by Mashiur | Sep 4, 2018 | সক্তি
জেনারেটর রক্ষনাবেক্ষন ও সতর্কতা
ইঞ্জিন চালু করার পূর্বে ঃ
- জেনারেটর রক্ষনাবেক্ষন এ জেনারেটরের বেসমেন্ট যাতে তেল পড়ে ভিজা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। চারপাশ পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। শুকনো কাপড় দিয়ে বহিরাবন মুছে ধুলাবালি মুক্ত রাখতে হবে। অভ্যন্তরে যাতে কোন ভাবেই পানি প্রবেশ না করে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের জন্য দরজা জানালা খুলে দিতে হব্
- প্রতিদিন ইঞ্জিনে তেল,পেট্রোল/ডিজেল,মবিল এবং রেডিমেটের পরিমানমত পানি আছে কি-না এর পরিমান চেক করতে হবে। পেট্রোল টাংকির মুখ ভালোভাবে বন্ধ রাখতে হবে।
- মবিল এর ভিসকোসিটি বা আঠালোতা মবিল গেজের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে। মবিল কালো বা ময়লা যুক্ত হলে তাৎক্ষনিক মবিল পরিবর্তন করতে হবে।
- ব্যাটারির তার সমূহে মরিচা থাকলে পরিস্কার করতে হবে ব্যাটারির ফ্লুইড/পানি নিচে নেমে গেলে ঘাটতি পুনর করতে (ডিসটিভ ওয়াটার দিয়ে)।
- ডিজেল পাইপ,পানির পাইপ বা মবিল লাইনে লিকেজ আছে কি-না দেখতে হবে।
- যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার জন্য জেনরেটর রুমের ভিতরে প্রবেশ থেকে সকলকে বিরত রাখতে হবে। কেবল মাএ নির্দিষ্ট মনোনীত ব্যক্তিই জেনারেটর অপারেট করবে। কোন অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট ম্যানেজারের নির্দেশের বাহিরে কেহ অপারেট করবে না।
- সাইলেন্সার এ কোন বাধা থাকলে তা অপসারন করুন। সেফটি ডিভাইজ-এর বাতি সমূহ পরীক্ষা করতে হবে।
ইঞ্জিন চালুর পরে ঃ
- ইঞ্জিনের শব্দ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কন্ট্রোল প্যানেলের প্রতি মিটারের কার্যকলাপ স্বাভাবিক কি-না তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
- ইঞ্জিনের মবিল প্রেসার দেখতে হবে। ভোল্টেজ এবং ফ্রিকোয়েন্সি দেখতে হবে। পানির তাপমাএা দেখতে হবে।ধীরে ধীরে জেনারেটর লোড দিতে হবে।
- প্রতি ঘন্টায় মিটারসমুহের ডাটা খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে। জ্বালানী তেল ব্যবহারের হিসাব এবং ব্যবহারের সময় লিপিবদ্ধ রাখার জন্য নির্ধারিত রেজিষ্টার ছকে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ইঞ্জিন বন্ধ করার সময় ঃ
- ধীরে ধীরে ইঞ্জিনের লোড কমাতে হবে। কোন লোড ছাড়া ইঞ্জিন অন্ততপক্ষে ৩-৪ মিনিট চালাতে হবে।
- সুইচ দ্বারা ইঞ্জিন বন্ধ করতে হবে। সেল্ফ ষ্টার্ট জেনারেটরের ক্ষেএে রাতে প্রয়োজন ন থাকলে জেনারেটরের মেইন সুইচ বন্ধ রাখতে হবে।
ফিল্টার সমূহ রক্ষনাবেক্ষণ এর সময়সূচী ঃ
- প্রতি ১০০ ঘন্টা চলার পর নিয়মিত সার্ভিসিং নিশ্চত করতে হবে। কোন ভাবেই যেন ১০০ ঘন্টার বেশী না হয়।(এয়ার ফিল্টার সার্ভিসিং এবং মবিল ফিল্টার পরিবর্তন)
- প্রতি ১৫০ ঘন্টা চলার পর এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে।
- প্রতি ১০০ ঘন্টা চলার পর মবিল এবং অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে।
সর্তকতা ঃ
- জেনারেটর এর মাধ্যমে ওয়েল্ডিং এর কাজ করা যাবে না। জেনারেটর সেট এ অতিরিক্ত লোড দেওয়া যাবে না।
- জেনারেটরের সম্পূর্ণ ক্যাপাসিটি থেকে কিছু কম লোডে চালালে জেনারেটরের আয়ুকাল বৃদ্ধি পাবে। সে ক্ষেএে অপ্রয়োজনীয় কিছু কম লোডে জেনারেটরের আয়ুকাল বৃদ্ধি পাবে। মোট নির্ধারিত লোডের ৮০% এর বেশী চালানো উচিৎ হবে না।
- জেনারেটর মেডের বাহিরে প্লেট ঝুলিয়ে সর্তকতামূলক সংতেক দেওয়া যেতে পারে। যেখানে জ্বালানী থাকবে সেই স্থানে কোন অবস্থায় দাহ্য কোন পদার্থ বহন করা যাবে না বা ধুমপান, দিয়াশলাই ইথ্যাদি বহন করা যাবে না। সার্বিক নিরাপওা বিষয়টি প্রশাসন / ফ্লোর ইন চার্জ এবং সিকিউরিটি সেকশনের দ্বায়িত্বে থাকবে। সংশ্লিষ্ট ফ্লোর ইন চার্জ এবং প্রশাসন কর্মকর্তাগন জেনারেটর ব্যবহারের উপরিউক্ত অপারেটিং ও সঠিক রক্ষনাবেক্ষন করনীয় বিষয় সমূহ সরাসরি তত্ত্বাবধান করবে এবং দৈনিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করবেন। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা একান্ত কম্য।
by Mashiur | Dec 15, 2017 | বিদ্যুৎ
জেনারেটরে তৈল ভরার নিয়মাবলী
অত্র কারখানায় কর্মরত রয়েছে নানান জাতের,নানান মতের, ধর্মের, বর্নের লোক।আপাতঃ দৃস্টিতে মনে হচ্ছে এ যেন এক অমিলের কারখানা।হাজারো অমিলের মধ্যে কোথায় যেন একটা মিল রয়েছে।আর সেই মিলের সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা সবাই একই পরিবারের লোক।এখানে নেই কোন হয়রানী, নেই কোন উৎপীড়ন।সবাই এক ভয়হীন পরিবেশে কাজ করছি। …
জেনারেটরে তৈল ভরার নিয়মাবলী সমূহ নিম্নে বর্নিত হলো ঃ
- প্রথমে বেরেল বা তৈলের ড্রাম জেনারেটরের রুমে নিতে হবে।
- বেরেল বা ড্রাম এর মুখ খুলে ড্রাম এর ভিতর পাম্প এর পাইপ ঢুকাতে হবে।
- পাম্প এর হাতল ঘুরিয়ে বালতিতে তৈল উঠাতে হবে।
- পরে জেনারেটরের ট্যাংকের মুখ খুলে, ট্যাংকের মুখে চুঙ্গা বসিয়ে এর উপর তৈল ছাকার জন্য একটি ছাঁকনি বসিয়ে তৈল ঢালতে হবে।
- ট্যাংকের তৈলের মিটার দেখে তৈলের পরিমান নিশ্চিত করতে হবে।
- বৈদ্যুতিক ডিসস্ট্রিবিউশন, সাব-ডিসট্রিবিউশন ও সুইচ বোর্ডকে ফেব্রিক কাটুর্ন ও অন্যান্য বস্তু থেকে মুক্ত রাখা হয় কিনা এবং সবগুলো বোর্ডেও নীচে রবারম্যাট আছে কিনা ?
- জরুরী বর্হিগমন, আইলস্ মার্ক ও সিঁড়ি সবসময় বাধামুক্ত রাখা হয় কিনা ?
- কাজ শেষে সকল সুইং মেশিনের সুইচ বন্ধ করা ও বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি বৈদ্যুতিক সংযোগ হতে বিচ্ছিন্ন করা হয় কিনা ?
- বৈদ্যুতিক চ্যানেলগুলি ঝুল বা আঁশ জাতীয় ধুলিকনা মুক্ত আছে কিনা তাহা নিয়মিত চেক করা হয় কিনা ?
- নের মটর কেসিং নিয়মিত পরিস্কার করা হয় কিনা?
- কোন জায়গায় লুস তার বা কেবেল আছে কিনা ?
- বয়লার মেশিন সাভিসিং সময়মত হচেছ কিনা ?
- বয়লারে কোন যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কিনা ?
- সকল বর্হিগমন লাইট গুলো ঠিক আছে কিনা ?
- কোন স্থানে জোড়া লাগানো তার আছে কিনা ?
- ভাঙ্গা সুইচ, খোলা সুইচ, কোন স্থানে আছে কিনা ?
- আই পি এস ব্রেক আপ চালু আছে কিনা ?
প্রত্যেকটি কর্মচারীকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন এবং শ্রম আইনের বিধানসমূহ মেনে কাজ করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি তা ভঙ্গ করেন, আর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তাহলে অচিরেই সে প্রতিষ্ঠানে নিয়ম কানুন আর থাকবে না। একথা বিবেচনা করেই এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২৪ পুরোপুরি অনুসরন করেই গ্র“পে কর্মরত যে কেউই যদি হয়রানি বা উৎপীড়নের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে চাকুরিচ্যুত বা তাৎক্ষনিক শাস্তিমূলক বদলী বা স্ব-পদ হতে নীচের পদে নামিয়ে দেওয়া হবে। তাছড়া অবস্থাভেদে নিম্নলিখিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
হীনপদস্ত বা শাস্তিমূলক বদলী অবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি ৬০ দিনের মধ্যে একই ঘটনার পূনারাবৃত্তি ঘটায় তাহলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে চাকুরী হতে বহিস্কার করা হবে।
হয়রানী ও বা উৎপীড়নমূলক বদলী অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে অবশ্যই নিপীড়িত ব্যক্তির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তির আচরণ শুদ্ধিকরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেমন-আন্ত সংস্কৃতির প্রশিক্ষণ, দ্বন্দ সমাধানের ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভীতি সৃষ্টিকারী যেকোন ব্যাক্তিকে প্রয়োজনে দ্রুত বদলী করা অথবা তার আচরণ বিবেচনায় কোম্পানী ও শ্রম আইন অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
প্রয়োজন হলে দোষী ব্যক্তিকে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন অনুসরণ করা হবে।
অভিযোগ ও শাস্তি সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট সব সময়ই নথীভূক্ত রাখতে হবে যাতে করে প্রয়োজনের সময় সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও হয়রানী ও উৎপীড়নের ঘটনা যদি বার বার সংঘটিত হতে থাকে, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে হয়রানী প্রতিরোধে বিরাজমান নীতিমালাতে পরিবর্তন আনতে হবে।
by Mashiur | Dec 4, 2017 | বিদ্যুৎ
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি
জেনারেটর সেকশনে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা – অগ্নি কিংবা অন্য কোন দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের নির্গমনের জন্য সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত পর্যাপ্ত নির্গমন পথ রাখা আছে, এই সকল নির্গমন পথকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সামগ্রী হতে মুক্ত রাখা আছে এবং কারখানার কার্যকালীন সময়ে এ সকল নির্গমন পথ তালাহীন অবস্থায় উন্মুক্ত রাখা হয়। …
মেশিন চালানোর সময় শ্রমিক ও কর্মস্থলের নিরাপত্তার জন্য নিম্ন লিখিত ঝুঁকিগুলোর প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। জেনারেটরের শব্দ উচ্চ মাত্রার শব্দ দূষন। এই সার্বক্ষনিক দূষন শ্রবন ক্ষমতার উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।জনারেটর অপারেটর এয়ার প্লাগ ব্যবহার না করলে শ্রবন শক্তি হ্রাস পেতে পারে। Read Similar Article in English
ঝুঁকি বিশ্লেষণ / ব্যবস্থাপনা নীতিমালা
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- কাজের শুরুতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করতে হবে এবং মেশিনে কোন প্রকার কারিগরি ত্র“টি আছে কিনা তা চেক করতে হবে। জেনারেটর রুমে কাজ করার সময় অবশ্যই ইয়ার মাফ ব্যবহার করতে হবে।
- ইলেকট্রিক্যাল সংযোগ ঠিকমত আছে কিনা চেক করে নিতে হবে। জেনারেটর রুমে কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
- ওয়াটার টেম্পারেচার ঠিকমত আছে কিনা চেক করে নিতে হবে। জেনারেটর মেশিনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
- জেনারেটর রুমে কোন ধরনের প্রজ্জ্বলন সহায়ক (চেয়ার, টেবিল, জ্বালানি, কাগজ দি) বস্তু রাখা যাবে না।
- সার্বক্ষনিক তদারকি এবং মেইনটেনেন্স নিশ্চিত করতে হবে।
- এখানে কাজ করার সময় যথাযথ আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি (হ্যান্ড গ্লাভস, হেলমেট, গামবুট ইত্যাদি) ব্যবহার করতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ ব্যতীত অন্য কেউ এই এলাকায় প্রবেশ করবে না।
- ডিজেল ব্যবহার ও সংরক্ষনে বিশেষ সতকর্তা অবলম্বন করা।
- মেশিন বা কাজের স্থানের পরিচছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। বৈদ্যুতিক ডিভাজ গুলো ত্র“টি মুক্ত আছে কিনা নিয়মিত পরীক্ষা করা।
- জেনারেটর কক্ষকে সংরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত করে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করতে হবে।
- ঘূর্নায়মান অংশের নিকটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। জেনারেটর কক্ষে বিপদজনক নোটিশ লাগাতে হবে।
- মেশিন চলন্ত অবস্থায় বেল্ট কভার এবং চেইন খোলা যাবে না। জেনারেটর কক্ষ অবশ্যই লোকেবল হতে হবে।
- জেনারেটর অপারেটররে অবশ্যই এয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে হবে।
সারাংশ
জেনারেটর সেকশনে মেশিন অপারেটরের অবশ্যই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হবে এবং জেনারেটর মেশিন কক্ষের দরজা বন্ধ রাখতে হবে।
by Mashiur | Nov 8, 2017 | সক্তি
জেনারেটর চালু করার পূর্বে প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা
সকল প্রকার জেনারেটর চালু করার পূর্বে প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা গুলো ও উৎপীড়ন মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান এটা কারখানায় কর্মরত সকলের উদ্দেশ্যে অবহিত করনের জন্য কারখানার নোটিশ বোর্ডে এই নীতিমালা টানানো আছে। বিভিন্ন প্রকার মাটিভেশনাল ট্রেনিং, মিটিং ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে অবহিত করা হয়।।এছাড়াও অভিযোগ ও পরামর্শ বক্স, শ্রমিক অংমগ্রহনকারী কমিটি ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ এ ব্যাপারে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।
১. সার্কিট ব্রেকার বা অন্য কোন পাওয়ার কানেকশন থাকলে তা বন্ধ কিনা নিশ্চিত হতে হবে।
২. ইঞ্জিনের উপরে বা ভিতরে কোন যন্ত্রপাতি বা অন্য কিছু থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩. ইঞ্জিনের বেল্টগুলো পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে যথাযথ টাইট টিতে হবে ও গ্রিজ পয়েন্টে গ্রিজ দিতে হবে।
৪. সার্জ ট্যাংকে পানি আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। প্রয়োজনে পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
৫. পানি, মবিল ও গ্যাস লাইনে কোন লিকেজ আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
জেনারেটর চালু করার নিয়মাবলী
১. ইগনিশন সুইচ অন করতে হবে এবং ম্যানুয়াল সাট ডাউন লিভার ওপেন পজিশনে রাখতে হবে।
২. কন্ট্রোন প্যানেল থেকে স্টার্ট সুইচ অন করতে হবে।
৩. ইঞ্জিন চালু হলে এয়ার ষ্টার্টারের ভাল্ব বন্ধ করতে হবে।
৪. ভোর্টেজ ও ফ্রিকোসন্সী ঠিক আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে। না থাকলে এডজাস্টিং নব দ্বারা এডজাস্ট করতে হবে।
৫. মেইন সার্কিট ব্রেকার অন করতে হবে এবং ধীরে ধীরে লোড দিতে হবে।
জেনারেটর চালু অবস্থায় সতর্কতা
১. মেইন গ্যাস ভাল্ব এবং গ্যাস প্রেসার গেজে কোন লিকেজ আছে কিনা।
২. জ্যাকেট ওয়াটার পাম্পে কোন লিকেজ আছে কিনা।
৩. ইঞ্জিনের কোথাও কোন লিকেজ আছে কিনা।
৪. প্রতিটি মিটার গেজের মিটার রিডিং ঠিক আছে কিনা।
জেনারেটর বন্ধ করার নিয়মাবলী
১. ধীরে ধীরে লোড কমাতে হবে এবং মেইন সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে হবে।
২. পাচঁ মিনিট বিনা লোডে ইঞ্জিনচালু রাখতে হবে যাতে ইঞ্জিন ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে পারে।
৩. কন্ট্রোল প্যানেল হতে ইঞ্জিন বন্ধ করতে হবে।
৪. ম্যানুয়াল গ্যাস ভাল্ব বন্ধ করতে হবে।
৫. কুলিং টাওয়ারের পাম্প ও ফ্যান বন্ধ করতে হবে।
সম্ভাব্য দুর্ঘটনাসমূহ
১. ইলেকট্রিক লাইনে সর্ট সার্কিট।
২. ইঞ্জিনে ব্যাক ফায়ার।
জেনারেটর- এর কাজ হল মেগনেটিক ফ্লাক্স এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করাএবং সেই বিদ্যুৎ ফেক্টরিতে সাপ্লাই করা। যখন আর ই বি চলে যাবে তখন জেনারেটর র্স্টাট করার ২-৩মিঃ এর মধ্যে বিদ্যুৎ ফেক্টরিতে সাপ্লাই করে দিবে। ডিজেল জেনারেটর এর বিদ্যুৎ ক্যাপাসিটি হল ৬৩৫ কেভিএ(কিলো ভোল্ট এ্যম্পিয়ার)। জেনারেটর ট্যাংকিতে ডিজেল ক্যাপাসিটি ১,০০০লিটার।
*১২৫০ কেভিএ(কিলো ভোল্ট এ্যম্পিয়ার) = ১ মেগা ওয়াট
*১০০০ কিলো ওয়াট = ১ মেগা ওয়াট
*৬৩৫কেভিএ =৫০৮কিলোওয়াট*২=১.০১৬ কিলো ওয়াট
*১.০১৬ কিলোওয়াট/১০০০ = ১.০০১০১৬ মেগা ওয়াট
*১কেভিএ*০.৮ = ৮০০কিলো ওয়াট
*৬৩৫কেভিএ*.৮= ৫০৮ কিলো ওয়াট প্রতিটি জেনারেটরের ক্ষেত্রে।