Select Page
পোশাক শিল্পে হয়রানী ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা গুলো কি কি? অসদাচরন সমূহ

পোশাক শিল্পে হয়রানী ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা গুলো কি কি? অসদাচরন সমূহ

হয়রানী ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা

হয়রানি বা অসদাচরণ ঃ

গ্র“প কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের প্রতি যে কোন প্রকার অন্যায় আচরণ ও হয়রানিমূলক ব্যবহার প্রতিরোধে সর্বদাই সচেষ্ট থাকেন। কোন ব্যক্তি যদি কোন অবস্থায় কোন ধরনের হয়রানি বা অসদাচরন করে বা কাউকে করতে উৎসাহিত করে তবে কর্তৃপক্ষ প্রচরিত নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন।আরও পড়ুন 

শ্রমিকদের নির্যাতন প্রতিরোধ এ এগিয়ে আসতে হবে।

হয়রানি বা অসদাচরণ অন্তভূক্ত বিষয়ঃ

ক) অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার ঃ নিয়মিত উচ্চস্বরে হাকডাক এবং/অথবা অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার।
খ) মৌখিক হয়রানিঃ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে হুমকি দেওয়া।
গ) মানবিক হয়রানি ঃ কাউকে মৌখিক বা আচরনগতভাবে অপদস্থ করা যেমন, কোন কিছু ছুড়ে মারা।
ঘ) যৌন হয়রানিঃ বিশেষ লিঙ্গের প্রতি অনাকাঙ্খিত সুযোগ প্রদান/গ্রহন। এমন কোন শারীরিক বা মৌখিক আরচন যা যৌনতার সংজ্ঞায় পড়ে।
ঙ)শারীরিক অপমান ঃ সেই সকল শারীরিক সংস্পর্শ যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল শাস্তি যা শারিরীক অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে।

কর্মক্ষেত্রে নিম্নলিখিত প্রকারের হয়রানি বা অসদাচরণ সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধঃ

ক) মৌখিকভাবে গালিগালাজ করে কোন শ্রমিককে হয়রানি করা যাবে না।
খ) কোন শ্রমিককে শারীরিক নির্যাতন কিংবা মারধর করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গ) মানিসক পীড়াদায়ক কোন আচরণ করা যাবে না।
ঘ) অঙ্গ ভঙ্গীর সাহায্যে কোন শ্রমিকের সাথে উদ্ধত্য আচরণ করা যাবে না।
ঙ) কোন শ্রমিকের প্রতি কোন প্রকার বস্তু নিক্ষেপ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করানোর জন্য কোন বস্তু প্রদর্শন করা যাবে না।
চ) কোন শ্রমিককে কোন অন্যায় কাজের জন্য শাস্তিস্বরুপ কারখানার বাইরে অবস্থান করতে যস¡ যাবে না।
ছ) কোন শ্রমিককে কোন প্রকারেই খাবার পানি গ্রহণ করতে বাধা দেয়া যাবে না।
জ) কোন শ্রমিককে কোন অবস্থাতেই টয়লেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়া যাবে না।
ঝ) কোন শ্রমিককে কোন অস্থাতেই শাস্তিস্বরূপ অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না।
ঞ) কোন শ্রমিককে যে কোন ধরণের অন্যায় আচরণের জন্য মজুরী কর্তন বা মজুরী কর্তনের ব্যাপারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না।

রপ্তানীমূখী পোশাক শিল্পে উৎসাহী ও নিবেদিতপ্রাণ শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ সাফল্যের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই শিল্পে নিয়োজিত সবার জন্য যথাযথ সম্মান নিয়ে কাজ করার ব্যবস্থা করলে তা শিল্পের বিকাশে প্রভূত সহায়ক হবে। এ লক্ষ্যেই স্ক্যানডেক্সগ্র“প এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্ম পরিবেশ এবং বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর যে পরিবেশ সকল প্রকার হয়রানী ও গালিগালাজ মুক্ত হবে।

গার্মেন্টস কারখানায় হয়রানী ও উৎপীড়ন মুক্ত নীতিমালা কি কি?

গার্মেন্টস কারখানায় হয়রানী ও উৎপীড়ন মুক্ত নীতিমালা কি কি?

হয়রানী ও উৎপীড়ন মুক্ত নীতিমালা

উদ্দেশ্য ঃ বিশ্বাস করে যে, এই কোম্পানীর পরিবেশ সম্পূর্নভাবে হয়রানী ও উৎপীড়ন মুক্ত। কর্মরত সকল শ্রমিকদের মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে সম্পূর্ন হয়রানী ও উৎপীড়ন মুক্ত কর্ম পরিবেশ সংরক্ষণ করা।
পরিধি ঃ কোম্পানীতে কর্মরত সকল শ্রমিকদের যে কোন ধরনের হয়রানী ও উৎপীড়ন থেকে মুক্ত রাখা। এই নীতিমালা সকল
কর্মচারী কর্মকর্তা এবং কারখানাতে আগত যে কারোর জন্যই প্রযোজ্য হবে।

হয়রানী ও উৎপীড়ন মুক্ত কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরন করে এবং এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করে। নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের প্রতি হয়রানী ও উৎপীড়ন মূলক কর্মকান্ড সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ। এ সব কর্মকান্ড গুলো হচ্ছে –

১) শারিরীক নির্যাতন করা।
২) গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করা।
৩) মানসিক নির্যাতন করা।
৪) যে কোন প্রকার যৌন হয়রানী করা।
৫) শ্রমিকের মৌলিক অধিকারের উপর বিধিমালা আরোপকরা।
৬) অযৌক্তিকভাবে কর্মীদের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

উপরোক্ত কারণ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির কর্মচ্যুতি ঘটাবে ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং অভিযোগকারীকে কোন প্রকার শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে না।

যে সকল উপায়ে কর্মচারীগন তাদের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবে সে গুলো হচ্ছে –
ক) অভিযোগ ও পরামর্শ বক্সের মাধ্যমে।
খ) কর্মী সংঘের সদস্যদের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবে।
গ) সরাসরি ওয়েলফেয়ার অফিসারের কাছে তথ্য প্রদান করা যেতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করা
হবে।

সঠিকভাবে হয়রানী ও উৎপীড়ন এর কথা কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর জন্য সচেতন কর্মী তৈরীর লক্ষ্যে আমরা নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
ক) নতুন কর্মীদের প্রশিক্ষন।
খ) মাসে একবার লাইনচীফ, সুপারভাইজর, এবং ব্যবস্থাপনা কর্মীদের প্রশিক্ষণ।
গ) সম্মিলিত সভার মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে মত বিনিময়।
ঘ) কর্মীদের খাবার স্থান ও বিশ্রামস্থল সহ প্রধান প্রধান স্থানে এই নীতিমালা ঝুলানো।

কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে তা তৎক্ষনাত তদন্তের সাপেক্ষে নিম্নোক্ত তথ্যগুুলো লিপিবদ্ধ করা হবে।

# অভিযোগ প্রদানের তারিখ # ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার তারিখ # অভিযোগের সঠিক ধরন # অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অভিযোগকারীর নাম #তদন্তের তারিখ এবং তদন্তকারীর নাম # তদন্তের পদ্ধতি # তদন্ত রিপোর্ট # সিদ্ধান্তের তারিখ এবং সিদ্ধান্ত প্রদানকারীর নাম # আরোপিত শাস্তি এবং তারিখ # শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে শাস্তির রায় জানানোর তারিখ # অভিযোগকারীকে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী গৃহীত সিদ্ধান্ত জানানো হবে এবং স্বাক্ষর করনের মাধ্যমে নথিপত্র করা হবে।

এতদ্সত্ত্বেও হয়রানী ও উৎপীড়নের ঘটনা যদি বার বার সংঘঠিত হতে থাকে সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ হয়রানী প্রতিরোধে বিরাজমান নীতিমালাতে পরিবর্তন আনতে পারবেন।