শিল্প নিরাপত্তা নীতিমালা
শিল্প নিরাপত্তা নীতিমালা কি? বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নীতি কি? অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসাবে কারখানা নিন্মোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে – …
- সকল অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র যথাযথভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা হয় এবং একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির তত্বাবধানে প্রতি মাসে চেক করে চেকলিষ্টে স্বাক্ষর করা হয়।
- সুইং মেশিনের বেল্ট, ওভারলক মেশিনের নিডিল গার্ড, স্ল্যাপ-বাটন মেশিনের বেল্ট এবং সেফটি গার্ড, নিয়মিতভাবে চেক করা।
- কাটিং মেশিনের অপারেটরগণ মেশিন ব্যবহারের সময় হাতে মেটাল গ্লোভস ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করে কিনা তা নিয়মতিভাবে চেক করা।
- ওভারলক মেশিন বা পেডিং কাটার অপারেটরগণ মাস্ক ব্যবহার করে কিনা নিশ্চিত করা।
- বিদ্যুৎ চলে গেলে সাথে সাথে মেশিনের সুইচ অফ ও নিডিল প্রেসার ফিট নিচে নামিয়ে রাখা।
- ভেজা হাত দিয়ে মেশিনের সুইচ অফ অন না করা।
- যদি কোন ত্র“টিপূর্ন অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দেখা যায় তবে তাৎক্ষনিকভাবে তা পূনঃভর্তির জন্য পাঠানো হয় এবং প্রতি বছর প্রতিটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র পূনঃভর্তি করা হয়।
- বয়লার, আয়রন ও মেশিনের সাথে বৈদ্যুতিক সংযোগ তার নিয়মিত ভাবে চেক করা।
বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নীতি
- বিপদ সংকেত শোনামাত্র দ্রুত প্রধান সুইচ বন্ধ করা।
- প্রতিটি বৈদ্যুতিক লাইন সুইচ, সার্কিট ব্রেকার, ফ্যান, কাটআউট দৈনিক ভিত্তিতে পরীক্ষা করা।
- বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা শক্তির সাহায্যে চালিত প্রতিটি যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা।
- বৈদ্যুতিক লাইন আছে এমন প্রতিটি স্থান নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
- বৈদ্যুতিক জেনারেটর নিয়মিত চেক করা।
বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নীতিমালা
পোশাক শিল্পে / ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রতি দৃষ্টি রাখা প্রাথমিক দায়িত্ব। নীটওয়্যার লিঃ বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেকে সচেতন থাকলেই দলগত কিংবা সমষ্টিগত নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব। বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ যতক্ষণ ইউনিট/ফ্লোর চালু থাকে ততক্ষণ বৈদ্যুতিক ব্যবহার অব্যাহত থাকে। তাই এ বিষয়ে যে সকল নিরাপত্তার দরকার তা নি¤েœ উল্লেখ করা হল ঃ
- কাজের শুরু ও শেষে ইউনিট/ফ্লোরে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
- বয়লার কক্ষ পরিদর্শনের উপযোগী হতে হবে এবং বাষ্প লাইনে ছিদ্র বা লিকেজ থাকবে না ও খোলা (ন্যাকেড) পাইপ থাকবে না।
- কোথাও কোন খোলা তার থাকতে পারবে না।
- ডি.বি বোর্ডে ডেনজার সাইন লাগানো থাকবে ।
- ডি.বি. বোর্ড গুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আশে পাশে কোন মালামাল থাকবে না। বোর্ড তালা দিয়ে আটকানো থাকবে না।
- ডি.বি বোর্ডের নিচে রাবার ম্যাট থাকতে হবে।
- পিছ আয়রন ছকেট থেকে বিচ্ছিন্ন না করে কর্ম স্থল ত্যাগ করা যাবে না।
- পিছ আয়রন বা ভ্যাকুয়াম আয়রন সবসময় পুরোপুরি ঠিক থাকতে হবে এবং সর্বদা আয়রন স্ট্যান্ডে এর উপর রাখতে হবে।
- সকল মেশিনের মটরে পুলি কভার থাকতে হবে।
- কোন মটর, ফ্যান, মেশিনের বাজে শব্দ থাকতে পারবে না।
- কোন প্রকার টেপ মোড়ানো / ভাঁঙ্গা বা পোড়া প্লাগ, সকেট, সুইচ থাকবে না।
- টিউব লাইটের স্টার্টার সঠিকভাবে থাকতে হবে।
- মটর বা মেশিনের তারগুলি সুন্দরভাবে ড্রেসিং থাকতে হবে।
- সব চ্যানেলগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ভিতরে কোন ডাস্ট থাকবে না।
- প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কারখানা তত্ত্বাবধান নীতি
- প্রতিটি ফ্লোরে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ফ্লোর ইভাকুয়েশন ম্যাপ লাগানো আছে, যাতে জরুরী বহির্গমন পথ, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রাদির সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করা আছে। কারখানায় ব্যবহৃত ও প্রক্রিয়াধীন ফেব্রিক ও কাটাকাপড় মেঝের উপর যত্রতত্র ফেলা থেকে বিরত থাকা।
- জরুরী বহির্গমন রাস্তা সুস্পষ্টভাবে হলুদ রং দ্বারা এবং লাল রংয়ের তীর চিহ্ন দ্বারা নির্দেশ করা আছে, যাতে সহজেই বুঝতে পারে জরুরী বহির্গমন রাস্তা কোনদিকে অবস্থিত।
- অগ্নি নির্গমন পথ সব সময় পরিষ্কার রাখা ও নির্গমন পথের উপর কোনকিছু ফেলা থেকে বিরত থাকা।
- মেশিনের দুই সারির মাঝে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হয়েছে এবং চলাচলের পথ উজ্জল হলুদ রং দ্বারা নির্দেশ করা হয়েছে।
- প্রতিটি ফ্লোরে নির্দ্দিষ্ট সংখ্যক ফায়ার এ্যলার্ম এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যেন ফ্লোরের যে কোন প্রান্ত থেকে ইহা স্পষ্টভাবে শোনা যায়। কাখানার সকল স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
- মেশিন ও টেবিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও মেশিন লাইন সোজা রাখা।
- পর্যাপ্ত আলো বাতাস এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
- সকল কর্মীগন যাতে জরুরী বহির্গমন পথের সাথে পরিচিত থাকে সেভাবে তাদেরকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয় এবং নতুন কর্মীদের নিয়োগ দানের পরপরই পরিচিতিমূলক পর্বের অংশ হিসাবে ফ্লোরের জরুরী বহির্গমন পথের সাথে পরিচিত করে দেওয়া হয়। কাপড় সর্বত্র গুছিয়ে রাখা।
- খাবারের স্থানে পরিষ্কার আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
- প্রতিটি ফ্লোরে তিনটি অগ্নি নিরাপত্তা দল রয়েছে যাদের কাজ হলো অগ্নি নির্বাপন, মালামাল রক্ষা করা এবং উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা।
- অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের আশ পাশ ও কারখানায় অবস্থিত সুইচ বোর্ডের আশ পাশ সবসময় পরিষ্কার ও বাধামুক্ত রাখা।
- অগ্নি নির্বাপক কর্মী, প্রাথমিক চিকিৎসক দল এবং ঝাড়–দারগণ নিজ নিজ নির্দিষ্ট পোশাক পরিধানরত আছে কিনা নিশ্চিত করা।
- জরুরী অবস্থাকে মোকাবেলার বাস্তব অভিজ্ঞতা হিসাবে প্রতিমাসে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে ফায়ার ড্রিল করানো হয় এবং ফায়ার ড্রিলের ছবি সংরক্ষন করা হয়।