সার্ভিস বই কি
বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী শ্রমিকদের জন্য সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা করে। নিন্মে বিষদভাবে বর্ননা করা হল । বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ প্রত্যেক মালিক তার নিজস্ব খরচে তৎকর্র্তৃক নিযুক্ত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য একটি সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা করবেন।
- প্রত্যেক সার্ভিস বই মালিকের হেফাজতে থাকবে।
- কোন শ্রমিককে নিয়োগ করার পূর্বে মালিক তার নিকট হতে পূর্বেকার সার্ভিস বই তলব করবেন যদি উক্ত শ্রমিক দাবী করেন যে, তিনি ইতিপূর্বে অন্যকোন মালিকের অধীনে চাকুরী করেছেন।
- যদি উক্ত শ্রমিকের কোন বই থাকে তাহলে তিনি উহা নতুন মালিকের নিকট হস্তান্তর করবেন এবং নতুন মালিক তাকে রশিদ প্রদান করে সার্ভিস বইটি নিজ হেফাজতে রাখবেন।
- যদি উক্ত শ্রমিকের কোন সার্ভিস বই না থাকে তাহলে উপধারা (১) অনুযায়ী বইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
- যদি কোন শ্রমিক তার বইয়ের একটি কপি নিজে সংরক্ষন করতে চাহেন তাহলে নিজ খরচে তিনি তাহা করতে পারবেন।
- কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসানকালে মালিক তার সার্ভিস বই ফেরত দিবেন।
- যদি ফেরতকৃত কোন সার্ভিস বই বা এর কোন কপি শ্রমিক হারিয়ে ফেলেন তহলে মালিক, শ্রমিকের খরচে, তাকে বইয়ের একটি কপি সরবরাহ করবেন।
- এই ধারার কোন কিছুই শিক্ষাধীন ,বদলী বা সাময়িক শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
সার্ভিস বইয়ের ফরম
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সার্ভিস বই বিধি দ্বারা নির্ধারিত মাপে ও ফরমে রক্ষিত হবে, এবং উহাতে শ্রমিকের একটি ফটো সংযোজিত থাকবে।
সার্ভিস বইয়ে নিæলিখিত বিবরন থাকবে, যথা:-
(ক) শ্রমিকের নাম, শ্রমিকের মাতা, পিতার নাম ও ঠিকানা;
(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বামী / স্ত্রীর নামও লিখতে হবে।)
(খ) জন্ম তারিখ।
(গ) সনাক্ত করার প্রয়োজনে বিশেষ বিবরন;
(ঘ) যদি পূর্বে কোন মালিকের অধীনে চাকুরী করে থাকেন তাহলে তার নাম ও ঠিকানা;
(ঙ) চাকুরীর মেয়াদ;
(চ) পেশা বা পদবী।
(ছ) মজূরী ও ভাতা (যদি থাকে);
(জ) ভোগকৃত ছুটি; এবং
(ঝ) শ্রমিকের আচরন।
সারাংশ
সার্ভিস বই এ অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, দ্বিতীয় অধ্যায়, ধারা ৮ অনুযায়ী মালিক কোন শ্রমিকের চাকুরীর শুরুতে এবং তার চাকুরী চলাকালে তৎসম্পর্কে সার্ভিস বইতে সময় সময় এই অধ্যায় এবং বিধির অধীন প্রয়োজনীয় তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করবেন, এবং মালিক ও শ্রমিক উভয়েই উহাতে দস্তখত করবেন