ছুটির নীতি ও ছুটি নেয়ার পদ্ধতি
কর্তৃপক্ষ এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা ,কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য কিছু ছুটির বিধিমালা জানিয়ে দেয়ার জন্য ছুটির নীতি প্রনয়ন করেছে। যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তবসম্মত কারনে কোম্পানীতে নিযোজিত সকল ব্যক্তিবর্গ এখন হতে নিম্নলিখিত ছুটির নীতি অনুযায়ী ছুটির অধিকারগুলো ভোগ করতে পারবে।
ছুটির প্রকার ঃ
১) সাপ্তাহিক ছুটি ।
২) নৈমিত্তিক ছুটি ।
৩) অসুস্থতাজনিত ছুটি।
৪) পর্বজনিত ছুটি।
৫) অর্জিত ছুটি।
৬) মার্তৃত্বকালীন ছুটি।
ছুটি অনুমোদনকারী ঃ
১) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের ছুটি অনুমোদন করবেন।
২) প্রশাসন বিভাগের প্রধান বিভাগীয় প্রধানদের ছাড়া অন্যান্য সকলের ছুটি অনুমোদন করবেন।
ছুটি নেয়ার পদ্ধতি ঃ
ছুটি প্রার্থী ব্যক্তিকে কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে ছুটির জন্য আবেদন করতে হবে।
ছুটির আবেদনপত্র পূরন করে প্রথমে যার যার বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে।
বিভাগীয় প্রধান ছুটির সুপারিশ করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রশাসন বিভাগে পাঠাবেন ।
প্রশাসন বিভাগ চূড়ান্ত অনুমোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
সাপ্তাহিক ছুটি ঃ প্রত্যেক কর্মী সপ্তাহে ০১ (এক) দিন (সাধারনত শুক্রবার )সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করবে। জরুরী প্রয়োজনে কোন সাপ্তাহিক
বা পর্বজনিত ছূটির দিনে কাজ করানো হলে পরবর্তী ৩ (তিন) দিনের মধ্যে কোন একদিন ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি প্রদান
করতে হবে।
নৈমিত্তিক ছুটি ঃ প্রত্যেক কর্মী বছরে পূর্ণ বেতনসহ দশ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবে নিম্ন লিখিত শর্তের উপর –
১) নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ না করলেও পরবতী বছরে এই ছুটি যোগ হবে না । অর্থাৎ এই বছরের ৩১শে ডিসেম্বর এর পর এই ছুটি বাতিল হয়ে যাবে।
২) ছুটি কালীন সময়ের সাথে যদি কোন সাপ্তাহিক ছুটি বা কোন পর্বজনিত ছুটি পড়ে তাহলে তা ঐ ছুটির সাথে যোগ হবে না।
৩) নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকেই কর্মীরা এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।
অসুস্থতাজনিত ছুটিঃ প্রত্যেক কর্মী বছরে ১৪ দিন অসুস্থতা জনিত ছুটি ভোগ করতে পারবে নিম্নে লিখিত শর্তের ভিত্তিতে –
১) প্রত্যেক শ্রমিক বছরে ১৪ দিন গড় অর্ধ বেতন সহ অসুস্থতাজনিত ছুুটি ভোগ করতে পারবে।
২) স্টাফ এবং অফিসারগন পূর্ণ বেতন সহ বছরে ১৪ দিন এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।
৩) এই ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বছরে উত্তরণ করা যাবে না।
৪) দুই দিনের ছুটি হলে কোন ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে না।
৫) ৩ দিন অথবা এর বেশী ছুটি হলে যথপোযুক্ত ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।
পর্বজনিত ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক বছরে অন্তত ১৩ দিন পর্ব উপলক্ষ্যে সবেতন ছুটি ভোগ করতে পারবে। পর্বজনিত ছুটির দিন ও তারিখ
কর্তৃৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে। জরুরী প্রয়োজনে পর্ব উপলক্ষে যে কোন ছুটির দিন কাজ করানো হলে তা ওভারটাইম
হিসাবে গন্য হবে এবং একটি বিকল্প ছুটির ব্যবস্থা করা হবে।
অর্জিত ছুটি ঃ যে কোন শ্রমিক এর চাকুরীর বয়স একটানা ১ (এক) বৎসর পূর্ণ হলে নিম্নের শর্তানুযায়ী একজন শ্রমিক সবেতনে এই
ছুটি ভোগ করতে পারবে।
১) গ্র“প এর সকল কর্মী যাদের চাকুরীর বয়স ১ বৎসর পূর্ণ হয়েছে তারা পরবর্তী বছরে প্রতি ২২ কর্মদিবসে একদিন অর্জিত ছুটি ভোগ করার অধিকারী হবে।
২) এই ছুটি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভোগ না করে থাকলে পরবর্তী বছরে তার পাওনা ছুটির সাথে তা যোগ করা হবে।
৩) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের অর্জিত ছুটির পরিমান ২০ দিন হলে সে আর এই ছুটি জমা করতে পারবে না।
মার্তৃত্বকালীন ছুটির নীতি ঃ কোম্পানী মহিলা কর্মীদের জন্য নিম্নলিখিত শর্তানুযায়ী মার্তৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করবে।
১) এই ছুটি পেতে হলে একজন মহিলা কর্মীকে ন্যুনতম ৯ মাস একটানা এই কোম্পানীতে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
২) সন্তান প্রসবের ছয় সপ্তাহ পূর্বে এবং প্রসবের ছয় সপ্তাহ পরে মোট বার সপ্তাহ এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।
৩) একজন মহিলা কর্মী কর্মরত অবস্থায় সর্বোচ্চ দুইবার এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
৪) সন্তান প্রসবের ছয় সপ্তাহ পূর্বে ডাক্তারি সার্টিফিকেট সহ ছুটির আবেদন পত্র পেশ করবে এবং সন্তান প্রসবের পর ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।
৫) মার্তৃত্বকালীন ভাতা ”মার্তৃকালীন সুবিধা প্রদান নীতি অনুযায়ী” প্রদান করা হবে।
ছুটি বর্ধিতকরন ঃ
১) ছুটিতে যাওয়ার পর শ্রমিক যদি ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চায় এবং যদি বর্ধিত মেয়াদের জন্য ছুটি পাওনা থাকে তবে
তাকে ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার যথেষ্ট আগে কর্তৃপক্ষের নিকট ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন পত্র পাঠাতে হবে।
২) ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যদি পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে কর্মী কাজে যোগদান না করে এবং যথাসময়ে কাজে যোগদান না করার কারন সম্পর্কে কর্র্তৃপক্ষকে সন্তাষ্টিমূলক জবাব দিতে না পারলে চাকুরীর শর্ত হারাবে।
৩) বিনা অনুমতিতে ১০ দিন অনুপস্থিত থাকার পর কোন কর্মী যদি কর্তৃপক্ষকে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে, তবে তাকে অনুমোদিত ছুটির দিন ব্যতীত বাকী দিন গুুলো বিনা বেতনে ছুটি মন্জুর করা হবে।
সকল প্রকার ছুটির দলিলপত্র (ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি সহ) তদারক, রক্ষণাবেক্ষন, এবং নিয়ন্ত্রন করা হবে ্প্রশাসন ও এইচ আর বিভাগ দ্বারা ।
কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।
বোনাস ঃ ১) যে শ্রমিক তার কাজের মেয়াদ ১ বছর পর্যন্ত করেছে তাকে বছরে দুইটি পর্যন্ত বোনাস দেওয়া হয়।
২) মুল বেতনের সমান হারে বোনাস দেওয়া হয়।
ইনসেনটিভ ঃ সকল শ্রমিক কর্মচারীদের সারা বছর বিনা খরচে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা পরামর্শ সুবিধাসহ ঔষধ
সরবরাহ করা হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে চিকিৎসার স¤ম্পুর্ণ খরচ বহন করা হয়।
ইনক্রিমেন্টঃ প্রতি বছর প্রত্যেক শ্রমিককে ইনক্রিমেন্ট দিয়ে থাকি যা তাদের যোগ্যতা ও বয়োজ্যেষ্টতা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
ছুটির পদ্ধতি ঃ আমাদের কারখানার ছুটি পাওয়ার কিছু সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী আমাদের শ্রমিকদের মোট পাঁচ ধরনের
ছুটির বিধান রয়েছে। এগুলো নিুরূপঃ
পর্বজনিত ছুটি ঃ বছরে ১৩ দিন বেতন সহ এই ছুটি একজন শ্রমিক পায়, যা আমরা নির্ধারিত করে দেই (সরকারি বিভিন্ন পর্বকালীন বদ্ধ
হিসাবে)
নৈমিত্তিক ছুটিঃ একজন শ্রমিককে বছরে ১০ দিন পর্যন্ত বেতনসহ নৈমিত্তিক ছুটি দেওয়া হয়।
অসুস্থতাজনিত ছুটি ঃ কোন শ্রমিক অর্ধ বেতন সহ বছরে ১৪ দিন এই ছুটি পায়।
বার্ষিক ছুটি ঃ অত্র কারখানায় যে সকল শ্রমিক অব্যাহত ১(এক) বছর চাকুরীর মেয়াদ পুর্ণ করেছেন তারা পরবর্তী ১২ মাসের মধ্যে প্রতি
২২ (বাইশ) দিনের কাজের জন্য ১ (এক) দিনের ছুটি পাবেন।
প্রসবকালীন ছুটি ঃ মহিলা কর্মীদের সন্তান প্রসবের ৬ সপ্তাহ পূর্বে এবং প্রসবের পর ৬ সপ্তাহ প্রসবকালীন ছুটি দেওয়া হয়।
ছুটি পাবার ক্ষেত্রে যে কোন শ্রমিককে নিুলিখিত আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই স¤পন্ন করতে হবে। অন্যথায় ঐ ছুটি গ্রহনযোগ্য হবে না ঃ
১। কোন শ্রমিক ছুটি নিতে আগ্রহী হলে তাকে অবশ্যই ছুটির আবেদনের নির্ধারিত ফরম পুরণ করতে হবে।
২। ছুটির আবেদন পত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্বাক্ষর করলেই কেবলমাত্র কোন শ্রমিক ছুটি পাবেন।
৩। ছুটির আবেদন জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দ্বারা তা মঞ্চুর না করিয়ে নিয়ে ছুটি ভোগ করা যাবে না। করলে তা অননুমোদিত ছুটি বলে বিবেচিত হবে।
৪। কোন শ্রমিকের কাজ কোন সময় কো¤পানীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলে সে ক্ষেত্রে সে সময় তার ছুটির আবেদন কো¤পানী মঞ্চুর নাও করতে পারে। কর্তৃপক্ষ ছুটির প্রয়োজনীয়তা ও সময় সুযোগ বিবেচনা করে ছুটির আবেদন মঞ্চুর করবেন। এয়াড়াও আমাদের কোম্পানীর একটি নিজস্ব নীতিমালা আছে যা িিনম্নরুপ ঃ
গ্র“পের বাৎসরিক ছুটির তালিকা ।
পর্বকালীন ছুটির তালিকা
ক্রমিক নং ছুটির দিন মোট দিন
০১ ঈদ-উল-আজহা ০৪দিন
০২ শহীদ দিবস ১ দিন
০৩ স্বাধীনতা দিবস ১ দিন
০৪ বাংলা নববর্ষ ১ দিন
০৫ মে দিবস ১ দিন
০৬ শব-ই-বরাত ১ দিন
০৭ ঈদ-উল-ফেতর ৪ দিন
০৮ বিজয় দিবস ১ দিন
মোট= ১৪ দিন
কোন গার্মেন্টস কারখানা যদি এসকল সরকারি নিয়ম ও নিতি না মেনে চলে, এবং ঐ কারখানায় তাদের ইচ্ছাকৃত ও ব্যক্তিগত নিয়ম অনুযায়ী চালায়, এবং সেটা শ্রমিকদের জন্য কষ্টকর হয় ও তাদের পুর্ন পারিশ্রমিক এর টাকা না পায় তাহলে সেখেত্রে তারা কি করবে???? তারা এই অভিযোগ গুলো কার কাছে দেবে?? এবং এর সঠিক সমাধান পাবে??
As per law, Friday between casual leave will count as casual leave
Right