by Mashiur | Dec 7, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
ছুটি সংক্রান্ত নিয়মাবলী
১। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিল্প কারখানায় যেরুপ ছুটি প্রদানের বিধান/নিয়ম রয়েছে গ্র“পের আওতাধীন সকল কারখানায়ও সেই রূপ ছুটি প্রদানের নিয়ম-নীতি প্রচলিত আছে। শ্রমিকগণ যেসব ধরণের ছুটি/সুবিধা ভোগ করতে পারবে তা নিুরূপ ঃ
ক) মজুরী সহ বার্ষিক ছুটি
খ) পর্ব ছুুটি
গ) নৈমিত্তিক ছুটি
ঘ) অসুস্থতা জনিত ছুটি
ঙ) মাতৃকালীন ছুটি
চ) স্বল্পকালীন ছুটি
ছ) ক্ষতিপূরণ মূলক সাপ্তাহিক ছুটি।
২। মজুরীসহ বার্ষিক ছুটি ঃ যে সকল শ্রমিক কারখানায় একটানা ০১ বছর চাকুরীর মেয়াদ পূর্ণ করে তারা পরবর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে নিুোক্ত হারে মজুরী সহ বার্ষিক ছূটি ভোগ করতে পারবে ঃ
ক) প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক হলে পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে প্রতি ১৮ কর্ম দিবসের জন্য ১ দিন।
খ) কিশোর শ্রমিক হলে পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে প্রতি ১৫ কর্ম দিবসের জন্য একদিন। অনুরূপ মেয়াদের মধ্যে যে অবকাশ বা ছুটি থাকবে তা আলোচ্য ছুটির অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে যদি কোন শ্রমিক এ ছুটি আংশিক বা সম্পুর্ণ ভোগ না করে তবে তাহা পরবর্তী বৎসরের পাওনা ছুটির সঙ্গে যোগ হবে। শর্ত হচ্ছে যে, প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ৪০ দিন এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৬০ দিন পর্যন্ত ছুটি জমা থাকতে পারে। উলে¬খিত পরিমান ছুটির পর যদি সংশি¬ষ্ট শ্রমিক আরও ছুটি পাওনা থাকে তাহলে তার মওজুদ ছুটির সাথে যুক্ত হবে না।
৩। পর্ব ছুটি ঃ
ক) প্রত্যেক শ্রমিককে বছরে ১১ (এগার) দিন পর্ব উপলক্ষে মজুরী সহ ছুটির দিন মঞ্জুর করতে হবে। অনুরূপ পর্বের দিন ও তারিখ কারখানা মালিক নির্ধারণ করবে।
খ) পর্ব উপলক্ষে যে কোন ছুটির দিনে শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে তবে এর বিনিময়ে ১০৩ ধারা অনুসারে তাকে ক্ষতিপূরণ মূলক ২ (দুই) দিনের মজুরী এবং একটি বিকল্প ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। নৈমিত্তিক ছুটি ঃ কোন শ্রমিকের হঠাৎ ছুটির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এ ধরনের ছুটি মঞ্জুর করা হয়ে থাকে। এ ধরনের ছুটির পরিমান পূর্ণ পঞ্জিকা বর্ষে ১০ দিন। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে এর অধিক ছুটি শ্রমিককে মঞ্জুর করে থাকে। নৈমিত্তিক ছুটির জন্য শ্রমিকরা পূর্ণহারে বেতন পেয়ে থাকে। এখানে উলে¬খ্য যে, বার্ষিক ছুটি বা অর্জিত ছুটির ন্যায় নৈমিত্তিক ছুটি বছর শেষে শ্রমিকের হিসাবে জমা থাকবে না। বছর শেষে অভোগকৃত ছুটি (যদি থাকে) আপনা-আপনি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
৫। অসুস্থ্যতা জনিত ছুটি ঃ কোন শ্রমিক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ মতো যে ছুটি মঞ্জুর করা হয়ে থাকে তা অসুস্থ্যতা জনিত ছুটি হিসেবে গণ্য হয়। এ ছুটির পরিমাণ বৎসরে পূর্ণ মজুরীতে ১৪ দিন। অসুস্থ্যতা জনিত ছুটি বছর শেষে অভোগকৃত অবস্থায় থাকলে তা আপনা আপনি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
৬। মাতৃত্বকালীন ছুটি নীতিমালাঃ কোন মহিলা শ্রমিক গর্ভবতী হলে তার সন্তান প্রসবের জন্য মোট ১৬ (ষোল) সপ্তাহ প্রসূতি কালীন ছুটি বা মাতৃত্ব কালীন ছুটি প্রাপ্য হবে। ছুটি মঞ্জুরীর ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের পূর্বে ৮ (আট) সপ্তাহ এবং প্রসবের পরে ৮ (আট) সপ্তাহ মোট ১৬ (ষোল) সপ্তাহ ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। তবে প্রথম আট সপ্তাহের ছুটি ভোগের পূর্বে তাকে অগ্রীম বেতন প্রদান করা হয়। কারখানার ডাক্তারের প্রত্যয়নপত্র সাপেক্ষে পরবর্তী আট সপ্তাহ বেতন প্রদান করা হয়। মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাওয়ার শর্ত হচ্ছে যে, মহিলা শ্রমিক প্রসবের দিনের আগে অন্তঃত ৬ (ছয়) মাস সংশি¬ষ্ট কারখানায় একটানা চাকুরী করতে হবে। যে সকল মহিলা শ্রমিকের চাকুরী মেয়াদ ৬ (ছয়) মাসের চেয়ে কম তারা মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করতে পারে কিন্তু এ জন্য কোন বেতন বা ভাতা পায় না। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে সংশি¬ষ্ট শ্রমিক ছুটিতে গমনের পূর্বে যে পদে বা মজুরীতে কাজ করতেন সে পদে বা মজুরীতে কাজে যোগদান করতে পারবেন। উক্ত মহিলা শ্রমিকের ২টি সন্তান জীবিত থাকলে তিনি কোন ভাতা পাবেন না। এক্ষেত্রে তিনি কোন ছুটি পাওয়ার অধিকারী হলে তা পাবেন।
৭। ক্ষতিপূরণ মূলক সাপ্তাহিক ছুটি ঃ সাধারণ কর্ম সময় হচ্ছে দৈনিক ৮ ঘন্টা। প্রতি সাপ্তাহে ৬ দিন কাজ করার পর প্রতিটি শ্রমিক একদিন সাপ্তাহিক ছুটি বা বিশ্রাম পায়। কোন ছুটি বা বিশ্রামের দিনে কোন বিশেষ কারণে যদি কোন শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানো হয় তবে বিষয়টি পূর্বেই অবহিত করা হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কোন শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানো হলে যথা শ্রীঘ্র সম্ভব তাদেরকে ক্ষতিপূরণ মূলক সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা হয়ে থাকে।
৮। স্বল্পকালীন ছুটি ঃ কোন শ্রমিক কারখানায় কর্মরত অবস্থায় ব্যক্তিগত কোন বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে যাবার দরকার হলে তাকে স্বল্পকালীন ছুটি মঞ্জুর করা হয়ে থাকে। এ ধরণের ছুটি জন্য সংশি¬ষ্ট শ্রমিক তার সুপারভাইজারকে প্রয়োজনীয়তার কথা জানাবার পর সুপারভাইজার শ্রমিকের বাইরে যাবার অনুমতিপত্র তেরি ও তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করবে। এ জন্য সর্বমোট ৫-৭ মিনিট সময়ের বেশী যাতে ব্যয় না হয় সে জন্য সুপারভাইজারদেরকে অবহিত করা আছে। এই ছুটি সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা। কোন শ্রমিককে স্বল্পকালীন ছুটি প্রদানের জন্য তার বেতন/জমাকৃত ছুটি বা অন্য কোন ছুটি কর্তন করা হয় না।
by Mashiur | Dec 7, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
উপস্থিতি নীতিমালা
ক) বর্তমানে গ্র“পের সকল ইউনিটে অত্যাধুনিক Electronic Attendance Control Machine এ নিজ নিজ id কার্ড Sweep করার মাধ্যমে সকল কর্মচারীর উপস্থিতি কর্মঘন্টা নির্ধারিত হয়।
খ) উপস্থিতি নীতিমালা অনুযায়ী নতুন শ্রমিক নিয়োগের দিন তাকে অস্থায়ী ভিত্তিকে বারকোড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ID নম্বরসহ পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়।
গ) উক্ত পরিচয় পত্র/বারকোড কার্ড ইউনিটের নির্ধারিত মেশিনে প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারীকে কাজে যোগদানের পূর্বে এবং কাজ শেষ করে Sweep করতে হয়।
ঘ) প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ এবং ফ্যাক্টরী থেকে বের হওয়ার সময় Sweep এর উপর নির্ভর করে প্রতিদিনের উপস্থিতি এবং অতিরিক্ত কর্মঘন্টা (ঙ.ঞ) স্বয়ংক্রিয় ভাবে নির্ধারিত হয়।
ঙ) নিজ পরিচয় পত্র/ ঝবিবঢ় কার্ড হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে নতুন একটি আইডি কার্ড সরবরাহ করা হবে।
মোট কর্মদিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিঃ
ক) শ্রমিকের সাপ্তাহিক কর্মদিবস সপ্তাহে মোট ৬ (দিন) অর্থাৎ শনিবার হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এবং মাসের প্রতি শুক্রবার একজন শ্রমিক সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করে থাকেন।
খ) উপরোক্ত নিয়ম অনুসরনের মাধ্যমে মাস শেষে সম্পূর্ণ স্বয়ংত্রিয় ভাবে একজন শ্রমিক/কর্মচারীর কার্ডপাঞ্চের উপর নির্ভর করে মোট কর্মদিবস ও কর্মঘন্টা এবং অতিরিক্ত কর্মঘন্টা নির্ধারিত হয়ে থাকে।
গ) শ্রমিক/কর্মচারীর ছুটি এবং তার উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রাপ্ত শুক্রবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে সর্বমোট বেতন/মজুরী পরিশোধযোগ্য দিবস নির্ধারিত হয়।
বাথরুম ব্যবহারের নিয়মাবলী
- বাথরুম ব্যবহারের পর পানির কল বন্ধ করুন।
- বাথরুম সব সময পরিস্কার ও শুকনা রাখতে চেস্টা করুন।
- ময়লা (টিসু পেপার, কাপড়, ন্যাপকিন) নিদৃষ্ট জায়গায়।
- বাথরুম ব্যবহারের পর পর্যাপ্ত পরিমান পানি ঢালুন।
- যেখানে সেখানে থু থু বা পানের পিক ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
- কোন সমস্যা থাকলে কর্তব্যরত সুইপার বা ক্লিনারকে বলুন।
ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকালে উপস্থিতি নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেকটি শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দদের কে সিকিউরিটি গার্ডকে তাদের নিজ নিজ পরিচয় পত্র দেখাতে হবে । ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকালে কিছু বহন করে আনা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ । পুরুষ ও মহিলা গার্ড দ্বারা স্ত্রী-পুরুষ বিভেদে সন্ধেহভাজনদের প্রয়োজনে দেহ তলাশী কার্যকর হবে । ভাতা
ভিজিটর সর্ম্পকীয় ঃ-
চার ধরনের ভিজিটর বর্তমান আছে ঃ-
- ফ্যাক্টরী পরিদর্শক
- উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা
- কাজ সম্বন্ধীয়
- সাধারন অতিথি।
ফ্যাক্টরী পরিদর্শকের ক্ষেত্রে যা করনীয় ঃ-
ফ্যাক্টরী পরিদর্শকগণ আমাদের প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়েই সর্বদা প্রবেশ করবে । পরিদর্শকের প্রবেশ পরবর্তী সিকিউরিটি গার্ড ব্যবস্থাপনা বিভাগে সে সংবাদ অবহিত করবে এবং তাকে অভ্যর্থনা কক্ষে পেীঁছে দেবে । অভ্যর্থনা কক্ষে কর্মরত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট সেকশন/ডির্পাটমেন্টে ফ্যাক্টরী পরিদর্শক আগমনের সংবাদ পেীঁছে দেবে ।
উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে যা করনীয় ঃ-
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ফ্যাক্টরীতে এসে পেীঁছানোর পর সিকিউরিটি গার্ড কর্মকর্তার কাছে যাবেন এবং সাক্ষাৎপ্রার্থীর কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য জেনে তা ব্যবস্থাপনা বিভাগকে অবহিত করবেন এবং তাকে অর্ভ্যথনা কক্ষে পাঠিয়ে দেবেন ।
অর্ভ্যথনা কক্ষে কর্মরত ব্যক্তি একজন গার্ড দিয়ে উক্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে তিনি যার কাছে এসেছেন তার কাছে পাঠিয়ে দেবেন । অর্ভ্যথনা কক্ষ পরিত্যাগের পুর্বে কক্ষে রক্ষিত রেজিষ্টারে অবশ্যই আগত ভিজিটরের বিবরণ ও পরিদর্শন কার্ড পরিধান বাঞ্চনীয় ।
অতিরিক্ত কর্মঘন্টা ঃ
ক) গ্র“পের ফ্যাক্টরী সমূহে ৮ ঘন্টা সাধারণ কর্মঘন্টা এবং তার অধিক সময় কাজের জন্য অতিরিক্ত কর্মঘন্টা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তবে অতিরিক্ত কাজ শ্রমিকগণ ঐচ্ছিকভাবে করবে, বাধ্যতামূলক নয়।
by Mashiur | Dec 7, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
কারণ দর্শানোর নোটিশ।
আমরা গার্মেন্টস শিল্পের কমপ্লাইন্স, অডিট, ইন্সপেকশন পের্স এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বিক্রি করে থাকি। বাংলাদেশে আমরাই সেরা। এছাড়া আমরা সব ধরনের সফটওয়্যার বিক্রি করে থাকি। আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন – Email: apparelsoftware@gmail.com আরও সফটওয়্যার দেখুন নিচে-
আরও সফটওয়্যার
নোটিশ
কারন দর্শানোর নোটিশ গুলোর নিম্নরূপ
প্রাপক : রাজন
পদবী : ইনপুটম্যান
কার্ড নং : (৫৭৮৭)
সেকশন : সুইং
লাইন : ডি
বিষয় : কারণ দর্শানোর নোটিশ।
জনাব,
আপনার অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, আপনি আপনার দায়িত্বে এবং কর্মঘণ্টা অবহেলার কারনে ডি লাইনের ৩ ঘন্টা ইনপুট বন্ধ থাকে এ ব্যপারে আপনাকে বলা হলে আপনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তার যুক্তিসংগত আদেশ অমান্য করেন। যার জন্য কোম্পানি মারাত্মক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে ।যা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর মতে অসদাচরনের আওতায় পড়ে।
সুতরাং, আপনার এরূপ অসদাচরনের জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তাহা অত্র পত্র প্রাপ্তির ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট তার কারণ দর্শানোর জবাব দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
আপনার লিখিত জবাব উক্ত সময়ের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কাছে পৌছাতে হবে। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ মনে করবেন যে, এব্যাপারে আপনার কিছুই বলার নেই এবং আপনি নিজ দোষ স্বীকার করছেন। তখন কর্তৃপক্ষ আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন। বিষয়টি আপনাকে বিশেষভাবে অবগত করা হলো।
াউত ম্যানুফেক্সারিং লিঃ এর পক্ষে
এডমিনএন্ড কমপ্লাইন্স অফিসার
অনুলিপি
১. চেয়ারম্যান
২.ব্যবস্থাপনা পরিচালক
৩. ব্যক্তিগত নথি
কারণ দর্শাও নোটিশ ২
প্রতি ঃ ইসলাম
পিন-৮২২৫০৫১
পদবী- সুপারভাইজার
সেকশন- কিউ.সি
বিষয় : কারণ দর্শানো প্রসঙ্গে।
এই মর্মে আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আপনি প্রায় সময়ই উর্ধ্বতন কর্মকতার সাথে খারাপ আচরণ করেন। কোন কাজের কথা বললে তা গুরুত্বের সাথে করেন না। গত ০৭/০১/১৯ইং তারিখ ডেপুটি ম্যানেজার স্যারের সাথে খারাপ আচরণ করেন যা খুবই আপত্তিকর। একটি দায়িত্বশীল পদে কর্মরত অবস্থায় এ ধরনের কাজ আপনার দায়িত্বের প্রতি চরম অবহেলা ও অমনোযোগীতার বহিঃ প্রকাশ ঘটায়। একজন দায়িতশীল ব্যাক্তির কাছে এ ধরনের কাজ কোম্পানীর কাছে অগ্রহনযোগ্য ও অনাকাক্ষিত।
এমতাবস্থায় আপনার কর্মকান্ডের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা তাহার লিখিত জবাব পত্র পাওয়ার (০৭) সাত দিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট জমা দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
আদেশক্রমে,
…………………………………
বাবুজ
নোটিশ ৩
বিষয় ঃ সতর্কীকরণ প্রসংঙ্গে।
জনাব,
আপনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫/০৫/২০১৭ ইং তারিখে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করা হয় যাহার লিখিত জবাব ০১/০৬/২০১৭ ইং তারিখে জমা দেন। উক্ত জবাবের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে আপনি আপনার ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। সুতরাং কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে আপনার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন কিন্তু তাহা না করে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কাজের পূনরাবৃত্তি না করার জন্য আপনাকে সর্তক করে দিচ্ছে। সেই সাথে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আপনার বেতন বৃদ্ধি এবং পদোন্নতি বন্ধ থাকবে। আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য ২-৩ মাস নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করা হবে। ২-৩ মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ যদি আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সন্তুষ্ট না হন তাহলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনার পরিবর্তে উপযুক্ত প্রার্থী নিয়োগ করতে বাধ্য হবেন।
কর্তৃপক্ষ আশা করে এ সর্তকবাণী আপনাকে কাজে মনোযোগী ও দায়িত্ববান এবং কোম্পানীর নিয়ম শৃংখলা মেনে চলতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে আপনি আপনার কর্মদক্ষতা প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন।
আদেশক্রমে,
মোঃ ইসলাম
নির্বাহী পরিচালক
by Mashiur | Nov 5, 2017 | এইচ আর এ্যাডমিন
ছুটির নীতি ও ছুটি নেয়ার পদ্ধতি
কর্তৃপক্ষ এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা ,কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য কিছু ছুটির বিধিমালা জানিয়ে দেয়ার জন্য ছুটির নীতি প্রনয়ন করেছে। যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তবসম্মত কারনে কোম্পানীতে নিযোজিত সকল ব্যক্তিবর্গ এখন হতে নিম্নলিখিত ছুটির নীতি অনুযায়ী ছুটির অধিকারগুলো ভোগ করতে পারবে।
ছুটির প্রকার ঃ
১) সাপ্তাহিক ছুটি ।
২) নৈমিত্তিক ছুটি ।
৩) অসুস্থতাজনিত ছুটি।
৪) পর্বজনিত ছুটি।
৫) অর্জিত ছুটি।
৬) মার্তৃত্বকালীন ছুটি।
ছুটি অনুমোদনকারী ঃ
১) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের ছুটি অনুমোদন করবেন।
২) প্রশাসন বিভাগের প্রধান বিভাগীয় প্রধানদের ছাড়া অন্যান্য সকলের ছুটি অনুমোদন করবেন।
ছুটি নেয়ার পদ্ধতি ঃ
ছুটি প্রার্থী ব্যক্তিকে কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে ছুটির জন্য আবেদন করতে হবে।
ছুটির আবেদনপত্র পূরন করে প্রথমে যার যার বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে।
বিভাগীয় প্রধান ছুটির সুপারিশ করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রশাসন বিভাগে পাঠাবেন ।
প্রশাসন বিভাগ চূড়ান্ত অনুমোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
সাপ্তাহিক ছুটি ঃ প্রত্যেক কর্মী সপ্তাহে ০১ (এক) দিন (সাধারনত শুক্রবার )সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করবে। জরুরী প্রয়োজনে কোন সাপ্তাহিক
বা পর্বজনিত ছূটির দিনে কাজ করানো হলে পরবর্তী ৩ (তিন) দিনের মধ্যে কোন একদিন ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি প্রদান
করতে হবে।
নৈমিত্তিক ছুটি ঃ প্রত্যেক কর্মী বছরে পূর্ণ বেতনসহ দশ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবে নিম্ন লিখিত শর্তের উপর –
১) নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ না করলেও পরবতী বছরে এই ছুটি যোগ হবে না । অর্থাৎ এই বছরের ৩১শে ডিসেম্বর এর পর এই ছুটি বাতিল হয়ে যাবে।
২) ছুটি কালীন সময়ের সাথে যদি কোন সাপ্তাহিক ছুটি বা কোন পর্বজনিত ছুটি পড়ে তাহলে তা ঐ ছুটির সাথে যোগ হবে না।
৩) নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকেই কর্মীরা এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।
অসুস্থতাজনিত ছুটিঃ প্রত্যেক কর্মী বছরে ১৪ দিন অসুস্থতা জনিত ছুটি ভোগ করতে পারবে নিম্নে লিখিত শর্তের ভিত্তিতে –
১) প্রত্যেক শ্রমিক বছরে ১৪ দিন গড় অর্ধ বেতন সহ অসুস্থতাজনিত ছুুটি ভোগ করতে পারবে।
২) স্টাফ এবং অফিসারগন পূর্ণ বেতন সহ বছরে ১৪ দিন এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।
৩) এই ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বছরে উত্তরণ করা যাবে না।
৪) দুই দিনের ছুটি হলে কোন ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে না।
৫) ৩ দিন অথবা এর বেশী ছুটি হলে যথপোযুক্ত ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।
পর্বজনিত ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক বছরে অন্তত ১৩ দিন পর্ব উপলক্ষ্যে সবেতন ছুটি ভোগ করতে পারবে। পর্বজনিত ছুটির দিন ও তারিখ
কর্তৃৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে। জরুরী প্রয়োজনে পর্ব উপলক্ষে যে কোন ছুটির দিন কাজ করানো হলে তা ওভারটাইম
হিসাবে গন্য হবে এবং একটি বিকল্প ছুটির ব্যবস্থা করা হবে।
অর্জিত ছুটি ঃ যে কোন শ্রমিক এর চাকুরীর বয়স একটানা ১ (এক) বৎসর পূর্ণ হলে নিম্নের শর্তানুযায়ী একজন শ্রমিক সবেতনে এই
ছুটি ভোগ করতে পারবে।
১) গ্র“প এর সকল কর্মী যাদের চাকুরীর বয়স ১ বৎসর পূর্ণ হয়েছে তারা পরবর্তী বছরে প্রতি ২২ কর্মদিবসে একদিন অর্জিত ছুটি ভোগ করার অধিকারী হবে।
২) এই ছুটি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভোগ না করে থাকলে পরবর্তী বছরে তার পাওনা ছুটির সাথে তা যোগ করা হবে।
৩) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের অর্জিত ছুটির পরিমান ২০ দিন হলে সে আর এই ছুটি জমা করতে পারবে না।
মার্তৃত্বকালীন ছুটির নীতি ঃ কোম্পানী মহিলা কর্মীদের জন্য নিম্নলিখিত শর্তানুযায়ী মার্তৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করবে।
১) এই ছুটি পেতে হলে একজন মহিলা কর্মীকে ন্যুনতম ৯ মাস একটানা এই কোম্পানীতে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
২) সন্তান প্রসবের ছয় সপ্তাহ পূর্বে এবং প্রসবের ছয় সপ্তাহ পরে মোট বার সপ্তাহ এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।
৩) একজন মহিলা কর্মী কর্মরত অবস্থায় সর্বোচ্চ দুইবার এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
৪) সন্তান প্রসবের ছয় সপ্তাহ পূর্বে ডাক্তারি সার্টিফিকেট সহ ছুটির আবেদন পত্র পেশ করবে এবং সন্তান প্রসবের পর ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।
৫) মার্তৃত্বকালীন ভাতা ”মার্তৃকালীন সুবিধা প্রদান নীতি অনুযায়ী” প্রদান করা হবে।
ছুটি বর্ধিতকরন ঃ
১) ছুটিতে যাওয়ার পর শ্রমিক যদি ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চায় এবং যদি বর্ধিত মেয়াদের জন্য ছুটি পাওনা থাকে তবে
তাকে ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার যথেষ্ট আগে কর্তৃপক্ষের নিকট ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন পত্র পাঠাতে হবে।
২) ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যদি পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে কর্মী কাজে যোগদান না করে এবং যথাসময়ে কাজে যোগদান না করার কারন সম্পর্কে কর্র্তৃপক্ষকে সন্তাষ্টিমূলক জবাব দিতে না পারলে চাকুরীর শর্ত হারাবে।
৩) বিনা অনুমতিতে ১০ দিন অনুপস্থিত থাকার পর কোন কর্মী যদি কর্তৃপক্ষকে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে, তবে তাকে অনুমোদিত ছুটির দিন ব্যতীত বাকী দিন গুুলো বিনা বেতনে ছুটি মন্জুর করা হবে।
সকল প্রকার ছুটির দলিলপত্র (ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি সহ) তদারক, রক্ষণাবেক্ষন, এবং নিয়ন্ত্রন করা হবে ্প্রশাসন ও এইচ আর বিভাগ দ্বারা ।
কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।
বোনাস ঃ ১) যে শ্রমিক তার কাজের মেয়াদ ১ বছর পর্যন্ত করেছে তাকে বছরে দুইটি পর্যন্ত বোনাস দেওয়া হয়।
২) মুল বেতনের সমান হারে বোনাস দেওয়া হয়।
ইনসেনটিভ ঃ সকল শ্রমিক কর্মচারীদের সারা বছর বিনা খরচে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা পরামর্শ সুবিধাসহ ঔষধ
সরবরাহ করা হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে চিকিৎসার স¤ম্পুর্ণ খরচ বহন করা হয়।
ইনক্রিমেন্টঃ প্রতি বছর প্রত্যেক শ্রমিককে ইনক্রিমেন্ট দিয়ে থাকি যা তাদের যোগ্যতা ও বয়োজ্যেষ্টতা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
ছুটির পদ্ধতি ঃ আমাদের কারখানার ছুটি পাওয়ার কিছু সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী আমাদের শ্রমিকদের মোট পাঁচ ধরনের
ছুটির বিধান রয়েছে। এগুলো নিুরূপঃ
পর্বজনিত ছুটি ঃ বছরে ১৩ দিন বেতন সহ এই ছুটি একজন শ্রমিক পায়, যা আমরা নির্ধারিত করে দেই (সরকারি বিভিন্ন পর্বকালীন বদ্ধ
হিসাবে)
নৈমিত্তিক ছুটিঃ একজন শ্রমিককে বছরে ১০ দিন পর্যন্ত বেতনসহ নৈমিত্তিক ছুটি দেওয়া হয়।
অসুস্থতাজনিত ছুটি ঃ কোন শ্রমিক অর্ধ বেতন সহ বছরে ১৪ দিন এই ছুটি পায়।
বার্ষিক ছুটি ঃ অত্র কারখানায় যে সকল শ্রমিক অব্যাহত ১(এক) বছর চাকুরীর মেয়াদ পুর্ণ করেছেন তারা পরবর্তী ১২ মাসের মধ্যে প্রতি
২২ (বাইশ) দিনের কাজের জন্য ১ (এক) দিনের ছুটি পাবেন।
প্রসবকালীন ছুটি ঃ মহিলা কর্মীদের সন্তান প্রসবের ৬ সপ্তাহ পূর্বে এবং প্রসবের পর ৬ সপ্তাহ প্রসবকালীন ছুটি দেওয়া হয়।
ছুটি পাবার ক্ষেত্রে যে কোন শ্রমিককে নিুলিখিত আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই স¤পন্ন করতে হবে। অন্যথায় ঐ ছুটি গ্রহনযোগ্য হবে না ঃ
১। কোন শ্রমিক ছুটি নিতে আগ্রহী হলে তাকে অবশ্যই ছুটির আবেদনের নির্ধারিত ফরম পুরণ করতে হবে।
২। ছুটির আবেদন পত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্বাক্ষর করলেই কেবলমাত্র কোন শ্রমিক ছুটি পাবেন।
৩। ছুটির আবেদন জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দ্বারা তা মঞ্চুর না করিয়ে নিয়ে ছুটি ভোগ করা যাবে না। করলে তা অননুমোদিত ছুটি বলে বিবেচিত হবে।
৪। কোন শ্রমিকের কাজ কোন সময় কো¤পানীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলে সে ক্ষেত্রে সে সময় তার ছুটির আবেদন কো¤পানী মঞ্চুর নাও করতে পারে। কর্তৃপক্ষ ছুটির প্রয়োজনীয়তা ও সময় সুযোগ বিবেচনা করে ছুটির আবেদন মঞ্চুর করবেন। এয়াড়াও আমাদের কোম্পানীর একটি নিজস্ব নীতিমালা আছে যা িিনম্নরুপ ঃ
গ্র“পের বাৎসরিক ছুটির তালিকা ।
পর্বকালীন ছুটির তালিকা
ক্রমিক নং ছুটির দিন মোট দিন
০১ ঈদ-উল-আজহা ০৪দিন
০২ শহীদ দিবস ১ দিন
০৩ স্বাধীনতা দিবস ১ দিন
০৪ বাংলা নববর্ষ ১ দিন
০৫ মে দিবস ১ দিন
০৬ শব-ই-বরাত ১ দিন
০৭ ঈদ-উল-ফেতর ৪ দিন
০৮ বিজয় দিবস ১ দিন
মোট= ১৪ দিন