Select Page

একজন শ্রমিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

একজন শ্রমিক তার শ্রমের বিনিময়ে কারখানা থেকে বেতন, বোনাস, ওভারটাইম মজুরী এবং নানাবিধ ভাতাদি পেয়ে থাকেন, যা দিয়ে তিনি ঝীবন যাপন এবং সংসার প্রতিপালন করেন। তাই একজন শ্রমিকের কারখানার প্রতি অবশ্যই করনীয় কিছু নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। যা পালন করার মধ্যেই নিহিত আছে তার নিজের মান মর্যাদা, সম্মান, চাকুরির উন্নতি সর্বোপরি আরো সুন্দও জীবন যাপনের প্রতিশ্র“তি। একজন দক্ষ বা ভাল শ্রমিকের নিু উল্লেখিত গুনাবলী বা উপাদান থাকা উচিতঃ

সময়ানুবর্তিতা ঃ একজন শ্রমিককে হতে হবে সময়জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ। অর্থাৎ তাকে কার্যালয়ে নিয়মানুযায়ী নির্দারিত সময়ে কারখানায় উপস্থিত হতে হবে এবং কর্ম সময় শেষ হলেই তবে কার্যালয় ত্যাগ করবে। সময়ানুবর্তিা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয় কেননা নির্ধারিত সময়ে কারখানায় উপস্থিত না হলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাছাড়া অভ্যাসগতভাবে বিলম্বে উপস্থিতি শ্রম অইনের ২৩ এর ৪ ধারার (ঙ) উপধারা মতে অসদাচরণের সামিল। যার ফলে যে কেউ চাকুরী হারাতে পারে।

আচার আচরণ ঃ শ্রমিকের আচার আচরণে ভদ্র ও বিনয়ীভাবে থাকতে হবে। সহকর্মীদেও সাথে ভালো ব্যবহার করা, দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সম্মান প্রদর্শন করা, অশালীন কর্থাবার্তা না বলা, কাজে মনোযোগী হওয়া

শৃঙ্খলা ঃ যে কোন কাজের জন্য চাই শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলাবিহীন সঠিকভাবে কোন উৎপাদনই সম্ভব নয়। একজন শ্রমিককে কার্যালয়ের সকল কাজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য তার ব্যবহৃত টেবিল, চেয়ার, যন্ত্রপাতি, মেশিন ইত্যাদি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং কাজ শেষে তা যথাযথভাবে পরিষ্কার এবং গুছিয়ে রাখতে হবে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাার কর্যাদেশ পালন ও অধঃস্তনকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হবে। সুশৃঙ্খল হয়ে কাজ করা প্রত্যেক শ্রমিকের কর্তব্য।

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ কাজের স্থান, মেশিনারী, কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গা ( বাথরুম, পানি পানের ব্যবস্থা, টয়লেট, খাবারের জায়গা) সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কফথুথু ফেলতে হবে, টয়লেট ব্যবহারের পর পর্যাপ্ত পানি ঢালতে হবে এবং ব্যবহৃত ন্যাপকিন নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। কাজ শেষে যন্ত্রপাতি গুছিয়ে ভাল কওে ঢেকে রাখতে হবে এবং যথাযথভাবে সংরক্ষন করতে হবে।

উৎপাদন বৃদ্ধি ঃ কারখানার ঘোষিত সহনশীল লক্ষমাত্রার একজন শ্রমিকের অবশ্যই একমত প্রকাশ করা উচিত। কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি করাই হলো শ্রমিকের কাজ। যে শ্রমিক যত বেশী উৎপাদন করবে তার দক্ষতা ও যোগ্যতা তত বেমী প্রমানিত হবে। আর যোগ্যতার প্রমান দিতে পারা মানেই কারখানার উৎপাদন বুদ্ধি পাওয়া।

দক্ষতা বৃদ্ধি ঃ একজন শ্রমিক ক্রমাগত নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দক্ষতা বলতে প্রত্যেকের কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা, গুনগত মানের পন্য তৈরী করা বুঝায়। নিভূল এবং বেশী উৎপাদনই হচ্ছে একজন শ্রকিকের দক্ষতা। যে শ্রমিক যত বেশী দক্ষতা অর্জন করবে সে তত দ্রুত একটি কারখানায় তার মান-মর্যাদা, অবস্থান ইত্যাদি বৃদ্ধি করতে পারবে।