Select Page

মার্তৃৃৃত্বকালীন সুবিধা প্রদান নীতিমালা

মার্তৃৃৃত্বকালীন সুবিধা প্রদান নীতিমালা সম্পর্কে আলোচান করা হলো ঃ

অটো  গ্র“প এর কর্তৃৃপক্ষ ১৯৩৯ সালের মার্তৃত্বকল্যাণ আইন অনুয়ায়ী মহিলা শ্রমিকদের মার্তৃত্বকালীন সুযোগ সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ। শ্রমিক/ কর্মচারীদের ন্যাযসঙগত সুযোগ-সুবিধা এবং কর্ম সন্তষ্টি নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাথে আলোচনা জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানে গঠিত শ্রমিক কল্যান কমিটি(ড.ড.ঈ) এবং মানব সম্পদ বিভাগ অন্যতম মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে। উক্ত কমিটি এবং মানব সম্পদ বিভাগে যোগাযোগ করার সুযোগের ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য করা হয় না।

উদ্দেশ্য ঃ

এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল মহিলা শ্রমিকদের আইনানুযায়ী মার্তৃত্বকালীন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা।

পরিধি ঃ

যে সকল মহিলা কর্মী কমপক্ষে ৯ মাস যাবৎ কর্মরত এবং সন্তান সম্ভবা তাদের জন্য পূর্ণ বেতন সহ ১২ সপ্তাহের মার্তৃকল্যাণ ছুটি সংরক্ষিত।

প্রসুতি ভাতা পাওয়ার অধিকার ও পরিশোধ পদ্ধতি ঃ

১) বেতন, সুযোগ-সুবিধা, অগ্রীম প্রদান, কর্মচ্যুতি অথবা অবসর গ্রহনের সিদ্ধান্ত সমপূর্নভাবে প্রতিটি কর্মীর নিজস্ব শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাদারী যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রের কর্ম দক্ষতার উপর নির্ভরশীল।এ ক্ষেত্রে জাতি,ধর্ম বর্ণ,লিঙ্গ,বৈবাহিক বা গর্ভাবস্থা অথবা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা বয়সের ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হয় ন্ মার্তৃকল্যাণ ভাতা পাওয়ার জন্য একজন মহিলা কর্মীকে কমপক্ষে ন্যুনতম ৯ মাস একটানা এই কোম্পানীতে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
২) কোন মহিলা শ্রমিক অন্তঃস্তা হলে লিখিত বা মৌখিকভাবে ওয়েলফেয়ার অফিসারকে জানাবে ।
৩) সন্তান প্রসব হওয়ার ছয় সপ্তাহ পূর্বে কোম্পানীর নিদিষ্ট ফরমে চিকিৎসকের প্রত্যয়ন পত্র সহ আবেদন পেশ করবে।
৪) নোটিশ প্রদানের তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাস যে মজুরী উপার্জন করেছে তার ভিত্তিতে তার দৈনিক গড় মজুরীর পরিমান হিসাব করে ছয় সপ্তাহের ভাতা প্রদান করা হবে।
৫) আবেদন পত্র কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ ৬ সপ্তাহের অগ্রীম টাকা এবং ৯০ দিনের ছুটি প্রদান করবেন।
৬) সন্তান প্রসবের পর পুনরায় চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ অবশিষ্ঠ ৬ সপ্তাহের বেতন প্রদান করবেন।
৭) একজন মহিলা কর্মী কর্মরত অবস্থায় সর্বোচ্চ ২ বার প্রসুতি ভাতার সুবিধা পাবেন।
৮) প্রসূতি ইচ্ছে করলে তিনি তার পক্ষে প্রসূতিভাতা গ্রহণ করার জন্য একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করে যেতে পারেন।
৯) সন্তান প্রসবের ৬ মাসের মধ্যে সন্তান প্রসবের প্রমাণপত্র পেশ না করতে পারলে তিনি প্রসুতি সুবিধা বা এর কোন অংশ পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
১০) স্থানীয় শ্রম আইন সকলের ক্ষেত্রে সমান ভাবে সর্বদা মেনে চলা হয় এবং প্রচলিত শ্রম আইনের প্রতি সর্বদা সম্মান প্রদর্শন করা হয়। মার্তৃকালীন ছুটি শেষ হবার পর প্রসুতি কোম্পানীর নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে পুণরায় চাকুরীতে যোগদান করতে পারবেন।

কর্মীদের সমস্যা ও সমাধান

কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে যা নিম্নে দেয় হল ঃ

  • সকল মানুষ ও পারিপাশ্বিকতার প্রতি সমান সম্মান প্রদর্শনে বিশ্বাসী। দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে অত্র প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করে শ্রদ্ধার সাথে নিন্মোক্ত নীতি অনুস্বরন করে এবং এ ব্যপারে সকলের সহযোগীতা কামনা করে।
  • অত্র প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিষদ কোম্পানীর সকল নীতি প্রয়োগে সজাগ দৃষ্টি রাখেন যাতে করে কারো প্রতি কোন প্রকার পক্ষপাত মূলক আচরন করা না হয়।
  • সকল কর্মীদের জানার এবং পরিস্কার ধারনা থাকার জন্য কোম্পানীর সকল নীতি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করা হযে থাকে। এ ছাড়া নতুন যোগদানকৃত কর্মীদের পরিচিতি মূলক প্রশিক্ষন এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সকল কর্মীদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষনে নীতি সমূহ আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়।
  • অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীকে কাজের সাথে সম্পর্কহীন কোন ব্যক্তিগত বা আইন বহির্ভূত প্রশ্ন করা হয় না।
  • চাকুরী প্রাথর্েিদর দরখাস্ত সমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে বৈষম্যহীনতা নীতির সামঞ্জ্যষ্যতা মূল্যায়ন করা হয়।