স্বাস্থ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা
স্বাস্থ্যনীতি (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর সপ্তম অধ্যায় ধারা ৭৯-৮৮ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও ও স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্নদিক বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল, ডাক্তারের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও এ্যাম্বুলেন্স এর সুবিধাসহ সকল কারখানা পরিস্কার রাখা, নর্দমা, পায়খানা বা অন্য জঞ্জাল থেকে উত্থিত গ্যাস থেকে মুক্ত রাখা, প্রতিদিন ঝাঁড়– দেয়া, সপ্তাহে অন্ততঃ একবার জীবাণুনাশক ব্যবহার, যথাযথ পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, চুনকাম করা, রং বা বার্নিশ করা, পর্যাপ্ত বায়ূ চলাচল ব্যবস্থা, যুক্তিসঙ্গত তাপমাত্রা সংরক্ষণ, ধূলা-ময়লা এবং ধোঁয়া বের করে দেয়ার ব্যবস্থা, কৃত্রিম আর্দ্রতা, অতিরিক্ত ভীড় এড়ানো পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, আলোকচ্ছতা নিবারণ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা/প্রশ্রাবখানা ব্যবস্থা করা, বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা করা, থুথু ফেলার পিকদানির ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে এ অধ্যায়ে বিধান করা হয়েছে। নিম্নে প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হল। Read English Version
ক) প্রাথমিক চিকিৎসা ঃ
ফ্যাক্টরীতে প্রতি ১৫০ জন শ্রমিকদের জন্য একটি করে প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স থাকবে। এবং প্রতিটি বাক্সে নিম্ন লিখিত ঔষধ/দ্রব্যাদি মজুদ থাকবে ঃ
প্রতিটি ফাস্ট এইড বাক্সে উল্লেখিত ঔষধ পত্রের সাথে তাদের ব্যবহার বিধি লেখা থাকবে। প্রতিটি বাক্সের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসায় পারদর্শী কমপক্ষে ২জন শ্রমিকের নাম ও চবি বাক্সের উপরে / সুবিধাজনক স্থানে প্রদর্শিত হবে। ফ্যাক্টরীতে যে কোন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।
খ) ডাক্তার হাসপাতাল ও এম্বুল্যান্সের সুবিধা ঃ ফ্যাক্টরীতে কাজ চলা কালীন একজন ডাক্তার সার্বক্ষণিকভাবে ফ্যাক্টরীর এম. আই রুমে অবস্থান করবেন। এই সময়ে যে কোন শ্রমিক ডাক্তারের পরামর্শের জন্য তার শরানাপন্ন হতে পারবে এবং বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। বিশেষভাবে অসুস্থ্য রোগীদের অধিকতর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য তাহাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শমত হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে। এ জন্য কারখানায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসক এবং প্রাথমিক স্বস্থ্য সেবা কর্মী রয়েছে। অসুস্থ শ্রমিক-কর্মচারীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে এ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ফ্যাক্টরীর গাড়ী এ্যাম্বুলেন্সের কাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
গ) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ কারখাণা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং নর্দমা, পায়খানা বা অন্য কোন জঞ্জাল থেকে উত্থিত দুষিত গ্যাস থেকে মুক্ত রাখতে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক ঃ
১) কারখানা ঘরের মেঝে, চলাচলের পথ, সিঁড়ি, বসার বেঞ্চ, কাজ করার কামরা প্রতিদিন ঝাঁড়– দিয়ে বা অন্য উপায়ে ময়লা ও আবর্জনা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
২) কারখানার মেঝে সপ্তাহে কমপক্ষে একবার পানি দিয়ে অথবা প্রয়োজনবোধে জীবাণুনাশিক ঔষধ মিশায়ে ধুতে হবে অথবা অন্য কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জীবাণূমুক্ত করে তা পরিস্কার করতে হবে।
৩। কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে মেঝেতে যদি পানি জমে যায় তাহলে তা নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ঃ
৪) কারখানার ভিতরের দেয়াল, সিলিং বা ভেতরের ছাদ, সিঁড়ি ও যাতায়াতের পথ নিম্নোক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ঃ
ক) রং বা বার্নিশ করা থাকলে পাঁচ বছির পর পর পুনঃ রং বা বার্নিশ করা।
খ) রং এবং বার্নিশ করা থাকলে এবং বহির্ভাগ মসৃণ ও উন্নত থাকলে প্রতি ১৪ মাসে একবার নির্ধারিত উপায়ে পরিস্কার করা।
গ) চুনকামের ক্ষেত্রে চৌদ্দ মাস পর পর চুনকাম বা রং করতে হবে।
ঘ) এ সকল কাজ যে তারিখে করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট রেজিস্টারের লিপি বদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।
ঘ। বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ও তাপমাত্রা ঃ
১) কারখানার প্রতিটি কাজের ঘরে পর্যাপ্ত বায়ূ চলাচলের ব্যবস্থা হিসাবে কারখানার জানালা খোলা রাখা।
২) শ্রমিকদের স্বাচ্ছন্দে থাকার উপযোগী তাপমাত্রার ব্যবস্থা করা।
৩) কাজের ঘরের ছাদ এবং দেয়াল এমনভাবে তৈরী করা যাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
৪) যেখানে বিশেষ ধরণের কাজের ফলশ্র“তিতে মাত্রাতিরিক্ত তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে সেখানে এমন কার্যকর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে কাজের ঘর থেকে গরম বাতাস বের হয়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য উপযোগী স্বাভাবিক আবহাওয়া বজায় থাকে।
৫) কারখানার জন্য পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং কারখানার প্রতি ফ্লোরে তাপমান যন্ত্র স্থাপন করা।
ঙ। ধুলোবালি ও ধোঁয়া
১) কারখানায় বিশেষ ধরণের পণ্য উৎপাদন পদ্ধতির কারণে, যদি ধূলা-ময়লা জমা হয় বা ধোঁয়া বের হওয়ার ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, তা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিবেশ জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তবে উক্ত ধুলা ময়লা জমা হওয়ার বা ধোঁয়া বের হওয়ার প্রতিকারমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২) কারখানায় আবহাওয়া দুষিত করার মত যন্ত্র কেবল খোলা জায়গায় চালাতে হবে এবং উক্ত যন্ত্র ফ্লোরের ভেতরে যাতে আবহাওয়া দূষিত করতে না পারে সেজন্য সুষ্ঠু কার্যকর প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চ) অতিরিক্ত ভীড় ঃ কারখানায় কোন কাজের ফ্লোরে নিযুক্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন ভীড় হতে পারবে না এবং এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ছ) আলোর ব্যবস্থা ঃ
১) প্রত্যেক কারখানায় প্রতি অংশে, যেখানে শ্রমিকগণ কাজ করে বা চলাচল করে, সেখানে পর্যাপ্ত এবং উপযুক্ত প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা এবং তা সংরক্ষণ করা।
২। কারখানায় প্রতিটি ফ্লোরে আলো বাতাস ঢোকার জন্য ব্যবহৃত কাঁচের স্বচ্ছ জানালার ব্যবস্থা রাখা।
৩। আলোর উৎস থেকে সরাসরি উৎসারিত চোখ ঝলসানো আলোকচ্ছটা এবং শ্রমিকের চোখের উপর চাপ পড়তে পারে বা দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে এমন অবস্থা থেকে কাজের জায়গাকে মুক্ত রাখা
জ। পানীয় জল ঃ
১। প্রত্যেক কারখানায় নিযুক্ত শ্রমিকদের পান করার জন্য সুবিধাজনক যথোপযুক্ত নির্দিষ্ট জায়গায় সর্বক্ষণ বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সে ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
২। পানীয় চল রাখার প্রত্যেকটি জায়গায় অধিকাংশ শ্রমিকদের বোধগম্য ভাষায় পানীয়জল কথাটি লিখে রাখা এবং উক্ত স্থানের ২০ ফুটের কম দূরত্বের মধ্যে কোন ধৌতগার, প্রশ্রাবখানা বা পায়খানা না থাকা নিশ্চিত করা।
ঝ। পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ
১)শ্রমিকগণের জন্য কারখানায় সকল সময়ে সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক স্থানে পায়খানা ও প্রস্রাবখানার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা।
২) পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের জন্য পুথক পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রাখা।
৩) কারখানায় অবস্থিত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাসমূহে উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) পায়খানা ও প্রস্রাবখানা যথোপযুক্তভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিস্কারক অথবা জীবানূনাশক দিয়ে সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৫। কারখানায় পুরুষ কর্মচারীর সংখ্যা ১০০ এর চেয়ে বেশি হলে প্রথম ১০০ জন পর্যন্ত প্রতি ২৫ জনের জন্য একটি করে এবং পরিবর্তী প্রতি ৫০ জন বা অংশবিশেষ এর জন্য একটি করে পায়খানা নির্মাণ করতে হবে। মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি ২৫জন মহিলার জন্য কমপক্ষে একটি করে পায়খানা নির্মাণ করতে হবে।
ঞ। পিকদানি ঃ
১) প্রত্যেক কারখানায় সুবিধাজনক জায়গায় যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানির ব্যবস্থা এবং তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
২) কোন ব্যক্তি কারখানার পিকদানি ছাড়া কারখানার আঙ্গিনার মধ্যে থু থু ফেলবেন না। এ বিধান সম্পর্কে এবং এর লংঘনের শাস্তি সম্বলিত নোটিশ কারখানার ভেতরে উপযুক্ত স্থানে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে টানিয়ে রাখা।
২৮। পরিবেশগত নিরাপত্তা ঃ পোশাক শিল্পের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে ছোট, মাঝারী কিংবা বড় ফ্যাক্টরী। উক্ত ফ্যাক্টরীতে এক নাগাড়ে ৮-১০ ঘন্টা বিরামহীনভাবে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। কাজের পরিবেশ ভাল হলে শ্রমিকদের মন-মানসিকতা ভাল থাকবে এবং উৎপাদন ভাল হবে। স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় না রাখতে পারলে শ্রমিকদের অসুখ-বিসুখের কারনে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যহত হতে পারে। তাই পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নিম্নোক্ত বিষয় গুলোর জন্য সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ঃ
ক) কর্মস্থল ঃ এমন হতে হবে যাতে শ্রমিকদেরকে ঘেষাঘেষি করে বসতে না হয়। ইউনিট এলাকার মধ্যে পানি কিংবা পিচ্ছিল পদার্থ যাতে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
খ) টয়লেট-এর মান ঃ শ্রমিকদের (পুরুষ ও মহিলাদের) জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট থাকতে হবে এবং প্রতিদিন পরিস্কার রাখতে হবে। এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো চেক লিষ্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে।
১) পানির কল সচল আছে কিনা পরীক্ষা করা।
২) ভাঙ্গা পানির কল মেরামত করে পানির অপচয় রোধ করতে হবে।
৩) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখা।
৪) পানির ব্যবস্থা থাকা।
৫। ফ্ল্যাশ কাজ করা।
৬। পানির টেপ লিক না করা।
৭। আলো এবং বাতাসের ব্যবস্থা থাকা।
৮। দরজা সঠিকভাবে বন্ধ হওয়া।
৯। মেয়েদের টয়লেটে ঢাকনা ওয়ালা ঝুড়ির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১০। প্রতিটি টয়লেটে সাবান, তোয়ালে, সেন্ডেল মওজুদ রাখা।
১১। অপ্রয়োজনীয় মালামাল না রাখা।
১২। মাকড়সার জাল না থাকা।
গ। আলো বাতাস ঃ স্বাভাবিক আলো ছাড়াও প্রতিটি কর্মস্থলে যথেষ্ট বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা থাকা বাঞ্চনীয়। কোনভাবে স্বল্প আলো দ্বারা কাজ করানা যাবে না। ফ্লোরে বাতাস চলাচলের জন্য দরজা-জানালা খোলা রাখতে হবে জাতে স্বাস্থ্য পরিবেশ ভালো থাকে।
ঘ। তাপমাত্রা ঃ কর্মস্থলে কোনভাবেই অসহনীয় তাপমাত্রা যাতে না থাকে সেজন্য অতিরিক্ত ফ্যান/ব্লোয়ারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যে কোন পার্শ্বে রৌদ্রের আলো পড়ে তাপমাত্রা যাতে অতিমাত্রায় বৃদ্ধি না হতে পারে সে জন্য প্রয়োজনে কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করতে হবে।
ঙ। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ ইউনিট/ফ্লোরে ধুলা বালি যাতে না থাকে সেজন্য পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ব্যাপারে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নির্দিষ্ট স্থানে রেখে প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে যাতে চলাচলে কোন বিঘœ সৃষ্টি করতে না পারে। দেওয়ালের কোন স্থানে স্যাঁতসেতে হয়ে গেলে যথাসময়ে চুনকাম করতে হবে।
চ। বিশুদ্ধ খাবার পানি ঃ প্রতিটি ইউনিট/ফ্লোরে নির্ধারিত স্থানে রাখা পানির ট্যাঙ্ক এ বিশুদ্ধ খাবার পানি রাখা জরুরী। প্রত্যেক শ্রমিক যাতে নিজস্ব বোতলের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
ছ। শব্দ নিয়ন্ত্রণ ঃ ইউনিট/ফ্লোরে সকলে একসাথে কথা বলতে শুরু করলে অথবা মেশিনে বেশী শব্দ সৃষ্টি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
জ। ধুমপান নিষিদ্ধ ঃ পোশাক শিল্পের ফ্যাক্টরী-ইউনিট চৌহদ্দির ভিতরে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘোষিত। এর পরও কোনভাবেই যাতে এর লঙ্ঘন না হয় ইউনিট পর্যায়ে এবং কেন্দ্রিয়ভাবে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
ঝ) পানি নিস্কাশন ঃ বৃষ্টির পানি কিংবা পাইপ থেকে নির্গত পানি যাতে কোন স্থানে জমা হয়ে প্লাবিত হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বিদ্যমান ড্রেন বা পানি নিস্কাশন ব্যবস্থাকে সর্বদা পরিস্কার করে চালু রাখতে হবে।