Select Page
পোশাক কারখানায় উপস্থিতি নীতিমালা Attendance Policy কি?

পোশাক কারখানায় উপস্থিতি নীতিমালা Attendance Policy কি?

উপস্থিতি নীতিমালা

পোশাক কারখানায় উপস্থিতি নীতিমালা Attendance Policy ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ব্যক্তিগনের প্রতিদিনের কর্ম উপস্থিতির উপর নির্ভর করে একটি ফ্যাক্টরীর উৎপাদন ব্যবস্থা। আর সেই লক্ষ্যে বিক্রেতার ভাবমূর্তি উজ্জল ও ক্রেতার সাথে সর্ম্পকন্নোয়নের ক্ষেত্রে উপস্থিতির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা উপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সঠিক সময়ে বিক্রেতার চাহিদা পূরণ কর্মরত ব্যক্তিগনের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি শ্রমিক/ কর্মচারী তার দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য। তাই তাকে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রথমে তার উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থিতি রির্পোট পেশ করতে হবে। যদি কোন কারনে তিনি তার কর্মস্থলে আসতে না পারেন তাহলে লোক মারফত কিংবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করবে। অথবা পূর্বেই তাকে ছুটি মঞ্জুর করে নিতে হবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে অন্য কাউকে জানানো যাতে পরবর্তীতে তার উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়। যেহেতু উৎপাদন সবচেয়ে বড় বিষয় তাই কেউ যদি অনুপস্থিত থাকতে চায় তাহলে তার উচিত তার কাজ অন্য কাউকে বুঝিয়ে দেওয়া।

কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ

১)            আইন অনুযায়ী কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের অভ্যাস/চর্চাসমূহ যোগাযোগ, বিস্তার এবং দেখাশোনা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে তার মাধ্যমে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহ বাস্তবায়ন করা।

২)           উৎপাদনের সমন্বয় এবং সময় তালিকা প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি সহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ নিয়মিত কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা এবং বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় ছুটির দিন সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ এবং পদ্ধতিসমূহের উপর প্রশিক্ষন প্রদান করা।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং নথিপত্রকরণ  :

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি সুন্দর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আইনতঃ সর্বোচ্চ নিয়মিত কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা এবং বিশ্রামের জন্য সপ্তাহে প্রয়োজনীয় ছুটির দিনের সংখ্যা সংক্রান্ত নীতিসমূহ কর্মীদের সাথে সহযোগিতা করেন।

সুন্দর ও সুস্থ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির নিমিত্তে দৈনিক কর্ম-ঘন্টা প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে-কথাটি অটো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ মনে প্রানে বিশ্বাস  করে। প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রধান অংশ সমূহ হলো – কাজ, আহার, বিশ্রাম, বিনোদন, ইত্যাদি। এই সব অংশ সমূহের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করতে হয়। এদের কোন একটি  খুব বেশী বা কম হলে অন্য একটির ব্যঘাত ঘটে ফলে সুন্দর জীবনের অবসান হয়। তাই অটো গ্রুপ কর্ম ঘন্টাকে খুব বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং নি¤œ লিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেঃ

  • কাজের অর্ডার পাওয়ার পর একটি সুন্দর প্রডাকশন প্লান তৈরী করা হয় যেখানে দৈনিক ৮/৯ ঘন্টা কাজ করার প্রয়োজন।
  • ঘন্টায় উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পারলে ওভার টাইম করার প্রয়োজন হয় না। তাই উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করার জন্য সবাই সচেষ্ঠ থাকে।
  • যদি কোন দিন জরুরী শিপমেন্টের জন্য ওভার টাইম করার প্রয়োজন হয় তবে কল্যাণ কমিটির চঈ) সদস্য ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারও ইচ্ছার বিরূদ্ধে জোর করে ওভার টাইম করানো হয়না।
  • কোন শ্রমিক দিনে ৮ ঘন্টা সময়ের অধিক কাজ করলে তা ওভার টাইম হিসেবে গন্য করা হয়। ওভারটাইম মূল মজুরীর ২০০% (দ্বিগুন) হারে প্রদান করা হয়।
  • বৃহস্পতিবার বা বন্ধের দিন জরুরী রপ্তানী কাজে কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতিতে (৫-৮ঘন্টা) কাজ চালাই তবে তা প্রচলিত আইনের পরিপন্থী নয়। উক্ত প্রাপ্য সাপ্তাহিক ছুটি শ্রমিককে যত শীঘ্র সম্ভব উক্ত ছুটি ভোগ করার সুযোগ দেয়া হয়।
  • গ্রুপ বিশ্বাস করে যে বেশী কর্ম ঘন্টা ধরে কাজ করলে শ্রমিকের কাজের দক্ষতা  হ্রাস পায়। ফলে অতিরিক্ত ওভার টাইমের প্রয়োজন হয় এবং শ্রমিক ও মালিক উভয়ের ক্ষতি সাধিত হয়।