Select Page

শ্রমিকদের কাজের সময় সূচী সংক্রান্ত নীতিমালা

গার্মেন্টস লিঃ কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী দৈনন্দিন কর্মঘন্টা পরিচালনায় সর্বদা বদ্ধ পরিকর। কারখানার শ্রমিকদের কাজের সময়সূচী/কর্মঘন্টা ঃ (কারখানা আইন-১৯৬৫, ধারা: ৫০-৭৬ ও শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১০০-১০৯) নিম্ন লিখিত সময়সূচি অনুযায়ী কারখানার সাধারন কাজের সময় পরিচালিত হবে।কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কর্মক্ষেত্রে আইনানুগ বিধি-নিষধ এর যথার্থ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সদা সচেতন। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর নবম অধ্যায়ের ১০০-ধারায় বর্ণিত, কোন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক কোন প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ দৈনিক আট ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিবেন না বা তাহাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। তবে ধারা-১০৮ এর বিধান সাপেক্ষে উক্তরূপ শ্রমিক দৈনিক দশ ঘন্টা পর্যন্তও কাজ করিতে পারিবেন। কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কারখনার কার্য সময় সাঠক ভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রচতিল আইনের আলোকে বিশেষ নীতিমালা প্রনয়ন করেছেন যা প্রতিদিনের কর্মঘন্টা এবং প্রতি সপ্তাহের কর্মদিবস সম্পর্কিত আইনগত বিধি ষেধ অনুসারে নির্ধারিত ও পরিচালিত।

কারখানার কাজ শুরুর সময় ঃ সকাল ৮:০০ ঘটিকা হতে

কারখানার কাজ শেষের সময় ঃ বিকেল ৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত

বিরতী ঃ কারখানায় মধ্যাহ্ন বিরতী, নামাজ ও বিশ্রামের জন্য দুপুর ০১:০০ টা হতে ০২:০০ টা পর্যন্ত মোট ০১ ঘন্টা বিরতী।

ক) সাধারণ কার্য-দিবস ( বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১০০ ও ১০১)ঃ সকল শিল্প কারখানা তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দ্ধারিত সময়-সূচী অনুসারে প্রতিদিন সকালে উৎপাদন কাজ-শুরু করবে আবার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করে। দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুসারে প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ০৮(আট) ঘন্টা শ্রম সময় নির্ধারন করা হয়েছে। এই কর্ম সময় দুই ভাগে বিভক্ত করা যাবে যা, সকাল হইতে দুপুর পর্যন্ত দুপুরের এক ঘন্টা আহারের সময়ের পর হইতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

মন্তব্য ঃ আমাদের নির্দ্ধারিত কর্ম সময়-সূচী এটা আমরা নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করি। সময় মত কর্মস্থলে আসা যাওয়ার রেকর্ড রক্ষনাবেক্ষনে আমরা ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যেগ নিব। আমাদের কারখানার প্রতিদিন সকাল ৮.০০ ঘটিকা হইতে কর্ম সময় শুরু হয় এবং দুপুরে ১ ঘন্টা আহারের বিরতির পর একটানা বিকাল ৫.০০ ঘটিকা নিয়মিত কাজ চলে।
খ) ওভারটাই (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১০২ ও ১০৮)ঃ কোন শ্রমিককে প্রতি দুই ঘন্টা, সপ্তাহে ১২ ঘন্টা এবং মাসে ৪৮ থেকে ৫২ ঘন্টার বেশী ওভারটাইম করানো হয় না। আর এ ওভারটাইম কাজ শ্রমিকের নিজ ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত। কোন শ্রমিক যদি ওভার টাইম কাজ করতে না চায় তবে তাকে দিয়ে ওভারটাইম কাজ করানো হয় না। ওভারটাইম কাজ করার জন্য প্রতি শ্রমিককে তার সাধারণ মজুরী থেকে দ্বিগুণ হারে মজুরী প্রদান করা হয়।
মন্তব্যঃ স্ক্যানডেক্স গ্র“প তার শ্রমিককে সময় মত বেতন ভাতা পরিশোধ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে স্ক্যানডেক্স গ্র“প এর একটি সুনাম রয়েছে। এই মজুরী প্রদান পদ্ধতির আরও আধুনিকায়ন করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন আছে।

গ) সাপ্তাহিক ছুটি (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১০৩) ঃ শ্রমিকদের কাজের সময় সুচি অনুযায়ী  নির্দিষ্ট কাজের পর বিশ্রাম প্রদান আবশ্যক। এজন্য শ্রম আইন, আই এল ও কনভেনশন এবং দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে শনিবার হতে বৃহস্পতিবার মোট ছয় দিন কর্মদিবসের জন্য একদিন (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা আছে। শ্রমিকেরা সাধারণ ভাবেই এই ছুটি পেয়ে থাকে অনিবার্য কারণে বা বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা না গেলে তৎপরবর্তী দুই দিনের মধ্যে যে কোন একদিন সাপ্তাহিক ছুটির পরিবর্তে ছুটি দেয়ার বিধান আছে।

মন্তব্য ঃ নির্দিষ্ট কাজ শেষে শ্রমিকের বিশ্রাম প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তাকে স্ক্যানডেক্স গ্র“প আইনের সকল প্রয়োগে অঙ্গীকারাবদ্ধ। দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে আমরা সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হিসাবে পালন করা হয়।

অতিরিক্ত কর্মঘন্টা ঃ প্রয়োজন অনুসারে কারখানার সাধারন কর্মঘন্টার অধিক অর্থাৎ বিকাল ০৫:০০টা হতে ০৭:০০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা অতিরিক্ত কর্মঘন্টা হিসেবে আহবান করা যাবে। অতিরিক্ত কর্মঘন্টা বাধ্যতামূলক নয় যা সম্পূর্ণ শ্রমিকের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। এ হিসেবে সপ্তাহে গড়ে (৪৮+১২)= ৬০ ঘন্টা এবং বছরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫৬ (ছাপ্পান্ন) ঘন্টার বেশী করানো যাবে না।

কাজের ঘন্টা

সজ্ঞা ঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর মতে “কমর্-ঘন্টা” অর্থ আহার এবং বিশ্রামের জন্য বিরতি ব্যতীত যে সময় কোন শ্রমিক কাজ করার জন্য মালিকের এখতিযারাধীন থাকেন।

প্রযোয্য ক্ষেত্র ঃ অত্র কারখানায় কার্যরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার জন্য এই নীতিমালা প্রযোজ্য।

কোম্পানীর নীতিসমূহ ঃ

  • প্রত্যেক সাত দিনে এক দিন ছুটি প্রদান করবে, ব্যবসার জরুরী প্রয়োজন পূরণ সংক্রান্ত অত্যাবশ্যকতা ব্যতীরেকে।
  • গার্মেন্টস বিভাগের দৈনিক কাজের সময় ০৮ ঘন্টা। এক ঘন্টা দুপুরের বিরতি সহ নিয়মিত কাজের এক সিফট সকাল ০৮:০০টায় শুরু হবে এবং বিকাল ০৫:০০টায় শেষ হবে। এবং টেক্সটাইল বিভাগের দৈনিক কাজের সময় ০৮ ঘন্টা। সুবিধা অনুযায়ী এক ঘন্টা বিরতি সহ তিন শিফট, সকাল ০৬.০০ টা থেকে দুপুর ০২.০০ টা, দুপুর ০২.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা এবং রাত ১০.০০ টা থেকে সকাল ০৬.০০ টা।
  • গার্মেন্টস বিভাগের উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত কাজের জন্য শ্রমিকদের ইচ্ছার ভিত্তিতে দিনে দুই ঘন্টা করে সপ্তাহে ১২ (বার) ঘন্টার মধ্যে কার্যকাল সীমাবদ্ব রাখবে।
  • শুক্রবারকে ছুটির দিন হিসেবে নির্ধারিত করবে এবং বছরে ১১ দিন আইনগত উৎসব ছুটি প্রদান করবে।
  • টাইম কার্ড অথবা সুইপ কার্ড অথবা উপস্থিতির রেজিষ্টার এ কর্মীদের স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষরসহ কাজের ঘন্টাসমূহ লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি অবলম্বন করবে, যা তাদের কর্মঘন্টাকে নিশ্চিত করবে।
  • আইনতঃঅত্যাবশ্যকীয় সর্বোচ্চ নিয়মিত এবং অতিরিক্ত কাজের ঘন্টাসমূহ এবং দিনসমূহের তথ্যাদি লক্ষ্যনীয় স্থানে লাগাতে হবে যাতে কর্মরত সকলেই জানতে পারে।
  • ‘ব্যবসার জরূরী প্রয়োজন’ এই বিষয়টি বিদ্যুৎ সমস্যা, ধর্মঘট, হরতাল, দেশে জরুরী অবস্থা, পোর্ট সমস্যা ইত্যাদি হিসেবে সংজ্ঞায়িত কিন্তু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

প্রয়োজ্য আইনসমূহ এবং নীতিসমূহ:

আইনসমূহ এবং নীতিসমূহের উৎস

  • কারখানা বিধিমালা ১৯৭৯
  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
  • বাংলাদেশ সরকার গেজেট

কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ

বাংলাদেশের কারখানার আইন ১৯৬৫ অনুযায়ী কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের অভ্যাস/চর্চাসমূহ যোগাযোগ, বিস্তার এবং দেখাশোনা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে তার মাধ্যমে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহের বাস্তবায়ন করা।

উৎপাদনের সমন্বয় এবং সময় তালিকা প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি সহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ নিয়মিত কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা এবং বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় ছুটির দিন সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ এবং পদ্ধতিসমূহের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

অতিরিক্ত কর্মঘন্টার হার ঃ

(মূল বেতন/২০৮) ী ২ ী অতিরিক্ত কর্মঘন্টা

সাপ্তাহিক ছুটি ঃ প্রতি সপ্তাহে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে শুক্রবার কারখানা বন্ধ থাকবে।

অতিরিক্ত কর্মঘন্টা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ

অতিরিক্ত কর্মঘন্টা বিধিবদ্ধ সীমার মধ্যে রাখার জন্য মাসিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কারখানার প্ল্যানিং ব্যবস্থাপক, উৎপাদন ব্যবস্থাপক ও মার্চেন্ডাইজিং ব্যবস্থাপক কর্মঘন্টার উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী চলকগুলোকে যেমন শ্রমিক অনুপস্থিতি, মাইগ্রেশন, ছুটি, পণ্য গুদামজাত করন, লিড টাইম ইত্যাদি আনুসঙ্গিক বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে কর্মঘন্টা নির্ধারন করবেন।

অতিরিক্ত কর্মঘন্টা পরিচালনা পদ্ধতিঃ

সংশ্লিষ্ট সেকশনের ইনচার্জ কর্তৃক নির্দিষ্ট রিকুইজিশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত কর্মঘন্টা আহবান করতে হবে এবং ইচ্ছুক শ্রমিকদের সম্মতি স্বাক্ষর সম্বলিত রিকুইজিশন শ্লিপ কারখানা ব্যবস্থাপক কর্তৃক অনুমোদন নিতে হবে। উক্ত প্রক্রিয়া সাধারন কর্মঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। রিকুইজিশন ব্যাতীত অতিরিক্ত কর্মঘন্টায় কোন শ্রমিক রাখা যাবে না।