অবৈধ নেশাজনিত ঔষধ পাচার সংক্রান্ত নীতিমালা
সূচনা
যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানই তার উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাজারজাত করনের ক্ষেত্রে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা মোতাবেক এই বাজারজাত করন বা রপ্তানী করতে হয়। তার উৎপাদিত সামগ্রী স্থানীয়, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা পরিপালন সাপেক্ষে বাজারজাত তথা রপ্তানী করে থাকে। রপ্তানীর ক্ষেত্রে অটো গ্র“প কোনরুপ নিষিদ্ধ/অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ যাতে পাচার না হয় সে ক্ষেত্রে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন-কানুন পরিপালন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সহযোগীতা করে।
উদ্দেশ্যে
আইন যত ভালই হোক না কেন তার প্রয়োগই তাকে ভাল/মন্দে রুপান্তর করে।তার উৎপাদিত সামগ্রী রপ্তানীর ক্ষেত্রে নিু বর্নিত নীতিমালা অনুসরন করে ঃ
- নেশাজাতীয় ঔষধের অবৈধ পাচার রোধ
- প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চোরাচালান রোধ সংক্রান্ত কার্যক্রম
- রপ্তানী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুর্ব-পরিচিতি যাচাই
- আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগায়োগ রক্ষা
- অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ পাচারে সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহন
- অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করন
অবৈধ নেশাজনিত ঔষধ এর পাচার রোধ ঃ
কারখানায় উৎপাদিত দ্রব্যদি রপ্তানীর সময় উহার সাথে কোনরুপ অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ পাচার করা যাবে না। এক্ষেত্রে প্রচলিত আইন মোতাবেক কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
আমাদের উৎপাদিত পোষাক রপ্তানীর ক্ষেত্রে আমরা কঠোর শৃংখলা বজায় রাখি। কোনরুপ নেশাজাতীয় দ্রব্য/ঔষধ পাচার হওয়ার সাথে অত্র সংস্থা জড়িত নয়। ইহা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ কাজ হিসাবে আমাদের কাছে বিবেচিত।
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চোরাচালান রোধ সংক্রান্ত কার্যক্রম ঃ
চোরাচালান রোধে সরকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কারখানার সকল স্থরের কর্মকর্তা, কর্মচারীকে সহযোগীতা করতে হবে। এক্ষেত্রে চোরাচালানের অপকারিতা ও শাস্থি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতে হবে। প্রয়োজনে চোরাচালান রোধ সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পর্য্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
চোরাচালান রোধে আমাদের সকল স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকেরা সদা সতর্ক। চোরাচালানীর শাস্তি সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে সকলকে নিয়মিত অবহিত করা হয়। এছাড়া চোরাচালান রোধ কল্পে সকল স্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের বিশেষ ভাবে অনুপ্রানিত করা হয়।
রপ্তানী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুর্ব-পরিচিতি যাচাই ঃ শিল্প কারখানায় যে সকল শ্রমিক কর্মচারী রপ্তানী কাজে নিয়োজিত তাদের নিয়োগ দানের পুর্বে পূর্ব-পরিচিতি তদন্ত করতে হবে।
রপ্তানী কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়োগের পূর্বে আমরা তাদের পূর্ব-পরিচিতি তদন্ত করে দেখি এবং এক্ষেত্রে সৎ-চরিত্রবান ব্যক্তি ব্যতীত কাউকে নিয়োজিত করা হয় না। এছাড়া চাকুরীতে যোগদানের পরেও তাদের কাজের প্রতি সার্বক্ষনিক নজর রাখা হয়।
আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ রক্ষা ঃ
অবৈধ নেশাজনিত ঔষধ পাচার এবং চোরাচালান রোধে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সর্বদা সহযোগীতা করতে হবে।
অবৈধ নেশাজনিত ঔষধ পাচার এবং চোরাচালান রোধে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সার্বক্ষনিক ভাবে সহযোগীতা করি এবং যোগাযোগ রক্ষা করি। এধরনের অবৈধ কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যাপারে আমরা কঠোর মনোভাব পোষন করি।
অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ পাচারে সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহন ঃ
অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ পাচার রোধে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
উপরোক্ত বিষয়ে আমরা সর্বদা সতর্ক থাকি। রপ্তানীযোগ্য পোষাক বিভিন্ন পর্য্যায়ে একাধিক বার চেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয় যাতে কোন পর্য্যায়েই অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার বা চোরাচালান না হয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষেত্রেও আমরা দৃঢ় ব্যবস্থা গ্রহনে তৎপর থাকি।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের যাতায়েত নিষিদ্ধ করন ঃ
শিল্প কারখানায় যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ করতে না পারে যে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কারখানা এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা কারখানা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। কারখানার মালামাল এবং এর জনবলের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। পূর্বানুমতি ব্যতীত কেহ কারখানা এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। আমাদের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের ছবিসহ পরিচয় পত্র প্রদান করেছি। কাজেই আমাদের কারখানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করার সুযোগ নাই।
উপসংহার
অবৈধ নেশামুক্ত পরিবেশে উৎপাদন পরিচালনা এবং উৎপাদিত পোষাক রপ্তানীর ক্ষেত্রে আমরা অত্র নীতিমালা অনুসরনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।