিসার তাকে পরীক্ষা করে গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত করবেন এবং তার চিকিৎসার রেকর্ড রাখবেন। মেডিকেল অফিসার তাকে স্বাস্থ্যগত এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মেডিকেল চেকের জন্য উপদেশ দিবেন।
  • মেডিকেল অফিসার কারখানার সকল গর্ভবতী মহিলাদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পরীক্ষা করণ নিশ্চিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের ১০ সপ্তাহ পূর্বে মেডিকেল অফিসার মাতৃকালিন চিকিৎসার ডকুমেন্ট সমূহের এক কপি মানব সম্পদ বিভাগে কল্যাণ কর্মকর্তা/ কমপ্লায়েন্স অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন, যাতে তিনি প্রথম ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
  • পরবর্তীতে কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে মাতৃত্বকালীন ছুটি যাওয়ার পূর্বে প্রথম ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা প্রদান নিশ্চিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের ৯ সপ্তাহ পূর্বে মেডিকেল অফিসার গর্ভবতী মহিলাকে ডেকে তার মাতৃকালিন সুবিধা ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে কো¤পানির নির্ধারিত ফরম (মার্তৃকালীন ভাতা পাওয়ার আবেদন) পুরণ নিশ্চিত করবেন। যদি সে লিখতে না পারে সেক্ষেত্রে তাকে মেডিকেল অফিসার/নার্স ফরম পুরণে সহযোগিতা করা পূর্বক তার স্বাক্ষর/টিপসই নিশ্চিত করবেন এবং পুরণকৃত ফরম তাৎক্ষণিকভাবে কল্যাণ অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন।
  • কল্যাণ অফিসার পুরণকৃত ফরম পাওয়ার সাথে সাথে তার নাম কো¤পানীর ম্যাটারনিটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। ৩ (তিন) ধরনের মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের নিয়ম জানাবেন এবং তার পছন্দানুযায়ী হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে মাতৃকালিন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
  • অতঃপর কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে ফরম পাওয়ার পর হতে ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে মাতৃকালীন ভাতা প্রদান নিশ্চিত করবেন।
  • সর্বশেষে কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার নিশ্চিত করবেন যে, সে মাতৃকালিন ছুটি যাওয়ার পূর্বে তার পছন্দানুযায়ী নিয়মে মাতৃকালিন ভাতা গ্রহন পূর্বক ছুটিতে গমন করছেন।
  • মাতৃকালিন ছুটিতে যাওয়ার পূর্বে কল্যাণ অফিসার তাকে সন্তান প্রসবের পর পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভাতা পাওয়ার জন্য করণীয় বিষয় স¤পর্কে অবহিত করবেন।
  • সন্তান প্রসবের পর সংশ্লিষ্ট কর্মী কারখানার মেডিকেল অফিসারের নিকট সন্তান প্রসবের সনদপত্র প্রদান করবে। মেডিকেল অফিসার সনদপত্রের এক কপি কল্যাণ অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন।
  • কল্যাণ/কমপ্লায়েন্স অফিসার সর্বদা মাতৃকালিন ছুটি ভোগরত কর্মীদের রিপোর্টিং তারিখ সমূহের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন এবং যখনই সন্তান প্রসবের কোন সনদপত্র হাতে পাবে তাৎক্ষনিকভাবে হিসাব শাখার সাথে সমন্বয় করে বাকী ৮ সপ্তাহের মাতৃকালিন ভাতা ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে প্রদান করা নিশ্চিত করবেন ।