কর্তন নীতি
কর্তন নীতি -ফ্যাশনস লিঃ দেশের প্রচলিত শ্রম আইনে প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোন শ্রমিকের নিকট হতে যে কোন ধরনের আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে আইনের দ্বারা নির্দেশিত বিধানাবলী সূচারুভাবে অনুসরন করার জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধ। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর আলোকে কেবলমাত্র বিশেষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অত্র প্রতিষ্ঠান মজুরী কর্তন (ঈনধয়দঢ়) করে থাকে। নিম্নে কর্তনের বিষয় গুলি উল্লেখ করা হলো ঃ …।
কোন শ্রমিকের নিকট হতে যে কোন ধরনের আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে আইনের দ্বারা নির্দেশিত বিধানাবলী সূচারুভাবে অনুসরন করার জন্য অত্র গ্র“পের সকল প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান সমূহ বাধ্য থাকবে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রমিক কর্মচারীর আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে নিæ বর্নিত বিষয় গুলোকে বিবেচনা করা হবে
অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রমিক কর্মচারীর আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে নি¤œ বর্নিত বিষয়গুলোকে বিবেচনা করা হবে :-
১। অনুপস্থিতির জন্য বেতন কর্তন ঃ
ক) কর্মস্থল হতে অনুপস্থির কারণে কোন শ্রমিকের মজুরী হতে কর্তন কেবল তখনই করা যাবে যখন তাহার নিয়োগের শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা তখন যদি তিনি সমস্ত সময়ের জন্য অথবা উহার কোন অংশের জন্য অনুপস্থিত থাকেন। এক্ষেত্রে উক্তরুপ কর্তনের পরিমান কোন ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতির সময়ের জন্য তাকে প্রদেয় মজুরীর পরিমাণ এর বেশি হবেনা। নিয়োগের শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা থাকলেও যদি কোন শ্রমিক অননুমোদিত ভাবে উক্ত সময়ে অনুপস্থিত থাকে তাহলে উল্লেখিত সময়ের মুজুরী কর্তন করা যাবে।
খ) উক্তরূপ কর্তনের পরিমান কোন ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতির জন্য তাহাকে প্রদেয় মজুরীর চেয়ে বেশি হবে না।
২। ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য কর্তন ঃ
ক) কোন শ্রমিকের অবহেলা বা গাফিলাতির কারনে ঘটিত মালিকের ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য উক্ত শ্রমিকের উপর আর্থিক কর্তন আরোপ করা যাবে।
খ) উক্তরূপ কর্তন মালিকের ক্ষতি বা বিনষ্ট অপেক্ষা বেশি হবে না।
গ) ন্যায় বিচারের নীতি অনুসরন করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত না হলে তার বিরুদ্ধে কর্তন আরোপ করা হবে না।
৩। কর্জ বা অগ্রিম আদায়ের জন্য কর্তন ঃ
চাকুরী শুরু হবার পূর্বে প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিম আদায় বাবদ কর্তন একটি পুর্ণ মজুরী কালের জন্য পরিশোধকৃত প্রথম মজুরী হতে করা হবে।কোম্পানীর কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী যদি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কোন অগ্রীম কর্জ গ্রহন করে থাকে তবে উক্ত অগ্রীম বা কর্জ সমন্বয়ের জন্য কিস্তি ভিত্তিক বা এক কালীন (যে শর্তে শ্রমিক অগ্রিম গ্রহণ করে থাকে) ভিত্তিতে কর্তন করা যাবে।
৪। ধারা ২৫ এর অধীন আরোপিত জরিমানা ঃ
জরিমানার ক্ষেত্রে নি¤œ বর্নিত শর্তগুলো মেনে চলা হবে –
ক) কোন অগ্রিম বা কর্জ আদায়ের জন্য কর্তন, অথবা কোন অতিরিক্ত মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে উহা সমন্বয়ের জন্য কর্তন। কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমান অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা হবে না।
খ) কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা আরোপের ষাট দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর তাহা আদায় করা হবে না।
গ) কোন জরিমানা যে অপরাধের জন্য আরোপিত হয়েছে সে অপরাধ তারিখেই উহা আরোপিত হয়েছে বলে গন্য হবে।
ঘ) সকল জরিমানা এবং এর আদায় বিধিদ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগনের
কল্যানমূলক কাজে ব্যবহার হবে।
৫। আয়কর বাবদ কর্তন ঃ শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর (যদি প্রযোজ্য হয়) বাবদ কর্তন করা যাবে।
৬। আদালতের আদেশ কর্তন ঃ কোন আদালতের আদেশে অথবা উক্তরূপ কর্তনের আদেশ দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষের আদেশে
কর্তন।
৭। হাজিরা বোনাস ঃ যদি কোন শ্রমিক শর্তানুযায়ী কোন মাসে ছুটি সহ বা ছাড়া কমর্ দিবসে অনুপস্থিত থাকেন কিংবা বিলম্বে ফ্যাক্টরীতে
প্রবেশ করেন তাহলে সেই শ্রমিক উক্ত মাসের হাজিরা বোনাসের অধিকারী হবেন না।
৮। প্রক্সিমিটি কার্ড সংক্রান্ত কর্তন ঃ নতুন যোগদানকৃত শ্রমিকদের প্রক্সিমিটি কার্ড ইস্যু বাবদ শ্রমিকদের নিকট থেকে কোন প্রকার টাকা
নেওয়া হয়না।
জরিমানার বিধানাবলী ঃ
জরিমানার ক্ষেত্রে নিæ বর্নিত শর্তগুলো মেনে চলা যাইতে পারে।
ক) কোন শ্রমিকের হেফাজতে প্রদত্ত মালিকের কোন মালামালের ক্ষতি বা লোকসান, অথবা তিনি যে অর্থের জন্য হিসাব দিতে দায়ী সে অর্থ বিনষ্টির জন্য কর্তন, যদি উক্তরুপ ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য সরাসরি তার অবহেলা বা গাফিলতি দায়ী হয়। কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমান অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা হবে না।
খ) শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর বাবদ কর্তন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা আরোপের ষাট দিন অতিক্রম হওয়ার পর তাহা আদায় করা হবে না।
গ) কোন জরিমানা যে অপরাধের জন্য আরোপিত হয়েছে সে অপরাধ তারিখেই উহা আরোপিত হয়েছে বলে গন্য করা যাইতে পারে।
সারাংশ
কর্তৃপক্ষ সব সময় শ্রমিক/কর্মচারীদের মানবীয় বা মজুরী আধিকার সংরক্ষনে বিশ্বাসী। ব্যাবিলন কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, অযেীক্তিকভাবে অত্র প্রতিষ্ঠান কোন শ্রমিক, কর্মচারী অথবা কর্মকর্তার কাছ থেকে আর্থিক মজরী হতে কোন কিছু কর্তন করেনা। সকল জরিমানা এবং এর আদায় একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা যাইতে পারে কর্তন নীতি