Select Page

ওয়েলফেয়ার অফিসার এর কাজ

  • কল্যান কর্মকর্তার কর্তব্য নিম্নরূপ ঃ
  • কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখবার উদ্দেশ্যে যোগাযোগ রক্ষা ও আলাপ-আলোচনা চালান ওয়েলফেয়ার অফিসার এর দায়িত্ব
  • শ্রমিকদের ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত দাবি-দাওয়া ও অভাব-অভিযোগ মালিকের গোচরে আনা ও উহা দ্রুত নিরসনের জন্য চেষ্টা করা।
  • শ্রমিকদের বক্তব্য উপলব্ধি করা এবং পারস্পারিক মত পার্থক্য দূর করার জন্য মালিক ও শ্রমিকগনকে সাহায্য করা। মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে উহার আপোস মিমাংসার জন্য স্বীয় প্রভাব কাজে লাগানো।
  • মজুরী ও চাকুরীর শর্তের বিষয়গুলো নিয়ে মালিক পক্ষ ও শ্রমিকদের প্রতিনিধির সাথে আলোচনা। শ্রমিক ও মালিক সম্পর্কোন্নয়নের জন্য চেষ্টা করা।
  • শ্রমিকদের কল্যাণার্থে কারখানার মেডিকেল অফিসারের সাথে সংযোগ রক্ষা।
  • শ্রমিকদের বিভিন্ন কমিটি ও যুগ্ম উৎপাদন কমিটি, সমবায় সমিতি ও ওয়েল ফেয়ার কমিটি গঠনকে উৎসাহিত করা এবং তাদের কাজকর্ম তদারক করা।
  • বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, যথা ক্যান্টিন, বিশ্রমাগার, শিশু ভবন, পর্যাপ্ত পায়খানার ব্যবস্থা, খাবার পানি ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখা।
  • সবেতন ছুটি মঞ্জুরীর ব্যাপারে মালিক পক্ষকে সাহায্য করা এবং সবেতন ছুটি , বেতন ও ওভার টাইম নির্ণয় অন্যান্য নিয়ম-কানুনের ব্যাপারে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলা।
  • গৃহ সংস্থান, খাদ্য, সমবায় সমিতি ও নায্য মূল্যের দোকান প্রতিষ্ঠা, সামাজিক ও প্রমোদমূলক সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ ইত্যাদি শ্রম কল্যানমূলক বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা।
  • শ্রমিকদের কাজের ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও তাদের কল্যানমূলক ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা ও সুপারিশ করা।

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবী-দাওয়া নিয়ে সরাসরি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার জন্য এবং প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও মালিক সকলেরই অংগীভূত হওয়ার ভাব প্রোথিত ও প্রসার করা ওবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিকগণের অঙ্গীকার ও দায়িত্ব জাগ্রত করার লক্ষ্যে গ্রমেন্টস. কম্পোজিট লিমিটেডে বাংলাদেশ শ্রম আইন – ২০০৬ এর ২০৫ ধারা অনুযায়ি একটি কার্যকরী অংশগ্রহনকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে মালিক প্রতিনিধি ও প্রত্যেক ফ্লোরের/সেকশনের শ্রমিককে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এ কমিটি উভয় পক্ষের অভিন্ন স্বার্থে বিভিন্ন সুপারিশ প্রণয়ন করে থাকে এবং মত পার্থক্য দূর করার চেষ্টা করে থাকে।