by Mashiur | Jun 23, 2019 | শ্রমিক নিয়োগ
শ্রমিক নিয়োগ এর উপর ১০০ টি লেখা
বাংলাদেশে শ্রমিক নিয়োগ সম্পর্কিত লেখা সমূহ নিম্ন দেওয়া হলঃ
by Mashiur | Dec 18, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
একজন শ্রমিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
একজন শ্রমিক তার শ্রমের বিনিময়ে কারখানা থেকে বেতন, বোনাস, ওভারটাইম মজুরী এবং নানাবিধ ভাতাদি পেয়ে থাকেন, যা দিয়ে তিনি ঝীবন যাপন এবং সংসার প্রতিপালন করেন। তাই একজন শ্রমিকের কারখানার প্রতি অবশ্যই করনীয় কিছু নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। যা পালন করার মধ্যেই নিহিত আছে তার নিজের মান মর্যাদা, সম্মান, চাকুরির উন্নতি সর্বোপরি আরো সুন্দও জীবন যাপনের প্রতিশ্র“তি। একজন দক্ষ বা ভাল শ্রমিকের নিু উল্লেখিত গুনাবলী বা উপাদান থাকা উচিতঃ
সময়ানুবর্তিতা ঃ একজন শ্রমিককে হতে হবে সময়জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ। অর্থাৎ তাকে কার্যালয়ে নিয়মানুযায়ী নির্দারিত সময়ে কারখানায় উপস্থিত হতে হবে এবং কর্ম সময় শেষ হলেই তবে কার্যালয় ত্যাগ করবে। সময়ানুবর্তিা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয় কেননা নির্ধারিত সময়ে কারখানায় উপস্থিত না হলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাছাড়া অভ্যাসগতভাবে বিলম্বে উপস্থিতি শ্রম অইনের ২৩ এর ৪ ধারার (ঙ) উপধারা মতে অসদাচরণের সামিল। যার ফলে যে কেউ চাকুরী হারাতে পারে।
আচার আচরণ ঃ শ্রমিকের আচার আচরণে ভদ্র ও বিনয়ীভাবে থাকতে হবে। সহকর্মীদেও সাথে ভালো ব্যবহার করা, দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সম্মান প্রদর্শন করা, অশালীন কর্থাবার্তা না বলা, কাজে মনোযোগী হওয়া
শৃঙ্খলা ঃ যে কোন কাজের জন্য চাই শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলাবিহীন সঠিকভাবে কোন উৎপাদনই সম্ভব নয়। একজন শ্রমিককে কার্যালয়ের সকল কাজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য তার ব্যবহৃত টেবিল, চেয়ার, যন্ত্রপাতি, মেশিন ইত্যাদি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং কাজ শেষে তা যথাযথভাবে পরিষ্কার এবং গুছিয়ে রাখতে হবে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাার কর্যাদেশ পালন ও অধঃস্তনকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হবে। সুশৃঙ্খল হয়ে কাজ করা প্রত্যেক শ্রমিকের কর্তব্য।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ কাজের স্থান, মেশিনারী, কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গা ( বাথরুম, পানি পানের ব্যবস্থা, টয়লেট, খাবারের জায়গা) সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কফথুথু ফেলতে হবে, টয়লেট ব্যবহারের পর পর্যাপ্ত পানি ঢালতে হবে এবং ব্যবহৃত ন্যাপকিন নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। কাজ শেষে যন্ত্রপাতি গুছিয়ে ভাল কওে ঢেকে রাখতে হবে এবং যথাযথভাবে সংরক্ষন করতে হবে।
উৎপাদন বৃদ্ধি ঃ কারখানার ঘোষিত সহনশীল লক্ষমাত্রার একজন শ্রমিকের অবশ্যই একমত প্রকাশ করা উচিত। কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি করাই হলো শ্রমিকের কাজ। যে শ্রমিক যত বেশী উৎপাদন করবে তার দক্ষতা ও যোগ্যতা তত বেমী প্রমানিত হবে। আর যোগ্যতার প্রমান দিতে পারা মানেই কারখানার উৎপাদন বুদ্ধি পাওয়া।
দক্ষতা বৃদ্ধি ঃ একজন শ্রমিক ক্রমাগত নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দক্ষতা বলতে প্রত্যেকের কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা, গুনগত মানের পন্য তৈরী করা বুঝায়। নিভূল এবং বেশী উৎপাদনই হচ্ছে একজন শ্রকিকের দক্ষতা। যে শ্রমিক যত বেশী দক্ষতা অর্জন করবে সে তত দ্রুত একটি কারখানায় তার মান-মর্যাদা, অবস্থান ইত্যাদি বৃদ্ধি করতে পারবে।
by Engr Kh Mashiur Rahman | Dec 16, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
নিয়োগ নীতি মালা
অটো গ্র“প বাংলাদেশের প্রথম সারির পোশাক প্রস্তুতকারী ও সুনামধন্য গ্র“প (প্রতিষ্ঠান)। এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মীর অধিকার ও সুযোগ সুবিধা স্থানীয় শ্র“ম আইনের দ্বারা পরিচালিত এবং প্রতিষ্ঠান সমূহের কোন রকম পক্ষ্যপাত ছাড়াই নিয়োগ নীতি মালা মাধ্যমে যোগ্য, মেধাবী ও দক্ষ কর্ম নিয়োগের লক্ষ্যে একটা সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য নিয়োগ নীতিমালা প্রনয়ন করা হইল।
উদ্দেশ্যঃ
কর্মী নিয়োগের সময় নিয়োগ নীতি মালা অনুযায়ী ধর্ম, বর্ণ, জেনডার ইত্যদি বিষয় বিবেচনা না করে দক্ষ যোগ্য ও বুদ্ধিমান কর্মী নিয়োগ করে একটি শক্তিশালী জনশক্তি দল গঠনকরে অধিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।
নিয়োগ কমিটিঃ
কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অটো গ্র“প চারটি বিভাগের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।
* উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ।
* এইচ, আর বিভাগ।
* উৎপাদন বিভাগ।
* কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগ।
নিয়োগ পদ্ধতিঃ
কর্মী নিয়োগের সময় অটো গ্র“প নিম্নলিখিত ধাপ ও বিষয় সমূহ বিবেচনা করে থাকে।
সাধারণ বিষয় সমূহঃ অটো গ্র“প সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীন ভাবে নিয়োগ প্রদান করে থাকে। এখানে কোন রকমের ধর্ম, বর্ণ, এলাকা, গোত্র, জেনডার ইত্যাদি বৈষম্যমূলক বিষয় সূমহ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত থাকে।
উপযুক্ত বয়সঃ অটো গ্র“প কোন অবস্থাতেই শিশু শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করে না এবং ১৮ বছর বয়সের নিচে কোন শ্রমিক নিয়োগ করে না।
বিজ্ঞাপন প্রচারঃ নিয়োগের সময় যথাসময় বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে। সংবাদপত্র ও পোষ্টার বেনার, সম্বলিত লিপলেট প্রচার করে থাকে। বিজ্ঞাপনে পদবী শিক্ষাগত যোগ্যতা দরখাস্ত গ্রহণের শেষ তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
আবেদন পত্র সংগ্রহঃ এইচ আর বিভাগ আবেদন পত্র সমূহ নির্ধারিত গেট থেকে সংগ্রহ করে থাকে।
আবশ্যক কাগজপত্রঃ আবেদন পত্রের সাথে নিম্নলিখিত কাগজ পত্র সংযুক্ত থাকতে হবে।
পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত।
* শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে)।
* চেয়ারম্যান কর্তৃক পরিষদের পরিচয় পত্র।
* পাসপোর্ট সাইজ ২ কপি, ষ্ট্যাম্প সাইজ ২ কপি।
যাচাই বাছাই ও যোগ্যতা নিরুপনঃ
আবেদন পত্র গ্রহণের পর উক্ত বিষয় সমূহ বাছাই করে উপযুক্ত প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মদক্ষতা যাচাইয়ের জন্য প্রেরণ করা হয় এবং বিশেষ ক্ষেত্রে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন করা হয়।
কাজে যোগদানঃ
- এইচ আর বিভাগ কাজে যোগদানের সমস্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধানের নিকট যোগদানের জন্য প্রেরণ করা হয়।
- ৭-১০ দিনের মধ্যে বয়স নিরুপনের জন্য ডাক্তারের (কোম্পানি পদত্ত) নিকট প্রেরণ করা।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমান পত্র পেশ সাপেক্ষে কোম্পানি পদত্ত ডাক্তারের নিকট প্রেরণের প্রয়োজন হয় না।
- কর্মীগণের বয়স নিরুপনের সাথে সাথে হাজিরা কার্ড/ টাইমকার্ড ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়ে থাকে।
অটো গ্রপ একটি সুষ্ঠ ও সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপরোক্ত নীতিমালা যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে থাকে।
by Mashiur | Dec 14, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
কিশোর কর্মী নিয়োগ নীতিমালা
উদ্দেশ্য: গ্র“প কিশোর কর্মী দের নিয়োগ দান করে না। তথাপি যদি কোন রুপে কোন কর্মী কে নিয়োগ প্রদান করে তবে সাধারনত এই নীতির বাইরে নিু নীতি অনুসারে তাদের কার্যাদী সম্পর্ন হইবে। কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না, যদি না-বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একজন রেজিস্টার্ড চিকিত্সক কর্তৃক তাহাকে প্রদত্ত সত্মগমতা প্রত্যয়নপত্র মালিকের হেফাজতে থাকে, এবংজে নিয়োজিত থাকাকালে তিনি উক্ত প্রত্যয়নপত্রের উলেস্্নখ সম্বলিত একটি টোকেন বহন করেন। অটো গার্মেন্টস লিঃ এ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। এই গ্র“পে শিশু ও কিশোর নিয়োগ সম্পর্কিত সুনির্দ্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। শিশু ও কিশোর শ্রম আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নিুলিখিত বিষয় গুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকে …
বয়স নির্ধারনঃ
যদি কোন ব্যক্তি শিশু নাকি কিশোর এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ, স্কুল সার্টিফিকেট বা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত উক্ত ব্যক্তির বয়স সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে উহা নিষ্পত্তি হইবে।
শিশু ঃ যার বয়স ১৪ বৎসর পূর্ণ হয় নাই।
কিশোর ঃ যার বয়স ১৪ বৎসর পূর্ণ হয়েছে কিন্তু ১৮ বৎসর পূর্ণ হয় নাই।
প্রাপ্ত বয়স্ক ঃ যার বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বয়স নির্ধারনের ক্ষেত্রে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যায়ন পত্র চুড়ান্ত প্রমান হিসেবে গন্য করা হবে।
- অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাবে না।
- অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাবে, সে ক্ষেত্রে
- বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত সক্ষমতার প্রত্যায়ন পত্র কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকতে হবে ।
- কাজে নিয়োজিত থাকা কালে তাকে উক্ত প্রত্যায়ন পত্রের উল্লেখ সম্বলিত একটি টোকেন বহন করতে হবে।
সংজ্ঞা:১৪ বৎসরের উপরে এবং ১৬ বৎসরের নীচে যাদের বয়স তাদের আমরা কিশোর বলবো।
দায়ীত্বশীল ব্যক্তি: বিভাগীয় প্রধান
নীতি সমুহ:
কোন প্রতিষ্ঠানে কিশোর শ্রমিক নিযুক্ত থাকিলে উহাতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কিশোরের কর্মঘন্টা সম্পর্কে, তাহার কাজের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখসহ, একটি নোটিশ প্রদর্শন করিতে হইবে৷ এ উল্লিখিত নোটিশে প্রদর্শিত সময়ে কাজ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে, প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের ত্মেগত্রে যেভাবে স্থির করা হয় সেভাবে স্থির করিতে হইবে, এবং ইহা এমন হইবে যেন উক্ত সময়ে কর্মরত কোন কিশোরকে এই আইনের খেলাপ কোন কাজ করিতে না হয়৷
কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পূর্ণ বয়স্ক শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এতদসংক্রান্ত বিধান এর অধীন নোটিশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷ সরকার বিধি দ্বারা উক্ত নোটিশের ফরম এবং উহা রক্ষণাবেক্ষণের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
- দৈনিক ৬(ছয়) ঘন্টার বেশী কাজ করানো যাবেনা।
- একজন মেডিক্যাল অফিসার এইমর্মে প্রত্যায়ন পত্র দিবে যে কিশোর ব্যক্তি সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম।
- দুটি কাজের সময়ের মধ্যে একটানা অন্ততঃ তের ঘন্টার বিশ্রামের অনুমতি থাকতে হবে।
- কিশোর কর্মী স্কুলে ভর্ত্তি হবে এই মর্মে লিখিত দিবে।
- নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন ভাবেই অতিরিক্ত সময় কাজ করানো যাবেনা।
সক্ষমতা প্রত্যায়ন পত্র ঃ
- কোন কিশোর কাজের জন্য উপযুক্ত কিনা ইহা পরীক্ষা করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কিশোর বা তাহার পিতা -মাতা বা অভিভাবক কর্তৃক অনুরূদ্ধ হইলে অথবা কোন মালিক কর্তৃক অনুরূপ ভাবে অনুরূদ্ধ হইলে, কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কিশোরটিকে পরিক্ষা করিবেন এবং তাহার সক্ষমতা সিদ্ধান্ত দিবেন।
- রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত সক্ষমতা প্রত্যায়ন পত্র উহা প্রদানের তারিখ হইতে পরবর্তি বারো মাস পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
- উক্তরূপ প্রত্যায়ন পত্রের জন্য প্রদেয় ফিস মালিক প্রদান করিবেন এবং উহা সংশ্লিষ্ট কিশোর বা তাহার মাতা-পিতা বা অভিভাবকরে নিকট হইতে আদায় করা যাইবে না।
কতিপয় কাজে কিশোর নিয়োগে বাধা ঃ
কোন প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি চালু অবস্থায় উহা পরিষ্কারের জন্য, উহাতে তেল প্রদানের জন্য বা উহাকে সুবিন্যস্ত করার জন্য বা উক্ত চালু যন্ত্রপাতির ঘুর্ণয়মান অংশগুলির মাঝখানে অথবা স্থির এবং ঘুর্ণয়মান অংশগুলির মাঝখানে কোন কিশোরকে কাজ করিতে অনুমতি দেওয়া যাইবে না।
বিপদ জনক যন্ত্রপাতির কাজে কিশোর নিয়োগ ঃ
এই বিধান কেবলমাত্র ঐ সকল যন্ত্রপাতি সম্পর্কে প্রযোজ্য হইবে যে সম্পর্ক সরকার বিজ্ঞপ্তি মারফত ঘোষণা করে যে, এইগুলি এমন বিপজ্জনক যে উহাতে এ উল্লেখিত শর্তাদি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিশোরের পক্ষে কাজ করা উচিত নহে৷ কোন কিশোরকে যন্ত্রপাতির কোন কাজ করা যাবে না, যদি না-
- তাহাকে উক্ত যন্ত্র—পাতি সংক্রান্ত বিপদ সম্পর্কে এবং এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন সম্পর্কে সম্পূর্নভাবে ওয়াকেবহাল করানো হয়।
- তিনি যন্ত্রপাতিতে কাজ করার জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষন গ্রহন করিয়াছেন, অথবা তিনি যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত অভিজ্ঞ এবং পুরোপুরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে কাজ করেন।
কিশোরের কর্ম ঘন্টাঃ
কোন কিশোরকে কোন কারখানা বা খনিতে দৈনিক পাঁচ ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে ত্রিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া হইবে না৷ কোন কিশোরকে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে দৈনিক সাত ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে বিয়াল্লিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷
- কোন কিশোরকে দৈনিক পাঁচ ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে ত্রিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।
- কোন কিশোরকে সন্ধা ৭.০০ টা হইতে সকাল ৭.০০ টার মধ্যবর্তি সময়ে কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।
- ওভার টাইম কাজের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৩৬ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করানো যাইবে না।
- একই দিনে কোন কিশোর একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করিতে পারিবে না।
- যদি কোন কিশোর অধিকাল কাজ করেন, তাহা হইলে অধিকালসহ তাহার কাজের মোট সময়- (ক) কারখানা বা খনির ত্মেগত্রে, সপ্তাহে ছত্রিশ ঘন্টা; (খ) অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ত্মেগত্রে, সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টা; এর অধিক হইবে না৷
কতিপয় ক্ষেত্রে শিশু শ্রমিক নিয়োগে ব্যতিক্রম ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, শিশু যদি বিদ্যালয়গামী হয় তাহা হইলে তাহার কর্মসময় এমনভাবে নির্ধারণ করিতে হইবে যেন ইহা তাহার বিদ্যালয় গমনকে বিঘ্নিত না করে৷ কিশোর শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই অধ্যায়ের সকল বিধান যতদূর সম্ভব, উক্ত শিশুশ্রমিক ও প্রতিবন্ধী শ্রমিক] ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বারো বৎসর বযঃপ্রাপ্ত কোন শিশুকে এমন কোন হালকা কাজে নিয়োগ করা যাইবে যাহা তাহার স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য বিপজ্জনক নহে অথবা যাহা তাহার শিক্ষা গ্রহনে বিঘিœত হইবে না। কোন প্রতিবন্ধী শ্রমিককে বিপজ্জনক যন্ত্রপাতির কাজে অথবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, শিশু যদি বিদ্যালয়গামী হয় তাহা হইলে তাহার কর্ম সময় এমনভাবে নির্ধারন করিতে হইবে যেন তাহা তাহার বিদ্যালয় গমনকে বিঘিœত না করে।
by Mashiur | Dec 13, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
নিয়োগ চুক্তি
নাম ঃ ………………………………………………………………., সেকশনঃ …………………….., নাম ঃ ………………………………………………………………., সেকশনঃ …………………….., পদবী ঃ ……………………………………….কার্ড নং ঃ ………………………………………………,পিতা/স্বামী ঃ ………………………………………………………………………………………………….., স্থায়ী ঠিকানা ঃ গ্রামঃ ……………………………………,ডাকঘরঃ…………………………………………….., থানা/উপজেলাঃ ………………………………..,জেলাঃ……………………………………….। বর্তমান ঠিকানা ঃ গ্রামঃ ………………………………………,ডাকঘরঃ…………………………………………., থানা/উপজেলাঃ ………………………………..,জেলাঃ……………………………………….।
শর্তাবলী/নীতিমালাঃ
১) আপনার যোগদান ……………………. তারিখ থেকে কার্যকরী হবে। নিয়োগ পরবর্তী প্রথম ৩ (তিন) মাস শিক্ষানবীসকাল হিসাবে পরিগনিত হইবে। উক্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় মান অর্জনে ব্যার্থ হইলে শিক্ষানবীশকাল আরও ৩ (তিন) মাস বৃদ্ধি করা যাইবে। শিক্ষানবীসকাল শেষে স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মী হিসাবে বিবেচিত হইবেন, তবে এই মর্মে কোন নতুন চিঠি প্রদান করা হইবে না।
২) বেতন/ভাতাদির হিসাবঃ শিক্ষানবিস থাকা কালীন আপনি নিয়োগ চুক্তি অনুসারে নিন্মোক্ত হারে বেতন/ ভাতাদি পাইবেনঃ ক) মূল বেতন ঃ টাকা………………….. খ) বাড়ী ভাড়া ঃ টাকা………………….. (যাহা মূল বেতনের ৩০%) গ) চিকিৎসা ভাতা ঃ টাকা………………….. মোট ঃ টাকা…………………..
৩) বেতন প্রদানের সময় ঃপ্রতি মাসের বেতন/ভাতা পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে যে কোন কর্মদিবসে প্রদান করা হইবে।
৪) কর্মঘন্টা ঃ ক) সকাল ৮.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত ১(এক) ঘন্টা মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি সহ।খ) প্রতিদিন ৮ ঘন্টা হিসাবে প্রতি সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা।গ) অতিরিক্ত কাজ প্রতিদিন ২ ঘন্টা হিসাবে সপ্তাহে ১২ ঘন্টা।
৫) অতিরিক্ত কাজ (ওভারটাইম) ঃক) দৈনিক ৮ (আট) ঘন্টার অতিরিক্ত বা সাপ্তাহিক ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘন্টার অতিরিক্ত কাজ ওভারটাইম হিসাবে বিবেচিত হইবে।খ) বেতন ও ওভারটাইমের টাকা একত্রে প্রদান করা হইবে।গ) ওভারটাইমের হিসাব নিুরূপঃ মূল বেতন ী ২ ী মোট ওভারটাইম ঘন্টা ২০৮ অ.প.দ্র.
(২)
৬) ছুটির বিবরণীঃ ক) সপ্তাহে ছয়দিন কর্মদিবসের পরে এক দিন (সাধারণতঃ শুক্রবার) ছুটি থাকবে। খ) ইহা ছাড়াও আপনি নিুবর্ণিত ছুটি পাইবেনঃ উৎসব ছুটি ঃ ১০ দিন পূর্ণ বেতন সহ।⊞ নৈমিত্তিক ছুটি ঃ ১০ দিন পূর্ণ বেতন সহ।⊞ অসুস্থতাজনিত ছুটি ঃ ১৪দিন অর্ধেক বেতন সহ) বাৎসরিক ছুটিঃ যে সকল কর্মী এক বৎসর বা তদোর্ধ দিন কাজ করিয়াছেন তাহারা প্রতি ১৮ (আঠারো) কর্ম দিবসের জন্য এক দিন পূর্ণবেতনসহ ছুটি ভোগ করিতে পারবেন। মাতৃত্বজনিত ছুটিঃ ১৬ সপ্তাহ, প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহ এবং প্রসবের পর ৮ সপ্তাহ (সাধারণভাবে ৬ মাস কর্মরত প্রতিটি মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে)
৭) বিশ্রাম/আহারের বিরতীঃ প্রতি কর্ম দিবসে নিয়োগ চুক্তি অনুযায়ি খাবার ও বিশ্রামের জন্য ১ (এক) ঘন্টা বিরতী থাকবে।
৮) হাজিরা কার্ড ঃপ্রত্যেক কর্মীকে পৃথক হাজিরা কার্ড প্রদান করা হইবে। যাহাতে কারখানায় প্রবেশের সময়,বাহির হওয়ার সময় ও অতিরিক্ত কাজের সময়সহ মোট কর্ম ঘন্টা উল্ল্যেখ থাকবে।
৯) চাকুরী ত্যাগের শর্ত ঃ ক) ১ (এক) মাসের আগাম নোটিশ (মাসিক ভিত্তিতে নিয়োজিতদের ক্ষেত্রে) খ) ১৪ (চৌদ্দ) দিনের আগাম নোটিশ (অন্যান্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে)।
১০) বরখাস্ত/ছাঁটাই ঃ নিুবর্নিত কারনের জন্য কোন ধরনের পূর্ব নোটিশ ছাড়া যে কাউকে বরখাস্ত করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষন করে ঃ কোম্পানীর অবাধ্যতা অথবা প্রচলিত যে কোন আইন অমান্য করলে। চৌর্য, অযথার্থতা অথবা অসততা প্রকাশ করে এমন কিছু পরিলক্ষিত হলে। কোম্পানীর জন্য লোক নিয়োগের নিমিত্তে কোনরূপ ঘুষ/উৎকোচ/উপঢৌকন গ্রহন করলে। অনুপস্থিতির অভ্যাস থাকলে অথবা টানা ১০ (দশ) দিন বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে। কর্মস্থলে বিলম্বে/দেরীতে উপস্থিতির অভ্যাস। কোম্পানীর নিয়ম কানুন ভংগ করার প্রচেষ্টা/অভ্যাস। যৌন অসদাচরন অথবা এরূপ কোন অনৈতিকতা। কোম্পানী অথবা কর্মচারীদের সাথে নাশকতামূলক কোন আচরণের প্রমান পেলে। কাজে অবহেলা প্রদর্শন এবং দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া। আন্দোলন করে উৎপাদন বন্ধ অথবা কাজের গতি শ্লথ করতে অন্যকে প্রলুব্ধ করলে। কোম্পানীর সম্পদ অথবা কাগজ পত্রাদির ক্ষতি করলে।
১১) নিয়ামনুবর্তীতাঃক) আপনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে চাকুরীতে সংযুক্ত হতে পারবেন না।খ) আপনার চাকুরীর নিয়মাবলী কোম্পানীর বিধিবিধান দ্বারা পরিচালিত হবে।১২) অন্যান্য সুযোগ সুবিধাঃ ক) উৎসব বোনাস (মোট বেতনের ৫০%) খ) চিকিৎসা সুবিধা (সার্বক্ষনিক ডাক্তার ও নার্স) গ) ডে কেয়ার সেন্টার ঘ) পরিবহন সুবিধা(প্রয়োজনে) ঙ) হাজিরা বোনাস নিয়োগকর্তার স্বাক্ষর ও তারিখপ্রত্যয়নঃআমি ………………………………….এই চুক্তির শর্তাবলী সম্পূর্ণরূপে পড়িয়াছি/বুঝিয়াছি। উক্ত সকল শর্তাবলী সম্যকভাবে অবগত হইয়া ও দ্বিতীয় একটি অনুলিপি নিজের জন্য বুঝিয়া পাইয়া স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে নিুে স্বাক্ষর করিলাম।
স্বাক্ষর ও তারিখ
by Mashiur | Dec 9, 2017 | শ্রমিক নিয়োগ
নিয়োগ পদ্বতি ও নীতিমালা ঃ
আমাদের কারখানায় শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিস্ট কর্ম পদ্বতি অনুসরণ করা হয়। আমরা প্রধানত রাস্টীয় আইন অনুজায়ি নিয়োগ পদ্বতি মেনে চলি তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আচরনবিধি ও নিয়ম মেনে চলা হয় যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।
১. এই প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা , মেধা ও অভিজ্ঞতার আলোকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করে থাকে । -,
২. নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানী জাতি, ধর্ম , বর্ণ, গোত্র , লিঙ্গ বা আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব করেনা।
৩. সাধারণত জাতীয় দৈনিক অথবা শ্রমিক প্রতুল বা জনবহুল এলাকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহবান করা হয়। বিজ্ঞাপনে শিক্ষাগত যোগ্যতা , অন্যান্য যোগ্যতা এবং দরখাস্ত গ্রহনের শেষ তারিখ ইত্যাদি সুস্পস্টভাবে উল্লেখ থাকে।
৪. প্রার্থীদের আবেদন পত্রের সঙ্গে নিম্নলিখিত কাগজ পত্র সংগ্রহ করা হয়ঃ
ক. পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত সহ আবেদন পত্র।
খ. ২টি পাসপোর্ট এবং একটি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি
গ. বয়স সংক্রান্ত সনদপত্র: এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র ,স্কুল সনদ, সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান কর্তৃক সনদ গ্রহন করা হয়।
৫. আবেদন পত্র বাছাইয়ের পর প্রয়োজনমত লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন করা হয়।
৬. মনোনীত প্রত্যেক প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয় এবং নিয়োগপত্রে চাকুরীর শর্তাবলী সুস্পস্টভাবে লেখা থাকে।
৭. যোগদানঃ নিয়োগপত্রের নির্দেশিত তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ (পূর্বে জমা দেওয়া না থাকলে) প্রার্থীকে কাজে যোগদান করতে হয়।
বিঃ দ্রঃ : প্রতি ১ বৎসর পরপর এই নীতি মালার যদি কোনো বিষয় পরিবর্তন করা লাগে তা করা হয়।