কারখানার নিয়ম কানুন
পোশাক কারখানার নিয়ম কানুন Rules & Regulations – বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালের আইনের দ্বিতীয় অধ্যায় এর ২৩-২৪ ধারা অনুযায়ী আওতায় যদি কোন শ্রমিক/কর্মচারী “অসদাচরনের” অপরাধে দোষী প্রমানিত হন তবে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে বরখাস্ত সহ যে কোন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে।স্থায়ী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারীর চাকুরীর প্রথম তিন মাস হবে প্রবেশন কাল সন্তোষজনক ভাবে প্রবেশন প্রবেশন কাল সমাপ্ত হলে শ্রমিক/কর্মচারীগণকে চাকুরীতে স্থায়ী করনের নিমিত্তে স্থায়ীকরন পত্র প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য যে কর্মচারীগণের চাকুরীর অবসান করতে পারবেন।
- চকুরীতে নিয়োগদানের সময় প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারীগনকে আইডি কার্ড এবং নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে। এছাড়া সার্ভিস বই কোম্পানীর নিকট সুরক্ষিত থাকবে।
- কারখানা সকাল ৮.০০ ঘটিকায় শুরু হবে এবং বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় ছুটি হবে এবং দুপুরের খাবারের জন্য দুপুর ১২.০০ টা হতে বিকাল ২.০০ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা সময়কাল বিরতি থাকবে।
- প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ “বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬” অনুয়ায়ী অতিরিক্ত সময় কাজ করাতে পারবেন।
- কাজের সময় কোন শ্রমিক/কর্মচারী গেট পাশ ছাড়া কারখানার বাহিরে যেতে পারবে না।
- কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসের ০৭ তারিখের মধ্যে মজুরী এবং অভারটাইমের টাকা শ্রমিক/কর্মচারীগণকে পরিশোধ করবেন।
- কোম্পানীর নিয়ামানুযায়ী দক্ষ শ্রমিক/কর্মচারীগণকে কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি প্রদান করবেন।
- কোম্পানীর নিয়ামানুযায়ী যে সকল দক্ষ শ্রমিক/কর্মচারীগণরে চাকুরী কাল ১ (এক) বছরপূর্ণ হয়েছে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বেতন বৃদ্ধি প্রদান করবেন।
- যে সকল শ্রমিক/কর্মচারীগণের চাকুরীর মেয়াদ ১ (এক) বছর পূর্ণ হয়েছে, তাদেরকে কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী উৎসব বোনাস প্রদান করা হবে।
- প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারীগণকে চিকিৎসা ভাতা ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে কোম্পানীর নিয়োগকৃত ডাক্তার কর্তৃক ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
- দুপুরে খাবারের জন্য সকল শ্রমিক/কর্মচারীগনকে ডাইনিং ব্যবহার করতে হবে।
- পোশাক কারখানার নিয়ম অনুসারে কারখানার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সকল শ্রমিক/কর্মচারীগণকে সচেতন হতে হবে।
- কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে শ্রমিক/কর্মচারীগণকে এই প্রতিষ্ঠানের যে কোন বিভাগে অথবা কোম্পানীর অন্য কোন কারখানায় (বাংলাদেশের সর্বত্র) বদলী করতে পরবেন।
- সকল শ্রমিক কর্মচারীগণ সপ্তাহে ০১ (এক) দিন সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করবেন যাহা সাধারনত শুক্রবার হবে।
- “বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬” অনুয়ায়ী শ্রমিক/কর্মচারীগণ মজুরীসহ নিু লিখিত অবকাশ ও ছুটি ভোগ করবেন।
- বাৎসরিক ছুটি ঃ যে সকল শ্রমিক কর্মচারীগণের চাকুরীর সময়কাল একটানা ১ (এক) বছর পুরন হয়েছে তারা পরবর্তী বার মাসের বা ১ (এক) বছরের মধ্যে পূর্ণ মজুরীসহ প্রতি ১৮ (আঠার) কর্মদিবসের জন্য ০১(এক) দিনের বাৎসরিক ছুটি ভোগ করবেন। কোন শ্রমিক/কর্মচারী যদি তার বাৎসরিক ছুটি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভোগ না করে থাবেন তবে তার পাওনা ছুটি সর্বোচ্চ ৪০ (চল্লিশ) দিন পর্যন্ত জমা থাকবে। তবে কোম্পানী বাৎরিক পাওনা ছুটির সমপরিমাণ মজুরী শ্রমিক/কর্মচারীগণকে পরিশোধ করতে পারবেন।
- উৎসব/পর্ব ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী বছরে ১১ (এগার) দিন উৎসব/পর্ব উপলক্ষ্যে পূর্ণ মজুরীসহ ছুটি ভোগ করবেন। এরূপ উৎসবের বা পর্বের দিন ও তারিখ প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট করা হবে।
- নৈমিত্তিক ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী বছরে পূর্ণ মজুরীসহ সর্ব নিু ১০ (দশ) দিন নৈমিত্তিক ছুটি পাবেন।
- অসুস্থতাজনিত ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী বছরে পূর্ণ মজুরীসহ ১৪ (চৌদ্দ) দিন অসুস্থতাজনিত ছুটি পাবেন।
- মাতৃকাল্যাণ ছুটি ঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালের আইনের চতুর্থ অধ্যায় এর ৪৫-৪৯ ধারা অনুযায়ী যে সকল মহিলা শ্রমিক/কর্মচারীগণের প্রসবের দিনের অব্যবহিত আগে ৬ (ছয়) মাস চাকুরীর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তারা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্ববর্তী আট সপ্তাহ এবং প্রসবের দিনসহ পরবর্তী আট সপ্তাহ অর্থাৎ মোট ১৬ সপ্তাহ প্রসূতি ভাতাসহ মাতৃকল্যাণ ছুটি পাবেন।
- যদি কোন শ্রমিক/কর্মচারী স্বেচ্ছায় তার চাকুরীর অবসান করতে চান তবে ঐ শ্রমিক বা কর্মচারীকে ২ (দুই) মাসের নোটিশ বা দুই মাস পূর্বে কর্তৃপক্ষের বরাবরে পদত্যাগ পেশ করতে হবে।
- কর্তৃপক্ষ যদি কোন স্থায়ী শ্রমিক/কর্মচারীর চাকুরীর অবসান করতে চান তবে ১২০ (এক শত বিশ) দিনের নোটিশ অথবা নোটিশের পরিবর্তে ১২০ (এক শত বিশ) দিনের মজুরী পরিশোধ করবেন।