
প্লেন মেশিন কি? প্লেন মেশিনের প্রধান ঝুঁকি সমুহ কি কি?
প্লেন মেশিন ঝুঁকি কি কি?
প্লেন মেশিন ঝুঁকিসমূহু ঃ নিডেলগার্ড,বেল্ট কভার, পুলি কভার,প্যাডেল ম্যাট, জোড়া তার,তৈল ইত্যাদি। মেশিনে বসার সময় লক্ষ্য করুন মেশিন পরিস্কার আছে কিনা, না থাকলে সর্ব প্রথম মেশিন পরিস্কার করুন। প্লইন মেশিন ব্যবহারের পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য দুর্ঘটনার জন্য সতর্কতা. প্লেইন মেশিনে কাজ শুরু করার পূর্বে লক্ষ্যণীয়ঃ …
নিডেল গার্ড ঃ মেশিনে কোন ইলেকট্রিক তার ছেড়া বা খোলা আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন যদি থাকে তাহলে মেকানিককে অবহিত করুন। প্লেন মেশিনে নিডেলগার্ড অবশ্যই থাকতে হবে। না থাকিলে যে কোন মূহুর্তে নিডেল ভেঙ্গে চোখসহ শরীরের যে কোন অঙ্গে আঘাত করতে পারে এবং আঙ্গুলে নিডেল মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইহা ছাড়া নিডেলের ভাংগা অংশ হারিয়েও যেতে পারে।
বেল্ট কভার ঃ মেশিনের নিডেল গার্ড, বেল্ট কভার, মোটর কভার, পুলি কভার ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন। মেশিনে বেল্ট কভার না থাকলে বেল্টের সাথে সুতা/পরনের কাপড় পেঁচিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলি কভার ঃলাইন সুপারভাইজার থেকে প্রসেজ বুঝে কাজ শুরু করতে হবে।মটরে পুলি কভার না থাকলে যে কোন সময় পরিধেয় কাপড় (মেয়েদের ক্ষেত্রে) পেঁচিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্যাডেল ম্যাট ঃ মেশিনে প্যাডেল ম্যাট না থাকিলে মেশিন বিদ্যুৎতায়িত হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তৈল ঃ মেশিনের মধ্যে অপরিস্কার তৈল মেশিনের কার্যক্ষমতা কমায়। তাই সময়মত মেশিনের তৈল পরিস্কার করতে হবে।
জোড়া তার ঃ মেশিনে জোড়া তার থাকলে যে কোন সময় মেশিন বিদ্যুৎতায়িত হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পাদানীর উপর পা রাখুন এবং গোড়ালীর দিকে চাপ রাখুন।
সুইচ ঃ মেশিনে সুইচ নড়েবড়ে অবস্থায় থাকলে যে কোন সময় মেশিনে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিদিন কাজ শেষে অপারেটররা অবশ্যই মেশিন পরিস্কার করিবেন এবং কাজ ছেড়ে কোথাও গেলে মেশিনের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করে যাবেন।
প্রতিরোধ/ প্রতিকার ঃ প্লেন মেশিনে নিডেল গার্ড,বেল্ট কভার,পুলি কভার,প্যাডেল ম্যাট, অবশ্যই থাকতে হবে। উপরোক্ত জিনিস না থাকলে অপারেটরগন ওভারলক মেশিন ব্যবহার করবেনা। ওভারলক মেশিন নিয়মিত সার্ভিসিং করতে হবে।
সুইংমেশিনঃ মেশিনের সুতা লাগানো ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য করতে হবে, না থাকলে সুতা লাগানোর সঠিক নিয়ম অনুযায়ী সুতা লাগাতে হবে। সুইং মেশিন এর ক্ষেত্রে প্রতি ১৫ দিন পর পর চেক করতে হবে এবং সমস্যা থাকলে তা পরিবর্তন/মেরামত করতে হবে।
ওভার-লক মেশিন ঃ ওভার-লক মেশিন এর ক্ষেত্রে প্রতি ১৫ দিন পর পর চেক করতে হবে এবং সমস্যা থাকলে তা পরিবর্তন/মেরামত করতে হবে।
বার্টেক মেশিনঃ বার্টেক মেশিন এর ক্ষেত্রে প্রতি ১৫দিন পর পর চেক করতে হবে এবং সমস্যা থাকলে তা পরিবর্তন/মেরামত করতে হবে। নেক পেড চাপ দিয়ে প্রেসার ফিট উপরে উঠিয়ে বডি ফিটের নিচে দিয়ে নেক পেড ছেড়ে দিতে হবে।
বাটন মেশিনঃ বাটন মেশিন এর ক্ষেত্রে প্রতি ১৫দিন পর পর চেক করতে হবে এবং সমস্যা থাকলে তা পরিবর্তন/মেরামত করতে হবে।
বাটন হোল মেশিনঃ বাটন হোল মেশিন এর ক্ষেত্রে প্রতি ১৫দিন পর পর চেক করতে হবে এবং সমস্যা থাকলে তা পরিবর্তন/মেরামত করতে হবে। ডান হাত মেশিনের সইচের উপর রাখুন এবং সবুজ রং এর বোতাম চাপ দিন।
আইলেট মেশিনঃমটর সম্পূর্ন চালূ হলে পওে আপনার কাজ শুরু করুন। আইলেট মেশিন এর ক্ষেত্রে প্রতি ১৫দিন পর পর চেক করতে হবে এবং সমস্যা থাকলে তা পরিবর্তন/মেরামত করতে হবে। মেশিনের ওয়েল লেভেল ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন।
বয়লার মেশিনঃ বয়লার মেশিন এর ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে চেক করতে হবে এবং সমস্যা থাকলে তা পরিবর্তন/মেরামত করতে হবে।
কাটিং মেশিনঃ কাটার- সিজার সঠিকভাবে ওয়ার্ক স্টেশনের সাথে বেধে কাজ করুন। কাটিং মেশিন প্রতিদিনি বৈদ্যুতিক কানেকশন এবং কাটিং নাইফ, ওয়েল পরীক্ষা করে কাজ শুরু করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন কাটিং মেশিন চেক করতে হবে এবং কোন প্রকার সমস্যা দেখাদিলে তা পরিবর্তন ও মেরামত করতে হবে।
কাজ শেষে লক্ষণীয়ঃ
প্লেন মেশিন বন্ধ করার সময় লাল রংয়ের বাটন চাপ দিন, এবং মেশিন ভালভাবে পরিস্কার করে কভার দিয়ে ঢেকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে হবে। মেশিনের মটর চালু রেখে বাথরুমে যাবেন না বা অন্য কারও সাথে গল্প পেডেলের সামনের দিকে চাপ দিয়ে সেলাই করতে হব্