লুপ ২৫ এর নিয়ম কানুন
১) কোষাধ্যক্ষ একজন এবং তার সহকারী হিসেবে সমিতির প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারী (টাকা উত্তোলন বা খরচ এর ক্ষেত্রে যে কোনো দুই জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন),মেয়াদকাল – দুই বছর।
২)মাসিক কিস্তি ৫০০০ টাকা এবং
৩)নতুন সদস্য এন্ট্রির শেশ সময় ১৯১৪ সালের জুন মাসের বিশ তারিখ পর্যন্ত।
৪) কিস্তি প্রদানে বিলম্ব হলে বিলম্ব ফি দুইশ টাকা অর্থাৎ বিশ তারিখের পর যদি কেউ মাসিক কিস্তি প্রদান করে তাহলে তাকে ৫২০০ টাকা প্রদান করতে হবে পরবর্তি প্রত্ত্যেক মাসের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য।
৫) জানুয়ারী মাসের পর কেউ যদি সদস্য হয় তাহলে তাকে অবশ্যই বিলম্ব ফিস সহ এবং পুর্ববর্তি মাসের ফিস সহ সদস্য হতে হবে।
৬)এক বছরের আগে কেউ তার সদস্যপদ বাতিল করতে চাইলে সে তার জমাকৃত মুল টাকার ৮০% ফেরত পাবে।
৭) কেউ যদি এক বছরের পর সদস্যপদ বাতিল করতে চায় তাকে মুল টাকার ৮০% এবং লভ্যংশের ৮০% টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
৮) কেউ যদি দুই বছরের পর বা তার অধিক কাল সময় পরে সদস্যপদ বাতিল করতে চায় তাহলে তাকে মুল টাকার ৯০% এবং লভ্যংশের ৮০% টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
৯) সদস্যপদ বাতিলের কারনে টাকা ফেরতের বিষয়টি অর্থাৎ কতদিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া হবে সেটার সিদ্ধান্ত নিবে সমিতির কমিটি এবং ঐ সদস্য সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।
১০)কার্যকরী দায়িত্ব নিবে এলাকা ভিত্তিক মাসিক কিস্তি সঙ্গগ্রহের অর্থাৎ মাসের প্রথম দিকে তারা সদস্যদের ম্যাসেজ দিবে এবং মাসের পনেরো তারিখে ঐ সদস্যের সাথে ফোনে যোগাযোগ করবে যেনো সদস্যরা বিশ তারিখের মধ্যে তার মাসিক কিস্তি প্রদান করে আর বিলম্ব ফিস থেকে মুক্ত থাকে।
১১)শতভাগ লাভের নিশ্চয়তা ছাড়া এই সমিতি কোনো প্রকার ব্যাবসার ক্ষেত্রে টাকা ইনভেস্ট করবেনা- এই ক্ষেত্রে জমি বা ফ্লাটের দিকে ইনভেস্ট করাটাই সমিচীন। এছাড়া যদি নতুন কোনো স্বীদ্ধান্ত নিতে হয় তাহলে কমিটি যে স্বীদ্ধান্ত নিবে সেটা সদস্যরা মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।
১২)দেশ ও সামাজিক সেবার ক্ষেত্রে সমিতি তার লভ্যংশের ১০ শতাংশ টাকা ব্যাবহার করতে পারবে।
১৩)যদি কোনো সদস্য মারা যায় সেক্ষেত্রে ঐ সদস্যের নমিনি এর নামে বাকী সদস্যরা সবাই মিলে মৃত সদস্যের মাসিক কিস্তি চালিয়ে নেবে এবং কত বছর সেটা চালিয়ে নেবে অথবা মৃতের পর নমিনি কে এককালীন দ্বিগুন টাকা প্রদান করা যেতে পারে সেটা আলোচনা সাপেক্ষ।
১৪) একজন সদস্য সর্বোচ্চ একটি শেয়ার নিতে পারবে।
১৫) হটাথ করে যদি কোনো লাভজনক স্থানে ইনভেস্টমেন্ট এর সুযোগ আসে আর সমিতির ফান্ডে যদি ওই পরিমান টাকা না থাকে তাহলে আলোচনা সাপেক্ষে অতিরিক্ত টাকা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে সকল সদস্যের মতামত নিতে হবে তবে সেক্ষেত্রে কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
১৬)প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে সমিতির ফান্ড বাড়ানোর জন্য এককালীন বিশ হাজার টাকা জমা দিতে হবে।
১৭) যে কোনো পরিবর্তন-পরিবর্ধন এবং নতুন কোনো ধারা সংযোজন বা কর্তনের জন্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সীদ্ধান্ত নিবে সমিতির কমিটি।
উদ্দেশ্য
লুপ ২৫ (LOOP 25) মালটিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর উদ্দেশ্য সমুহ নিম্নরুপঃ
- সভ্যগণকে সমবায় নীতি ও আদর্শ বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমবায় সংগঠন ভিত্তিক পরিকল্পিত জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করা।
- ব্যাক্তিগতভাবে সভ্যগণকে এবং সমষ্টিগতভাবে সংগঠনকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য সভ্যগণকে নিয়মিত সঞ্চয় ও সিমিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্পদ সংগ্রহের মাধ্যমে সংগঠিত করে মূলধন গঠন ও মূলধনের সঠিক ব্যাবহারের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক ও সামজিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
- সভ্যগণের এবং সংগঠনের স্বার্থে গৃহনির্মাণ, পরিবহন, কুটিরশিল্প স্থাপন, হস্তশিল্প প্রভৃতি বিষয়ে প্রকল্প গ্রহন এবং বাস্তবায়ন।
- সভ্যগণের সঞ্চয় বৃদ্ধির মাধ্যমে তহবিল সৃষ্টি করা এবং সৃষ্ট তহবিল পুনরায় সভ্যগণের মধ্যে ঋণ প্রদান ও বিনিয়োগ করা।
- সদস্যদের আবাসিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আবাসন প্রকল্প গ্রহন করা।
- শিল্প কারখানার কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত পন্যের আমদানি রপ্তানি ব্যাবস্থা করা ও ব্যাবসা পরিচালনা করা।
- সভ্যগণ ও তাদের সন্তান সন্তদিদের উচ্চশিক্ষার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া ও পপ্রয়োজনীয় সহায়তা করা।
উল্লেখিত উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষে সমিতি নিম্নলিখিত কর্ম পরিচালনা করতে চায়ঃ
- আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্লট ক্রয়, ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি করে তা সদস্যদের মধ্যে হস্তান্তর করা ও বিক্রয় করে তহবিল সংগ্রহ করা অথবা মুনাফা অর্জনে বিক্রয় করা।
সভ্য/সদস্য
নিম্নলিখিত ব্যাক্তিগন সভ্য/সদস্য হতে পারবেনঃ
- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইলস এর ২৫ তম ব্যাচের ছাত্র/ছাত্রী বৃন্দ যারা নিরধারিত ফরমে আবেদন করেছেন।
- নিরধারিত ফরমে আবেদন করার পর ব্যাবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক মনোনিত হয়েছেন।
- যারা ১ ও ২ নং শর্ত পুরন সাপেক্ষে মাসিক নির্ধারিত আমানত প্রদান করেছেন।
সভ্য/সদস্য নির্বাচন
- কোনো ব্যাক্তি সভ্য/ সদস্য হবার ইচ্ছা পোশন করলে সমিতির ব্যাবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নিরধারিত নিয়ম অনুসারে আবেদন করবেন।
- ব্যাবস্থাপনা কমিটি বিবেচনা করে তার আবেদন মঞ্জুর অথবা উপযুক্ত কারন থাকলে আবেদন না মঞ্জুর করতে পারবেন।
- সভ্য পদ মঞ্জুর অথবা না মঞ্জুর হওার সিধান্ত ত্রিশ(৩০) দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
- আবেদনপত্র মঞ্জুর হলে নিরধারিত ফি ৫০০০.০০ টাকা (পাঁচ হাজার টাকা)এক টি(১টি) শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে সমিতির তহবিলে জমা দিয়ে সভ্য তালিকা বইতে নাম লেখাতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে।
- শেয়ার ক্রয়ের তারিখ হতে সদস্য পদের মেয়াদ গননা হবে।
সভ্যের মনোনিত ব্যাক্তি
- কোন সভ্য তার মৃত্যুর পর তার শেয়ার অথবা অন্য স্বত্তের হস্তান্তরের জন্য লিখিত ভাবে কাউকে মনোনিত করবেন, যা সদস্য ভর্তি ফরমে উল্লেখ আছে।
- সভ্য ইচ্ছা করলে যেকোন সময় তার মনোনিত ব্যাক্তিকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
সভ্য/সদস্য পদ ত্যাগ
কোন সভ্য যদি নিজে বা জামিনদার হিসাবে কিংবা সমিতির নিকট কোন প্রকার দেনাদার না থাকেন তাহলে এক মাসের লিখিত নোটিশ দিয়ে সভ্য পদ ত্যাগের আবেদন করতে পারবেন।
সভ্যগনের জরিমানা ,সাময়িক বহিস্কার, বিতাড়ন ও শেয়ার বাজেয়াপ্ত
কোন সভ্য ব্যাবস্থাপনা কমিটির বিবেচনায়ঃ
- ইচ্ছা পূর্বক সমিতির আইন, বিধিমালা, উপ আইন অথবা সমিতি প্রণীত কোন বিষয় লঙ্ঘন করলে।
- সমিতির স্বার্থ হানিকর কোন কাজ করলে বা সাধারন সভার নির্দেশ অমান্য করলে।
- ইচ্ছা পূর্বক সমিতির পাওনা টাকা না দিলে বা পর পর ০৬ (ছয়) মাস আমানত না দিলে বা সমিতির সাথে আবধ্য চুক্তি ভঙ্গ করলে, ব্যাবস্থাপনা কমিটি সমিতির বিধান অনুযায়ী সাধারন সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে তাকে জরিমানা, সাময়িক বহিস্কার, তার শেয়ার বাজেয়াপ্তকরন ও তাকে বহিস্কার করতে পারবে।
- ব্যাবস্থাপনা কমিটি কোন অভিযুক্ত সভ্য সম্পর্কে সিধান্ত গ্রহনের পূর্বে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবে।
সভ্য পদের অবসান
নিম্নলিখিত কারনে সভ্য পদের অবসান হবেঃ
- সভ্য পদের যোগ্যতা হারালে।
- পদ ত্যাগ করলে।
- কমিটি কর্তৃক বিতাড়িত হলে।
- মৃত্যু ঘটলে।
- আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা বিকৃত মস্তিষ্ক সাব্যস্ত হলে।
- নৈতিক ভ্রষ্টাচারের অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে।
বিতাড়িত বা সভ্য পদ ত্যাগির প্রাপ্য ফেরত
কোন সভ্য যদি সমিতির বয়স ২ বছর হওয়ার পূর্বে সদস্য পদ হারায়, তাহলে তার জমা কৃত টাকার ৮০ শতাংশ (আশি শতাংশ) টাকা ফেরত পাবে।২ বছরের পর যদি কোন সভ্য তার সদস্য পদ হারায়, তাহলে জমা কৃত টাকার ৯০ শতাংশ (নব্বই শতাংশ)এবং লভ্যাংশের ৮০ শতাংশ ( আশি শতাংশ) ফেরত পাবেন।
তবে উল্লেখ থাকে যে, ব্যাবস্থাপনা কমিটি অনধিক এক বছরের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে।
ঋণ দেওয়া
- ব্যাবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে কেবল সভ্য গণকে ঋণ/ কর্জ দেওয়া যাবে।
- এখানে উল্লেখ্য যে, কোন সভ্য শুধুমাত্র তার শেয়ার মূলধনের ৮০ শতাংশ ( আশি শতাংশ) ঋণ পাবে।
- ব্যাবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে ঋণের জন্য আবেদন করতে হবে।
- ব্যাবস্থাপনা কমিটি বিশেষ বিবেচনায় ন্যায্য কারন আছে মনে করলে ঋণের আবেদন মঞ্জুর করবেন।
- ঋণের বিনিময়ে ব্যাবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত হারে সুদ প্রদান করতে হবে।
বার্ষিক সাধারন সভা
- প্রত্যেক বছর শেষে ব্যাবস্থাপনা কমিটি একটি সাধারন সভার আয়োজন করবে, যেখানে সমিতির সমস্ত সদস্য আমন্ত্রিত থাকবে।
- সাধারন সভায় সমিতির ব্যাবস্থাপনা কমিটি সকলের সম্মুখে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম ও হিসাব নিকাশ পরিবেশন করবে।