মজুরী কর্তন নীতিমালা গুলো –
শ্রমিক কর্মচারীদের সঠিক মজুরী/বেতন প্রদানে বদ্ধ পরিকর। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শ্রম আইন মেনে চলে। শ্রমিক কর্মচারীদের সঠিক হাজিরা অর্থাৎ ফ্যাক্টরীতে আগমন ও প্রস্থানের যথাযথ রেকর্ড মানব-সম্পদ বিভাগ সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করে থাকে। তাছাড়া মাস শেষে মজুরী তৈরীর জন্য পে-রোল শাখা শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে প্রদানকৃত লোন এর হিসাব যথাযথ নিয়মে মজুরী হতে কর্তনের পাশাপাশি দেরীতে আগমন, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই ফ্যাক্টরী হতে গমনের সঠিক হিসাবের রেকর্ড সংরক্ষন করে মাসান্তে তাহা নির্ভূল ভাবে সেলারী সীটে/ মজুরী শ্লিপে প্রর্দশন করে থাকে। মজুরী হতে কর্তন যোগ্য বিষয় গুলো নিম্নে উলেখ করা হলোঃ-
সাধারণত শ্রমিক-কর্মচারীদের অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য আমাদের দেশের প্রচলিত শ্রম আইন মোতাবেক মজুরী কর্তন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নিম্নোক্ত কারন গুলির জন্য মজুরী কর্তন করা হয়ে থাকে।
দেরীতে আগমন
কোন শ্রমিক-কর্মচারী যদি নির্ধারিত কর্ম দিবসে সঠিক সময়ের পরে আগমন করে ।
সেক্ষেত্রে যদি সে সময়ের পরিমাণ ৫৮ মিনিটের মধ্যে থাকে তবে কোম্পানীর নিজস্ব বিধান মতে তাহার কোন মজুরী কর্তন হবেনা।
যদি দেরীতে আগমনের মোট সময় সর্বনিম্ন ১ ঘন্টা হয় সেক্ষেত্রে সাধারনত তাহার ১ ঘন্টার মজুরী মুল বেতন হইতে কর্তন করা হয়ে থাকে। মজুরী কর্তন নীতিমালা
পূর্বে প্রস্থান
প্রতিদিন নির্ধারিত কর্ম সময় ৮ ঘন্টার পূর্বেই যদি কোন শ্রমিক-কর্মচারী ফ্যাক্টরী হতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে চলে যায় তবে সেক্ষেত্রে ক্রমিক নং ১ উলেখিত নিয়ম কার্যকরী হবে।
লোন/ অগ্রীম কর্তন
কোম্পানী কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে আবেদনের প্রেক্ষিতে অগ্রীম অর্থ প্রদান করে থাকে যাহা মাসিক কিস্তিতে মজুরী হতে কর্তন যোগ্য।
সেক্ষেত্রে প্রতি মাসের মজুরী হতে নির্ধারিত পরিমান অর্থ মজুরী হতে কর্তন করা হয়।
সারাংশ
মজুরী কর্তন নীতিমালা গুলো – কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরী হতে উপরোক্ত ৩ টি বিষয় সহ মজুরী প্রদানের সময় শ্রম আইনের আলোকে রাজস্ব স্ট্যাম্প বাবদ ১০ টাকা কর্তন করে থাকে।
অতত্রব গার্মেন্টস লিমিটেড এর কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রকৃত পাওনাদী পরিশোধের ব্যপারে সব সময় প্রতিশ্রতি বদ্ধ।
যে কারনে অন্যান্য কোন বিষয়ের জন্য তাদের মজুরী হতে কোন রুপ মজুরী কর্তন করা হয় না।